সম্পাদকীয়
১৪৩০ সালের প্রথম দিনে,বইসই এর সমস্ত পাঠকদের জানাই ,নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।শুভনন্দন শব্দটা এখনো বাংলা ভাষার শব্দকোষে স্বীকৃত নয় বলে,বিরত ও অপেক্ষায় থাকলাম।
ঊনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের বাংলা ,আজ পেছন দিকে হাঁটতে হাঁটতে আবার প্রায় অন্ধকারের শুরুতে পৌঁছে গেছে।কিন্তু হায় ,আজকে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন মহামানব নেই।সমাজের মধ্যমনিরা এখন সব বামনাবতার।দুর্নীতি,গা জোয়ারী,নির্লজ্জতা, নীতিহীনতা,লাম্পট্যে নিমজ্জিত সমস্ত দিকনির্দেশকরা।সুতরাং প্রবল এক দিশাহীনতায় আমরা আক্রান্ত।জানিনা এর শেষ কোথায়!?
তবুও এই অন্তহীন হতাশার মধ্যেও, আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেস্টা,বইসই ওয়েবজিনের চতুর্থবর্ষের তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হল।
বইসই এর সমস্ত পাঠক ও লেখককে জানাই আমাদের আন্তরিক ভালবাসা।
নমস্কারান্তে
ধন্যবাদান্তে
সম্পাদক
'বইসই'
বোধিসত্ত্ব কথা
'বোধিসত্ত্ব' বলতে দুঃখমুক্তির পথ অন্বেষণে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধকারী সত্ত্বকে বোঝানো হয়। 'বোধি' ও 'সত্ত্ব' দু'টি শব্দের সমন্বয়ে 'বোধিসত্ত্ব' এর উদ্ভব। এখানে 'বোধি' অর্থ হলো জ্ঞান বা প্রজ্ঞা। এই জ্ঞান যা দ্বারা মানুষের সকল প্রকার দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হয়। আর 'সত্ত্ব' হলো সেজন, যিনি নিজেকে দুঃখমুক্তির পথ অন্বেষণে উৎসর্গ করতে সমর্থ হয়েছেন, বা মহৎ লক্ষ্য অর্জনে যিনি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। সে হিসেবে বলা যায় বোধি'র লালনকারি সত্ত্বই বোধিসত্ত্ব। জগতের সর্ব দুঃখের বিনাশ সাধনের জন্যে বুদ্ধত্ব লাভের প্রত্যয়ে বোধিসত্ত্ব পথ অনুশীলন করা হয়। তাই সাধারণ অর্থে বোধিসত্ত্ব হলো বুদ্ধত্ব লাভে অনুপ্রাণিত প্রজ্ঞাবান সত্ত্ব।
বোধিসত্ত্ব চেতনার উৎস জাগ্রত হয় সাধনকারির স্বতস্ফূর্ত অভিপ্রায় থেকে। বৌদ্ধ ধর্ম দর্শন মতে বহু জন্মের সুকৃতির ফল না থাকলে বোধিসত্ত্ব চেতনার উদ্ভব ঘটেনা। বোধিসত্ত্ব সাধনার পূর্ণতা অর্জিত হয় বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে। তাই বোধিসত্ত্বকে বলা হয় 'বুদ্ধাঙ্কুর'। এরূপ চেতনা অত্যন্ত বিরল ও দুর্লভ।
বোধিসত্ত্বের গুণাবলি :
বোধিসত্ত্ব গুণ হঠাৎ সৃষ্টি হয় না। বোধিসত্ত্ব সাধনার ক্রমধারায় ধাপে ধাপে এগুলো অর্জিত হয়। যেমন বোধিসত্ত্ব চেতনা সকলের অন্তরে বিরাজমান হলেও সকলেই বোধিসত্ত্বের পদবাচ্য নয়। যিনি বুদ্ধত্ব লাভে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পারমী পূর্ণতার সাধনায় প্রত্যয়াবদ্ধ হয়েছেন, তিনিই প্রকৃত অর্থে বোধিসত্ত্ব।
নিরবিছিন্ন কর্ম প্রচেষটার মাধ্যমেই বোধিসত্ত্ব গুণের অধিকারি হতে হয়। বোধিসত্ত্ব গুণ নিম্নরূপ :
১. বোধিসত্ত্ব 'সর্ব বিষয় অনিত্য এ ধারণাকে জীবনাচারের সর্বোচ্চ সত্য হিসেবে গ্রহণ করেন।
২. তথাগত বুদ্ধের দর্শনকেই বোধিসত্ত্বরা একমাত্র পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে সর্বসত্ত্বার কল্যাণকামী হন।
৩. স্বকৃত কর্মকেই জন্ম জন্মান্তরের সঙ্গী হিসেবে বোধিসত্ত্বরা গ্রহণ করেন। তাই নিঃস্বার্থ, নির্মোহ কর্মশীলতা বোধিসত্ত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৪. বোধিসত্ত্বের একমাত্র লক্ষ্য বুদ্ধত্বলাভ । নাম, যশ, খ্যাতি নিয়ে তাঁরা চিন্তা করেন না।
৫. বোধিসত্ত্বগণ জীবন বিসর্জন দিতে পারেন, কিন্তু সত্য সাধনা হতে বিচ্যুত হন না।
৬. বোধিসত্ত্বগণ সত্য, ন্যায় ও ত্যাগ- এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞার অনুশীলনে বদ্ধপরিকর হন।
৭ বোধিসত্ত্ব পথের সাধক সর্বদা জগত ও সর্ব সত্ত্বার কল্যাণ কামনা করেন। তাঁর কাছে আপন-পর ভেদাভেদ নাই।
৮. বোধিসত্ত্ব মৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষার সর্বোত্তম অনুশীলনকারি হন।
৯. বোধিসত্ত্বগণ দশ পারশী অনুশীলনে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
১০. বোধিসত্ত্ব সাধনা একটি স্বতস্ফূর্ত সাধনা, বোধিসত্ত্বগণ আপন চেতনা বলে বলীয়ান হয়ে নিজ চিত্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হন ।
সূচিপত্র
লেখা পড়তে ক্লিক করুন
গল্প
ছোটগল্প
অণুগল্প
প্রবন্ধ
কিশলয়
(ছড়া)
রম্য রচনা
সুস্বাস্থ্য
No comments:
Post a Comment