তরুণ চক্রবর্তী সম্পাদক |
চারিদিকে ঘোর অমানিষা।শুক্লপক্ষ ,কৃষ্ণপক্ষের মতো অন্ধকার।দুরে বোধহয় একটু ক্ষীণ আলোকশিখা দেখা যায়।তাকি ক্রমাগত ধীরগতিতে সামনে আসছে?বোঝা যায় না।আলোক এখন সত্যিকারের জ্ঞানের মতই দুস্প্রাপ্য।সত্যিই, অদ্ভুত আঁধার এক ,এসেছে এ পৃথিবীতে আজ।
কলকাতা একদিন তিলোত্তমা হবে। কবির কল্পনা সত্যি হয়নি।কলকাতা এখন এক ধর্ষণ নগরী।এ রাজ্য এখন ধর্ষণের আতুরঘর।আমাদের তিলোত্তমা রোজ ধর্ষিতা হচ্ছে।কখনো গ্রামে, কখনো শহরে।সম্প্রতি তার সববচেয়ে কদর্যরূপ প্রত্যক্ষ করলাম, কলকাতার এক মেডিক্যাল কলেজে, এক ডাক্তার পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের মাধ্যমে।
ঘটনার ভয়াবহতা প্রথমে আমাদের হতবাক করলেও, কিছুদিনের মধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদ শহর থেকে রাজ্যে, রাজ্য থেকে দেশে, দেশ থেকে বিদেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে।এই গণজাগরণই সেই ক্ষীণ আলোকশিখা যা হয়তো চরিদিকের এই অমানিষা একদিন দূর করবে।
আমাদের এবারের শারদীয় সংখ্যা, ‘তিলোত্তমা’র উদ্দ্যশে নিবেদিত হলো।
ভালো থাকুন।উৎসবে নয়, প্রতিবাদে ফিরুন।
প্রতিবাদে থাকুন।
ধন্যবাদ
সম্পাদক
বইসই
চিরঞ্জিত ঘোষ প্রধান কার্যনির্বাহী সম্পাদক |
সকল পাঠকবৃন্দ কে শুভ শারদীয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আবার সেই প্রতীক্ষিত পূজোর দিন এসে গেছে, যা বাঙালির হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। দেবী দুর্গার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে বয়ে যায় আনন্দের স্রোত। আকাশে সাদা মেঘ, মাঠে কাশফুল, আর মন ভরে যায় পূজোর সুরে।
তবে এই বছরের পূজোকে কেন্দ্র করে আমাদের চিন্তার জায়গাগুলোও ভিন্নভাবে আলোচিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন আমাদের মননে এক নতুন প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। শিক্ষার অধিকার এবং মানসম্মত পরিষেবা পাওয়ার দাবিতে যে ছাত্রছাত্রীরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছেন, তাঁদের সাহস এবং দৃঢ়তা আমাদেরকে আরও সচেতন করে তুলেছে। পূজোর এই আনন্দঘন সময়ে তাঁদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সমর্থন জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁদের লড়াই শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে।
পূজো আমাদের আনন্দ ও উদযাপনের সময়, কিন্তু সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এই আনন্দের মাঝেও আমাদের চোখ খোলা রাখতে হবে সেইসব সমস্যার প্রতি, যা আমাদের চারপাশে বিদ্যমান। পূজো যেমন নতুন শক্তির প্রতীক, তেমনি আর জি করের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে শেখায়। পূজোর উৎসবের প্রেক্ষাপটে এই আন্দোলন আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের উন্নতি ও পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার এবং সামাজিক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
এই বিশেষ পূজো সংখ্যায় আমরা বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় রচনা নিয়ে হাজির হয়েছি, যা আপনার পূজোর সময়টাকে আরও আনন্দময় করে তুলবে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ থেকে শুরু করে সমাজ ও বাস্তবতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা রয়েছে এই সংখ্যায়।
আশা করি, আপনারা সবাই এই সংখ্যার প্রতিটি লেখা উপভোগ করবেন এবং নিজেদের জীবনে পূজোর সুরের পাশাপাশি সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও উপলব্ধি করবেন।
শুভ শারদীয়া
চিরঞ্জিত ঘোষ
প্রধান কার্যনির্বাহী সম্পাদক
'বইসই'
বড়গল্প
গল্প
ছোটগল্প
অণুগল্প
প্রবন্ধ
সুস্বাস্থ
প্রবন্ধ
কবিতা
ছড়া
ভ্রমণ