1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, May 2, 2021

ক্রোড়পত্র সত্যজিৎ রায়

 বিশ্ববরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের 

জন্মশতবার্ষিকী পূর্ত্তি উপলক্ষে 

‘বসই’ প্রকাশনীর বিশেষ ক্রোড়পত্র 


সম্পাদকীয়

 প্রথম দেখা -
          তখন  আর কত বয়স ! বড়জোর দশ । ক্লাস  ফাইভে পড়ি । তখন , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য দপ্তর , ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশানের  সহযোগিতায় , মাঝে মাঝে পাড়ার ক্লাবগুলোর মাঠে ভালো ভালো সিনেমা দেখাত। সেভাবেই পাড়ার ক্লাবের মাঠে , খোলা আকাশের নীচে , চটের আসনে বসে তোমার সাথে প্রথম দেখা । পথের পাঁচালি । গোলপোস্টের বারে সাদা  চাদর টান করে বাধা, তাতে সাদা কালো ছবিতে তুমি গল্প বলেছিলে । অপু-দুর্গার গল্প । হরিহর - সর্বজয়ার গল্প । আমার নিজের গল্প ।তখন তো সিনেমার ব্যাকরণ বুঝতাম না , কিন্তু সিনেমা শেষে , গলার কাছে একটা দলা পাকানো কান্না নিয়ে ফিরে এসেছিলাম মনে আছে । তারপর কতবার যে এই ভাবে পথের পাঁচালি দেখেছি কে জানে। এখনো দেখি টিভিতে , ইউটিউবে , ওয়েব প্লাটফর্মে । প্রথম দেখা নতুন হয়ে বারবার ফিরে ফিরে আসে । 

তারপর - 
          তার আর পর নেই । একটু বড় হয়েছি । সিনেমা একটু একটু বুঝতে শিখেছি । তুমি একের পর এক ক্লাসিক মেলে ধরলে আমাদের চোখের সামনে । আমার সিনেমা বোধ তৈরি হওয়ার আগেও তুমি যে সিনেমা গুলো বানিয়েছিলে , সেগুলোও তখন সুযোগ করে দেখে নিচ্ছি । আর অবসর সময়ে ভাবছি , কি অদ্ভুত দক্ষতায় তুমি গল্প বল সেলুলয়েডে। যা বাচ্চা - বুড়ো , বোদ্ধা - অবোদ্ধা সবারই মন ছুঁয়ে যায় । 

বই শুধু বই - 
         চলচিত্র পরিচালক হিসাবে যখন খ্যাতির মধ্যগগনে , তুমি 'সন্দেশ' কে আবার বাঁচিয়ে তুললে । সৃষ্টি করলে ফেলুদা , শঙ্কুর মতো চরিত্র । এক ডজন গল্প ‘ দিয়ে শুরু করে , পর পর উপহার দিলে বারোটা করে গল্পের সম্ভার তারসাথে অসম্ভব সুন্দর অলঙ্করণ।   বাংলা পেল তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিশু ও  কিশোর সাহিত্যিক । 

শেষ তবু শেষ নয় - 
          ১৯৯২ । হঠাৎ  রেডিওর খবরে ভেসে এলো তোমার মৃত্যু সংবাদ । নন্দন চত্বরে শায়িত ছিল তোমার মরদেহ । বাংলার নবজাগরণের শেষ প্রতিভূ । মনে আছে লাইনে দাঁড়িয়ে তোমাকে শেষ প্রণাম জানিয়ে ছিলাম । ভুল বললাম । তোমার জন্ম শতবর্ষে , বইসই এর পক্ষ থেকে জানাই শতকোটি প্রণাম ।


সত্যজিৎ রায় 
(২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) 
সূচিপত্র

মহারাজা তোমারে সেলাম

No comments:

Post a Comment