“কি
রে? তুই মোটা হয়ে যাচ্ছিস
, ডায়েট করিস না কেন?”-এই
কথাটি আমরা নিত্যদিন শুনতে পাই আমাদের চারপাশে। “ডায়েট”-
এই
শব্দটি শুনলেই আনেকে ভাবেন খাবার প্রায় বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু
আসলে তা কিন্তু একেবারেই নয়।
তবে
ডায়েট মানে কি? সাধারণ ভাবে ব্যাখ্যা
করতে গেলে ডায়েট মানে, বিজ্ঞান
সম্মত ভাবে,শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী,
পরিমাণ
মত খাদ্য গ্রহণ করা।
অর্থাৎ
,আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে যা প্রয়োজন
, তার জন্য সঠিক মাত্রায় সঠিক খাবার খাওয়া।
নিউট্রিশনে একটি গোল্ডেন রুল আছে—“শরীর সুস্থ রাখতে ব্যালেন্সড ডায়েট খাওয়া উচিত।“ আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে নিউট্রিয়েন্টস বা পরিপোষক পদার্থের প্রয়োজন। আর এইগুলি খাদ্যের মাধ্যমেই আসে। পদার্থ গুলি হল, কার্বোহাইড্রেট , প্রটিন , ফ্যাট, জল, ভিটামিন আর মিনেরল বা খনিজ পদার্থ । এই উপাদান গুলি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করাকেই ব্যালেন্সড ডায়েট বলে। ন্যাশনল ইন্সটিটিউট অফ নিউট্রিশন , ছবির মাধ্যমে একটি সাধারণ ব্যক্তির প্লেটে কী থাকা উচিত তার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
তাই সুস্থ থাকতে গেলে গুগল বা শরীর কমানোর ফ্যাশ্নেবল ডায়েট করা একদমই ঠিক নয়। হ্যাঁ , যাদের প্রফেশনের জন্য ওজন কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজন (অভিনেতা, মডেল, খেলোয়াড়) হয় , তাদের অতিঅবস্যই একজন ডায়েটিশিয়নের নিত্য গাইড মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
“আমার
সুগার আছে, আমি মাটির নিচের খাবার
খাই না”।
এই
ভুল ধারনা অনেকের মধ্যেই আছে।
তবে
সঠিক তথ্যটি কি? প্রত্যেক খাদ্যদ্রব্যে
গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স বলে স্ংখ্যা নিযুক্ত আছে,
যা
নির্ধারণ করে দেয়, সেই খাওয়ারটি খাওয়ার
পরে কতোটা গ্লূকোস আমাদের শরীরে থাকবে।
তাই
যে সব খাবারে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স বেশি, তা সাধারণত বারণ করা হয়।
আর
একটি কথা
শোনা যায়, “আমার কোলেস্টেরল আছে
তাই আমি বাদাম খাই না।“
ধারনাটি
ভুল। উদ্ভিদ
থেকে পাওয়া খাবারে কলেস্টেরল থাকে না।
পশুর
থেকে জাত খাবারে থাকে।
আর
বাদাম প্রটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস।
তাই
পরের বার কলেস্টেরল বাড়লে বাদাম খাওয়া বন্ধ
করবেন না। হাইপোথাইরয়ডিসম হলে দেখা যায় অনেকে সয়াবীন
খাওয়া বন্ধ করে দেন। রান্না
করা সয়াবীনের থাইরয়ড গ্ল্যান্ডের ওপর কোন প্রতিকিয়া হয় না তা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। তাই
খাওয়া যেতেই পারে।
যাক
, ডায়েট সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা
করি সকলে সুস্থ থাকবেন,
এবং সঠিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সকলে
ভাল থাকবেন।
No comments:
Post a Comment