ছবি : ইন্টারনেট |
এক যে ছিল রাজা
তাপস রায়
রাজামশায়ের চেঁচামেচিতে ভোর বেলার কাঁচাঘুম চৌপাট। তিনি মাঠকাজ থেকে ফিরে বাড়ির পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখেন কিচ্ছুটি নেই। ফর্সা। আলো-অন্ধকারে শুধু দুটো খুঁটিতে জড়ানো রয়েছে খানিক কাঁঠালের ডাল।
হইচই একটু বেশি না হলে ওই ভোরবেলার রাজসিক ঘুমের আরাম থেকে সহজে উঠে আসার বান্দা আমি নই।
বিরক্তি নিয়েই চৌকির বিছানা থেকে নেমে উঠোনে এসে দেখি হুলুস্থুলু কান্ড। অন্য অনেক কিছুতেই কম হতে পারেন, কিন্তু রাজামশাই হাঁকডাকে কম যান না। দেখতে দেখতে ওই অল্প আলোতেও গুনে উঠতে পারলাম গোটা দশেক কালো মাথা। সবাই সকালের কাজকর্ম করতে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা মানুষ। কারো হাতে তখনও রয়েছে এলুমিনিয়ামের গাড়ু।
“ আনা আতে?”
রাজামশায়ের আনুনাসিক চেঁচামেচিতে তেমন কিছু বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই আমি জিজ্ঞাসা করি, ‘আনা আতে’। মানে কী হয়েছে?
অবশ্য এই ‘কুই দিনা’-র ভাষায় আমার দৌড় এইটুকুই। এরকম দু’একটা শব্দ দিয়ে এখানে প্রায় তেরো বছর কাটিয়ে দিলাম। শুরু করেছিলাম ফোঁড়াকাটা চাঁদশী ডাক্তার হিসেবে। এখন সব রকম চিকিৎসাই করি। রাজামশায়ের বয়স হয়েছে। তার বউ মাঝেমধ্যেই জ্বর-জারিতে ভোগেন। তাই তিনি ডাক্তার নিজের বাড়িতেই ঢুকিয়ে নিয়েছেন। তাঁর চারখানা ঘরের একখানা আমাকে পঞ্চাশ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন।
রাজামশাই কারো কথার উত্তর দিতে প্রস্তুত ছিলেন না ততটা। যা সর্বনাশ হয়েছে, মনে মনে তার একটা হিসেব কষছিলেন হয়ত। কিন্তু আমার মুখটা নজরে পড়ায় তাঁর মনে হতে পারে,ডাক্তার ভগবান, তারে না বললে পাপ হবে। তিনি বললেন,“ অডা চোরি হইচি”।
বুঝতে পারলাম আমি কুইভাষী মানুষ নয় বলে তিনি দয়া দেখিয়ে আমার বোঝার জন্য কুই আর উড়িয়া মিশিয়ে বললেন কথাটি। আমি বুঝলামও--- ছাগল চুরি হয়েছে।
উড়িয়া ভাষাটা সরকারি ভাষা হলেও বেরহমপুর থেকে একশ সাতচল্লিশ কিলোমিটার দূরে এই রাইকিয়া গ্রামের সবাই কুই ভাষায় কথা বলে। পাহাড় আর সমতল মিলে তা হাজার সাতেকের বাস। নিজের উপর ঘেন্না হয়, বছর তেরো এদের ভেতর থেকেও কেন কুই ভাষাটা রপ্ত করতে পারলাম না! নিজের পক্ষে একটা সমর্থন অবশ্য আছে। মনে মনে বলি, নাক দিয়ে তো কথা বলে এরা, তা বুঝবইটা কী! এতো আমাদের সন্ধ্যেলাগা পেত্নিভাষার মতো। এই ভাষা চেনার থেকে আকারে ইঙ্গিতের ভাষা বেশি সহজ লাগে।
আমার মাটির দেয়াল দেয়া দু’চালা ডিস্পেন্সারির ভেতরে একটাই কাঠের চেয়ার রুগী বসার। বেশিরভাগ সময়ে দাঁড়িয়েই থাকে তারা। তবে সরপঞ্চ বা একটু উঁচু মানুষজন এলে আমি তাদের জোর করে বসাই। বলি, ‘ইরিম্বা কুকুম।’ মানে এখানে বসুন।
পাহাড় ডিঙিয়ে বুড়া পেনু সবে মাত্র আসতে পেরেছে এদিকটায়। তার ডানা পাহাড়ের ঝড়া আর চুয়ার জলে ভেজা তখনও। তখনও ছিপছিপে হয়ে উঠে দৌড় শুরু করেনি সূর্যঠাকুর। ঝর্ণার জলে চান-টান করেও তার আলসেমি যায়নি। এসময় রাজামশাই তার বাবরি চুলে ঝাড়া দিয়ে হুকুম ঝাড়লেন। “ জানি অনিল কঁহারকু অতাম।”
কাঁধের গামছা দু’বার একাঁধ ওকাঁধ করলেন। তাঁকে খুবই অস্থির লাগছে। মাঝে মাঝে বুকের উপর থাকা ঝোঁপঝাড়ের মতো ঝাঁকড়া কাঁচা-পাকা রোম মুঠি করে টান দিচ্ছেন।
আমার চাঁদশী ক্ষত চিকিৎসালয়ে একবার এই তান্ত্রিক পুরোহিত অনিল কঁহার এসেছিল। তাকে ‘ইরিম্বা কুকুম’ বলে বসিয়েছিলাম।
সে বসতে বসতে তার চিমসানো পেটে হাত বোলাচ্ছিল। চোখ রক্তবর্ণ। বলেছিলাম, “ গান্ডিমারা নইজানে?” মানে সারা শরীরে ব্যথা?
সে মাথা দুদিকে নাড়ায়। আর পেটে হাত বুলিয়ে বলে, “ টুটু নইজানে।”
বুঝলাম, পেটে ব্যথা।
আমি বললাম, “ পাটা মালগাও ডোম।”
অনিল কঁহার আমার ডিস্পেনসারির বেড, মানে কাঠের বেঞ্চে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল। আমি ওকে সুঁই দেব।
স্টেরয়েড ইঞ্জেকসন। চটপট ব্যথা গায়েব হবে। এদের তো পেট পচে যায় মদ খেতে খেতে। সাময়িক রিলিফ পেলেই ডাক্তার আর মড়কের দেবী কন্ধনী দেবতার ভেতর ফারাক তেমন করে না। আর সুঁই দেয়াকে এরা সবচে ভালো ওষুধ হিসেবে মান্য করে। সামর্থ্য থাকলে ফিজ্ কুড়ি টাকা থেকে লাফ দিয়ে একশ টাকাও করে দেয়।
আমি অনিল কঁহারের ভয় ভাঙানোর জন্য আর ইঞ্জেকশন প্রস্তুতির সময় নিতে গল্প করছিলাম। তার জানিগিরির গল্প জিজ্ঞাসা করলাম। সে তখন গল্প বলল উড়িয়া ভাষাতেই। এখানে বাঙালিদের সাথে এদের মিল আছে। কলকাতায় ট্যাক্সিতে উঠেই যেমন সব বাঙালি হিন্দিভাষী হয়ে যায়, তেমনি এই কুইভাষীরাও করুণা করে রাইকিয়ার বাইরের লোকজন দেখলেই তার সাথে উড়িয়া ভাষায় কথা বলে। আমি উড়িয়া ভাষাটা মোটামুটি জানি।
সে তখন গল্প করতে করতে তার কীর্তির কথা শোনাচ্ছিল। শোনাচ্ছিল, কীভাবে বেগুন চোরকে পাকড়াও করেছিল সে। বলছিল, চাষী চন্দ্রশেখরের বেগুন ক্ষেত থেকে রোজ বেগুন চুরি করে নিচ্ছিল কে যেন। চন্দ্রশেখর এক ভাঁড় কালুঙ্গা, মানে মদ আর দুটো কজু, মানে মুরগি দিয়েছিল শুধু। তাতেই এমন তন্ত্র করে দিয়েছিল অনিল কঁহার, পরেরদিনই হাতেনাতে ফল। চোর সারারাত বেগুন হাতে ধরে বসেছিল ক্ষেতে। জানি গিয়ে আবার মন্ত্র পড়তেই চোর বেগুনের হাত থেকে মুক্তি পায়। মানে বেগুন সারা রাত চোরকে আটকে রেখেছিল।
রাজামশায়ের অনিল কঁহারকে তলবে আমার মনে হলো চোর তো ছাগল নিয়ে পালিয়ে গেছে। বেগুন ক্ষেতের মতো ছাগল ক্ষেত থাকলে এক কথা হতো। ছাগলের লোভে চোর ছাগল ক্ষেতে ঢুকলে তবে হয়ত মন্ত্রপুতঃ ছাগল চোরকে আটকে রাখতে পারবে। কিন্তু ছাগল নিয়ে যাওয়া চোরকে কীভাবে পাকড়াও করবে কুইদের জানি!
দশ বারো জনের যে জটলাটা বাড়ির ঊঠোনে ছিল তাদের ভেতর নড়াচড়া শুরু হল। সবে ভোর হচ্ছে। পুরো গাঁ জানেনি এই চুরির ঘটনা। এই গাঁয়ে বাপ,খুড়ো, ঠাকুর্দা, তস্য দাদাদের জমানাতেও কেউ কখনও শোনেনি চুরি হয়েছে রাজার বাড়িতে।
আমার উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট। আমার চেয়ে এক হাত লম্বা রাজামশাই তাঁর মানানসই লম্বা হাতের সাঁড়াশি দিয়ে আমার বাহু ধরে টেনে নিয়ে দাওয়ায় বসিয়ে দিয়ে নিজেও বসে পড়লেন। তাঁকে খুবই বিদ্ধস্ত লাগছিল। আর বলেও ফেললেন, “ জানি কি উদ্ধার করে দিতে পারবে ছাগল দুটো! খুবই ভাবনা হচ্ছে ডাক্তার। গ্রামবাসীর কষ্টের টাকায় কেনা এই ছাগল দুটো।”
রাজামশাইকে সমর্থন দেয়া ছাড়া এখন আমার আর কোনো কাজ নেই। একেতে এই রাইকিয়া গ্রামের রাজা তিনি, তারপর আমার বাড়িওয়ালা। রাজার বাড়িতে থাকি বলে গ্রামে আমার বিশেষ খাতিরও। আমিও ডিস্পেন্সারিতে বসে গাছের দুটো আম কি ক্ষেতের একটা কুমড়ো উপহার পাই। বদলে তারা প্রায় সবসময় ডাক্তারের ফি দিতে ভুলে যায়। কখনও কুড়ি টাকায় সারে। আমার ডিগ্রি পিএমপি। মানে প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার। যা আসে তাই সই।
রাজামশাই বললেন, “ এই তো সামনের শনিবার কন্ধনী দেবীর আরাধনা। এর ভেতর ছাগল দুটোকে তো ফিরে পেতেই হবে। নাহলে গ্রামের বিপদ। গ্রামবাসীর বিপদ।”
আমিও আর্তস্বরে ফিসফিস করে বললাম, “সত্যিই বিপদ রাজামশাই। হাতে তো মোটে কটা দিন। আসছে শনিবার পুজো। এর ভেতর পাওয়া যাবে তো!”
কন্ধনী পুজো আমি অনেক দেখেছি। না দেখেও উপায় থাকে না। গোটা গাঁয়ে আর তেমন বিনোদনের কী আছে! আর আছে মেরিয়া পুজো। রাজামশাই মাথায় পরবেন ওই মন্দাসুরের মাথার মুকুট আর হাতে থাকবে গদা।
বাড়ি থেকে কন্ধনী দেবীর পাথর রাজামশাই সিংহাসনে চাপিয়ে চতুর্দোলার মতো করে নিয়ে আসবেন।
গাঁয়ের মাঝখানে শিমুল গাছের নীচে কন্ধনী মায়ের পুজো হবে। রাজামশাই বলানি করবেন। মানে মন্ত্রপুতঃ ছাগলের গলায় লাল জবা ফুলের মালা পরান হবে । তারপর ছাগলের দড়ি ধরে রাজামশাই বনের দিকে হাঁটবেন। মাঝে মাঝে ছাগলের কান মুলে দেবেন জোরে। তাতেই ছাগল যত ব্যাঁ ব্যাঁ করবে, তত বলানির গুণ। অশুভ শক্তি গ্রাম ছেড়ে পালাবে।
রাজামশাই বললেন, “ জানি এলেও তো তার একটা খরচা আছে। একটা কালো মুরগি আর এক ভাঁড় কলুঙ্গা। কোথায় যে পাই! জানি সেই মুরগির মাথা হাত দিয়ে ছিঁড়ে পাথরের বাটিতে রাখবে রক্ত। সেই রক্ত দিয়েই সে তন্ত্র করবে। আর চোর ধরবে।”
আমি বললাম, “ ঠিক কথা। রাজামশাই একটা বুদ্ধি এসেছে।”
“ বলো ডাক্তার, বলো।”
“ আপনি ওই মহুয়ার মহাজন পাঁচু প্রধানকে বলেন না কেন! ওর তো অনেক টাকা।”
রাজামশাই বললেন, “ না না, আমি রাজা । আমি প্রজার কাছে হাত পাতব! এটা হয় নাকি!”
আমি বললাম, “ ঠিক, ঠিক। রাজার এমন কার্য মানায় না। কিন্তু আপনি এক ভাঁড় মদ আর একটা মুরগি ধার নিতে পারেন। পরে ফেরত দিলেন।”
রাজামশাই দু’দিকে মাথা নাড়লেন। তারপর হঠাৎ ঝপ্ করে উঠে পড়লেন। বললেন, “ ডাক্তার, মনে হচ্ছে একটা হিল্লে হয়ে যাবে। আজই তো আমার ছোট মেয়ের বাড়িতে যাবার আছে। আমার মেয়ে কদম বার বার যেতে বলেছে। সেখানেই যাই । সেখানে গেলে কিছু তো পাব। তাই দিয়েই জানির রসদ যোগাড় করে ফেলব।”
আমার ডিস্পেন্সারিতে নানা ধরণের লোক আসে। একবার এক কুই কবি এসেছিলেন। তিনি নাকি তখন কানে কম শুনছেন। কিন্তু কানে কম শুনলে তো তাঁর চলবে না। হাটে, বাজারে, ফুলবানির সদরে দু-পাঁচবার ‘কবি’ ডাক শুনতে তিনি অভ্যস্ত। নাকে দুল, কানে দুল তেল চপচপে চুলের কালো মানুষটা আমার দোচালার চেম্বারে এলেন।
আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ ইয়েম্বে সাজিঞ্জু?”
তিনি বেশ সাজগোঁজ করেছেন। সাধারণত গ্রামের কুইরা গায়ে জামা চরায় না। ইনি শুধু জামাই গায় দেননি, পায়ে হাওয়াই চটিও পরেছে্ন। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। এসব দেখে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেই হল, কোথায় যাচ্ছেন।
তিনি বললেন, “ ঝিও ইডু সাজিমাই।”
বুঝলাম মেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ওটুকু বলেই তিনি থামলেন না। উড়িয়া ভাষাতে বলা শুরু করলেন। “ বাস আসতে ঘন্টা খানেক দেরি। তা আমি ভাবলাম ডাক্তারের কাছে এই কানের রোগের ওষুধ করে নিই না কেন!”
“ মেয়ের বাড়ি যাচ্ছেন বলে এত সেজেছেন! খুব ভালো লাগছে আপনাকে।”
লোকটা জামায় আঙুলের টোকা মেরে অদৃশ্য নোংরা হটাতে হটাতে বললেন, “ ভালো লাগছে বলছেন! বেশ। আমার জামাই ছোকরার পছন্দ হলে হয়!”
“ কেন, পছন্দ হবে না কেন?”
“ সে বড় মানুষ। সদরে কাজকর্ম তার। কত ভদ্র মানুষের সঙ্গে মেশে! শ্বশুরের সাজ পোশাক ভালো হলে তবেই তো ভক্তি করে দেয়া-থোয়া করবে ?”
আমি সত্যিই এই ব্যাপারটা জানি না। তার দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকলাম। তিনি আবার বলে চললেন,
“ জামাইবাড়ি তো এমনি এমনি যাচ্ছি না মশাই। পাওনা-গন্ডা আদায় না হলে বাসে চেপে যাবই বা কেন!”
আমার মুখ থেকে বিস্ময় বেরিয়ে এল। “ কেমন, কেমন!”
“ আরে এই তো, বছরে দু’বার যাই। জামাই মাছ-মাংস, আম-আপেল, মহুয়ার রস দিয়ে আপ্যায়ন তো করবেই। আসার সময়, দুটো মোষ কি গরু উপহার হিসেবে দেবে। উপহার না দিলে জামাইয়ের অপমান। ”
আমি বললাম, “ সে কি! এত দেয়-থোয়?”
“ দেবে না! আমার বাড়ি থেকে যে সোমত্ত মেয়েটাকে নিয়ে গেল সে,তার বেলা! তার দাম দেবে না!”
সকালবেলায় যেরকম হইচই শুনে ঘুম ভেঙেছিল, রাতে শোবার সময়ও সেরকম হল্লা শুনে ঘরের বাইরে আসতেই হলো। রাজামশাই সবে মাত্র ফিরেছেন। দুটো বড় বস্তা বাসের কণ্ডাক্টর আর হেল্পার উঠোনে নামিয়ে দিয়ে
চলে গেছে। লম্ফর কাঁপা কাঁপা হলুদ আলোয় একটা বস্তার মুখ খুলেই তো রাজামশায়ের চিৎকার। আর বস্তার ভেতরে থাকা জন্তুটার মুখ থেকে ঠুলি সরিয়ে নিতেই সেও সমান তালে ব্যাঁ ব্যাঁ করছে।
আমাকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে রাজামশাই বললেন, “ দেখেছ ডাক্তার,কী সর্বনেশে কাণ্ড!এই তো সেই ছাগল, যার জন্য জানিকে ডাকতে লোক পাঠিয়েছি। ভাগ্যিস জানি এসে ‘ খাটিয়া চালান’ ওষুধ করেনি! তাহলে কী কেলেঙ্কারিটা না হত! খাটিয়া চোরের বাড়ির সামনে গিয়ে থামত। সঙ্গে গোটা গাঁয়ের লোক!”
আমি চাপা স্বরে বললাম, “ রাজামশাই ছাগল ফিরে পেয়েছেন, খুব আনন্দের কথা। এটা নিয়ে আর হইচই
করছেন কেন!”
“ তুমিও হয়েছ ডাক্তার একখানা কিম্ভূত! আরে বোঝো, এ ছাগল আমারে দিলো কে! না আমার জামাই। করোনার সময় কাজ-কারবার নেই বলে সে চুরি করবে! আর চুরি করবে শ্বশুরের ঘরে! সাঙ্ঘাতিক না! সে জানে তার শ্বশুর রাজা, তবুও ! আর বোঝো সেই চোরাইমাল রাজামশাইকে উপহার দিচ্ছে!”
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment