1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, September 25, 2022

ভালো- বাসা

ছবি : ইন্টারনেট

 ভালো- বাসা 

  সুমিতা চৌধুরী 


  💌একটা ঘর এলোমেলো 

      একটা ঘর গোছানো 

   প্রেমকে গেম ভেবে  ওড়াতে চেয়ে 

    আজ আমি ঝরা পাতা, অবসন্ন 💌


সত্যিই এলোমেলো ধোঁয়াশা ঘরে নিকোটিনের সঙ্গে সহবাসে অভ্যস্ত অণীশ বারবার ফোনটা চেক করে চলেছে ইনবক্স কোনো ম্যাসাজ আসার অধীর অপেক্ষায়। একটা বেলা এভাবে পাগলের মতো কাটার পর সন্ধ্যায় ম্যাসাজ ঢোকার টুংটাং আওয়াজে বুকভরা পিপাসা নিয়ে ঠিক যেন চাতকের মতোই সঙ্গে সঙ্গে ইনবক্সে অন হলো অণীশ। হ্যাঁ তার বহু প্রত্যাখিত প্রিয়ারই ম্যাসাজ। তবে খুব রূঢ়। কিন্তু  এ যেন অণীশের জানাই ছিল। তাই ঐ ম্যাসাজই তার মনে ঐ অবস্থায় আশা জাগালো।

প্রিয়া:- এসব কি? আমায় tag করেছো কেন? নিজে যা খুশি লেখ, কর,আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমায় tag করার অধিকার তোমায় কে দিয়েছে?  জানো না, আমি এসব পছন্দ করি না? অবশ্য জানবেই বা কি করে?  জানার জন্য মন চাই, আর তোমার  তো আবার সেটাই নেই। আর তাই জানার ইচ্ছেও নেই। কবেই বা কিছু জানতে চেয়েছো তুমি! আমারই ভুল হলো আবারও। 

I warn you Anish Roy,  if you  tag me once more  I definitely  block you forever. 

অণীশের চোখের কোলে জলের আভাস এলেও মুখে স্মিত হাসি ফুটে উঠল। খুব তৎপরায় টাইপ করল," এতক্ষণ কোথায় ছিলে? এই ফিরলে বাড়ি? Interview দিলে আর?"

প্রিয়া:- Who're you to know about me? Just ans my qus.

অণীশ:- হয়তো কেউ না। হয়তো সব। যেমন ভাবে নেবে।

প্রিয়া:- কোনোভাবেই নিতে চাই না । তোমাকে নেওয়া যায় না।

অণীশ:- ও, হুম, তা বটে। খুব ব্যস্ত থাকো আজকাল?

প্রিয়া:- That's none of your business.  সরাসরি পয়েন্টে এসো।

অণীশ:- 😀😀😀😀point? কোথায় যাবো বলো? আমি এখুনি যেতে রাজি ।

প্রিয়া:- বেশী smartness দেখিয়ো না। কে চায় তোমার সাথে দেখা করতে? কি হলো অণীশ রায়  তোমার time passর জন্য  কেউ আর আজকাল জুটছে না? মেয়ের অভাব পড়ে গেল নাকি এতো তাড়াতাড়ি এই পৃথিবীতে? 😀😀😀😀

অবশ্য  তা পড়ারই কথা জানো তো, যে হারে কন্যা সন্তান নিধন যজ্ঞ চলছে চারদিকে । এইটা  তোমার নিশ্চয় জানা। তুমি তো সবসময় update থাকো। আর এটা তো বহুদিনকার বাসি খবর, আবার টাটকাও বলতে পারো । তবে জানো তো আমি  চাই  মেয়েরা আর নাই জন্ম নিক এই পৃথিবীতে । যাতে তোমার মতো শিকারীদের কবলে তাদের  আর না পড়তে হয়। তা এতো তাড়াতাড়ি আমার ইচ্ছেপূরণ  হবে  ভাবিনি ।😀😀😀😀

অণীশ:- ব্যঙ্গ করছো? করো। জানি, এগুলো আমার পাওনা ।

প্রিয়া:- Wao! It's Anish Roy or anyone emotional guy? I really wonder!

অণীশ:- হ্যাঁ,  আমিই । তোমার  অণি

প্রিয়া:- Heyman  listen very clearly , Someday, Somewhere,  My Ani was  dead. Oh, I'm wrong.  Ani is my dream character, not an alive person.  আর তুমি? হাঃ...তুমি আমার অণি? ভাবলে কি করে? নিজেকে আয়নায় হয়তো বহুবার দেখেছো। নিজের মুখোমুখি হয়েছো কখনো? নিজের ঝকঝকে smartness চেহারাটা হয়তো খুব ভালোবেসেছো। কিন্তু তার পিছনে লুকানো জঞ্জাল আবর্জনায় ভরা  মনটাকে চেয়ে দেখেছো কোনোদিন? অবশ্য আমি কি মূর্খের মতো বকছি! কাকে বলছি? যার বিবেক বলে বস্তুটাই নেই , সে আবার নিজের মনটাকে দেখবে কি করে?  নিজেকে জানবেই বা কি করে? তার কাছে ফূর্তি করা ছাড়া অবসর কোথায়? তা অণীশ রায় আপনার ফূর্তির এই অমূল্য সময় নষ্ট করছেন যে? যান যান , ভালো করে খুঁজে দেখুন কাকে আবার জালে ফেলা যায় ...ভালো করে সুন্দরী মেয়েদের profile গুলো cheek করুন ।একটু ভালো করে cheek করবেন sir.এখন আবার মেয়ের ছদ্মবেশে অনেক পুরুষও লুকিয়ে থাকে ।😀😀😀😀

(অণীশের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল অসম্মানে, অপমানে। সে হাতের মুঠো শক্ত করে যেন তার অবদমিত রাগকে সামলানোর প্রবল চেষ্টা করতে লাগল। আর নিজেকে শান্ত করার জন্য, নিজেই নিজেকে বোঝাতে লাগল, "comedown Anish Roy.  ভেতরের সব লাভা বের হতে দাও প্রিয়ার । তবেই আগ্নেয়গিরি শান্ত হবে। Be cool,  be patience  Anish Roy. "

সত্যিই প্রিয়ার আগল ভেঙে গেছিল। তার অপমান অসম্মান,  রাগ, বিদ্বেষ সব লাভার স্রোতের মতোই বেরোচ্ছিল তার কথার আকারে ।সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বলেই চলেছিল )  অবশ্য you're so smart.  আপনার  এসব বুঝতে অসুবিধা হবে না । time west করছেন কেন,  আমার মতো মামুলি 2 টাকার মেয়ের পিছনে? তবে শোনো অণীশ রায়,  জীবনে আর একবারও কোনো আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন মেয়ের দিকে ফিরেও তাকিও না। তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কথা দুঃস্বপ্নেও ভেবো না। সবাই কিন্তু আমি নয়। যে কিছু না বলে, কোনো শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দেবে। তাই একটু সাবধানে পা বাড়িও। কারণ যাদের বিবেক নেই,  তাদের  হাজার সুবিধের মাঝে এইটুকু অসুবিধে থাকে যে, তাদের সাবধান করার কেউ থাকে না। ok, now goodbye forever.  Don't disturb me anymore.  Hope you'll understand what I say. 

আমি এখনো তোমার মতো তুখোড় English বলতে শিখিনি। যা শিখেছি পড়াশোনার দৌলতে। তবে যেটা শিখেছি মন দিয়ে শিখেছি। সে পড়াশোনা করেই হোক, বা ধাক্কা খেয়েই হোক । আর হ্যাঁ,  কি যেন জানতে চাইছিলে তখন? আমার দেরী কেন হলো or all that....আমার চাকরির আজ প্রথমদিন ছিল । তোমার মতো কারো সঙ্গে ফূর্তি মেরে time west করতে যাইনি after all.  So আমার time র এখন সত্যিই দাম আছে। আমি দামী না হলেও। তাই এতোটা সময়  আর আমি তোমাকে কোনোদিন দিতে পারবো না । আর সেই ইচ্ছেও নেই আমার যাকে তাকে সময় বিলিয়ে বেড়ানোর । So get lost from my life.  Understand? You'll  better understand. আর জীবনে কোনোদিনও ঐসব বোকা বোকা  কবিতার লাইন লিখে আমায় tag করবে না। 😀😀😀😀

    আমি  বলেছিলাম বোধহয়  কোনো একদিন,  "চাকা ঘোরে , থেমে থাকে না সময়। সময় আজ তোমার আছে,  কাল আমারও হতে পারে। তখন হয়তো আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার মতো সময়  আর থাকবে না অবশিষ্ট।" মনে পড়ে অণীশ রায়?  আমি হাত দেখাই না, রক্ষাকবচও পড়ি না। ভাগ্যের দোহাই দিয়েও বসে থাকি না। কিন্তু আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। বিশ্বাস করি, ভালো কাজের ফল ভালো আর খারাপ কাজের ফল খারাপই হয়, যতো দেরী করেই হোক না কেন ।

 আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি আমি কি পারি,  কি পারি না, কতোটা পারি বা পারি না। তবে অহংকারী নই। চেষ্টা করি,ব্যর্থ হই, কোথাও চরম ব্যর্থ হই। তবে থেমে যাই না। হয়তো ভেঙ্গে পড়ি। কিন্তু হার মানি না। লড়াই করি। নিজের ভরসা নিজেই হই। কারো দয়ার দান নিই না। সময়ের সদ্ব্যবহার করি,অপচয় নয়। মানুষকে সম্মান করি, খেলার পুতুল ভাবি না। ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ি, ফাটকা খেলি না। মানুষকে ভালোবাসি,use করি না। সময়ের দাম দিই, সময়কে হেলাফেলা করি না।

আমি কবিতা ভালোবাসি,লিখিও,যেমন পারি, যতোটুকু ক্ষমতা । তা নিয়ে বড়াই করি না। হাস্যাস্পদও হয়ে উঠি না। আমার হাজারটা দোষ আছে , খামতি আছে। কারণ আমি মানুষ । তোমার মতো so called অতিমানব নই । So smart,  so handsome,  so intelligent,  so rich,  so etc etc..... আমি খুব সাধারণ, খুব সাধারণ একটা মেয়ে  "প্রিয়া দে"। তাই ছিলাম, তাই আছি, আর তাই থাকতে চাই । অণীশ রায় Love isn't " it's a game... it's a game... it's a game...." not time pass also....

অণীশ:-( কথাটা প্রায় লুফে নিয়ে শান্ত কিন্তু দৃঢ়ভাবে) I know... I know it's very well now.  Love is pure.  Nothing's in this world so pure as pure as love . তুমি এতোক্ষণ যা যা বললে, আমি সবটা স্বীকার করছি নতমস্তকে।

 হ্যাঁ আজ আমি প্রতিটা মুহূর্তে নিজের মুখোমুখি হই। আর সেই আমিটা  আমায়  প্রতিনিয়ত উপহাস করে,ব্যঙ্গ করে, তোমার থেকেও রূঢ়ভাবে। হ্যাঁ  আমি English fluently বলতে পারি,English medium এর দৌলতে। কিন্তু বাংলাটাও জানি । বাঙালি after all.

  আমিও বাংলা কবিতা, গল্প, নাটক পড়েছি আগে,  কিন্তু বুঝিনি, কারণ বুঝতে চাইনি। এখন বুঝি । ওটুকু আমি নিজেই লিখেছি, সীমিত ক্ষমতায়, সাধ্যমত। নকল করিনি, ধারও না। আমারও একটা বিবেক ছিল, কিন্তু আমার ঔদ্ধত্যের কারণে সামনে এসে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। আজ যখন নিজেই নুয়ে পড়েছি,তখন  সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

 হ্যাঁ আমি আজও অনেকের চোখে handsome.  কিন্তু নিজেকে আর আয়নায় দেখতে ইচ্ছে করে না একবারও।

 হ্যাঁ  আজও আমি রাত জাগি, তবে কোনো সুন্দরী মেয়ের জন্য নয়। নিজের কাছে  নিজের লাঞ্ছনায়,অপমানে, গঞ্জনায়, ধিক্কারে। আর আমার "প্রিয়া"র  প্রতীক্ষায়। না কোনো  সোনা, বাবু নয়। শুধু "প্রিয়া"। যদি একবারও ভুল করে কিছু লিখে ফেলে আমায়, তার অপেক্ষায়, চাতকের মতো। কখন রাত কেটে যায় বুঝি না। চোখগুলো কখনো ঝাপসা হয়ে যায়,  কখনো শুকনো মরুভূমি ।

 হ্যাঁ আমি আজও higher rank  officer level এই কাজ করি। আজও হয়তো আশেপাশে অনেক ধামাধরা লোক আছে, ভিড় আছে। কিন্তু হাজার লোকের ভিড়েও আজ আমি একা।

 হ্যাঁ  পয়সা আছে। কিন্তু  সুখ নেই। অনেক চেষ্টা করেও সুখ কিনতে পারলাম না। সুখ আসলে পণ্য নয়, অনেক পরে বুঝলাম। তোমার কথায় ফূর্তি/ বিলাস-ব্যসন পণ্য,  টাকা দিয়ে কেনা যায়। কিন্তু সুখ, শান্তি কোনোটাই কেনা যায় না। আর কেনা যায় না ভালোবাসা। যার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে  জড়িয়ে আছে সুখ আর শান্তি। ভালোবাসা এক সুবাস, এক মনের গভীর চেতনা বোধ,ব্যথা । পৃথিবীর সর্বোত্তম সৃষ্টি । না সেটা কোনো খেলনা, না পণ্য,  না কোনো গানের লাইন । মনের সৌন্দর্য্য,  ভাবনা,  পৃথিবীর সবচেয়ে দামী,  না দামী নয়, অমূল্য সম্পদ ।

 তুমি ঠিক ছিলে। আমি ভুল । শুধু ভুল নই , মূর্খ, উদ্ধত, অহংকারী,  ঠগ,  প্রতারক, সবকিছু। তুমি হয়তো আজ আর আমায়,আমার কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারছো না। ভাবছো আবারও নতুন করে জাল বিছোচ্ছি। সেটাই স্বাভাবিক । তোমার জায়গায় দাঁড়িয়ে আমিও তাই ভাবতাম । এতোটা ধৈর্য্যও হয়তো দেখাতে পারতাম না, কবেই block করে দিতাম, ঘেন্না করতাম । তুমিও হয়তো করো মনে মনে । কিন্তু অবাক কাণ্ড block করতে পারোনি আজও ।

 বিয়েও না। তবে এখন তোমার জন্য প্রচুর পাণিপ্রার্থী আসবে। কারণ এখন তুমি চাকুরিরতা। কিন্তু আমি জানি তুমি কাউকে বিয়ে করবে না, rather পারবে না মন থেকে মানতে।

( প্রিয়ার দ্রুত typing কে থামাতে আরো দ্রুত বেগে)"দাঁড়াও।"

( ম্যাসাজ ডেলিভারি  হওয়ার সাথে সাথে  প্রিয়াকে থেমে যেতে দেখে আবারও লিখতে শুরু করলো অণীশ  নিজের আত্মবিশ্বাসে ভর করে) 

অণীশ:- আমায় শেষ করতে দাও দয়া করে । তুমি যখন বলছিলে/ লিখছিলে আমি মাঝখানে একবারও কিছু বলিনি/ লিখিনি । তোমায় বলতে দিয়েছিলাম। এটুকু সুযোগ তুমিও এখন দাও আমায়। 

জানি তুমি ক্লান্ত। তোমারও আজ সময়ের সত্যিই দাম আছে। মা- বাবার সংসারে একলা সন্তানের দায়িত্ব পালন করার পরেও নিজের চাকরির জন্যও পরিশ্রম করতে হচ্ছে, হবে। সময়ের সত্যিই অভাব। 

একদিন যে সময় তুমি আমার কাছে চাইতে, আজ সেই সময় আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চাইছি। কারণ একটাই । সেদিন তুমি আমায়  মন থেকে ভালোবাসতে, আজও বাসো। মুখে যতোই অস্বীকার করো। আর যতোই নিজেকে নিজে ভুল বোঝাতে চাও বা ভোলাতে চাও। তাই এখনো বিয়ে করোনি । বিয়ের কথা ভাবতে  পারো না মন থেকে।  নাহলে তুমিও তো কম সুন্দরী নও। আর অণীশ রায়  so called playboy Anish Roy  তো সুন্দরী মেয়েদের প্রতিই আকৃষ্ট ছিল, টোপ ফেলতো তাদের দিকেই। so...

তাই proposal যে তোমারও আসেনি, তা নয়। কিন্তু ফিরেও  তাকাওনি। আমার ভুলে আমায় তুমি দৃরে সরিয়ে দিলেও নিজের মনের তাড়নায় আমি তোমার ব্যাপারে আগ্রহে প্রায় সবটাই জানি ।অনেকবার ph করেছি। কিন্তু সেখানে তুমি আমায় block করে রেখেছো। তাই  উপায়ান্তর না দেখে আমি আজ  এতক্ষণ ধরে msg করে চলেছি । 

যাইহোক,  যা বলছিলাম, তুমি শুধু কারো দিকে ফিরে তাকাওনি না, rather মনের তাড়নায় পারোনি। কারণ  সেই ভালোবাসা। আর আজ তোমার  কাছে আমার  ভিক্ষা বলো, প্রতীক্ষা বলো, যা বলো, তার কারণও ঐ ভালোবাসা।

জীবনটাকে খেলার কোর্ট  ভেবে খেলতে খেলতে  কখন  নিজেই জীবনের খেলার ফাঁদে জড়িয়ে গেছি। ঐ যে কবিগুরুর কথায় " প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে ভুবনে "।😀😀😀😀

 সেই  ফাঁদেই। হ্যাঁ । আমি । অণীশ রায় ।আজ ভালোবাসি তোমাকে । ভালোবাসি সত্যিই আমার প্রিয়াকে।

তাই আজ ভালোবাসার অর্থ বুঝি। মূল্য বুঝি । জীবনেরও মূল্য  বুঝি। জীবন শিখিয়ে দিয়েছে । জীবনটা বাজি নয়। আর আমিও  বাজিগর নই। জীবনটা বাস্তব। সুখ- দুঃখ, হাসি- কান্না,ওঠা- পড়া সব নিয়ে। সবকিছুই তার অঙ্গ, হয়তো অর্থও। কিন্তু অর্থই সব নয়। একা অর্থ  অর্থহীন ।

তাই  লিখেছি তোমার ঘরটা গোছানো। আমারটা এলোমেলো। আর আমি  তোমার ঐ সাজানো গোছানো ঘরে থাকতে চাই। নিকোটিনের ধোঁয়ায় ঝাপসা,  দমবন্ধ ঘরে নয়। 

আর আমি সত্যি ভালোবাসতে চাই । ভালোবাসা পেতে চাই,  rather ভালো বাসা পেতে চাই । সেটা আরো সুন্দর করে সাজাতে চাই । 

তবে হ্যাঁ,  তোমার পাণিপ্রার্থীদের line এ দাঁড়াতে চাই না। হ্যাঁ, অকপটে তোমার কাছে  হার স্বীকার করতে চাই , নতজানু হতে চাই,  ক্ষমাপ্রার্থনা করি, সময় ভিক্ষা চাই,  সর্বোপরি তোমাকে ভিক্ষা চাই ।কিন্তু  কোনো line এ দাঁড়াতে চাই না । 

কারণ ঐ line কি, কেন, কতোটা অপমানের,অবহেলার আমি তা জানি। কারণ আমি নিজেই একদিন সবাইকে ঐ line এ দাঁড় করিয়েছি। তাই ওভাবে নয়। ভালোবেসে,  ভালবাসা দিয়ে মনের ঘরে বরণ করতে চাই । 

জানি  তুমি বলবে বরণ করার আমি কে?

কিন্তু বিশ্বাস করো মন থেকে চেয়ে মনের কথাই বললাম। তবে আমি বেশ কিছুদিন আগেই মনের ঘরে তোমায় বরণ করে নিয়েছি। এখন তুমি আমায়  এবার বরণ করবে কি না দেখো। যদি করো ধন্য হবো। ফিরিয়ে দিও না। ফিরে যেও না। ফিরে এসো। 

তুমি তো বলতে ক্ষমা করা উচিৎ সবাইকে ভুল করলে। আমি ভুল নয় অন্যায় করেছি, জানি, মানিও। তবু ক্ষমা  করে দাও। তুমি তো সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী। তাই একটা সুযোগ দাও আমায়।

ভালোবাসা ভোগ নয় আমি বুঝেছি। কিন্তু ত্যাগ করতে বলো না। আমি  পারবো না। তুমি বলতে ভালোবাসা ভালো থাকা নয়, ভালো রাখার নাম। হ্যাঁ আমি তোমাকে আজ মন থেকে, অর্থ দিয়ে নয়, ভালবাসা দিয়ে ভালো রাখতে চাই । আর সেই  ভালো রাখার মাঝে  নিজেও ভালো থাকতে চাই । বলো প্রিয়া  নেবে আমায়?

আমি নই,  তুমি গ্রহণ করবে  আমায়?

হ্যাঁ , আমি আমার  ঠুনকো  male ego মুক্ত আজ। তাই এভাবে নির্দ্বিধায় বলতে পারছি । 

সত্যিই কালের চাকা ঘোরে,  ঘুরছে । তাই সময় হয়তো আরেকবার আমাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে, পরীক্ষা নিতে, বা সুযোগ দিতে । বিশেষত আমাকে। তাই এভাবে নির্দ্বিধায় আত্মবিশ্বাসে এতোগুলো কথা বলতে পারলাম তোমায় ।

আমি চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছি । বলো নেবে আমায়? সুযোগ দেবে একবার?

এবার বলো, আর চুপ করে থেকো  না। 

আচ্ছা  ভাবো । আমি অপেক্ষা করবো। তবে বেশী সময়  নিয়ে ফেলো না। যদি কালের চাকা ঘোরায় সময় আর কাউকেই সময়  না দেয়.....

...(সমাপ্ত)...

No comments:

Post a Comment