হাসি কিংবা কান্নার গল্প
ঋত্ত্বিকা চট্টোপাধ্যায়
দ্বিতীয় ঘন্টাও পড়ে গেল,আর মাত্র দশ মিনিট হাতে সময়। তারপরই দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে যেতে হবে। দেবেশ আয়নায় নিজের মুখ আর একবার দেখে নিল। নিজেকে দেখে নিজেই হো-হো করে হেসে ফেলল। পাশে রন্টি মুখে রং লাগাচ্ছিল,বলল-'কি হল দেবাদা? তুমি হাসছ কেন? আমরা তো লোককে হাসাব। লোকে লোকারণ্য হয়েছে আজ তাঁবু। পরিমলদা আজ হেব্বি খুশি। প্রথমবার আজ হাউসফুল এই নসিমপুরে।' 'তাতে তোর কি রে? কপালে তো সেই পাঁচটা রুটি আর আলু-কুমড়োর ঘ্যাঁট। কেপ্পনের হদ্দ মাইরি পরিদা।' ইতিমধ্যে সার্কাসের তৃতীয় ঘন্টা পড়ে গেল। দেরী না করে আসরে আসার পথে রন্টি বলল -'তোমার হাসির কারণ জানা হলনা,পরে বলবে তো?' 'বলবখুনি,এখন চল।'
সত্যিই আজ আসর জমে ক্ষীর। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলোকে দেখলে খুব ভালো লাগে দেবেশের। ওরাই সবচেয়ে সরল। ওদের আনন্দ পেতে দেখলে মনে সত্যিই আনন্দ হয়। দেবেশের হাইট মেরেকেটে তিন ফুট দেড় ইঞ্চি। তাই ওরা যখন "জোকার-জোকার" বলে চিৎকার করে তখন মনে একটু দুঃখ পেলেও আনন্দ হয় দ্বিগুণ। রংচঙে মুখে আর ঢোলা বড় জামা পরে ওর সবটুকু দিতে চেষ্টা করে। আর তাই নিত্যনতুন কৌশল বার করে। সেই কৌশলে ওর একমাত্র সঙ্গী রন্টি। সেজন্য অবশ্য পরিদা ওকে বেশ তারিফ করে, আর দলের বাকিরা করে হিংসে।
আজও প্রায় আধঘণ্টা 'জোকারি' করে তাঁবুর বাইরে চলে এল প্রচুর হাততালি নিয়ে। এখন অন্য খেলা চলছে। ওদের কাজ একেবারে শেষের দিকে.. অবশ্য মাঝখানের বিরতির মিনিট পনেরো আবার যায় তাঁবুর ভেতর।
বাইরে বেরিয়ে রন্টি আবার হাসার কারণ জানতে চাইলে ও বলল - 'সত্যি শুনবি? তাহলে একটা বিড়ি দে।' রন্টি হেসে বলল - 'তুমি গুরু পারোও বটে!শালা আমরা তো এসময় রোজ বিড়ি খাইই।খালি তামাশা! কি ভেতর - কি বাইরে সবসময় খালি রঙ্গ।' দেবেশ বলল -'আরে! ঈশ্বর স্বয়ং আমাদের তামাশা করতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন..তাই.. যদ্দিন আছি তামাশা করি।
জানিস আমার বাড়ি ছিল শান্তিপুরে। আমার চেহারা দেখে ওখানেও পাড়া - পড়শি টিপ্পুনি কাটত। বাবা-মাও যে কত কিছু করত আমার জন্য! কখনো ডাক্তার,কখনো লম্বা হবার জন্য লাফদড়ি, কখনো লম্বা হওয়ার ওষুধ! কিন্তু আমি ব্যাটা কিছুতেই তিন-দেড়ের বেশি হলাম না। জানিস তো একদিন বাবা টানা তিন ঘন্টা ধরে লাফদড়ি খেলিয়েছিল,আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম, সেটা ছিল আবার জুন মাস....ভাব একবার কি গরম!
মা বাবাকে বলেছিল - "এভাবে মাথা গরম করে লাভ কি? ছেলেটার যদি অন্য কিছু হয়ে যেত?" উত্তরে বাবা বলেছিল - "ভালো হত, দুনিয়াসুদ্ধু লোককে কৈফিয়ৎ দিতে হতো না, আর সবার জ্ঞানও শুনতে হতো না। হাড় জুড়োতো আমার,বামনটার জন্য লোকের লোকদেখানো দরদ আর সইতে হতো না।" মা বাবাকে বলেছিল - " কি করব বলো, ওকে তো ফেলে দিতে পারিনা, হাজার হোক ও তো আমাদেরই ছেলে!" এসব নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছিল সেদিন দুজনের। আমি ভুলতে পারি না সেদিনের কথা, দুটো অসহায় মানুষের কথা। আমি সেদিন সব কথা শুনেছিলাম, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম রে।
পরের দিন স্কুলে ঢুকছি এমন সময় মহিম বলে একটা ছেলে পেছন থেকে আওয়াজ দিল -"বামনা দেবা এসে গেছে.." আরও কিছু ছেলে ওর সাথে গলা মেলালো..." বামনা দেবা এসেছে/তিন ফুটিয়া ছেলে বামনা এবার পন্ডিত হবে/ফুটবলে পেলে।দেবার আমার ভারী সখ/ক্রিকেটার হবে বামনা দেবা অবশেষে/বামনা দেবাই রবে। লম্বা হওয়া নেই কপালে/শুনে রাখ তুই পনেরো বছরে ছেলের হাইট/তিন -দুই।।"
রন্টি অবাক হয়ে বলল -'তুমি সব মনে রেখেছ?এত বছর পরেও একটুও ভোলোনি?' দেবেশ হেসে বলল -'আমি রোজ মনে মনে আওড়াই কথাগুলো, ওগুলোই তো আমার অবসরের সঙ্গী রে!চল বাকিটা পরে বলব,এখন সময় হয়ে গেছে।'
ওরা আবার তাঁবুতে ঢুকলো ড্রেস চেঞ্জ করে। মিনিট পনেরো লোক হাসিয়ে বেরিয়ে এলো। বাইরে এসে চা খেতে খেতে রন্টি বলল -' তারপর কি হলো গো বলবে না! এতদিন একসাথে রয়েছি তবু এত কথা তো তুমি কোনোদিন বলনি।' দেবেশ উত্তর দিল -'তুই বা আমরা যারা জোকার কোনদিন আগের জীবন নিয়ে কথা বলি? কেন সেটা তুইও জানিস! আসলে আমরা কষ্ট পাই ভীষণ, বাড়ির লোকের কথা মনে করে, আবার যোগাযোগ করতে গেলেও কত অপমানিত হতে হয় বলতো! বছর চারেক আগে লুটুর অবস্থা মনে পড়ে তোর? সবাই বারণ করা সত্ত্বেও ও বাড়ি গেছিল, আর ওর দাদা-বৌদিরা কেমন কুকুর - বেড়ালের মত তাড়িয়ে দিয়েছিল! ফিরে এসে কি কান্নাটা কেঁদেছিল....আর তারপর আর কোনোদিন বাড়ির কথা ওর মুখে শুনিনি।' 'যাই হোক তুমি তোমার কথা বলো। তুমি কোন ক্লাস অব্দি পড়েছে গো!' 'তখন আমার ক্লাস নাইন.. জানিস তো আমি সেদিন আর ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে গেছিলাম, ঘরে ঢুকছি বাইরে থেকে শুনতে পেলাম বাবা - মায়ের কথা। দুজনেই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত -- উদ্বিগ্ন। একে ঐ লাফদড়ি তার ওপর স্কুলে বন্ধুদের প্রতিদিনের হেনস্থা -বাবামায়ের দুশ্চিন্তা আমায় যেন হঠাৎ পাগল করে দিল। নিজেকে বোঝা মনে হল। আমি ঘরে ঢুকতে দুজনেই চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল -"কি রে হঠাৎ চলে এলি?" মিথ্যে কথা বললাম -শরীর খারাপ লাগছে। বলে আমি ব্যাগ রেখে জামা পাল্টে বিছানায় উঠে চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়! বাবা মা ভাবল ঘুমিয়ে পড়ব, আমাদের তো মধ্যবিত্ত পরিবার - বাবা আমার পড়ার জন্য বারান্দার একটুখানি জায়গা ঘিরে দিয়েছিল। সেখানে একফালি চৌকি আর একটা টেবিল ছিল। মাকে বললাম - একটু ঘুমোলেই ঠিক হয়ে যাবে। মাও বিশ্বাস করে চলে গেলে সারা দুপুর ভাবতে লাগলাম কি করব, ওখানে আর থাকব না সেটা ঠিক করে ফেলেছিলাম, কিন্তু কি করব ভাবনায় আসছিল না। অবশেষে ভাবলাম পালাব জমানো টাকা নিয়ে।তখন প্রায় ছ'শো টাকা সঙ্গে ছিল। সন্ধেবেলা খান দশেক মিষ্টি কিনে আনলাম। মাকে বললাম রাতে সবাই মিলে খাব।আর বোনের দুটো বেশি। মা একটু অবাক হলো... আমি বললাম খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে তাই। এরপর বোনকে কাছে ডেকে ওকে একটা মিষ্টি খাইয়ে দিলাম,ন'বছরের বোনটা কিছু না বলে আমার মুখেও একটা মিষ্টি দিয়ে দিল।বোনু কিন্তু আমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসত, আমার চেহারা নিয়ে কেউ কিছু বললেই ও তার সাথে ঝগড়া করত।ওই ছোটছোট বাচ্চাদের মধ্যে আজও আমি বোনুকে খুঁজে পাই।'
ওর কথায় বাধা দিয়ে রন্টি বলল -'চলো.. সময় হয়ে গেছে তোমার... এবার তো ট্রাপিজের খেলা... আচ্ছা তোমার ভয় করে না? আমার কিন্তু'- ওকে বাধা দিয়ে দেবেশ বলল - 'নাহ্। আগে করত....'
রন্টি জিজ্ঞেস করল -' আচ্ছা দেবাদা তুমি লেখাপড়ায় বেশ ভালো ছিলে নাগো?' 'কেন?' দেবেশ জিজ্ঞেস করল।
' কি সুন্দর করে কথা বলো,কতরকম বুদ্ধি
বের করো বাচ্চাদের জন্য, আবার এখনো কি ভালোভাবে নিজের কষ্টের কথা বলে তাই বললাম..' দেবেশ একটু হেসে বলল ' ও আর কি...চল....'।
ট্রাপিজের খেলা শুরু হলো... চারদিকে ওরা চারজন.. দেবেশ, রন্টি, কার্তিক আর চরণ....জোকার....আর বাকি খেলোয়াড়।
প্রায় কুড়ি মিনিট দমবন্ধ করে খেলল রন্টি। আজ দেবেশ ধুপ্ করে জালের ওপর পড়ে পাঁচ-দশ সেকেন্ড চুপ করে পড়ে থেকে ঐ অবস্থায় হাসতে হাসতে চিৎকার করে বলল --' আমি আজও বেঁচে গেলাম... ঈশ্বর আমায় মরতে দেবেন না...জোকারি করার জন্য বাঁচিয়ে রাখবেন... বাচ্চারা ভয় পেয়োনা... আমি আবার আসব....' বলে দড়ির সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেল।
রন্টি দেবেশের নিত্যনতুন কথা শুনে অবাক হয়.....এত তাড়াতাড়ি কথা বানায় কি করে! শুধু ও নয় ওদের দলের সবাই
অবাক হয়...পরিদা এইজন্য ওর নাম রেখেছে 'ফুলঝুরি'। আজকের মত খেলা শেষ রন্টির। নিজের মুখের রঙ তুলতে তুলতে দেখল দেবেশ জামা পাল্টে সান্তাক্লজ সেজে ফেলেছে, আবার কাঁধের একটা বোঁচকাও বানিয়েছে... ' ঝোলায় কি গো সান্তা?' একটু হেসে দেবেশ বলল- 'দেখতে পাবি এক্ষুনি/ঢুকব যখন তক্ষুনি' বলে হাঁটা দিল মঞ্চের দিকে...রিন্টুও পোশাক পাল্টে চলল...দেবাদা র কান্ড দেখতে। আসলে এই খেলা দেখানো শেষ হয় দেবেশকে দিয়ে....একা দেবেশ এই সময় রোজ নতুন কিছু করে। শুধু রিন্টু নয়, সবাই আসে...আসে পরিমলদা ও। আজ কিন্তু সবাই অবাক হয়ে গেল দেবেশের কান্ডকারখানা দেখে...
মঞ্চে প্রবেশ করে দেবেশ হাতজোড় করে ঘুরে ঘুরে গাইতে লাগল....
' তিন ফুটের দেবেশের বড়দের নমস্কার
ছোটদের জন্য আছে ঝোলায় উপহার..
আজ আমি জোকার হলেও...
সাজে সান্তা
বামন হলেও মানুষ আমি নয় সবজান্তা।।
একটাই নিবেদন করব সবার কাছে বামনদের মধ্যেও একটা মন আছে...
দয়া করে বামনদের বাঁচার সুযোগ দিন
ঠাট্টা আর তামাশা করে হবেননা দয়াহীন।
আমরাও মানুষ উচ্চতায় শুধু বেঁটে ...
দেবেননা আমাদের সমাজ থেকে ছেঁটে...
কষ্ট পাই আমরা ভীষণভাবে মনে
পরিবারও কষ্টে থাকে প্রতিদিনক্ষণে।
সহমর্মিতা চাই একটু আমাদের জন্য
একটু ভালোবাসা পেলেই হব আমরা ধন্য।
গুরুজন - সমবয়সী আছেন যত আজ
দেখলেন ' সার্কাস ' ফেলে শত কাজ,
দেবেন একটু সহানুভূতি আর সহযোগিতা
আমরাও পেতে চাই সকলের মানবিকতা।
অবহেলা না করে / টিটকিরি না কেটে
আপনাদের টিটকিরিতে যায় বুক ফেটে,
একটু ভাবুন আমরা শুধুই হাসির পাত্র নয়
জন্ম তো আমাদেরও সাধারণভাবেই হয়।
শারীরিক এই সমস্যা তো ঈশ্বরের সৃষ্টি...
দয়া করে দিন বাবুরা একটু সহৃদয় দৃষ্টি।
আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন ঈশ্বর
পরিপূর্ণ থাকুক সদা আপনাদের নিজ ঘর
বাচ্চারা আনন্দে থেকো পরিবারের সাথে..
ঈশ্বরের আশীর্বাদ সদা থাকুক তোমাদের মাথে'........
গান গাইতে - গাইতে,কাঁদতে -কাঁদতে দেবা ঝোলা থেকে বিভিন্ন রঙের গোলাপ ফুল আর চকলেট ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিতে লাগল দর্শকদের দিকে। চোখের জল মুছে রন্টি অবাক হয়ে দেখল -- দর্শকরাও চোখ মুছ্ছে -- বয়স্কা মহিলারা কাপড়ের আঁচলে চোখ ঢেকেছে....
এর মধ্যে সার্কাস শেষ হয়ে যাবার ঘন্টা পড়ে গেল..... অন্যদিন সবাই বেরোনোর জন্য তাড়াহুড়ো করে,আজ দেবেশের গান যেন সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছে,কেউ চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারছে না...
নিজের ঘরে ঢুকে দেবেশ হাউহাউ করে কেঁদে ফেলল..ছোট্ট কাঠের টেবিলটায় মাথা গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল ও। হঠাৎ পিঠে হাতের স্পর্শ পেয়ে পেছন ফিরে অবাক হয়ে গেল দেবেশ -- দলের
সবাই আজ এসেছে ওদের ঘরে.... রন্টি ওকে ডেকে বলল --'দেবাদা! আজ তুমি -- মানে তোমার কি হয়েছিল গো?? আজ তো তুমি কামাল করে দিয়েছ গো! যেমন হাততালি তেমন চোখের জল.... শুধু দর্শক নয় আমরাও সব্বাই চোখের জলে ভেসেছি।' পরিমল এগিয়ে এসে বলল -- 'হ্যাঁরে! আজ এইভাবে শেষ করলি??? কেন?? খুব কষ্ট হচ্ছিল?? কি করলি রে? আমাকেও কাঁদিয়ে ছাড়লি? ফুল - চকলেট জোগাড় করলি কখন? এত্তবছর ধরে কাজ করছিস আমার দলে কিন্তু কখনো তো দেখিনি তোর এই প্রতিভা! ফাটিয়ে দিয়েছিস ভাই!' দলের বাকিরাও এইসব মন্তব্যই করছিল!
দেবেশ রন্টিকে দেখিয়ে বলল -- ' ওই আমায় এই চিন্তা টা আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আসলে ওর সাথে পুরোনো কথা আলোচনা করতে করতেই মনে পড়ে গেল আজ আমার বোনটার জন্মদিন... অনেক বছর পর মনে পড়ল...জানো আর তখনই মনে পড়ল কদিন বাদেই তো বড়দিন...বাচ্চাগুলোর মধ্যে যেন নিজের বোনকে দেখতে পেলাম তাই ধনাকে দিয়ে ফুল-চকলেট আনিয়ে নিলাম। কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল গো বোনটার জন্য... তাই এই কথাগুলো বেরিয়ে গেল গো.. আসলে বাড়ির জন্য, পরিবারের জন্যও মন তো কেমন করেই, আজ সেটা বেরিয়ে এলো গো... রাগ করোনা....'
পরিমল ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল.. 'পাগল একটা..কি মনে করব আর রাগই বা করব কেন? আমি তো নিজেই অবাক হয়ে গেছি তোর এই প্রতিভায়।' বলেই বাচ্চুকে ডেকে বললেন রসগোল্লা আনতে আর জানিয়ে দিলেন আগামীকাল দুপুরে মাংস-ভাত।
দেবেশ সমেত সবাই অবাক হয়ে গেল পরিমলের কথায়। হাড়কেপ্পন পরিদা বলছে কি????
সবাইকে অবাক করে পরিমল বলল--- ' আমি দেবার বোনের জন্মদিন উপলক্ষে সব্বাইকে খাওয়াবো।' আনন্দে চোখে জল এসে গেল দেবেশের। ও গিয়ে জড়িয়ে ধরলো পরিমলকে। পরিমল পরম স্নেহে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল -- ' আমরাও তো একটা পরিবার রে। এতবছরেও মানিয়ে নিতে পারলি না? মন খারাপ করিসনা। সুখে- দুখে আছি- থাকব।'
একটা সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইল গোটা সার্কাস দল আর দেবেশ।
No comments:
Post a Comment