ছবি : ইন্টারনেট |
আমার দেশ আমার ভারত
মিঠুন মুখার্জী
"ও আমার দেশের মাটি তোমার পড়ে ঠেকাই মাথা।"
--- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই জনপ্রিয় স্বদেশপ্রেমমূলক গানের মধ্য দিয়ে বলতে পারি আমাদের দেশ ভারতবর্ষের প্রতি প্রতিটি ভারতবাসীর আছে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো দেশে জন্মগ্ৰহণ করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে ওঠে। নিজের মাতৃভূমির প্রতি দেশের প্রতি তাদের থাকে অসীম ভালোবাসা ও নিবিড় শ্রদ্ধা। দেশের জন্য সে নিজের প্রানকেও উৎসর্গ করতে পারে। তেমনি আমার রক্তের মধ্যে আমি আমার দেশের তথা ভারতবর্ষের প্রতি গভীর টান অনুভব করি। নিজের জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি যেমন আমার সব থেকে অধিক ভালোবাসা আছে, ঠিক তেমনি দেশমাতার প্রতি ভালোবাসা আমার হৃদয়ে বর্তমান।
ভারতবর্ষের জন্ম ইতিহাস আজও অনেকেরই অজানা। কীভাবে এদেশের নাম ভারতবর্ষ হল তাও মুষ্টিমেয় ভারতবাসী বলতে পারবে। দেশমাকে নিয়ে মানুষের ভালোবাসা আছে অথচ তার সম্পর্কে কিছু জানে না-- এমন মানুষদের দেখলে সত্যিই লজ্জা লাগে। যদিও বর্তমানে অন্যদেশে জন্মে বিভিন্ন কারনে ভারতবর্ষে এসে বিদেশিরা এদেশকে নিজের মাতৃভূমি বলে দাবি করেন। ফলে এমনটি হবার।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমার ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তার আগে কয়েকশো বছর ধরে বিদেশীদের শাসনাধীন ছিল। তাঁর উপর চলেছে নিষ্ঠুর অমানবিক নির্যাতন। মোঘল - পাঠান - শক - হূন ও ইংরেজদের দ্বারা এই দেশ মাতা ও দেশের সন্তানেরা বারংবার হয়েছে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অগুনিত মানুষের প্রানের বিনিময়ে আমার মাতৃভূমি ও তার সন্তানেরা স্বাধীনতা লাভ করেছে। বর্তমানে আমরা স্বাধীন হলেও সামাজিক নানান প্রতিবন্ধকতা প্রতিটি পদে পদে আমাদের পরাধীন করে রেখেছে। স্বাধীনতা পেলেও যেন আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নই। রাজনীতি ধর্মীয় বেড়াজাল দুর্নীতি প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের অক্টোপাসের ন্যায় জড়িয়ে রেখেছে। ক্ষমতাবানের মিথ্যার কাছে আজ আমাদের সততা ঢাকা পড়ে গেছে। তবুও আমি ভারতবাসী, ভারতবর্ষ আমার মা। সবকিছুকে সহ্য করে তাকে আমরা ভালোবাসি।
উত্তরে হিমালয় থেকে শুরু করে দক্ষিনে কন্যাকুমারী পর্যন্ত এর পরিধি। পাহাড় - সমুদ্র - জঙ্গল- মরুভূমি সবকিছুকেই শত কষ্ট সয়ে বহন করে চলেছে ভারতমাতা। কোল, ভিল, সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডাদের আদি বাসস্থান ভারতবর্ষকে মধ্য এশিয়া থেকে এসে বাহু শক্তির বলে বলিয়ান আর্যরা দখল করেছে। তাদের আশ্রয় হয়েছে সভ্যসমাজের বাইরে পাহাড়ে ও জঙ্গলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরাই ভারতভূমিকে নিজের মাতৃভূমি বলে দাবি করেন।
ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান। কোনো একটি নির্দিষ্ট জাতি নয়, সমস্ত জাতির মানুষ এখানে বসবাস করে। হিন্দু-মুসলমান-শিখ-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলেই এখানে ভাই ভাই। তবে কিছু মানুষের জন্য মাঝে মাঝে জাতিগত সমস্যা তৈরি হয় এদেশে। বিজ্ঞান ও ধর্ম নিজ নিজ পথে সর্বদা চলেছে এদেশে। একে অপরের রাস্তায় চলার চেষ্টা করলে নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এদেশের মাটিতে যুগে যুগে এমনসব অবতারের জন্ম হয়েছে যারা তাদের কর্মের জন্য সমগ্ৰ জগতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এরা সকলেই ভারতমায়ের সন্তান। ত্রেতা যুগে শ্রীরাম, দ্বাপরে শ্রীকৃষ্ণ, কলিতে চৈতন্য মহাপ্রভু সকলেই ভারতমায়ের বুকে জন্মগ্ৰহন করেছেন। সকলেই বিষ্ণুর অবতার। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালন করতে যুগে যুগে ভারতমায়ের কোলে তার আবির্ভাব ঘটেছে। এছাড়া মহাপুরুষের সংখ্যা অগনিত। এরা মানুষ হয়ে জন্মে কর্মের দ্বারা দেবতুল্য হয়ে উঠেছেন। কথায় বলে যেই জীব সেই শিব। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইত্যাদি সকলেই সমাজের ও মানুষের মঙ্গলে কাজ করে গেছেন। ভারতমায়ের মুখ সর্বদা উজ্জ্বল করেছেন।
আমার ভারতমাতার উপর অতীতে চলেছে অকথ্য অত্যাচার। বিদেশি শক্তি কয়েকশ বছর ধরে ভারতমাতার ও তার সন্তানদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। মুঘল,পাঠান, শক, হুন, ইংরেজ আরো অনেক বিদেশী শক্তি এদেশে শাসন চালিয়েছ। অনেক রক্তপাত ঘটেছে ভারতমাতার বুকে। দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা ও জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। বীর বিপ্লবীরা ভারতমায়ের সম্মান রক্ষার্থে নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছেন। বিনয়-বাদল-দীনেশ, মাস্টার দা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং, রাজগুরুর মতো ভারতমায়ের সন্তানদের আত্মবলিদানের কথা কখনো ভোলার নয়। দেশমাকে স্বাধীন করার পিছনে যার অবদান সবার আগে স্বীকার করতে হয় তিনি হলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তবে দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক নেতাদের চক্রান্তের শিকার হন তিনি। স্বাধীন ভারতে সকলের সম্মুখে স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন নি তিনি। অন্তরালে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে তাকে। অথচ ঠগ প্রবঞ্চকরা নিজেদের স্বার্থে দেশটাকে দুটুকরো করে ভারতমায়ের হৃদয়ে চিরক্ষতের সৃষ্টি করেছে। তারাই হয়েছেন দেশনায়ক, এক একজন বড় নেতা। তবে ভারতমাতাকে স্বাধীন করতে কেবল পুরুষেরা নন নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাতঙ্গিনী হাজরা থেকে শুরু করে গান্ধী বুড়ি, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মতো নারীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে অনেক লড়াই করেছিলেন। অসংখ্য নারীদের প্রান দিতে হয়েছে এই দেশমাকে স্বাধীন করার জন্য। ১৮৫৭ সালে ঝাঁসির রানী লক্ষীবাঈও ইংরেজদের বিরুদ্ধে কম লড়াই দেন নি। নারী - পুরুষের দীর্ঘ ত্যাগের জন্য এই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করা গিয়েছিল।
ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যেখানে রচিত হয়েছে রামায়ণ - মহাভারতের মতো বৃহৎ মহাকাব্য। এছাড়া শ্রীমদ্ভগবদগীতার মতো গ্ৰন্থ। যে গ্ৰন্থে সমগ্ৰ ভারতবাসীর আত্মদর্শন ধরা পড়েছে। মানবজীবনে কি প্রয়োজন আর কি প্রয়োজন নেই , এককথায় মানবজীবন সার্থক করে তোলার মহামন্ত্র আছে এই মহামূল্যবান গ্ৰন্থে। শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে আত্ম দর্শন করানোর জন্য ও নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য যে বানী বর্ষণ করেছিলেন তাই-ই শ্রীমদ্ভগবদগীতা। ভারতবর্ষের অমূল্য সম্পদ। এই রকম জীবন পরিবর্তনের গ্ৰন্থ সমগ্ৰ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
ভারতবর্ষে জন্মেছে একদল বীরাঙ্গনা নারী, যারা ভারতমায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে দেশে - দেশান্তরে। শকুন্তলা থেকে শুরু করে দ্রৌপদী, কৈকেয়ী, জনা, ঝাঁসির রানী লক্ষীবাঈয়ের মতো নারীরা অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেন নি, সে অন্যায় অন্যে করুক আর প্রিয়জন। পুরুষশাসিত সমাজে আজ পিছিয়ে পড়া নারীরা পুরুষকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে অসম্ভবকে সম্ভব করতে। আজ নারী মহাকাশে যাচ্ছে, প্লেন চালাচ্ছে, বিভিন্ন গবেষণায় প্রধানের ভূমিকা পালন করছে। আজ নারী করছে না এমন কিছুই নেই। ভারতমায়ের গর্ব আজ নারীরা। এখন সমাজ একটি নারী সন্তানের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে।
'গুরু কৃপা হি কেবলম' । গুরুর কৃপা না থাকলে আমরা সঠিক মার্গ দর্শন করতে পারিনা। গুরু হলেন মানুষের পথপ্রদর্শক। যিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথে শিষ্যকে নিয়ে যান তিনিই প্রকৃত গুরু। যুগে যুগে ভারতমায়ের কোলে এমন সব গুরুর ও ঋষি - মুনির জন্ম হয়েছে যারা ভারতমায়ের সন্তানদের সঠিক পথে নিয়ে গিয়েছেন। ঋষি দুর্বাসা, ঋষি কর্ণ, ঋষি বিশ্বামিত্র, ঋষি ভিগু, প্রনবানন্দ মহারাজ, অনুকূল ঠাকুরের মতো অসংখ্য গুরু ও ঋষি - মুনির আবির্ভাব ঘটেছে ভারতবর্ষে যারা তাদের সাধনার দ্বারা ঈশ্বরের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। তাদের দেখানো পথে চলে আপামর ভারতবাসীর কল্যানসাধন হয়েছে।
ভারতবর্ষ সেই পুন্যভূমি যেখানে বিষ্ণু অবতার গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ঘটেছিল। এই অবতারের দেখানো পথ অনুসরণ করে বৌদ্ধ ধর্ম ভারত ও ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষকে সঠিক পথে চলার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। একদা ভারতবর্ষের বুকে নালন্দা, বিক্রমশীলা ও তক্ষশীলার মতো বৌদ্ধ মহাবিহার নির্মান করা হয়েছে। যেখানে দেশে-বিদেশের বহু মানুষ শিক্ষা গ্ৰহনের জন্য আসতেন। এখানে শিক্ষা গ্ৰহনের জন্য কোনো অর্থ প্রদান করতে হত না। তৎকালীন ভারতবর্ষের বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই সমস্ত মহাবিহার থেকে শিক্ষা গ্ৰহন করে ভারতবর্ষের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আজও ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করছে।
ভারতবর্ষের উপর দিয়ে বয়ে গেছে পবিত্র নদী গঙ্গা । যার পবিত্র জলে মানুষের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী নামক হিমবাহের গোমুখ গহ্বর থেকে এই নদীর উৎপত্তি। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এই গঙ্গার বাস দেবাদিদেব মহাদেবের জটায়। সাগর রাজার ষাট হাজার পুত্রের প্রান ফিরিয়ে আনার জন্য প্রপুত্র ভগীরথ মহাদেবের জটা থেকে গঙ্গাকে মর্ত্যে এনেছিলেন। গঙ্গাকে দেবী হিসাবে হিন্দুরা মানেন। সেই সৃষ্টির থেকে এখনো এই পবিত্র নদী বয়ে চলেছে এবং তার স্পর্শে সকলের পাপ মোচন করে পুন্যের ভান্ডার পূর্ণ করছেন তিনি।
ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিস্ময়কর। ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীরে একবার গেলে মনে হয় যেন পুরো জীবনটাই সেখানে থেকে যাই। কাশ্মীরের ডাল লেক, শ্রীনগর, জম্মু, বৈষ্ণদেবীর মন্দির, অমরনাথ দেখার মতো জায়গা। ভারতবাসী ও ভারতের বাইরের মানুষদের কাছে সত্যিই এটি স্বর্গ। ভারতমায়ের এই অসাধারণ সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এছাড়া হিমাচলপ্রদেশের সিমলা,কুলু, মানালি, ধর্মশালা; সিকিমের গ্যাংটক ,সাংগু লেক; বঙ্গোপসাগর ,আরব সাগর, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, মুসৌরি, কেদারনাথ - বদ্রিনাথ, হরিয়ানার গুরগাঁও আরও শতসহস্র অপূর্ব সুন্দর জায়গা এই ভারতভূমির অন্তর্ভুক্ত, যা প্রতিটি ভারতবাসীর ও বিদেশীর মনকে আকৃষ্ট করে। প্রকৃত স্বর্গভূমি এখানেই অবস্থিত।
ভারতবর্ষ এমন এক পবিত্রভূমি যেখানে সতী দেবীর দেহের একান্ন খন্ডের বেশিরভাগ পড়েছিল। সেই জায়গা গুলোতে সতীপীঠ গড়ে উঠেছে। দেবীর আশীর্বাদধন্য এই পবিত্র ভূমি এ থেকে তা জানা যায়। সীতা, শ্রীরাধারানী, সাবিত্রী, বেহুলা, মীরার মতো নারীদের যে দেশে জন্ম সেই ভারতমাতা তার এই সন্তানদের জন্য গর্বিত। বতর্মানে নারীরা হয়তো অনেক উন্নত হয়েছে, কিন্তু এই সকল নারীদের ধারে কাছে পৌঁছতে পারবে না। ভারতমাতার আরও কিছু নারীদের কথা বলতে হয়, যারা বছরের পর বছর নিজেদের প্রতিভায় দেশে - বিদেশে দেশমায়ের নাম উজ্জ্বল করেছেন। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আশা ভোঁসলে, পি টি ঊষা, কল্পনা চাউলা, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতা দত্ত প্রভৃতি।
পরিশেষে বলা যায় ভারতবর্ষে জন্মে প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব অনুভব করেন। এই দেশ পৃথিবীর জনবহুল দেশ হলেও জনগনই এর শক্তি। দিনে দিনে যেভাবে ভারতবর্ষ সবদিক থেকে উন্নতি করছে তাতে একদিন জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে। প্রচীন কাল থেকে বতর্মান কাল পর্যন্ত অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষ আজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। কি অর্থনীতি, কি সামরিক বাহিনী , কি সংস্কৃতি, কি ঐতিহ্যে প্রথম বিশ্বের যে - কোনো দেশকে বর্তমানে ভারতবর্ষ মোকাবিলা করতে পারে। পৃথিবীতে এমন অনেক বড় বড় দেশ আছে যারা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও যুদ্ধ-মহামারির সমস্যায় ভারতের সহযোগিতা প্রার্থনা করে। ভারতবর্ষও উদারচিত্তে তাদের সহযোগিতা করে আসছে। ভারত ভূমি সম্পর্কে বলা যায় ----
"ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো
তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম, ধন্য হয়েছি ধন্য গো।"
No comments:
Post a Comment