1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, January 12, 2022

ছাগ

 

ছবি  : ইন্টারনেট 

ছাগ

প্রদীপ বিশ্বাস

 

      নীলকান্ত সেন ক'দিন থেকে লক্ষ্য করছেন কোনো কিছু একটা বিষয়ে গভীরভাবে  ভাবতে গেলেই তার পেটের ডান দিকটা কেমন যেন তিরতির কাঁপে। যেন বাঁশবনে বসন্তের হাওয়া বইছে,  ভেরি ডিস্টার্বিং   

নীলুবাবু চিরকালই একটু ভাবুক প্রকৃতির সংবেদনশীল মানুষ প্রকৃতি, সমাজ ,এসব নিয়ে একটু 'ডিপলি' ভাবতে পছন্দ করেন ওটাই তার নেশা প্রতি রাতে খাবার পর নিয়মমত অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে উনি গভীর ভাবনায় লীন হয়ে যান। ভাবসাধন একধরনের। ঠিকমত না ভাবলে পরদিন সকালে তার কোষ্ট পরিষ্কার হয়না , সে এক আরো কষ্টের ব্যাপার কিন্তু কদিন থেকে ভাবতে গেলেই তার  বুকের ডানদিকে একটা  আজব কাঁপুনি শুরু হয়ে যাচ্ছে। এ এক বিষম বিরক্তিকর  অনুভূতি।

 

বরবটির সবজি নীলুবাবুর খুব প্রিয় কুইজিন।  সেদিন রাতে, রুটি আর বরবটি ভাজা দিয়ে ডিনার সেরে নীলুবাবু ভাবতে গেলেন।এ সময় তাকে ডিস্টার্ব করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সুন্দর ভাবে শুরু করেছিলেন গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে ভাবনা। গ্লেসিয়ার গলছে ..সি লেভেল বাড়ছে...

 ঠিক সেই সময়ই  আবার তার বুকের ডান দিকে তিরতির কাঁপতে শুরু হলো। ঠিক যেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের ঝালা। ভাবার দফারফা। বিরক্ত নীলুবাবু ঘিলু ঠান্ডা করতে মাঝরাতে ব্যালকনিতে এসে দাড়ালেন। হালকা শীতল আবহাওয়া ,নিশ্চুপ পরিবেশ একফালি কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলেন , দেখলেন একটা ইউএফও  অনেক উঁচুতে মাঝআকাশ চিরে , জ্বলতে নিভতে থাকা বাতি জ্বালিয়ে মন্থর গতিতে মহাশূন্য মাপতে মাপতে অন্ধকারে হারিয়ে গেল। একটু পরে খেয়াল করলেন, ওটা আসলে একটা জেট প্লেন।

নীলুবাবু কম কথার মানুষ। দারা-পুত্র পরিবারকে সব কথা বলেননা। কিন্তু এবার শেষ পর্যন্ত সমস্যাটা অর্ধাঙ্গিনীকে বলতেই হলো শুনেই অনিতা দেবী বেশ ঘাবড়ে গেলেন ভাবলেন হার্টের অসুখ নীলুবাবুর যে বয়স তাতে একটু আধটু হার্টের ব্যামো স্বাভাবিক। চিন্তিত অনিতা দেবী ফোন করে  তড়িঘড়ি শহরের নামকরা কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ হৃদয়নাথ কাটকে 'র এপয়েন্টমেন্ট  নিয়ে নিলেন। আত্মীয়স্বজনদের খবর দিলেন। অনিতা দেবীর ছোটভাই ব্যাঙ্গালোর থাকে , নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হলেও তার সবরকমের ডাক্তারিবিদ্যায় বেশ দখল আছে। তাকে 'ডাক্তার গুগল' বলে তার পরিচিত মানুষজন বেশ  ইজ্জত  দেয় সে চটজলদি হোয়াটসএপ করে বিশেষজ্ঞের মত দিল  - ইটস আ নিউরো-সাইকো ইস্যু.. হাবাপেন্টিন চালাও এক মাস। সঙ্গে সাইটোপ্লাসম  ব্লকার ও খেতে হবে কেউ বললো - এটা সুগার, সাংঘাতিক রোগ , মামা আরামদেবের গুড়নাশিনী বটিকা পূর্ণিমা রাতে  চাঁদনিসহ সেবন  করুন , আরাম পাবেন।

 

নীলুবাবু শোনেন সবার কথা , করেন নিজের মত।  তিনি কোনো ওষুধ খেলেননা, ডাক্তার ও দেখালেননা। রোজ নিয়মমাফিক অফিস যান , বাড়ি ফিরে বরবটি ভাজা দিয়ে রুটি খান তারপর ঘুমিয়ে যান। ভাবনসুখ বঞ্চিত হয়ে জীবনের প্রতি সব আগ্রহই হারিয়ে ফেললেন। যে মানুষ ভাবেনা, সে আবার কেমন মানুষ।

সেদিন রাতে নীলুবাবু একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন স্পষ্ট দেখলেন , গভীর সবুজ   জঙ্গলের মাঝে পিচঢালা একটা রাস্তা সোজা চলে গেছে আরো গভীর জঙ্গলে তিনি সেই রাস্তায় হাঁটছেন হটাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলো পাঁচটা ছাগল। তাকে ঘিরে দাড়ালো সেগুলো। ভাবখানা-যেতে নাহি দিব। তার দিকে তাকিয়ে ছাগ নাগরিক , সিং নাড়িয়ে , মাথা দুলিয়ে হাসছে তারপর  সামনের দু পা তুলে তারা  তাকে গোলকরে ঘিরে নাচতে লাগলো   জিপসি ডান্স সে সময়ই হটাৎ তার ঘুমটা ভেঙে গেল।

পরদিন বাসিমুখে মোবাইল খুলে দেখেন অচেনা নাম্বার থেকে একটা মেসেজ এসেছে   বিষয় 'ছাগলের দুধের আশ্চর্য গুণ" এরকম তো কতশত মেসেজই আসে প্রতিদিন হোয়াটসএপ সব ধরণের জ্ঞানের প্রশান্ত মহাসাগর একধরনের  উন্মুক্ত  বিশ্ববিদ্যালয় অন্যদিন এসব মেসেজ না দেখেই ডিলিট করে দেন। নীলুবাবু  আজ কিন্তু এই মেসেজটিকে আর  অগ্রাহ্য করতে পারলেননা।  পড়ে বুঝলেন, বিশ্বের যাবতীয় কঠিন থেকে কঠিনতম রোগের অব্যর্থ ওষুধ হল ছাগী দুগ্ধ। বিভিন্ন বস্তুর সংমিশ্রনে এ এক আশ্চর্য রসায়ন। প্রাতঃকালে ডুমুরের ফুল ও একপোয়া ছাগলের দুধ সেবনে ক্যানসার পর্যন্ত সেরে যায় এমনটাই দাবি করেছেন বার্তা প্রেরক। গান্ধীজি ও প্রেসিডেন্ট কিম জঙ্গের ছাগল প্রীতির কথাও উল্লেখ আছে মেসেজে। এমন কি , কি আশ্চর্য নীলুবাবুর কাপুনি ব্যামোর উপসর্গ ও উপশমের কথাও লেখা আছে! দুবেলা দুপোয়া ছাগলের দুধ  দু'ভাগ ডাবের জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দুমাস খেলেই রোগ নির্মূল হবে। মেসেজের শেষে  লেখা আছে -সংগৃহীত।

শেষরাতে  স্বপ্নে দেখা ছাগনৃত্যের কথাটা মনে পড়ল ,  নিজেকেই বললেন - ভেরি ইন্টারেস্টিং !   এই 'কুল' সমাধান  পড়ার পরই নীলুবাবু উত্তেজনায় কুলকুল  করে ঘেমে ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। কিন্তু,  এই ইটপাথরের জঙ্গলে পশ ফ্ল্যাট কলোনিতে বেশ কিছু মানুষের ব্যবহারে ছাগলত্ব  পাওয়া গেলেও ছাগলের দুধ পাওয়া বেশ কঠিন।এটাই চিন্তার বিষয়। তবে নীলুবাবু জিদ্দি মানুষ। যা ভাবেন তা করেন।  ঠিক করলেন  তার রোগের ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনে একটা ছাগল কিনে ফেলবেন। ছাগল তো আর মহিষ নয় , কতই বা আর দাম হবে। হিসেব করে দেখলেন , মাটনের দাম 700 টাকা কেজি হলেও ছ -সাত কেজির ছোটখাটো ছাগল বাচ্চা সমেত পাঁচ-ছ হাজারের বেশি হবেনা। অবশ্য যদি পান তবে একমাসের জন্য সসন্তান ছাগল ভাড়ায় নিতে পারেন , এটাই বেশি সুবিধাজনক

 

যেদিন থেকে কোলস্টেরল আধিক্য ধরা পড়েছে , নীলুবাবু আর মাটন খাননা। তবে রবিবার সাতসকালে  ডাক্তার হর'র দোকানে মাংস কিনতে পৌঁছলেন। বাজারে তার  মদ ও মাংসের দোকান পাশাপাশি। এক খাম্বা মদ কিনলে মাংসে পাঁচ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। হর দত্ত আদপে কোনো ডাক্তার নয় , তবে সে যাবতীয় অসাধ্য রোগে এক খাম্বা মানে পুরো বোতল দারু ও সঙ্গে  অর্ধেক কিলো খুব ঝাল দিয়ে কষানো খাসির মাংস খেতে বলে। তাই ,বাজারে রসিকজন তাকে ডাক্তার বলে। নীলুবাবু আধাকিলো মাংস কিনে পয়সা গুনতে গুনতে দেখলেন খুঁটিতে বাধা তিনটে পাঠা মনের সুখে পাতা চিবোচ্ছে একটু আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলেন - দাদা ,  ছাগল পাওয়া যাবে ? হর ডান হাত দিয়ে নাকের ওপর থেকে মাছি তাড়িয়ে গম্ভীর ভাবে বলল - ' ছাগল-বকরি বেচিনা , স্রেফ পাঠা আর খাসি, একনম্বর মাল। নীলুবাবু বোঝাবার চেষ্টা করলেন -  আরে না ,আমি  একটা গোটা ছাগল চাইছি

হর একটু অবাক হলো

- জিন্দা মাল চাইছেন ? বলি দেবেন ? মানত আছে , রাজরাপ্পা যাচ্ছেন ? তা যেখানে খুশি যাননা, ভালো কিলো তিনেকের কচি কালো পাঠা আছে , চার পড়বে।

হর দত্তর কোটেশন  শুনে নীলু বাবু হাত নাড়িয়ে বলেন -নারে বাবা , কোনো বলি টলি নয় , পাঠা নয় ,বাচ্চা সমেত ছাগল চাই পোষা হবে , দুধ খাবো। গান্ধীজি খেতেন। কিম জোঙ্গও খান।

হর নিলুবাবুকেই মাছি ভাবে হয়ত।কসাই মার্কা চোখ দেখিয়ে  হাত নাড়িয়ে বলে- ছাগলের দুধ  !  পাগল ! ও'সব জিন্দা মাল পুরুলিয়া,চান্ডিল ,চাইবাসা বা পটমদায় দেখুন। ওরে  নিধু , রাং আর সীনাটা নামা। নিধু  খুঁটিতে ঝোলানো খাসির বাকি ধর টুকু ঘ্যাঁচ করে কেটে এনে হর'র সামনে কাঠের গুঁড়ি তে এনে ফেলে।

নিরাশ নীলুবাবু  দুপুরে মাংস ভাত খেয়ে একটা স্বর্গীয় নিদ্রাসুখ উপভোগ করে বিকেলের চায়ে চুমুক দিতে দিতে ছাগ পোষণের ইচ্ছে টুকু সংসার সংসদে পেশ করলেন প্রস্তাব পাস হবার আগেই প্রবল প্রতিরোধে ঝড়ের মুখে কুটোর মত উড়ে গেল। চিন্তিত গিন্নি ব্যাঙ্গালোরে ভাইকে বার্তা দিলেন - তোর জামাইবাবুর মাথাটা পুরোপুরি গেছে রে , ছাগল পুষবে জেদ করছে , এখন আমার কি হবে রে।

গুগল ডাক্তার   তুরন্ত  জবাব দিলে - পিওর সাইকো ডিসঅর্ডার , হাবাপেন্টিনের ডোজ ডবল করে দাও

ছাগল নিয়ে ভেবে ভেবে নীলুবাবু অর্ধেক পাগল হয়ে গেলেন এসময় তার ক্ষমতা থাকলে তিনি হয়তো ছাগলকেই রাষ্ট্রীয় পশু ঘোষনা করতেন !

 

মিথিলেশ যাদব প্রতি সকালে নীলকান্ত বাবুর বাড়িতে 'খাঁটি গরুর' দুধ দিয়ে যায়। তার কাছে একটু এনকোয়ারি করতেই সে একপায়ে রাজি। মহা উৎসাহে সে জানায় , বকরির দুধ কি বলছেন , পয়সা ফেকলে সে  মানুষকা দুধ  ভি এনে দেবে।   মিথিলিশের আত্মবিশ্বাস দেখে চমৎকৃত নীলুবাবু জানালেন - নেহি ,নেহি আদমি কা নেহি চাহিয়ে ,কাল সে আধা কিলো বকরির দুধ ই দাও। সওদা পাকা হবার পর একটা শর্ত রাখলেন , উনি যেকোনো দিন গিয়ে সামনে চেক করবেন যে দুধ সত্যিই ছাগলের কিনা। মিথিলেশ জানায় - স্যার , কভি ভি আইয়ে গোয়ালা বস্তি মেরে খাটাল মে , সামনে দুইয়ে দেব আপনাকে।

চারদিন ছাগামৃত ডাবের জল ও মধুর সাথে মিশিয়ে খাবার পরই নীলু বাবু  এই হোয়াটসএপিও ওষুধের উপকারটা হাতেনাতে বুঝতে পারছিলেন। তার মগজ আবার অল্প অল্প করে ভাবনা সুখের লোড নিতে পারছিল পেটের ডান দিকের সেই কাঁপুনিটা আর বিলকুল  টের পাচ্ছিলেননা।

সন্তুষ্ট নীলুবাবু এত খুশি হলেন যে কাউকে না বলেই এক বিকেল বেলা মিথিলিশের খাটাল যাবেন স্থির করলেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ , একটু খোঁজাখুঁজি করে গোয়ালা বস্তিতে মিথিলিশের খাটালে পৌঁছে গেলেন।  তখন ঘুঁটের ধোয়া , খর-বিচালি, কাঁচা গোবরের গন্ধ আর গরু মহিষের হাম্বা মিলেমিশে ভারী সন্ধ্যা ঘন হয়ে নেমে আসছে। মিথিলেশ খাটালে ছিলনা , দুধ দিতে বেরিয়েছে। এক বুড়ো ,মহিষগুলোকে জল দিচ্ছিল। তাকেই নীলুবাবু জিজ্ঞেস করলেন - বকরি কাহা ? লোকটি অদূরে একটি গাছ দেখিয়ে দিলো। আধো অন্ধকারে দুটি ছাগল পাতা চিবোচ্ছে। দেখে তার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো , আহা, তাহলে তিনি ছাগলের দুধই খাচ্ছেন। গান্ধীজিও খেতেন। যাক ,তাহলে লোকটি ঠকাচ্ছে না।

তিনি ধীরপায়ে গোবর কাদা বাঁচিয়ে ছাগদ্বয়ের কাছে পৌঁছলেন তারপর , যা দেখলেন তাতে নিলুবাবুর  ঘিলু জ্বলে উঠলো। একি দেখছেন তিনি ! ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দেখে ,চুপচাপ বাড়ি ফিরে গেলেন। সে রাতে বাঘের স্বপ্ন দেখলেন নীলুবাবু ! বাঘ লুচি মাংস খাচ্ছে।

পরদিন সকাল সাতটা বাজতেই মিথিলেশ দুধ নিয়ে হাজির। দুউ...ধ , লিজিয়ে শুধ বকরির দুধ। নীলুবাবু ভোরবেলাতেই দাঁত মেজে 'রেডি' হয়ে অপেক্ষা করেছিলেন মিথিলিশের আওয়াজ শুনেই বেরিয়ে এলেন। বাংলা হিন্দি মিলিয়ে যা বললেন , তা অনেকটা এইরকম -

- মিথিলেশ ,ওই দিন তুম বলা থা , পয়সা দিলে মানুষের দুধ পাওয়া যাবে ?

মিথিলেশ কিছু বুঝতে না পেরে আমতা আমতা করে  বলে - হা সাব , বোলে তো ছিলাম।

- আমার চাই পয়সা দেগা হাম।আজই মানুষের দুধ চাই।

-জোগাড় হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক পয়সা লাগবে সাব।

- হম .. ঠিক হ্যায়,আজই চাই অভি চাই।

- জরুর মিলবে , কিন্তু দু একদিন সময় লাগবে

-  দেরী কিসের ? তুমি তোমার  দুধ দাও অভি দেও।

- আরে বাঃ ,আমি আবার দুধ কি করে দেব। আমি পুরুষ মানুষ। মরদ কি দুধ দেয় ? আমাকে তেমন জেনানা খুঁজতে হবে , যে নিজের দুধ বেচবে।

- না, না তোমার পাঠা যদি দুধ দিতে পারে , তুমি দুধ দিতে  দিলে দোষ কোথায় ?  তুমিও বিলকুল দুধ দিতে পারো..

মিথিলেশ চালাক মানুষ। তার বুঝতে দেরি হয়না নীলুবাবু কি বলতে চাইছেন।

'সার পাগলা গয়ে... ' বলে মিথিলেশ  তার পাঠার দুধের ক্যান না নিয়েই ছুট লাগায়।

 

কি আশ্চর্য ! এক সপ্তাহ 'পাঠার দুধ' খেয়েই বোধহয় রোগের উপশম হলো , নীলুবাবু আবার চমৎকার ভাবনা প্র্যাকটিস করতে পারছেন সূর্যের তাপ নাকি ক্রমশঃ কমে আসছে। মাত্র কয়েক লক্ষ বছরই আয়ু বাকি ! খুবই  ভাবনার বিষয় বইকি ।।

pkbtpc@gmail.com
জামশেদপুর 

No comments:

Post a Comment