1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, January 12, 2022

সন্ধ্যামালতী


সন্ধ্যামালতী

বাঞ্ছারাম

পরিচিতি

 সন্ধ্যা নামার মুখে  ফোটে  সন্ধ্যামালতী ফুল । কেউ কেউ  সন্ধ্যামণি, কেউ বা ডাকে কৃষ্ণকলি বলে ।পেরুতে আদি নিবাস হলেও নিজ সৌন্দর্য গুণে সন্ধ্যামালতী ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। একেক দেশে, একেক অঞ্চলে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয় তাকে। ইংরেজিতে এ ফুলের নাম ‘ফোর ও ক্লক’ বা চারটার ফুল। অনেকে আবার চেনেন ‘বিউটি অব নাইট’ বা রাতের সৌন্দর্য নামে।

বাংলায় সন্ধ্যামালতী নামের সঙ্গে যেমন সন্ধ্যার সম্পর্ক রয়েছে তেমনি ইংরেজি ফোর ও ক্লক নামটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে সময়। দুপুর গড়িয়ে চারটে নাগাদ যখন সন্ধ্যার আগমনী প্রহর শুরু হয়, তখনই ফোটে এই ফুল। অবশ্য শীতের সকালেও এর খোঁজ পাওয়া যায়।

রঙের বাহারে পরিপূর্ণ এক ফুল সন্ধ্যা মালতী। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গাঢ় গোলাপী রঙের। হলুদ রঙেরও হয় এ ফুল। আবার কখনো দেখা যায় ধবধবে সাদা কিংবা টকটকে লাল রঙে। নিজের ইচ্ছে হলে এক ফুলেই দুই রঙে নিজেকে সাজায় সন্ধ্যামালতী। কিছু সন্ধ্যামালতী বাতাসে ছড়িয়ে দেয় হালকা মিষ্টি সুগন্ধ।

সাধারণত ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা হয়ে থাকে এর গাছের। কান্ড নরম হয়। সারাবছরই সন্ধ্যামালতী গাছে ফুল ফোটে, তবে তা বেড়ে যায় বর্ষা আর শরতে। অতিরিক্ত রোদ তার সহ্য হয় না। আবার, একদম স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাও পছন্দ নয়। মূলত, আবছা আলো-ছায়াযুক্ত স্থানই সন্ধ্যামালতীর জন্য উপযুক্ত।

সন্ধ্যামালতীর বীজ 


বিশেষ বৈশিষ্ট্য

প্রচলিত নামঃ সন্ধ্যামালতী

জাতঃ  দেশী/ বিদেশি

সূর্যালোকঃ  আংশিক ছায়া

মাটি নির্বাচনঃ  যে কোন মাটি, উর্বর দো-আঁশ বেশি উপযোগী

বংশবৃদ্ধিঃ  বীজ

উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ যে কোন চারা রোপণের পূর্বেই সঠিক জায়গা ও মাটি নির্বাচন করা উচিত। পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও যেখানে জল  না জমে এমন উঁচু জায়গা নির্বাচন করে জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

জল : অতিরিক্ত জল দেয়া এবং অতি কম দেয়া উভয়ই গাছের জন্য ক্ষতিকর। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বেশি জল দেয়ার ফলে বিভিন্ন রোগে গাছ আক্রান্ত হয়, এমনকি মারা যায়। এ জন্য গাছের গোড়া শুকালেই কেবল জল দেয়া যাবে, গোড়া ভেজা থাকলে কোনো মতেই তাতে জল দেয়া যাবে না। 

পোকা-মাকড় দমনঃ  পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেশি হলে অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে গাছকে পোকার হাত থেকে নিরাপদ রাখা যেতে পারে। 

আগাছাব্যবস্থাপনা ও অঙ্গ ছাঁটাইকরণঃ  সুষ্টুমত বাড়তে দেয়ার জন্য ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দেবা প্রয়োজন। ধারালো সিকেচার বা বিশেষ এক প্রকার ছুরি দিয়ে অঙ্গ ছাঁটাই করতে হয়। ডাল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন থেঁৎলে না যায়। এতে গাছে ছত্রাক রোগের আক্রমণ হতে পারে। গাছের নিচে ক্ষতিকর আগাছার কারনে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সার প্রয়োগঃ গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্খিত ফলাফল এর জন্য গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ গাছের ক্ষেত্রেই ১৫ দিন বা এক মাস অন্তর অন্তর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। রাসায়নিক সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।

জেনেনিন এর গুণ-

১- সন্ধ্যামালতী গাছের পাতার রস খেলে দ্রুত কাশি কমে যায়।

২-এই গাছের পাতার রস আগুনে পোড়া জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৩-কানে শূলের ব্যথা হলে সন্ধ্যামালতী ফুলের রস হালকা গরম করে কানে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

৪-সন্ধ্যামালতীর শিকড় সিদ্ধ করে খেলে পেটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।

৫-সন্ধ্যামালতীর শিকড় সিদ্ধ করে এই ক্বাথ খেলে শোথ রোগ ভালো হয়।

৬-এমনকি শরীরের কোনো অংশে দাঁড় হলে এই পাতার রস লাগালে ভালো হয়ে যায়।



No comments:

Post a Comment