1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Monday, July 24, 2023

চতুর্থ বর্ষ । চতুর্থ সংখ্যা । শ্রাবণ । ১৪৩০

  


সম্পাদকীয়

   
তরুণ চক্রবর্তী
সম্পাদক
            হাঁটি হাঁটি পা পা করে বইসই ওয়েবজিন চার থেকে পাঁচ বছরে পরতে চললো। এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এগিয়ে চলতে চলতেই ,লেখক ও পাঠকের আশীর্বাদে একদিন সে আরও সাবালক হয়ে উঠবে এই আশা করি।
    বর্ষা এসে গেছে। কলকাতা শহরে বর্ষা ঢেকে যায় তার কংক্রিটের স্কাইলাইনে। তবুও শহরের পাশেই,গ্রামের মধ্যে গড়ে ওঠা শহর ,নিউটাউনে এখনও বর্ষাকে একটা আলাদা ঋতু হিসেবে চেনা যায়। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতুকে তাঁর রূপ গন্ধ নিয়ে সম্পূর্ন ভাবে পাওয়া যায়। তবে আমরা যে ভাবে প্রকৃতি ধ্বংস করছি,তাতে বর্ষা হয়তো শুধু চেনা যাবে শহরের রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা আর নোংরা জলে।
    এই বর্ষা সংখ্যার পরেই,  পুজোর আগে প্রকাশিত হবে আমাদের শারদ সংখ্যা।লেখকদের কাছে লেখা পাঠানোর আগাম আবেদন রইল।
     সবাই ভালো থাকুন।
      শুভেচ্ছান্তে
      সম্পাদক
      'বইসই'

বোধিসত্ত্ব কথা
বোধিসত্ত্ব শব্দের অর্থ:
পালিতে বলা হয় ‘বোধিসত্ত’ আর সংস্কৃতে উচ্চারণ হয় ‘বোধিসত্ত্ব’ এবং সংস্কৃত ভাষার অধিকতর প্রভাবিত বাংলা ভাষায়ও এটি বোধিসত্ত্ব। দীর্ঘনিকায় অর্থকথা সুমঙ্গল বিলাসিনী’র অন্তর্গত মহাবর্গ অংশের অর্থকথা মহাপদান সূত্রের অর্থকথা বর্ণনায় ‘বোধিসত্ত্ব(র) ধর্ম বর্ণনা’ পরিচ্ছদে বোধিসত্ত্বের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে উল্লিখিত হয়েছে- বোধিসত্ত্ব হলো পণ্ডিত সত্ত্ব, বোধ/বুদ্ধিসম্পন্ন সত্ত্ব। যিনি চারি মার্গের জন্য দৃঢ়ভাবে আসক্ত(আকাঙ্ক্ষী) তাকেই বোধিসত্ত্ব বলা হয়। অর্থাৎ, বোধি’তে প্রাণপণে-অন্তর্গতভাবে আকাক্সক্ষী যিনি, সংলগ্ন যিনি তিনিই বোধিসত্ত্ব। বোধিসত্ত্বকে ‘মহাসত্ত্ব’ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বোধিসত্ত্বের মহাপদান সূত্রার্থকথায় বর্ণিত সংজ্ঞানুযায়ী বোধিসত্ত্ব বলতে বুদ্ধ, প্রত্যেক বুদ্ধ ও শ্রাবক বুদ্ধকেও নির্দেশ করা হয়। সুতরাং, বোধি অর্থ সম্যক সম্বোধি, অরহত্ত্ব মার্গ জ্ঞান, সর্বজ্ঞতা জ্ঞান ইত্যাদি; দীর্ঘ নিকায় অর্থকথা মোতাবেক যাঁর উপলব্ধি জ্ঞান আছে, যাঁর মন বোধিতে অনুরক্ত, বোধির অনুগামী তিনিই বোধিসত্ত্ব। তবে সাধারণত সম্যক সম্বুদ্ধ প্রত্যাশী- দশপারমি, উপ-পারমি-পরমার্থ পারমি পূরণে নিরত সত্ত্বকেই বোধিসত্ত্ব বলা হয়। বোধিসত্ত্ব শব্দটি দু’ভাগে বিভক্ত ‘বোধি’ ও ‘সত্ত’; এখানে বোধি অর্থ হলো জ্ঞান, (সত্য)উপলব্ধি, (অস্তিত্ববাদ/ভ্রম হতে)জাগরণ, আলোক প্রভৃতি, আর সত্ত অর্থ জীব। সুতরাং, বোধিসত্ত্ব বলতে জাগ্রত হবার জন্য কর্ম সম্পাদনকারী জীব, বোধির জন্য অন্বিষ্ট জীব, আলোক প্রাপ্ত হবার কাজে নিয়োজিত জীব; এবং উপরোক্ত বর্ণনা মোতাবেক পচ্চেক বুদ্ধ, শ্রাবক বুদ্ধগণের প্রচেষ্টাকালকেও বোধিসত্ত্ব জীবন বলা চলে।

বোধিসত্ত্ব হবার যোগ্যতা:
কোন ব্যক্তি যদি সম্যক সম্বুদ্ধত্ব লাভেচ্ছুক হয় তবে তাঁকে আটটি (৮) টি বিষয়ে পরিপূর্ণ হতে হয়। যথা-১.মানব জন্ম লাভ, ২.পুরুষ হয়ে জন্ম, ৩.অরহত্ত্ব লাভের হেতু থাকা, ৪.সম্যক সম্বুুদ্ধের দর্শন লাভ, ৫.প্রব্রজ্যাগুণ, ৬.ধ্যানাদিগুণ, ৭.ত্যাগ গুণ(এমনকি বুদ্ধত্ব লাভের জন্য প্রাণও যদি ত্যাগ করতে হয় তা করার উপযুক্ততা), ৮.বুদ্ধত্ব লাভের বলবতী বাসনা। উক্ত অষ্টবিষয় পূর্ণ হলেই তিনি সম্যক সম্বুদ্ধত্ব প্রার্থনা করতে পারেন। যদিও প্রার্থনার সময় অরহত্ত্ব লাভের হেতু থাকা আবশ্যক কিন্তু সম্যক সম্বোধি অর্জন না করা পর্যন্ত তিনি অরহৎ হন না। আবার, পচ্চেক বুদ্ধত্ব লাভ করতে হল প্রয়োজন হয়: ১.মানব জন্ম, ২.পুরুষত্ব, ৩.বুদ্ধ, পচ্চেক বুদ্ধ অথবা অর্হৎ শ্রাবকগণের কারো দর্শন লাভ, ৪.ত্যাগ, ও ৫.বুদ্ধত্ব লাভের প্রগাঢ় ইচ্ছা-এই পাঁচ প্রকার গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিই পচ্চেক/প্রত্যেক বুদ্ধত্ব লাভ করার জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। অপরদিকে অগ্রশ্রাবক, মহাশ্রাবক, বুদ্ধের পিতা-মাতা, সেবক ও পুত্রের ক্ষেত্রে ত্যাগ আর বলবতী ইচ্ছা থাকলে তাঁদের স্বীয় স্বীয় ঈপ্সিত পদ প্রার্থনা করতে পারেন। বোধিসত্ত্বগুণাধিকারী হতে গেলে বুদ্ধ, প্রত্যেক বুদ্ধ ও শ্রাবক বুদ্ধ প্রভৃতির জন্য নির্ধারিত উপরোক্ত যোগ্যতা গুলোর পরিপূর্ণতা অত্যাবশ্যক।

বোধিসত্ত্বের কর্তব্য:
বোধিসত্ত্বের যোগ্যতা অর্জনের পর নবাভিষিক্ত বোধিসত্ত্বকে বুদ্ধ হবার পথে আগুয়ান হবার লক্ষ্যে সাধারণের চাইতে মহত্তর, আপাত দুষ্কর কর্ম-কর্তব্য সম্পাদন করতে হয়। এবং তদ্বেতু বোধিসত্ত্ব হবার যোগ্যতার উপরোক্ত পূর্বশর্তসমূহ পূরণ করার পর বুদ্ধত্বকামী ব্যক্তিকে দশবিধ পারমিতার অনুশীলন করতে হয়। সেই দশবিধ পারমি হলো- ১. দান, ২. শীল (সচ্চরিত্র, সদাচার), ৩. নৈষ্ক্রম্য (বন্ধন ত্যাগ, বন্ধনের কেন্দ্রস্থল গৃহ হতে বিদায়, জাগতিক সমস্ত ভোগ বিলাস হতে বিদায়), ৪.প্রজ্ঞা, ৫.বীর্য, ৬.ক্ষান্তি(চিত্তের অ-বিভ্রান্ত স্থায়ী মৈত্রী-করুণাভাবই ক্ষান্তি), ৭.সত্য, ৮.অধিষ্ঠান (অবিচলতা, অটলতা, নিশ্চলতা), ৯.মৈত্রী ও ১০.উপেক্ষা(লোভ-দ্বেষ বর্জিত নিরপেক্ষ দর্শন)। এই দশবিধ পারমীকে পারমী (সাধারণ), উপপারমী (উত্তম) ও পরমার্থ পারমী(সর্বোত্তম) অনুসারে ত্রিশ প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই দশপারমী, যেগুলো বুদ্ধত্ব অর্জনের জন্য অত্যাবশ্যক, এগুলোকে বুদ্ধকারক ধর্মও বলা হয়।


সূচিপত্র

লেখা পড়তে ক্লিক করুন

গল্প


কবিতা


ছোটগল্প



অণুগল্প



প্রবন্ধ
কিশলয়



No comments:

Post a Comment