![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
ফেরা
গভীর নিশীথ। মৃত্যু নিশীথ। হঠাৎ নূপুরের ঝুমঝুম শব্দ শোনা গেল।
“কে?”
“কাবেরী।”
“তুমি এত রাত্রে?”
“মৃত্যুর পূর্বে একা মানুষকে সঙ্গ দেওয়া কর্তব্য।”
"একদিন তোমার অন্ধ উল্লাস ও আমার একাকীত্ব সমান্তরাল ভাবে বেড়েছিল। সেদিন…..? আজ তুমি ফিরে যাও।”
ঝুম ঝুম নূপুরের শব্দ আবার শূন্যে মিলিয়ে গেল।
নিস্তব্ধ হল কুঠুরি।
“যাক একা হলাম। শান্তি!”,
“খোকা?”
“কে?”
“মা।”
" আমার কবিতা, গান মাতৃগর্ভে বেদনা সঞ্চারের মতো হৃদয়ের ব্যথা মুখ স্পর্শ করার পূর্বেই মারা গেছে। সেই একাকীত্বে তোমার বরাভয় হস্ত ছিল না। আজ আর আমার একা থাকার পুণ্য তিথির পবিত্রতা ভাঙতে চাই না।”
মা চলে গেলেন।
আবার নিস্তব্ধ হল কুঠুরি।
“যাক শেষমেষ এবার তাহলে একা হলাম।”
“ঘুমালে জীবন?”
“কে?”
“সমরেশ।”
“ তোমার মিথ্যে দেশপ্রেমের অন্ধ দোসর হতে চাই না। একদিন তা আমাকে মানুষের সঙ্গ ছাড়া করেছিল। একেবারে একা করেছিল। আজ আর আমি তোমার বন্ধু অভিলাষী নই।”
সমরেশ চলে গেলেন।
“যাক সত্যই একা হলাম।”
কুঠুরির দরজা খোলার শব্দ হল।
“কে?”
“প্রহরী। তোমাকে এবার যেতে হবে।”
প্রহরীর পিছনে
পিছনে জীবন চলেছে বধ্যভূমির দিকে আর ভাবছে, এ তো যাওয়া নয়, ফেরা। নিজের কাছে ফেরা।
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment