1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Saturday, August 1, 2020

হোম কোয়ারেনটাইন

                                                                                     ... ইন্দ্রানি দলপতি 


            সেরে উঠছি আস্তে আস্তে। কতকাল পর ভোর দেখলাম! প্রথমে আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হচ্ছিল খুব। আস্তে আস্তে সয়ে গেল। হালকা একটা ঠান্ডা হাওয়া ছুঁয়ে গেল। গা-টা শিরশির করে উঠল, কাঁটাগুলো সজাগ হল সারা গায়ে। আমি সাহস করে এগিয়ে এলাম ছাদের ধারটায়। খানিকটা ঝুঁকে পড়লাম সামনের দিকটায়। এখান থেকে রাস্তাটা বেশ অনেকখানি দেখা যায়। মানুষগুলোকে বড় ছোটো ছোটো লাগে। একজন ভ্যানে আনাজ সাজিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। দু-একজন লোক ভিড় করেছে সামনেটায়। এখন তো কাছে ঘেঁষা বারণ! কিন্তু ওদের আর কে বোঝায়। একজন মহিলা জোরে চেঁচিয়ে ডাকল তাকে, সবজি কিনল কিছু। লোকদুটো এখনও কিছু কেনেনি, শুধু সবজিগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করছে, ঘেঁটে ফেলছে। বেশ কয়েকবার বিক্রেতাটি এগিয়ে এসে সাজিয়ে রাখলো, এরপর আর সে এগিয়ে এল না। সবজিগুলো নজরে থাকল শুধু। ভ্যানটি নিয়ে এগিয়ে গেল অন্যদিকে। অন্য আর একটি ভ্যান এসে দাঁড়ালো। তাতে রয়েছে হরেকরকমের মাছ। পাশ দিয়ে সাইকেলে একটি ছেলে হাঁকতে হাঁকতে গেল - 'ডিম, মুরগীর ডিম'। এরপর ফলের গাড়ী গেল - মুসুম্বি, কলা, আম। রোদের তাপটা আর সহ্য হল না। নেমে এলাম ধীরে ধীরে। ঘরের ভেতর এসে একটু আরাম পেলুম। ছায়াতে বড় প্রশান্তি।



একলা থাকা আর একা একেবারে আলাদা হয়ে থাকার মধ্যে পার্থক্যটা এই কয়দিনে বেশ বুঝে গেছি। দুটোতেই আমি ভীষণরকম ব্রাত্য, তবে সহানুভূতি ভরপুর। কিন্তু, একলা থাকার চাইতে একা আলাদা হয়ে থাকাতে কেমন একটা মায়া ঘিরে ধরে। বাঁচার প্রতি, জীবনের প্রতি মায়া আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলে। ওষুধের ন্যূনতম ড্রাগগুলো প্রবল নেশার মত কাজ করে, সবকিছুতে আচ্ছন্ন করে রাখে। তন্দ্রা তন্দ্রা ভাব সারাক্ষণ!



ফোনটা বেজে উঠল। দুপুরের খাবারটা অর্ডার করে দিয়েই টিভির রিমোটটা হাতে নিলুম। টিভি অন করেই সোজা খবরের চ্যানেলে চোখ বোলালাম। আজকাল কোথাও আশার আলো দেখা যায় না। সারাক্ষণ আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তা। খবরের কাগজে বড় বড় হরফে ছাপা থাকে হতাশা। চ্যানেলের হেডলাইনগুলোও রেহাই পায় না। দূর! দূর! আর ভালো লাগলো না। টিভিটা বন্ধ করে দিলাম। গিজারটা অন করে দিলাম কিছুক্ষণের জন্য। মনে আছে, একসময় গরম জলে চান করাটা ভীষণরকম বিলাসিতা লাগতো, আর এখন প্রয়োজনীয়তা। চান করে বেরিয়ে ঠাকুর প্রণাম, কিছু চাইনা আর, হাতজোড় করে দাঁড়ানোটা অভ্যাস হয়ে গেছে। বেলটা বেজে উঠলো, খাবার দিতে এলো বোধহয়। খাবারটা খেয়ে নিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে ডায়রিটা খুললাম। আজ আর লিখবো না, পড়ব। যে দিনগুলো কাটিয়ে এলাম, সেই দিনগুলোর কথা…



১ম দিনঃ



সত্যিটা মানতে বরাবরই খুব কষ্ট হয়। আমিও ব্যতিক্রম নই। তবু কিছুটা চাপে পড়েই টেস্ট করাতে যেতে হল। জ্বরটা কিছুতেই কমছে না। ডাক্তার সন্দেহ করছে। তার সন্দেহ আর রিমির টেনশন দূর করার জন্য হসপিটালে এলাম। এসে দেখি লম্বা লাইন। গোল দাগের ভেতর দাঁড়িয়ে আছি। রিমিকে কাছে আসতে দিইনা অনেকদিন হল, দূরে দাঁড়িয়েই তাকিয়ে আছে আমার দিকে। প্রায় অনেকদিন বাদে বুকের বাঁদিকে আবারও মোচড় দিয়ে উঠলো। মায়া লাগলো মেয়েটার জন্য। ইচ্ছে হল, মাথায় হাত বুলিয়ে বলি – ভয় পাসনা মা, তোর বাবা একদম ঠিক আছে। বেশ কিছু প্রশ্ন-উত্তরের পর টেস্ট করানোর সাজেশন দেওয়া হল আমায়। আপাদমস্তক সুরক্ষাবরণে ঢাকা দুইজন মানুষ এগিয়ে এলো। প্রথমে অভয় দিল, তারপর লালারস সংগ্রহ করলো। শেষে বলল আলাদা হয়ে থাকার কথা। আমি হেসে ধন্যবাদ দিয়ে বেরিয়ে এলাম।



২য় দিনঃ



রিমি এই বাড়ীতে আসেনা, তা প্রায় পাঁচ বছর হতে গেল। শেষবার এসেছিল ওর মাকে শেষ দেখাটুকু দেখতে। মায়ের আদরের মেয়ে ছিল। মা নেই, আর টানও নেই এই বাড়ির প্রতি। তবে ইদানীং বোধহয় সমীকরণটা একটু পালটাচ্ছে। এর মধ্যেই সকাল থেকে চারবার ফোন করা হয়ে গেছে, সময় এক মিনিটেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে! একেবারে ঘরবন্দী হয়ে কখনো থাকিনি, তাই একটু অসুবিধা হচ্ছে বটে। তবে রিমির কড়া শাসন মানতে এই মুহূর্তে আমি বাধ্য।



৩য় দিনঃ



রিমির সাথে কথা হল এতক্ষণ। বলছিল অনলাইন ক্লাসের চাপ বড্ড। আমি তো ছাই কিছুই বুঝলাম না! সত্যিই আমি পুরনো দিনের মানুষ হয়েই রয়ে গেলাম, রিমির মা ঠিকই বলতো। মানুষ থাকতে তাদের বলা কথাগুলো আমরা শুনেও শুনিনা। এইজন্য হয়তো কাছের মানুষের অনুপস্থিতি এত বেশী বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। আঃ, মাথাটা আবার যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে! আর লিখতে পারছি না। পরে আর মনেও থাকবে না, এত কথা একসাথে এসে জড়ো হয়েছে যে……



৪র্থ দিনঃ



রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। রিমিকে জানালাম খবরটা। রিমির গলাটা একটু কেঁপে গেছিল মনে হল। মেয়েটা একদম ওর মায়ের মতোই হয়েছে, বড্ড চাপা। গতকাল একটা হোম ডেলিভারী ঠিক করে দিয়েছে। বাড়িতে খাবারটা সময়মতো পৌঁছে যাবে। ব্যাস, আর কোন চিন্তা নেই!



৫ম দিনঃ



গতকাল রিমি এসেছিল। নীচে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, আমি ওপরে জানলার ধারে। ফোনে ফোনে কথা হল। কিছু ফল কিনে দিয়ে গেল, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ, তার সাথে একটা ইলেক্ট্রিক কেটলি দিয়ে গেছে। ফোনে চোখ পাকিয়ে বকলাম – “এসব পাকামোর কোনো দরকার ছিল না”। তাকিয়ে দেখলাম, রিমি আরও বড় করে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি বাচ্ছা ছেলের মতো দাঁত বার করে হেসে ফেললাম। যাবার সময় টাটা করে গেল, অনেক বছর পর…… সমীকরণ পাল্টাচ্ছে, টের পেলাম।



৬ষ্ঠ দিনঃ



ঘুমটা আজ একটু দেরী করেই ভেঙেছিল। ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম ছ’টা মিসড্ কল। তড়িঘড়ি ফোন করলাম। ওপাশে উত্কণ্ঠার আভাস পাওয়া গেল। আস্তে আস্তে বললাম – “ভয় পাস না, বাবা একদম ঠিক আছে”। ফোনটা কেটে গেল। মা থাকলে এতক্ষণে মায়ের কোলে মুখ গুঁজে কাঁদত। আচ্ছা, রিমি তো এখন একা আছে, এখন তাহলে কার কাছে…… অস্থির লাগতে আরম্ভ হল খুব। ‘একটা মানুষ পাশে থাকা কেন প্রয়োজন? বুঝতে পারছো তো অমলেশ?’ - বার বার প্রশ্নটা কানের পাশে ঘোরাফেরা করতে লাগলো। আমি বাধ্য ছাত্রের মতো উত্তর দিলাম একসময় – “পারছি, বুঝতে পারছি”।



৭ম দিনঃ



শরীরের জটিলতাগুলো এখন আর আগের মত নেই। অনেকটা ভালো আছি আগের থেকে। রিমিও খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়েছে। তবু তার কড়া শাসন অব্যাহত। আর আমিও কেমন তার বাধ্য হয়ে পড়েছি। আজ বেশী কথা হয়নি ওর সাথে। কথা বলতে ইচ্ছে করছে খুব। রিমিরও হয়তো এরকমই ইচ্ছে হত। ছোটবেলায় দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকত। আমি অফিসের কাজে সারাক্ষণ ফাইলে মুখ গুঁজে পড়ে থাকতাম, বাড়ি ফিরেও। রিমি ফিরে যেত একসময় ওর মায়ের কাছে। মায়ের কোলে মুখ গুঁজে কাঁদত। আস্তে আস্তে মায়ের সাথে মাকে জুড়েই ওর একার জগত তৈরি করে নিল। আমি সেদিকে কর্ণপাতও করলাম না কোনোদিন। ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ল। আমি আমার একার জগতে আরও বেশী করে ডুবে গেলাম। মেয়ে বড় হল, আরও পর করে দিলাম। বাবা কে তার কেনই বা প্রয়োজন হবে! একসময় হাতখরচাও আর নিল না। সেই প্রথম ধাক্কা লাগল। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। এতকিছুর মাঝে রিমির মা চলে গেলেন। রিমিও আর ফিরত না। রয়ে গেল হোস্টেলেই, বলল, স্কুলটা নাকি ওখান থেকে কাছে হয়। আমি বাঁকা হাসি হেসেছিলাম, ভেবেছিলাম অজুহাত দিচ্ছে। আজ একটা আঁকার খাতা পেলাম, রিমির ছোটবেলার। প্রথম পাতায় সদ্য শেখা কাঁচা হাতের আঁকা, ওপরে নাম লেখা – মা, আমি, বাবা। রিমিকে কাছে আসতে দিইনা অনেকদিন হল!



৮ম দিনঃ



আজ বেশ সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেছিল। অনেকটা ফ্রেশ লাগছে। তবে মনটা ভালো নেই মোটেই। একা লাগছে খুব। না, ঠিক একা নয়। কথা বলতে ইচ্ছে করছে খুব। এই কদিনে একটা পরিবর্তন এসেছে, বেশ বুঝতে পারছি সেটা। আর শুধু বই পড়ে সময় কাটাতে ভালো লাগেনা। কথা বলতে ইচ্ছে করে খুব। রিমির সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে। কাল রাতে যখন ফোন করেছিল গলাটা খুব ক্লান্ত শোনাচ্ছিল। এখনও বোধহয় ঘুমাচ্ছে মেয়েটা। ভাগ্যিস ওর বাবার মত হয়নি! কাজের ফাঁকে ঠিক সময় বের করে নেয়……



৯ম দিনঃ



এখন প্রায় মাঝরাত। এত রাত পর্যন্ত জেগে থাকি না সাধারণত। আজ ঘুমটা আসছে না। “পদ্মা নদীর মাঝি” পড়ছিলাম। ‘কুবের’ চরিত্রখানি আমার বড্ড প্রিয়। এরকম উদার, বিস্তৃত হৃদয়ের মাঝিই বোধহয় একমাত্র পদ্মা নদীর বুকে বাস করার অধিকারী। এই চরিত্র বার বার আমার মনের জোর যোগায়। সব হারিয়েও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। ইদানীং আমিও দেখছি, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন!



১০ম দিনঃ



অনেকদিন পর রিমির সাথে অনেকটা সময় ধরে কথা হল। রিমিকে আজ ক্লান্ত লাগেনি। রিমি জানালো হোস্টেলটা ছেড়ে দেবে। কিন্তু তারপর কোথায় গিয়ে থাকবে সেটা বলল না। জিজ্ঞেস করায় এড়িয়ে গেল। এখনও আপন হয়ে ওঠা হল না আমার। মনে হল রিমি সেই দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে অপেক্ষায়, আর আমি ব্যর্থ হচ্ছি বারবার। ওর মায়ের ছবিটাকে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করছে খুব।



১১তম দিনঃ



আজকাল অনেক হালকা লাগে। বয়সের ভারে আর ক্লান্ত হয়ে পড়িনা। যত ভার ছিল মনে। আর সেটাই হালকা হয়ে গেছে। আজ অনেকদিন পর সব ঘরগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম ঘরের প্রতিটা কোণ। সমস্ত চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা সারা হয়ে গেছে। এই বাড়ীটাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। রিমির মা ঠিকই বলত, ভীষণ অগোছালো আমি।



১২তম দিনঃ



রিমিকে আজ আমিই ফোন করেছিলাম, নিজে। অন্য কোনো কথায় না গিয়ে সোজা আদেশ করেছি, বলেছি নিজের বাড়িতে ফিরতে। রিমি অকপটে কারণ জিজ্ঞাসা করলো। এই প্রথম মনে হল, সাবাশ! একেবারে বাপ কি বেটি! উত্তরে বললাম, “তোমার বাবা চায়, তাই তুমি ফিরবে”। ছোটোখাটো একটা ঝগড়া হয়ে গেল। বুড়ো হয়েছি, আমি কি আর মেয়ের সাথে পারি!



১৩তম দিনঃ



রিমি এখনও ওর সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই অপেক্ষাটা আমার প্রাপ্য। যে সময়টা বয়ে যায়, তাকে আর সম্পূর্ণ আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু সময় থাকতে থাকতে ভুলগুলো শুধরে নিলে হয়তো একটা ‘Happy ending’ সম্ভব। ধীরে ধীরে যে মায়াটা আঁকড়ে ধরেছে আমায়, জীবনের নেশা ধরিয়েছে, বড় ভালো লাগছে এই নেশায় ডুবে থাকতে, বুঁদ হয়ে যেতে। কিছু সহানুভুতিতে যে শাসন মিশে থাকে, এটা বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে গেল আমার। সব অসুখ বোধহয় ভেঙে দেয়না, গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। আমরা নিজেরাই নিজেদের জন্য ক্ষতিকারক, ক্ষতিসাধন করে থাকি। ভাইরাস তো দুদিনের জন্য!



১৪তম দিনঃ



আজ আবার টেস্ট করাতে গেছিলাম। রিমি ছিল পাশে। ডাক্তারবাবু ভালো খবরের আভাস দিয়েছেন। পুরো রাস্তায় রিমি একটাও কথা বলেনি। এখনও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হয়েছে। বাড়ী ছেড়ে যাওয়ার আগে জানালো সে ফিরে আসছে। যাক বাবা, এতদিনের দূরত্ব ঘুচল তবে। আজ দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। রিমির মায়ের ছবিটার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম - “শিখেছি, বুঝলে গিন্নি, আমি ভালো থাকতে শিখে গিয়েছি”।



১৭তম দিনঃ



প্রায় দুদিন পর ডাক্তারবাবু ফোন করে জানালেন আর কোনো ভয়ের কারণ নেই। সব ঝড় থেমে গেছে। এই দুদিনে একটুও সময় নষ্ট করিনি। মোটামুটি একটা গোছগাছ করার পর বাড়ীটা খানিকটা বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। খুব ক্লান্ত আজ। আজ এইটুকুই……





অমলেশবাবু সেরে উঠেছেন। আজ ভোরে ছাদে গিয়েছিলেন, অনেকদিন পর। সব টবগুলোকে আগের জায়গায় সাজিয়ে এলেন। রিমি ফুলের বাগান বড্ড ভালবাসে। রিমিও ফিরবে কিছুদিন পরেই। তারপর দুজনে মিলে একসাথে ফুলের বাগান গড়ে তুলবেন, এমনটাই পরিকল্পনা করে রেখেছে বাবা-মেয়েতে। সব ঝড় থেমে গেছে। ছায়ায় বড় প্রশান্তি অনুভব করলেন অমলেশবাবু।

nayonika3@gmail.com
কলকাতা 


4 comments: