![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
বিভ্রান্তির ডাকনাম
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
পাশের বাড়ির বৌদির অভিযোগ,ভাই,এমন লিখতে পারলি? নিজের ভাই নেই বলে তোকে ভাইফোঁটা দি,ভালো রান্না হলে খাওয়াই আর তুই এমন কবিতা লিখলি ?
লজ্জায় পড়ি,রসিকতার রসে কালমেঘ মিশে গেলে তা বিষ হয়ে যায়।
দাদা বলেছিল,তোর বৌদি ঝগড়া করলে সুগার থাইরয়েড ব্লকেজ-- এসব নামে ডাকি আর খুব রেগে গেলে বলি,হাইপারগ্লাইসিমিয়া,হাইপারলিপিডিমিয়া।ব্যস্! সে একদম চুপ।
রোগের বা উপসর্গের নাম ধরে কারও নাম দেওয়া উচিত নয়।তবু ডাকনাম কবিতায় আমি সেটাই লিখেছিলাম প্রভাতবাবু ছেপেওছিলেন।
দু-চারজন পাঠক-কবি ফোনে
বেশ পিঠ চুলকেও দেন.....
বেশ গদগদ কবিভাবে ছিলুম,হঠাৎ আঘাতে থমকে যাই।মুখে মিটিমিটি হাসি দেখেই বুঝি দাদাই মির জাফর - দি ট্রেইটর।
বলি,কিছু মনে কোরো না বৌদি,দাদা যেমন বলেছে আমি তেমনই লিখেছি,আমি নির্দোষ আর দাদা যে নামেই ডাকুক তুমি ভুলো না,ওটা বিভ্রান্তির ডাকনাম,আসল নাম সবাই জানে।এরপর নীচুগলায় বলি তুমিও দাদাকে নতুন নামে ডাকতে পারো।
-- নতুন নাম? কী সেটা?
-- ছুপা রুস্তম।এ-ই নামে ডাকলে দাদা আর তোমাকে ওইসব আজেবাজে নাম ধরে ডাকবে না,আমি নিশ্চিত জানি।
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment