1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, February 21, 2021

মুক্ত বিহঙ্গ

ছবি  : ইন্টারনেট 

 মুক্ত বিহঙ্গ
মৌমিতা চক্রবর্তী

ভোর হচ্ছে সবে, বহু দূর অবধি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি জানালা দিয়ে দূরে নীল পাহাড়, শহর ধাপে ধাপে ছড়িয়ে রয়েছে সেই পাহাড়ের কোল পর্যন্ত। গান শুনছিলাম " ও মেঘ ভেসে চলে যাও " পাপনের কণ্ঠ, জয় সরকার এর মিউজিক, রবি ঠাকুরের কথা আর সম্মুখে পাহাড় সব মিলেমিশে অপূর্ব এক অনুভূতি। একসময় শাবক বড় হয়ে গেলে যেমন প্রবীণের পক্ষপুট ছেড়ে উড়ে যায় তেমনি হঠাৎ একদিন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের নেশায়। গানটির সুর ও মূর্ছনা ভোরকে আর স্নিগ্ধ করে তুলছে। গতকাল খুব হাসি রাশি উচ্ছল একটা সন্ধ্যে কাটানোর পর আজ সকালটা খুব মনোরম লাগছে। পাশের ঘরের দুই ট্যুরিস্ট বন্ধু বুঝি আজ কয়েক ঘণ্টার আড়াআড়িতে চলে যাবেন। মাছে-ভাতে ভালো থাকা আমি কোথাও যেন পাহাড়ের কোলে বসে সুরের দেশে হারিয়ে যাচ্ছি। এখানে যেন রঙিন শীতের মেলা, ঘাসে ভেজা শিশির, কখনো ঘন কুয়াশার অন্ধকার, চা-কফির গরম ধোঁয়া, মিঠে রোদ্দুরে বসা চিরকাল থেকে যাবে মনে। এসব কোনদিনই হারাবেনা। যতবার চোখ মেলে পাহাড় কে দেখি ততবারই নতুন করে প্রেমে পড়ে যাই। যেন কোথাও হারিয়ে যাই, পাহাড়ের শোভা দেখতে শুরু করলে কিভাবে যে সময় পেরিয়ে যায় তা বুঝতেই পারিনা। প্রতি মুহূর্তেই মনে হয় সেই মরমী বার্তা  "মরিতে চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে" ।

     ' সাহাব জি চায়ে লেকে আয়া ' হাঁক দেয় সামনের হোটেলের ছেলেটি। নীলাদ্রি কলম ছেড়ে দরজার দিকে এগোয়। বহু বছর হয়ে গেল নীলাদ্রির পাহাড়ে পাহাড়েই বাস। ট্যুর প্ল্যানার হিসাবে হোটেলগুলোর সাথে পরিচিতি রয়েছে। ঘরে ঢুকেই ছেলেটি বলে "চায়ে মে সক্কর কম ডালা হ্যায় সাহাব, আজ নাস্তেমে ক্যায়া দু ? " নীলাদ্রি ইশারা করে ছেলেটিকে চায়ের ট্রে রেখে চলে যেতে বলায় এক ছুটে ছেলেটি ঘরের বাইরে চলে গেল। এসব প্রকৃতিরই জাদু, পাহাড়ি মানুষদের ভারী স্ফূর্তি।  নীলাদ্রির নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল রান্নাঘরের কৌটো থেকে মুঠো করে চিনি খাওয়া, বাবার আনা পান্তুয়া, সন্দেশ, বালুসাই কত লোভনীয় মিষ্টি আর শীতকালে সেই বিখ্যাত নলেন গুড়ের সন্দেশ। সাত-পাঁচ ভেবে অগত্যা নিজ স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কম চিনির চা নিয়ে বসল সে।

   বহু বছর হয়ে গেল নীলাদ্রির আত্মিক বন্ধু বলতে শুধু এই পাহাড় আর পাহাড়ি লোকজন। ছোটবেলা থেকেই তার প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধ আর অভিযানলিপ্সা তাকে বারবার টেনে নিয়ে এসেছে এই পাহাড়ের বুকে। কিন্তু কদিন হলো ওর কণিকার কথা খুব মনে পড়ছে। নীলাদ্রির বাবা জনকবাবু অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত বড় স্টিল কোম্পানির ওপরের সারির অফিসার ছিলেন। হিসাবপত্র টাকা-পয়সা লেনদেন নজরে রাখার কর্তা ব্যক্তি, যাকে বলে কন্ট্রোলার অব একাউন্টস। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি বড় বড় কোম্পানিতে কাজকর্ম করেছেন। জনকবাবু নিজের কর্মজগতে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি ছিলেন যোগ্যতম কাজের লোক স্পষ্টবাদী এবং সৎ মানুষ। তার চরিত্রের অপর একটি দিক ছিল, তিনি ছিলেন বেশ কড়া মেজাজি। সংসারে চিরকাল ওনার রুক্ষ, চড়া ও রাগী দিক প্রকাশ পেয়েছে। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততাই হোক কিংবা ওনার মেজাজ উভয়ই একমাত্র ছেলে নীলাদ্রির সাথে ওনার সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়ার কারণ। নীলাদ্রি ঠিক জনকবাবুর উল্টোটি সে ভালোবাসে মাটি, আকাশ, সে ভালবাসে সবুজ রং আর সে সবচেয়ে ভালোবাসতো তার মাকে। মায়ের সাথেই তার প্রথম পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া,বাবা অফিসিয়াল ট্যুর নিয়ে গেছিলো তাই মায়ের হাত ধরেই পাহাড় ঘুরেছিল নীলাদ্রি। নীলাদ্রির মাত্র ঊনিশ বছর বয়সে কঠিন রোগ মাকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়। চিরকাল মায়ের কাছে ঘেঁষে থাকা নীলাদ্রির পৃথিবীটাই বদলে গেছিলো সেদিন। তারপরই ওর হোস্টেলে চলে যাওয়া আর ধীরে ধীরে বাড়ির প্রতি টান কমতে থাকা। সে লেখক হতে চাইলেও বাবার চাপে পড়াশোনা শেষ করে ট্রাভেল এজেন্সি খোলে। এসবই ছিল তার বাড়ি থেকে দূরে দূরে থাকার নানা উপায়। 
      
        বাবা চলে যাওয়ার পর শেষ কবে বাড়ি গেছে তা আর মনে করতে পারেনা নীলাদ্রি , তবে শেষ যখন বাড়িতে গিয়েছিল তখন বাড়ির চেহারাটা খুব একটা ভালো ছিলনা। ঝুরঝুর করে পলেস্তারা খসে পড়ছিল পুরনো শরীর থেকে। গাঁথনি অনেকটাই আলগা, জায়গায় জায়গায় ছাল ওঠা, যেন খসখসে শরীরজুড়ে খসে পড়ছিল সময়। বাবা আর মায়ের ঘর যেটা সবচেয়ে বড় ঘর ছিল বাড়ির, ওই ঘরটিই সামান্য থাকার যোগ্য ছিল। একরাত ওখানেই কাটিয়েছিল কোনমতে দুজনে। ঐদিন কণিকাও এসেছিল। এবার প্রায় ছয় সাত বছর পর সেদিন কনিকার সাথে দেখা হয়েছিল ওর। কনিকার আর বছর চারেক চাকরী বাকি ছিল তখন,ছুটি নিয়ে এসেছিল অফিস থেকে। বাড়িটা বিক্রি হওয়ার আগে কিছু জিনিস ও রেখে দিতে চেয়েছিল। নীলাদ্রির মা বন্দনাদেবী খুবই সৌখিন ছিলেন বাড়ির ঘরের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে জানলা - দরজা, দালান-মন্দির সমস্ত জায়গায় নিজের শিল্পী মনের ছোঁয়া রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মা চলে যাওয়ার পর জঙ্গলের ভিতরে পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত মানুষের মতো ক্লান্তির ঘুমে ঢলে পড়া অস্তগামী মনে হতো বাড়িটাকে নীলাদ্রির। আর যে সামান্য হলেও আদরের স্পর্শ রেখেছিল বাড়িটাতে তা কেবল কনিকাই। কণিকা সেদিন মায়ের আলমারি থেকে একটি লাল মখমলের বটুয়া এনে দিয়েছিল নীলাদ্রির হাতে। তাতে ছিল কাপড়ে মোড়া এক জোড়া কানের দুল, একজোড়া বালা ও একটি গিনি হার। মায়ের গায়ে থাকা গয়নাগুলো দেখে উত্তেজনায় হাত কেপে উঠেছিল সেদিন নীলাদ্রির। বিয়ের সময় কণিকাকে এগুলো বাদে সব গয়নাই পরিয়ে  দেওয়া হয়েছিল। বাবা তার শেষ সময় তার বৌমাকে এইগুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আর কণিকা সেদিন তুলে দিয়েছিল তার হাতে। সেদিন কনিকার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়েছিল নীলাদ্রির। মায়ের গায়ে লেগে থাকা জিনিসগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিল নীলাদ্রি, যেন মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল সে। 

       এতগুলো বছর হয়ে গেছে তবু কনিকা তার কাছে কোনদিন কিছু চায়নি। নীলাদ্রি ঐদিন আরো বেশি করে বোঝে, কনিকার স্মৃতির অতলে যেখানে মাটি পেয়েছে সেখানেই রয়ে গেছে তার প্রতি ওর ভালোবাসার শেকড়। অদৃশ্য হলেও তার ঘন সবুজ পাতা, শুভ্র ফুলের সুগন্ধ কনিকার হৃদয় আর্দ্র করে রেখেছে। এই সুগন্ধ সাগরে ডুব দিয়েই একাকিনী কণিকা বেঁচে থাকে। বাবার ইচ্ছেতে কনিকার সাথে বিয়ে করেছিল নীলাদ্রি, কিন্তু কর্তব্য পালন করলেও কোনোদিনই সেইভাবে সংসারী হতে পারেনি। সারাজীবন নিজের মতো পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেরিয়েছে। সেদিন ওই জরাজীর্ণ ঘরের ইট কাঠ পাথর সব যেন আঁকাবাঁকা প্রশ্নচিহ্নর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিল ঘরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। যেন কণিকার দুচোখে একরাশ জিজ্ঞাসারা ঘুরছে কেন? কেন? কনিকার চোখে অনেক কিছু না পাওয়ার অভিমান নাকি পেয়েও হারিয়ে ফেলার যন্ত্রনা! নিঃশ্বাসের সাথে যেন দীর্ঘশ্বাস হয়ে বুক ঠেলে ঠেলে বেরিয়ে আসছিল সেই প্রাচীন যন্ত্রণা। 

              বাড়িটা বিক্রি হয়ে গেল। নীলাদ্রির বাবা জনকবাবুর মৃত্যুর পর কণিকা অফিসের কোয়াটারে চলে যায়, তারপর থেকেই শুধুমাত্র ফোনেই যা সামান্য যোগাযোগ ছিল দুজনের। বিরহ ব্যাকুলতা আর প্রিয় মিলনের আকাঙ্ক্ষাতেই হয়তো তার চিরটাকাল কেটে গেল। কাজের ফাঁকে বিভিন্নরকম সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখত কণিকা। আর নীলাদ্রি মেতে থাকতো পাহাড়ের গন্ধে।ওইদিন সারারাত ধরে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল মনে অথচ জিজ্ঞাসা করবে কি করবে না সেই দোদুল্যমানতায় নিশ্চুপ ছিল নীলাদ্রি। মাত্র দুটি কথা ' কেমন আছো?' সব কাজ সেরে চলে আসার সময় নীলাদ্রির চোখে পড়েছিল উঠোনের সিঁড়িটায় নিচে একটি বড়সড় ফাটল, সেখান থেকে একটা আগাছা চারা উঁকি দিচ্ছিল। কি করে যে সেই ফাটল ঢাকবে সেদিন বুঝে পায়নি নীলাদ্রি। ঘরে ফেরা পাখিদের ডানা আহত হয়ে গেলে যেমন করে বেদনা ঘনায় সন্ধ্যার বুকে তেমনই বেদনা ফুটে উঠছিল সেদিন নীলাদ্রির বুকে। চলে আসার আগে শুধু রাত্রির মতো নিঝুম স্বগতোক্তি করেছিল নীলাদ্রি ' ভালো থেকো '।
  
          চা শেষ করে নীলাদ্রি আবার কলম ধরল। পাহাড়ের কোলে বসে ডায়রির পাতায় নিজের কথা, প্রকৃতির কথা লিখতে ওর ভালোলাগে। আজকাল মাঝে মধ্যেই ওর খুব একা লাগে, কয়েক বছর আগেও এমনটা মনে হতো না। প্রকৃতির কোলে নিত্যনতুন মানুষের সাথে সময় কাটিয়ে সারাদিন যতটা আনন্দ সঞ্চয় হয়, দিনের শেষে একলা ঘরে বসে ঠিক ততটাই একাকীত্ব বোধ করে নীলাদ্রি। বাড়ি বিক্রির পর থেকেই এমনটা হচ্ছে তার। কনিকার সাথে পারিবারিক জীবনে কোনদিনই সুখী ছিলনা নীলাদ্রি। ওরা দুজনেই ভালো মানুষ, কিন্তু সম্পর্কটা ছিল ঠান্ডা, চুপচাপ,ভিতরে ভিতরে  দমে যাওয়া। শেষ বয়সে নীলাদ্রির বাবার গাম্ভীর্য ও অভিভাবকসুলভ স্বাতন্ত্র্য রক্ষার ভাবটা অনেক কমে গিয়েছিল। নীলাদ্রির জীবনের হিসেব-নিকেশও যে উনি ছক কষে ওনার নিজের মত মতো করতে চেয়েছিলেন সেইজন্য তিনি মনে মনে যথেষ্ট আক্ষেপও করতেন। সংসারের মায়া মমতার খাঁচায় কাউকে জোর করে আটকানো যায়না তা উনি নীলাদ্রির জীবন দিয়ে যথেষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। প্রকৃতির জগতে তাড়াতাড়ি রূপান্তর হয় না তবু হয় তো!  সাড়ে দশটা নাগাদ স্নান সেরে তৈরী হয়ে নীলাদ্রি ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়ল।

                ঘরবাড়ি পেরিয়ে কিছুটা হেঁটে এগিয়ে যেতেই নীলাদ্রি দেখলো, পাহাড়ের গায়ে গায়ে থাকা গাছগাছালির মাথা বেয়ে পাতা গড়িয়ে রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়ছে। আরও দু পা এগোতেই খানিক ছায়া, সেখানে পাতার ফাঁক দিয়ে সরু আলোর রেখা এসে পড়ল ওর গায়ে। ঠিক যেমন সাড়াশব্দহীন ভাবে আজকাল ওর মনে কনিকার কথা ভেসে ভেসে উঠছে। তবে কি সেই চিরাচরিত প্রকৃতির নিয়মে ওর ও মন পরিবর্তন হচ্ছে? নাকি একাকিত্বের বোঝা আর টানতে পারছেনা ও। নীলাদ্রি এক পা দু পা করে হাঁটতে থাকলো আর মনে মনে ভাবতে থাকলো কণিকার কথা, কখনো কি কণিকার মনে হয় না নিজের অধিকার বুঝে নেবে ও নীলাদ্রির কাছ থেকে! রোজ একবার ফোন করে সব কথা বলতে ইচ্ছে করে নীলাদ্রির, পকেট থেকে মোবাইল বের করে তখনই কল করতে গিয়েও থেমে গেল সে।  মনে মনে ভাবতে থাকে কি করে কণিকাকে ওর মনে চলতে থাকা কথাগুলো বলবে, বড্ড স্বার্থপরের মতো হয়তো শোনাবে ওর কথাগুলো। সারাজীবন এভাবে একা একা মুক্ত বিহঙ্গের মত থাকতে চেয়েছে ও, কখনো ওপাশের মানুষটির মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেনি। তবে আজ সেই মানুষ ওকে বুঝবে সে আশা ও করবেই বা কী করে! এত কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে মেঘ ঘনিয়ে এলো, আকাশের মুখ কালো হয়ে এলো। দেখতে দেখতে হাজার হাজার অশ্বারোহীর মত ধেয়ে আসলো বৃষ্টি আর ভিজিয়ে দিল নীলাদ্রির মন। সে ভাবলো আজ যদি মনের ইচ্ছেগুলো সে এভাবে প্রকৃতির নির্জনতায় রেখে যায় তবে তো ওগুলো ফসিল হয়ে যাবে, তা ও চায়না। 

       নীলাদ্রি মন স্থির করলো ফোন না সে আজই রওনা হবে তার কণিকার বাড়িতে, সে ফিরবে এবার তার আটপৌড়ে কণিকার কাছে। এতগুলো বছরে ছাদে কিংবা বারান্দার ধারে পূর্ণিমার আলোয় ডুবে বসে থাকা হয়নি ঠিকই তবুও এখনও তো সময় ফুরোয়নি। এবার কণিকার হাত ধরেই নীলাদ্রি আবার ফিরবে পাহাড়ে, মেতে উঠবে পাহাড়ি মাটি আর গাছপালা ভেজা অদ্ভুত সুগন্ধে। একসাথে দেখবে মেঘেদের মায়াখেলা। আজ ও বুঝতে পারছে অবাধ স্বপ্নচারী হওয়ার ক্ষমতা কারোরই নেই,বাস্তব থেকে ধার নিতেই হয় চেতনা।

maumitac62@gmail.com
গুজরাত 

No comments:

Post a Comment