...ভাস্বতী মাল
“ গুরু বীনে জগৎ
জানি না”-বৈষ্ণবীর দুচোখে অঝোর বারিধারা…
শ্রোতাদের চোখেও
উপছে পড়ছে আবেগের অশ্রু।এটুকুই তো পাওনা
জীবনের।মন সুধারসে ভড়ে ওঠে, আমবাগানের পথ ধরে
বৈষ্ণবী মাধুকরী শেষে।
সেই ছোট্ট বেলা
থেকে গুরুর চরণে সে সঁপেছে নিজেকে।
“তাঁকে খোঁজ ময়না
তাঁকে খোঁজ দশবছর বয়সে বলেছেন বাবা।গুরুর দেখানো পথে আজো সেই অজানা তাকেই খুঁজে
চলেছে …
আশ্রমের আমগাছের
তলায় দূর থেকেই মানুষটাকে চোখে পড়ে বৈষ্ণবীর। ঝলকে পড়ছে রক্ত।
পরম মমতায় নিজের
ছোট্ট কুঠুরিতে এনে শুশ্রুষার ভাড় নেয় মানুষটার।
আশ্রমের
আকাশে যেন আগাম ঝড়ের পূর্বাভাস।
সন্ধ্যা আহ্নিক
শেষেই গুরু ডাক দেন বৈষ্ণবী কে।
"লোকটার জাতটা জানো?"
"হ্যাঁ
গুরুদেব।"
নিমেষেই মুখের
শান্ত প্রলেপ উড়ে গিয়ে বিদ্বেষের কালো ছায়া খেলা করে গুরুদেবের মুখে।
বজ্র কঠিন
নির্দেশ-"পত্রপাঠ বিদেয় করো বিধার্মিক কে।"
খুঁজে পায় না
উত্তর বৈষ্ণবী মানুষ না জাত কোন শর্তে সে খুঁজে পাবে তার সেই খুঁজে চলা ইশ্বরের
অস্তিত্ব !!!
পথে নামে
বৈষ্ণবীও তার সেই কাঙ্ক্ষিত জনকে আবার নতুন করে খোঁজার আশায়।
পথের মাঝেই আজ
ঘর।কখনো রহিমের ভাঙা ঘরে জোটে একই সানকিতে
মোটা ফ্যান ভাত।কখনো নিজের খই-মুড়ি পথের
ল্যাঙ্কটা ছেলেটার সাথে ভাগ করে খেয়েও কি এক পরম তৃপ্তিতে পেট ভড়ে তার।না
এ জীবনে বৈষ্ণবীর নেই নিয়মের হাজার বেড়াজাল তবু বৈষ্ণবীর
একতারার সুরে আজ বেজে ওঠে কি এক আনন্দময় মিলন সুরের ছড় ….
bhaswatighosh33@gmail.com
No comments:
Post a Comment