(শারদীয় সংখ্যা)
সম্পাদকীয়
বর্ষার মেঘাছন্ন আকাশ পরিষ্কার হয়ে শরতের উজ্জ্বল নীল আকাশে এখন সাদা মেঘের ভেলা । গত দুবছর করোনার জন্য, নিয়ন্ত্রিত আনন্দের পরে , বাঙালি এবার বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছে ।
বাংলার ঘরে অর্থ নেই , চাকরী নেই , শিল্প নেই , শিক্ষায় সততা নেই , স্বাস্থ্যে পরিষেবা নেই । আছে শুধু দুর্নীতি , অনুদান , রাজনৈতিক হিংসা । তবুও বাঙালি তার চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী , সমস্ত অভাব , দুঃখকষ্ট ভুলে মাতবে তার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসবে । যা সম্প্রতি ইউনেসকোর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে ।
আমরাও বইসই এর পক্ষ থেকে , বাঙালির আনন্দে ভাগীদার হওয়ার জন্য প্রকাশ করলাম আমাদের শারদ সংখ্যা । নেই নেই করে বইসই ও তার চতুর্থ বছরে পদার্পণ করলো । এই পথ চলায় অন্যতম কাণ্ডারি , আমাদের অগণিত , সমৃদ্ধ পাঠক । সবাইকে ধন্যবাদ ।
এবারের সংখ্যাও বিভিন্ন রকমের লেখায় সাজানো হয়েছে । পাঠকদের ভালো লাগলে , আমরাও খুশি হবো ।
পূজো সবার ভালো কাটুক । সুস্থ থাকুন । আনন্দে থাকুন ।
ধন্যবাদান্তে
সম্পাদক
'বইসই'
বোধিসত্ত্ব কথা
পূর্বজন্মে বুদ্ধ একবার পাখিদের রাজা হয়ে জন্মেছিলেন। সে সময় তার দলের পাখিরা দূর দূরান্তে যেত খাবার খেতে। কিন্তু কাছেই একটা রাস্তা ছিল যার উপর দিয়ে প্রায়ই শস্যবোঝাই গাড়ি যেত। যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে শস্যদানা পড়তো রাস্তায় কিন্তু পাখিরা এসব খেত না ভয়ে। তাদের ভয় দেখাত দলেরই একটি পাখি, সবাই তাকে ডাকত - অনুশাসিকা। এই নামে ডাকার কারণ, তার অনুশাসনের কারনেই কেউ রাস্তায় যেত না। সে সবাইকে বলতো - 'রাস্তায় যেও না, যে কোন সময় গাড়ির চাকার নিচে পড়তে পার।' কিন্তু সে নিজে সবার আড়ালে রাস্তায় গিয়েই খাবার খেত। সবাই এলে যদি তার খাবার কমে যায় তাই সে সবাইকে এভাবে ভয় দেখাত।
একদিন হলো কি, তার খাবার সময় একটা গাড়ি এসে হাজির। সে এতোই খুঁটে খুঁটে রাস্তা থেকে খাবার খাচ্ছে যে গাড়িটার দ্রুত গতির কথাটা ভাবলই না। শেষমেশ গাড়িটা তার উপর দিয়েই গেল। মারাগেল অনুশাসিকা।
শিক্ষা : নিজে সাবধান না হযে অন্যকে সাবধান করা কোন কাজের কথা নয়।
সূচিপত্র
লেখা পড়তে ক্লিক করুন
উপন্যাস
বড়গল্প
গল্প
ছোটগল্প
অণুগল্প
প্রবন্ধ
নাটক
কিশলয়
No comments:
Post a Comment