ছবি : ইন্টারনেট |
জেভিস শর্মা
একজন মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশে মহান জীবনের বাণী বা বার্তা অবশ্যই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।। তবে যার বার্তা অনুসরণ করা হচ্ছে সেখানে দেখতে হবে আড়ালে আবডালে কোনো ধর্মীয় সত্ত্বা তার সমান্তরালে প্রযুক্ত হয়ে আছে কিনা।। এর ফল হয়ত মারাত্মক হতে পারে ।।মনের মধ্যে অজান্তেই সেক্ষেত্রে বপন করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার কালো বীজ।। সমাজে আগামী দিনে এর তো বিরূপ প্রভাব পড়বেই।। কেননা যে মুহূর্তে উক্ত ধ্যান ধারণার অনুপ্রবেশ ঘটবে সেই মুহুর্তে মন থাকবে কাদার তালের ন্যায়,যেমন ভাবধারার সান্নিধ্যে সেটি আসবে তেমনই আকার ধারণ করবে।।তাই এবিষয়ে আমাদের অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।।আমরা আবেগের বশে দেখছি অমুক ধর্মগুরু এই বলেছেন- সেই বলেছেন,এগুলো অসহায় মনকে এতটাই নাড়িয়ে দিচ্ছে যে আমরা চোখ বন্ধ করে এগুলোকে জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেছি অন্যের জীবনেও যুক্ত করতে বাধ্য করছি।।
এমনটা বন্ধ হোক আধুনিক প্রজন্ম নিশ্চয় পারবে উপযুক্ত মাধ্যমটিকে বেছে নিতে।। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী হতে পারে কোনো ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত ব্যক্তির বহুমাত্রিক জীবন অভিজ্ঞতার নিবিড় পাঠ।।তার জীবনাদর্শের সুনিপুন চর্চা।। এসবের মধ্যে দিয়ে তার বার্তা, যা সমাজের প্রতি ইতিবাচক সাড়া ফেলতে সক্ষম, এমনিতেই পৌঁছে যাবে মনের কোণে কোণে।।আর ততই শ্রীবৃদ্ধি আসবে উত্থান পতনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মনুষ্যত্বের।। কোনো সাম্প্রদায়িক পরিমণ্ডল সেখানে আর পাত্তা পাবে না ।। কোনো আইডিওলজি গ্রহণেও উদ্ভূত হবে যুক্তিবাদের শৃঙ্খলতা।।তাই মনে যে সে বাণী নয় অতি সক্রিয় হোক জীবনাদর্শের,জীবন অভিজ্ঞতার বাস্তবিক বার্তা।।তবেই আবারো ফিরবে প্রজ্ঞা, মননশীলতা,সর্বপরি মনুষ্যত্ব।।
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment