![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
রঙ্গ আসছে
অভিজিৎ মুখার্জী
হসপিটালে বসে , তখন দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে সবে ,বসে বসে রঙ্গ কথা বলছে তার পরিচিতা এক
আত্মিয়ের সাথে |
খাওয়া দাওয়া নেই বললেই চলে, আজ টানা দু মাস হাসপাতাল আর ঘর করছে রঙ্গ , বাবার অবস্থা ভালো নয় , তেমন ভালো নয় পরিবেশেরও ও তার মানসিক
অবস্থারও |
এই সমস্ত দুঃখ ও
যন্ত্রনার কথা হচ্ছে সেই পরিচিতের সঙ্গে হাসপাতালের বাইরের এক আসুদ গাছের নীচে বসে
| এমন সময় বৃষ্টি নেমে এলো , খুব মুসল ধারে বৃষ্টি নামলো , মেঘের অবস্থা ভালো নয় , কোলকাতা থেকে গ্রাম সর্বত্র বন্যায় ভেসে
যাচ্ছে
, তাই বাড়ির লোকের ওপর খুব একটা আসা করা
যাচ্ছে না ,
অগত্যা তাকে নিজেকেই সব সামলে উঠতে হচ্ছে |
বৃষ্টি টা ভীষণি জোড়ে নামলো , হট্ট গোলে কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না , রঙ্গ হাসপাতালের দালানের একটা থামে হ্যালান
দিয়ে বসে পরলো ,
শরীরে দুর্বল ভাব খুব বেশি | হঠৎ বৃষ্টির মধ্যে একটা গাড়ি এসে বড়
রাস্তায় দাঁড়ালো ,
একটি মেয়ে ও ছেলে নামলো , অবিকল তার স্ত্রী ও তার মতো দেখতে , দুজনে নাকি ঐ বৃষ্টিতে ভীষণ ভাবে ভিজতে লাগলো , ঠোঁট , বুক ও মুখের মধ্যে যৌবন ও শীহরণ যেন তাদেরকে তিলত্তমার সৌন্দর্য্যের কাছে
কিচ্ছু নয় মনে হলো |
বয়সটা তাহলে কি
পাল্টে গেল আমার ও দিতার !
আচমকাই পিছন
থেকে ডাক ১৮ নং ওয়ার্ডের পেসেন্টের বাড়ির লোককে ডাকছে কে আছেন , পরিচিতা বললো ডাকছে কাকে তোমায় না তো , আর একবার শোনার পরে বললো হ্যাঁ আমাকেই তো , বলে এগিয়ো গেলো |
হাসপাতালের
ওয়ার্ড ইনচার্জ বললো ,
বাড়ি নিয়ে যাবেন কালকে আপনার বাবাকে ছেড়ে
দেওয়া হবে ,
যদ্দিন বাঁচে এভাবেই কাঁটবে , আসা যাওয়া লেগেই থাকবে |
ঘুম ভাঙ্গলো , সে তখন ফ্লাইটে ল্যান্ড করছে কলকাতায় , করোনার প্রকপ ভীষণি বেরেছে , আপাতত সে বাড়ি ফিরছে দিল্লী থেকে |
No comments:
Post a Comment