1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, September 21, 2025

রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-বাসস্ট্যান্ডে

ছবি : ইন্টারনেট

রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-বাসস্ট্যান্ডে

সর্বজিৎ কর্মকার

অল্পের জন্য বেঁচে গেছি প্রাণে!

কী মারাত্মক একটা ফাঁড়া !

ভাগ্গিস আমি লোকনাথ ভক্ত।

তা না হয়ে , কৃষ্ণ ভক্ত হলে

ও ব্যাটা কৃষ্ণ নির্ঘাত আমায় প্রাণেই মেরে ফেলত!

আর বলোনা, সে কী ভয়ানক কান্ড!

বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ নজর পড়ল

এক সুন্দরী অষ্টাদশীর চোখে।

সে ও চেয়ে ছিল এক দৃষ্টে।

যেন সহস্র যুগ ধরে ওই চোখদুটো আমার অপেক্ষাতেই পথ চেয়ে ছিল।

আমি ভেসে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমার ভেতর থেকে ও যেনো ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমায়।

আমি বাঁশির সুর শুনতে পাচ্ছিলাম, সাথে রুনু - ঝুনু নুপূরের ছন্দ।

আমি ভুলতে বসে ছিলাম সকল কাজ-বাজ!

অনেক চেষ্টা করছিলাম নিজেকে আঁটকাতে।

কিন্তু, আরো যেনো বাঁধা পড়ছিলাম মায়া জালে।

গলায় ঝোলানো লোকনাথ বাবার লকেট ধরে,

মনে মনে বলছিলাম - এ কী! আমি কি প্রেমে পড়লাম তবে!

এমন সময় হঠাৎ হর্ন বাজলো বাসের। কন্ডাক্টর শুরু করলো বিকট সুরে চিৎকার - এই গোলাপবাগ - নবাব হাট, এই ওঠো জলদী।

মেয়েটি উঠে গেল বাসে, যেতে যেতে ফেলে গেলো একটি রুমাল, তাতে লেখা - নাম তৃণাঞ্জনা, সাথে এলোমেলো দশটি সংখ্যা। অতঃপর, বাসটি ও চলতে শুরু করল নিজ গন্তব্যে। দেখলাম,

বাসের পেছনে লেখা প্রেমে পড়ার চাইতে, নর্দমায় পড়া ভালো! বাসের নাম জয় বাবা লোকনাথ।

...(সমাপ্ত)...




No comments:

Post a Comment