ছবি : ইন্টারনেট |
লকডাউনের গল্প
মৌসুমী দেব ঘোষ
আর তো সহ্য হয় না,এবার কিছু একটা করতেই হবে জানেন।কিসের কথা বলছি? আমার পতি পরম গুরুর কথা। ওনার মর্জি মাফিক সত্যি আর চলা যাচ্ছে না।এতদিন বা কিকরে যে চললাম ,ভেবে নিজেই অবাক হচ্ছি ! ঐ যে কালকের কাগজে খবরটা দিয়েছিল না, আপনারা নিশ্চয়ই সবাই পড়েছেন,ওই যে কোন এক মহিলা নাকি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা করেছেন।কারন তাঁর স্বামী নাকি তাঁর সাথে ঝগড়াই করেন না ! ওই দেখেই তো মনে জোর পেলাম জানেন।না না,আমার পতিদেবতাটি ভালই ঝগড়া করতে পারেন,পান থেকে চুন খসলেই বেশ পাড়া জাগিয়েই ঝগড়া করেন। কিন্তু তার সাথে আরও যেটা করেন, সেটা জাস্ট নেওয়া যাচ্ছে না । কি সেটা ? ওনার অত্যধিক কেয়ারিং অ্যাটিটিউট !
এক এক সময়ে তো এমন করেন, যেন আমি ওনার বউ নই,ছোট্ট শিশু-কিচ্ছু বুঝি না। উনিই সব বোঝেন। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে যখন উনি আমার বর হননি, বয়ফ্রেন্ড ছিলেন,তখন কিন্তু বেশ লাগত জানেন ।এই যখন –তখন খোঁজ খবর নেওয়া,ঠিকঠাক বাড়ি পৌঁছেছি কিনা জানতে চাওয়া। বিশ্বাস করুন এখন কিন্তু মোটেও তা লাগে না। বরং আমি দিনদিন হাঁপিয়ে উঠছি ,ওইটিই এখন গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে যেন । কেন বলছি-শুনবেন ? দু-একটা নমুনা দিই তাহলেই বুঝতে পারবেন।
গতবছর আমার জন্মদিনে উনি আমাকে একটা ফোল্ডিং ছাতা দিয়েছিলেন ভালবেসে(অবশ্য এর থেকে দামী উপহার আজ পর্যন্ত উনি দেন নি,যা কিপটে !) ।তা যাই হোক সেটা গুছিয়েই রাখা ছিল আলমারীতে, এমনিতে তো কোথাও যাই না। সেদিন বাপের বাড়ি যাবো বলে ছাতাটা বের করলাম।খুলতে যেতেই কেমন একটা খটকা লাগল মনে, গোলমালটা ধরতে পারলাম না কিছুতেই। মাথায় দিয়ে বাপের বাড়ি যেতেই আমার ভাইঝি তো দেখে হেসেই খুন, বলল-‘ ও পিসি, পিসুন তোমাকে এটা কি দিয়েছে! এটা তো ছেলেদের ছাতা !’ তখন ভাল করে দেখে বুঝলাম,সত্যি তো এটা ছেলেদের ছাতাই বটে! রাগে গা রি রি করতে থাকে।বাড়ি ফিরেই চেপে ধরলাম।বাবু তো প্রথমটা কিছুতেই স্বীকার করে না।অম্লান বদনে বললেন-‘ ছাতার আবার লেডিস-জেন্টস হয় নাকি,ছাতা ছাতাই হয় –’।অনেক চেঁচামেচির পর মিনমিনে গলায় বলে –‘না মানে, লেডিস ছাতাগুলো তো বড্ড ছোট হয়,তাই উনি জেন্টস ছাতাতেই দোকানদারকে বলে লেডিস বাঁট লাগিয়ে এনেছেন ।বুঝুন কাণ্ডটা !
আরও শুনবেন? এবছর তো ওই করোনা না মরোনা কি এক রোগ এসেছে । কতদিন সব লকডাউন, মাসের পর মাস ঘরেই আটকে আছি ।একদিন কি করে যেন ঘরে পরার স্যান্ডেলটা ছিঁড়ে গেল। কদিন ধরেই বলছি,চলো নতুন একটা কিনে আনি। বাবু নিয়ে গেলে তো ---আমার নাকি এখন বেরানো ঠিক হবে না। কারণ ? উনি নাকি কোথায় শুনেছেন যাদের ব্লাড গ্রুপ-A,তাদের নাকি করোনা হবার চান্স বেশি।আমার যেহেতু ব্লাড গ্রুপ-A ,অতএব আমার বেরানো চলবে না। বুঝুন ঠ্যালা ! বাবু নাকি অফিস ফেরত নিজেই কিনে আনবেন। অগত্যা তাই সই।
কিন্তু শেষপর্যন্ত সইতে পারলুম কই ? সে চটি তো এলো যথাসময়েই। পায়ে দিয়েই আমার মাথা গরম হয়ে গেল।কেন -- চটিটা আমার পায়ের থেকে বে--শ বড়, বাবু নিজের পায়ের আন্দাজে কিনেছেন যে ! রাগারাগি করাই সার হল ,লকডাউনের ঠ্যালায় সে আর পালটানো গেল না,পরতেই হল। নিজেকে স্বান্ত্বনা দিলাম এই বলে,কি আর হবে ,ঘরেই তো পরবো,বাইরে তো আর যাচ্ছি না।কিন্তু একদিন কি হল জানেন,কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার গাড়ির বাঁশি শুনে ওই চটি পরেই চলে গেছি।পাশের ফ্ল্যাটের দত্তবৌদি দেখতে পেয়েই বললেন-‘ কি গো সুধা ,দাদার চটি পরেছো নাকি! পড়ে যাবে যে।’ ঐযে কথায় বলে না, যেখানে বাঘের ভয় ,সেখানেই সন্ধ্যা হয়,আমার অবস্থা হয়েছে তাই। বলুন আপনারা ,এরপরও রাগ হয় না!
শুধু কি এই ! সারাজীবন ধরে শুনে এলাম জানেন- এটা করা যাবে না, ওটা খাওয়া ঠিক হবে না,ওখানে যাওয়া চলবে না,হাজারো বিধিনিষেধ । আমি একটু ঠাণ্ডা –মানে কোল্ড-ড্রিঙ্কস খেতে পছন্দ করি,খেতে দিলে তো ! কিছু বললেই বলেন-‘ ওটা বিষ, ডাবের জল খাও’। চকোলেট –বিয়ের আগে কত রকমের চকোলেট দিতো জানেন।এখন তাও বারণ ,আমার নাকি ওজন বেড়ে যাচ্ছে ।আর আইসক্রিম ? সেতো নিসিদ্ধ বস্তুসম ।এভাবে বাঁচা যায় –আপনারাই বলুন ?
আরও কত কি যে উনি ঘটান রাত্রিদিন ,বলতে বসলে রাতভোর হয়ে যাবে।জীবনটা আমার কয়লা করে দিলো একেবারে ।এসব কথা কাকে বলবো আর, আপনাদেরই বলছি ,আপনারাই ঠিক করুন আমি ভুল বলছি কিনা। মনের দুঃখে কতবার ভেবেছি তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেবো । একবার তো চেষ্টাও করেছিলাম জানেন।কিন্তু কি বলবো, দোতলায় উঠেই এমন বুক ধড়ফড় করতে লাগলো ,যে তিনতলায় ওঠার সিদ্ধান্ত বদলে নিচে নেমে আসতে হলো,আমার আর মরা হলো না ।
এখন তো আবার অন্য এক জ্বালা।আগে উনি খেয়েদেয়ে অফিস চলে গেলে অন্তত কিছুটা সময় আমি নিজের মত কাটাতে পারতাম । ভগবান সেই সুখটুকুও আমার রাখলেন না! ওই কি এক হতচ্ছাড়া রোগ এল,অফিস কাছারি সব বন্ধ হয়ে গেল।বাবু তো এখন চব্বিশ ঘণ্টাই ঘরে—বুঝুন আমার অবস্থাটা। সারাদিন ওনার ইন্সট্রাকশন শুনতে শুনতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত।
এখন আমার বাড়ির সর্বত্র কি দেখতে পাবেন জানেন-শুধু স্যানিটাইজারের বোতল। ফ্রিজের উপর, আলমারীর উপর,শোয়ার ঘরে,ড্রেসিং টেবিলে,সদর দরজার সামনে, সব জায়গায়। উনি কড়া নজর রাখছেন,হাত ধুতে ধুতে হাতে হাজা হবার যোগাড় । একদিন রাত্রে শোয়ার সময় অন্ধকারে নাইট ক্রিম ভেবে ওই স্যানিটাইজার মেখে কি কেলেঙ্কারি কাণ্ডটাই না হলো !
একটু শান্তিতে বসে যে টিভিতে বাংলা সিরিয়াল দেখবো তারও জো নেই আমার ! রিমোট তো সবসময়ে ওনার হাতে,সকাল থেকে টিভির সামনে বসে পড়েন ,আর রিমোট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব চ্যানেলে হয় আলোচনা শুনছেন, নয় ইউ-টিউব খুলে দেখছেন, কিম্বা কাগজ পড়ছেন- কে কি বলেছেন এই ব্যাপারে। আর সমস্ত কিছু প্রয়োগ করছেন আমার উপরে- আমি তো ওনার একমাত্র গিনিপিগ কিনা! ছেলেমেয়েগুলো তো বাবার ভয়ে আনলক হতেই কেটে পড়েছে মামাবাড়িতে ।আমি কোথায় যাই বলুন তো ? আপনাদের কারো বাড়িতে একটু ঠাই দেবেন এই হতভাগীকে ?
চিরকাল আমি একটু ঘুমকাতুরে,ভোরের ঘুমটা আমার খুব প্রিয়।কিন্তু সেটুকু স্বাধীনতাও নেই আমার।বাবু নিয়ম করেছেন,আমাকেও ভোরবেলা উঠে ওনার সঙ্গে কিসব প্রানায়াম-অনুলোম–বিলোম করতেই হবে।ভাবুন একবার ,বাপকালেও করিনি যা ,এই বয়েসে হয় এসব ?শুনলে তো ? ওনার কথা মত সেদিন ওই নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে এক মিনিট দম বন্ধ রেখে মুখ দিয়ে ছাড়তে গেছি।ব্যাস,বিষম খেয়ে কেসে-টেসে মরেই যাচ্ছিলাম প্রায় জানেন।এটা শারীরিক অত্যাচার-ঘরেলু হিংসা নয়,আপনারাই বলুন না?
সুগারটা আমার বরাবরই খুব হাই,মিষ্টি খাওয়া বারণ ।এতদিন সকালে উঠে একটু বেশী দুধ দিয়ে চা খেতাম । ওনার সেটাও সহ্য হলনা । বাবুর হুকুম হয়েছে-সকালে খালি পেটে প্রথমে লেবু জল,তার সাথে কয়েকটা তুলসী পাতা চিবুতে হবে।আধ ঘণ্টা পরে দারুচিনি-লবঙ্গ-তেজপাতা আরো কিসব দেওয়া কারা না মারা র’চা খেতে হবে।চা তো নয়,যেন পাঁচন! লাঞ্চেও লেবু মাস্ট ,ডিনারেও লেবু দেওয়া স্যালাড খেতেই হবে। সন্ধ্যার দিকে আগে একটু আমতেল দিয়ে মুড়ি মেখে,গরম গরম পকোড়া ,বেগুনি,আলুর চপ খেতাম আয়েস করে। শুনবেন এখন কি খাই? নির্ভেজাল ফলাহার-মুসুম্বি ,শশার টুকরো, পেয়ারা, বেদানা এইসব ছাইপাঁশ!উনি নাকি কোথায় শুনেছেন, এগুলোই নাকি করোনার মহৌষধ।ভাবুন,নিজের মত দুটি খাবার সুখও আমার নেই।এটা মানুষের জীবন ?এরপরও আপনারা বলবেন আমি সব বাড়িয়ে বলছি ?
এতেও নাকি ওনার মনে হয়েছে আমার যথেষ্ট কেয়ার নেওয়া হচ্ছে না। একদিন দেখি বাবু বাজার ফেরত হাসি হাসি মুখে কি একটা বাক্স বগলদাবা করে ঘরে ঢুকছেন ।অচিরেই জানা গেল জিনিষটি কি –প্রেসার মাপার যন্ত্র ।আমাকেও সব কাজ কর্ম ফেলে বিছানায় শুয়ে পড়তে হল- উনি প্রেসার মাপবেন যে। এর কদিন পরে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে এসে গেল সুগার মাপার যন্ত্রও ,থেকে থেকে উনি আমার সুগার মাপতে শুরু করলেন ।কত আর মুখ বন্ধ করে সহ্য করা যায় ? একদিন রেগে বলেই ফেললাম-‘ এসব কি শুরু করেছ ? তুমি কি ডাক্তার নাকি ?’
-‘ না
,আমি তোমার স্বামী , সারাজীবনের ভার নিয়েছি,এখন ডাক্তার কোথায় পাবে? কোন ডাক্তারবাবু চেম্বারে বসছেন ? হঠাৎ যদি প্রেশারটা ফল করে, বা সুগার লেভেলটা বেড়ে যায় ,কি হবে ভেবেছ ! ’
এরপর কোন কথা চলে ?চলে না,তাই মুখ বুজে সব সহ্য করতে হয়। আর আমার দুঃখটা কি জানেন ,এসব কথা নিজেরই দাদা-দিদি–ভাই-বোন-ছেলেমেয়ে যাকেই বলতে গেছি সবাই ওনার পক্ষই নেয়। বলে- আমি নাকি অনেক ভাগ্য করে এমন স্বামী পেয়েছি। বুঝুন অবস্থাটা ! আমার দুঃখটা কেউই বোঝে না! আজকাল আর তাই কাউকে কিচ্ছু বলতে যাই না,নিজের মনেই গুমরে মরি।
তবু এতদিন যা হচ্ছিল, হচ্ছিল।কিন্তু আজ যা হল,তা আমার সহ্যের শেষ সীমা অতিক্রম করলো । আজ সকালে বাজার যাবার সময়ে বলেছিলাম একটু খাসি মাংস আনতে। সঙ্গে সঙ্গে নাকচ! আমার নাকি খাসি মাংস খাওয়া ঠিক নয়।উনি তাই চিকেন এনেছেন।মনের দুঃখ চেপে রেখে রেগেমেগে সেটাই রাঁধছিলাম ।শুনতে পেলাম কলিং বেলটা বাজছে, উঁকি মেরে দেখি একটা ডেলিভারি বয় এসে কি একটা প্যাকেট দিয়ে গেল যেন ।আবার কি আনালো কে জানে! দেখি বাবু মনোযোগ দিয়ে প্যাকেটটার উপর স্যানিটাইজার স্প্রে করছেন,এখন কিছুতেই ওটা খুলবে না জানি। ওটার স্থান হবে বারান্দার রেলিঙে –রোদে । ততক্ষণ আমাকেও অপেক্ষা করে হবে জানবার জন্য আজ কি এলো ।অতএব রান্নাতেই মন দিই।
একাজে সেকাজে ব্যাপারটা মাথা থেকে বেরিয়েই গেছল।ঘণ্টা খানেক পরে আমার ডাক পড়ল ।ঘরে এসে দেখি খাটের উপর বাবু সেই প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বসে আছেন, আমাকে দেখেই হাসি হাসি মুখে বললেন-‘ এদিকে এসো তো ,বসো না,হাতটা দেখি।’
আমি দরজায় দাঁড়িয়েই বলি,-‘ এখন বসবার সময় নেই, কি বলবে তাড়াতাড়ি বলে ফেল, আমার ঢের কাজ পড়ে আছে।’ ওমা, কি আশ্চর্য ,বাবু আমার হাত ধরে টেনে বসালেন-‘ আহা! একটু বসলেই বা। কাজ তো থাকবেই,দেখি হাতটা বাড়াও ।’ ততক্ষণে আড়চোখে বাবুর কোলের মধ্যে রাখা ছোট্ট প্যাকেটটা আমার দেখা হয়ে গেছে।মনে মনে উৎফুল্ল হই। আচ্ছা, এতো আদিখ্যেতার কারন তাহলে এই ! গত সপ্তাহেই আমার জন্মদিনটা পেরিয়ে গেল জানেন,একবারও উইশ পর্যন্ত করেনি ! আমি তো ভেবেছিলাম ওনার খেয়ালই নেই।অভিমানে আমিও আর মনে করাই নি। আমাকে এখন সারপ্রাইজ দেওয়া হচ্ছে তাহলে ! নিশ্চয়ই আংটি অর্ডার করেছে,এত ছোট প্যাকেটে নাহলে কিই বা থাকতে পারে? আজকাল তো শুনি এসব অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে ।রাগটা গলে জল হয়ে যায় আমার।লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে হাতটা বাড়িয়ে দিই আমি ।
ওমা ,খপাৎ করে ক্লিপের মত কি একটা জিনিষ আঙুলে লাগিয়ে দিল! চমকে উঠি আমি,বলি-‘কি এটা ?’
-‘ এটার নাম পালস অক্সিমিটার ,বাড়িতে একটা থাকা দরকার,হঠাৎ করে কিছু হয়ে গেলে?’
-‘ এতে কি হয়?’ আমার বিস্ময় আর কাটতেই চায় না যেন।
-‘ এতে তোমার পালস রেট জানা যাবে, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বোঝা যাবে।’ বাবুর উত্তর, রাগে মাথায় আগুন ধরে যায় আমার।এক ঝটকায় হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলি-‘ এতটাই যখন করলে ,তখন একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারও অর্ডার দিয়ে দাও, আর একটা ভেন্টিলেশন মেশিন- ওটাই বা বাদ থাকে কেন!’
-‘ দরকার হলে তাও দেবো বইকি।‘ বাবুও গলা তোলেন ।
-‘শেষে একটা মড়ার খাটও অর্ডার দিয়ে রাখো ,বলা তো যায় না ---!’ রাগে দুমদুম করে পা ফেলে চলে এসেছি রান্নাঘরে।
চোখ ফেটে জল আসে আমার জানেন। হে ভগবান,এই লিখেছিলে তুমি আমার কপালে? কোথায় সোনার আংটি আর কোথায় পালস অক্সিমিটার !কিসে আর কিসে! নাহ, আর কিছুতেই আমি চুপ থাকবো না। আজ এর একটা হেস্তনেস্ত না করে আমার শান্তি নেই। আজ আমি এর শেষ দেখে তবেই ছাড়বো । ধুত্তেরি তোর সংসারের নিকুচি করেছে ,এটা মানুষের জীবন,বলুন না?
দাদা- দিদিরা আপনাদের কারো কাছে ভালো উকিলের নাম্বার আছে ,দেবেন প্লিজ?
No comments:
Post a Comment