1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Saturday, April 15, 2023

অলৌকিক অন্তর্দৃষ্টি

ছবি : অর্কজ্যোতি চক্রবর্ত্তী


 অলৌকিক অন্তর্দৃষ্টি

অর্কজ্যোতি চক্রবর্ত্তী


আজ শনিবার সকালে শ্যামবাজারের পাকড়াশী পরিবারে খুব হৈচৈ পড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে এই নিয়ে সামান্য কৌতূহল দেখা দিয়েছে। অবনী (পাকড়াশী) বাবুকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করায় উনি উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলে উঠলেন, “আরে, আমাদের কৌলিক আমেরিকার বস্টন ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি গবেষণার সুযোগ পেয়েছে। যে ভদ্রলোক ওকে তাঁর ল্যাবরেটরীতে সুযোগ দিয়েছেন, তিনি বিশ্বের একজন বড় মাপের পদার্থবিদ্ ।“ এটা শোনার পর যিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তার একটা মিশ্র অনুভূতি হলেও, অবনীবাবুর কিন্তু আনন্দের সীমা-পরিসীমা ছিল না।

যাইহোক, সবার কাছ থেকে অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা কুড়ানোর পর কৌলিক আগামী আমেরিকা যাত্রার জন্য নিজেকে তৈরী করতে লাগল। চটজলদি ভিসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সে খোঁজ খবর নিল এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকায় শীঘ্রই আমেরিকান ভিসা পেয়ে গেল । মাস খানেক পর তার যাওয়ার দিন ঠিক হল, নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি । প্রথম বিদেশ যাত্রা হিসেবে তার যদিও কিছুটা স্নায়ুচাপ অনুভূত হচ্ছিল, কিন্তু মোটের ওপর নিজেকে বেশ লাগছিল। তাই একদিন বেরিয়ে পড়ল আমেরিকা যাত্রার জন্য জুতো আর ছাতা কিনতে, ধর্মতলার মোড়ে নিউ মার্কেটে। ভিড় রাস্তায় খানিকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর বাটার দোকানে ঢুকল। তারপর যেই পিঠের ব্যাগের কম্বিনেশন লক্-টা খুলতে যাবে, দেখল ব্যাগের মুখটা হাঁ হয়ে আছে। ব্যাগ থেকে ওয়ালেট উধাও হয়েছে, নিশ্চিৎ পকেটমার ! 

এরপর কিছুক্ষনের জন্য কৌলিকের বাক্-রোধ হল। সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থপ্ করে রাস্তার ধারের বেঞ্চিটাতে বসে পড়ল ৷ সময়টা যদিও ডিসেম্বর মাসের শীতকাল, তবুও তার কপালের ঘাম হাই-পাওয়ারের চশমা বেয়ে নাকের ওপর দিয়ে গোটা চিবুকে নেমে আসল। সে ভাবতে লাগল, তার কত টাকার ক্ষতি হয়েছে- বাবা-মা বা অন্যরা কী বলবে? বাড়ি ফিরে গেলে, ইত্যাদি...ইত্যাদি। তবে, মনে মনে তার একটা প্রবল জেদ ছিল এবং তার বশবর্তী হয়েই স্থির করল: জুতো কিনতে এসেছি, জুতো কিনেই ফিরব ৷ যদিও সে জুতোটা কিনল, ‘ডিজিটাল’ ওয়ালেটের মাধ্যমে।

বাড়ি ফেরার পর তুলকালাম কান্ড বেধে গেল। বাড়ীর প্রত্যেকটা লোক তাকে প্রতি মুহূর্তে জানান দিতে থাকল, সে কতখানি ‘কেবলরাম’,- শুধু মুখ বুজে পড়াশুনা করলেই হয় না, দুনিয়ার লোকজন সম্পর্কে সচেতন হওয়ারও বিশেষ দরকার রয়েছে। অবনীবাবু তখন খানিক ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গীতে বললেন, "তোর আর আমেরিকা-টামেরিকা যাওয়ার দরকার নেই, তুই ঘরেই থাক! মায়ের আঁচলের নিচে।“ যাইহোক, এরপরে আরও কিছুদিন সময় ছিল কৌলিকের হাতে । তাই সে নিজেকে যথাসম্ভব সামলে নিয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হল, যেন এরকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।

এরপর কৌলিকের আমেরিকা গমন; বাড়ির লোকেদের ভাবাবেগ, আনন্দাশ্রু ও হাজারো শুভকামনা মাথায় নিয়ে সে পৌঁছে গেল সুদূর আমেরিকার বস্টন প্রদেশে। চারিদিকের ঝাঁ চকচকে ভবনগুলি তাকে বিস্মিত করল। তারপর যখন সে বস্টন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে পৌঁছল, তার বিস্ময় আরও দ্বিগুণ হল। তার আমেরিকান বস্ পৃথিবীর অন্যতম সেরা পদার্থবিদ্ প্রফেসর জাস্টিন ম্যাক্ কোয়্যারি ৷ কৌলিককে তিনি তাঁর ল্যাবরেটরীতে স্বাগত জানালেন৷ কৌলিক সব কিছু ভুলে গিয়ে, তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গিয়ে ফ্যাসাদ বাধাল। সাহেব তার এই বাঙালি কায়দায় সম্মান জানানোতে খানিক অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। তবে মনে মনে বুঝতে পারলেন, ছেলেটিকে ঠিকমত কাজ করাতে পারলে হয়ত, সোনার ডিমপাড়া হাঁসে পরিণত হতে পারে।  ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের বিকাশশীল দেশের একজন খুবই মেধাবী ছাত্রের প্রতি পৃথিবীর অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের এক স্বনামধন্য বিজ্ঞানীর এহেন মনোভাব হয়ত সমীচীন। যাইহোক, কৌলিকের মনে যে গুরুর প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধার প্রলেপ আশৈশব ছিল, তা হটিয়ে আমেরিকান ভদ্রলোকের আসল চেহারাটা অনুধাবন করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সে কোনোভাবেই সামনের সময়টা দেখতে পারেনি, যে সময়টা তার কাছে অভাবনীয়রূপে কঠিন হতে চলেছিল।

           কৌলিকের সঙ্গে ল্যাবরেটরীর অন্যান্য লোকজনের আলাপ হল। সে প্রভূত উৎফুল্ল হলেও, বিশেষ করে দুই ব্যক্তির বোধহয় তাকে পছন্দ হল না। একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিভু রামাস্বামী ও অন্যজন তার সহচর ঐদেশীয় স্টিভেন্স ৷ কৌলিকের বাচনভঙ্গী ও হাবভাব লক্ষ্য করে রিভু ফিসফিস করে স্টিভেন্সকে বলল, "ব্যাটা বাঙালী ও রীতিমতো আন্-স্মার্ট! কোনো আদব-কায়দা জানেনা। চোখের হাই-পাওয়ারের চশমাটা একটু দেখ। একে নিয়ে ভালো মজা করা যাবে।" 

যাইহোক, প্রথম কয়েকমাস গবেষণাগারের সতীর্থদের সঙ্গে ভালোভাবে কাটালেও, কৌলিকের জীবন ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠল। প্রফেসর ম্যাক্-কোয়্যারি কৌলিকের ‘কর্মোৎপাদন’ বাড়ানোর জন্য রিভু ও স্টিভেন্সকে তার পিছনে ছিনে জোঁকের মতো লাগিয়ে দিলেন ৷ তাদের নিরন্তর বিদ্রূপ ও অমার্জনীয় কথাবার্তা কৌলিককে ক্রমশঃ অতিষ্ঠ করে তুলল ও তার রাত্রের সুখনিদ্রা যেন বহুদিনের জন্য কোথায় হারিয়ে গেল। একদিন রিভু অতর্কিতে কৌলিককে বলল, "ডিয়ার! অনেক দিন থেকে তোমার এসব হাস্যকর কাজকর্ম আমরা দেখে চলেছি। মনে রেখো এটা এখানকার অন্যতম সেরা ল্যাবরেটরী, তাই তোমার এই উল্টপাল্টা কাজকর্ম কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রফেসর ম্যাক্-কোয়্যারিও তোমার কাজকর্মে রীতিমতো অসন্তুষ্ট। তিনি খোদ স্টিভেন্সকে একথা বলেছেন।" একথা শোনার পর কৌলিক হতচকিত ও আরেকবারের জন্য তার বাক্-রোধ হল। সে ভেবেছিল প্রফেসর তাকে খুবই পছন্দ করেন এবং তার কাজকর্মের মধ্যে একটা আগামীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে, এরকম মনে করেন ৷ কিন্তু রিভু রামাস্বামীর এহেন সতর্কীকরণের সঙ্গে কৌলিক তার ‘মনে হওয়াটাকে’ কিছুতেই মেলাতে পারছিল না।

অতএব, এই জরুরী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আশায় কৌলিক তার গবেষণার কাজকর্ম প্রচুরমাত্রায় বাড়িয়ে দিল, একরকমভাবে নাওয়া-খাওয়া প্রায় ভুলে গিয়ে ৷ কিন্তু রিভু আর স্টিভেন্সের কারসাজিতে সে একদম পেরে উঠছিল না। তার প্রস্তাবিত থিওরি প্রফেসর অপ্রাসঙ্গিক ও অবাস্তব বলে বারংবার নাকচ করে যেতে থাকলেন। এতে কৌলিকের উপর চাপ আরও বাড়ল বইকি।

এরকমই একটা দিন। সে দেখল তার বানানো নমুনাটিকে, কে বদল করে দিয়েছে ৷ তার এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট তো সব ভুল আসবে এবার ! তারপর হয়তো প্রফেসর তাকে ল্যাবরেটরী থেকে বিদেয় করবেন। ফিরে যেতে হবে আবার বাংলায়; তার  শ্যামবাজারের বাড়িতে সেই কালিমালিপ্ত অভিজ্ঞতা, হয়তো তাকে এবং তার পরিবারকে বড়ই বিপদে ফেলতে পারে। এসব আকাশ-কুসুম কল্পনা তার মনের মধ্যে দানা বাঁধছিল। ঘটনাচক্রে সে তখন নিজের ভুল শুধরানোর উদ্দেশ্যে তীব্র গতিতে দৌড় দিল তার ল্যাবরেটরির অন্য একটি বিভাগের দিকে। নামতে গিয়ে পায়ে পা জড়িয়ে গড়াতে গড়াতে পড়ে গেল সোজা নীচের-তলায়। এতে তার মাথায় আঘাত লেগেছিল ও সে হুঁশ হারিয়েছিল।

তারপর যখন তার জ্ঞান ফিরল, তখন সে একটি হাসপাতালের বেডে শায়িত। কিন্তু হায় রে হতভাগ্য! তার চোখের দৃষ্টি একেবারে ক্ষীণ হয়ে এসেছে। সে কিছুই ভালো করে ঠাওরাতে পারছে না। আবছা করে দেখতে পেল এক মহিলা নার্সকে। 

নার্সটি মিষ্টি গলায় জিজ্ঞাসা করলেন, “হাউ আর ইউ ফিলিং নাও?” 

কৌলিক বলল, "ম্যাডাম্, আই ক্যাননট্ সি !” 

এটা শোনার পর নার্সটি খুব দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন ও সঙ্গে করে একজন ডাক্তারবাবুকে নিয়ে এলেন। ডাক্তারবাবু কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন ও একটি ইন্জেকশন দিতে কৌলিক ঘুমিয়ে পড়ল। কৌলিকের ল্যাবরেটরীর লোকজন ব্যাপারটি সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পর তারা খুব ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। বিশেষ করে রিভু এবং স্টিভেন্স; তারা ভাবল তাদের কুটকচালির কথা ফাঁস হয়ে গেলে বিপদ। রিভু কাঁপাকাপা গলায় বলল, “ফ্রেন্ডস উই উইল নট টেল দিস টু আওয়ার প্রফেসর ৷ লেটস সি হোয়াট উই ক্যান ডু আওয়ারসেল্ভস ৷" যেহেতু তারা গবেষণাগারের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য, তাই তাদের কথা সবাই চুপ করে শুনল ও সম্মতি জানাল। অবশ্য তারা বিশেষ কিছু প্রচেষ্টা চালাল না, বরং ব্যাপারটি যাতে ধামাচাপা পড়ে, সেই চেষ্টাই তারা করল।

এদিকে কৌলিক হাসপাতালের বেডে কাতরাতে থাকল, তার যে অসহ্য মাথার যন্ত্রণা। ডাক্তারবাবু দেখে বললেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ায় ওর অপটিক্ স্নায়ু বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে - ও আর দৃষ্টি ফিরে পাবে না বোধহয়। পুরোপুরি অন্ধও হয়ে যেতে পারে। নার্সটি বিদেশিনী হলেও একাকী বঙ্গসন্তানের ওপর এযাবৎ তার খানিকটা মায়া পড়ে গেছে। তাই ডাক্তারবাবুর এহেন ভবিষ্যদ্বাণীতে তিনি রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলেন । কিন্তু এরপর যা ঘটল তা নিতান্তই অলৌকিক ঘটনা বা দৈবী কৃপা বলা চলে। পরের দিন সকালে কৌলিকের যখন ঘুম ভাঙল, দেখল তার মাথার অসহ্য যন্ত্রণা একেবারে চলে গেছে এবং তীব্র আলোকে তার চোখদুটি ভরে গেছে। সে এখন সবকিছু দেখতে পারছে - আরও স্পষ্টভাবে! চোখের হাইপাওয়ারের চশমাটার আর দরকার নেই। হ্যাঁ, গতকাল রাত্রিতেই তার স্বপ্নে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবীদশভূজা, তাঁর দশ বাহুতে দশ-প্রকারের পদার্থবিদ্যার নথি। তিনি কৌলিককে তার এই দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন, আরও তীক্ষ্ণতর করে। সে বিছানা থেকে উঠে চলাফেরা করতে গেলে নার্সটি পাশের ঘর থেকে দৌড়ে এসে বললেন, 

-"সরি! প্লিজ, ডোন্ট ট্রাই দিস্! ইউ হ্যাভ লস্ট ইয়র আই পাওয়ার ডিউ টু কনকাসন।“ 

এবার আর কৌলিক আনন্দ ধরে রাখতে পারলনা। সে উৎফুল্লভাবে বলে উঠল, 

- “নো ম্যাডাম নার্স! আই ক্যান সি এভরিথিং ইভেন মোর ক্লিয়ারলি!”

তারপর ডাক্তারবাবু এলেন ও সব দেখে বিস্ময়াভিভূত হয়ে বললেন, তাঁর কুড়ি বছরের অভিজ্ঞতায় বস্টনে এই ধরনের কেস তিনি দেখেননি।

কৌলিক এরপর যথারীতি ল্যাবরেটরীতে ফিরে গেল। তাকে দেখে রিভু ও স্টিভেন্স ছাড়া বাকিরাও হতবাক। তারা শুনেছিল কৌলিক আর কোনোদিন দেখতে পাবে না। কৌলিকের চশমাহীন হাসিখুশি মুখটি দেখে রিভু কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার ভঙ্গীতে বলল, “সো, ইউ ক্যান সি এভরিথিং ? ক্লিয়ারলি?” কৌলিক খানিক অবজ্ঞার সুরে গর্জাল, "ও ইয়েস, অফ কোর্স!”

কৌলিক কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারল যে, তার কাছে ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা চলে এসেছে। সে একশো কোটি ভাগের একভাগ ক্ষুদ্র জিনিসও দেখতে পারছে। তার চোখ এখন পরিণত হয়েছে উচ্চ রেজল্যুশনের অনুবীক্ষণযন্ত্রে৷ এর দরুণ সে ল্যাবরেটরীর একের পর এক পরীক্ষায় সফল হতে থাকল এবং তার গবেষণার কাজ বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত পত্রিকায় ছাপা হতে থাকল। প্রফেসর ম্যাক্-কোয়্যারি এতে অভিভূত হয়ে সবার সমক্ষে একদিন ঘোষণা করলেন, "ও মাই গড! দিস ফেলো হ্যাস মিরাকুলাস ভিসন!” স্বভাবতঃই তার পিএইচডি হতে খুব বেশী সময় লাগল না। রিভু, স্টিভেন্স ও আরও অনেককে পিছনে ফেলে কৌলিক পাকড়াশীর নামের আগে ‘ডক্টর’ যুক্ত হল। বস্টন প্রদেশের গভর্নর স্বয়ং তাঁর বাসভবনে কৌলিককে সম্বর্ধনা জানানোর উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ পাঠালেন। গভর্নরের সঙ্গে কৌলিকের নিজস্বী পরের দিন এক আমেরিকান সংবাদপত্রে প্রকাশ পেল। সেই ছবিটা কৌলিক তার বাবা অবনী বাবুকে পাঠাল, আর সেটা পাওয়ার পর গোটা পাড়া-মহল্লায় খুশীর জোয়ার বয়ে গেল।

ডক্টর কৌলিক পাকড়াশী এখন ভারতের প্রখ্যাত তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার উচ্চমানের গবেষক। তার গবেষণার কাজ বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশে সমাদৃত ৷ তার এই আমূল পরিবর্তনের পিছনে সেই বিস্ময়কর রাত্রের অভিজ্ঞতা ও দৈব হস্তক্ষেপের কথা তার মনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। তা মোছা কারুর পক্ষে সম্ভব নয়, স্বয়ং কৌলিকের পক্ষেও নয়।

...(সমাপ্ত)...

No comments:

Post a Comment