![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-বাসস্ট্যান্ডে
সর্বজিৎ কর্মকার
অল্পের জন্য বেঁচে
গেছি প্রাণে!
কী মারাত্মক একটা
ফাঁড়া !
ভাগ্গিস আমি লোকনাথ
ভক্ত।
তা না হয়ে ,
কৃষ্ণ ভক্ত হলে
ও ব্যাটা কৃষ্ণ নির্ঘাত
আমায় প্রাণেই মেরে ফেলত!
আর বলোনা,
সে কী ভয়ানক কান্ড!
বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে
আছি, হঠাৎ নজর পড়ল
এক সুন্দরী অষ্টাদশীর
চোখে।
সে ও চেয়ে ছিল এক
দৃষ্টে।
যেন সহস্র যুগ ধরে
ওই চোখদুটো আমার অপেক্ষাতেই পথ চেয়ে ছিল।
আমি ভেসে যাচ্ছিলাম।
মনে হচ্ছিল আমার ভেতর থেকে ও যেনো ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমায়।
আমি বাঁশির সুর শুনতে
পাচ্ছিলাম, সাথে রুনু - ঝুনু
নুপূরের ছন্দ।
আমি ভুলতে বসে ছিলাম
সকল কাজ-বাজ!
অনেক চেষ্টা করছিলাম
নিজেকে আঁটকাতে।
কিন্তু, আরো যেনো বাঁধা পড়ছিলাম মায়া জালে।
গলায় ঝোলানো লোকনাথ
বাবার লকেট ধরে,
মনে মনে বলছিলাম
- এ কী! আমি কি প্রেমে পড়লাম তবে!
এমন সময় হঠাৎ হর্ন
বাজলো বাসের। কন্ডাক্টর শুরু করলো বিকট সুরে চিৎকার - এই গোলাপবাগ - নবাব হাট,
এই ওঠো জলদী।
মেয়েটি উঠে গেল বাসে,
যেতে যেতে ফেলে গেলো একটি
রুমাল, তাতে লেখা - নাম তৃণাঞ্জনা,
সাথে এলোমেলো দশটি সংখ্যা।
অতঃপর, বাসটি ও চলতে শুরু করল নিজ
গন্তব্যে। দেখলাম,
বাসের পেছনে লেখা
প্রেমে পড়ার চাইতে, নর্দমায় পড়া ভালো!
বাসের নাম জয় বাবা লোকনাথ।
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment