1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Saturday, August 1, 2020

এসো গল্প করি


...তপন  তরফদার



               মি সবার সঙ্গেই  গল্প করি   গল্পের এখন অনেক ধারা  উপধারা গল্পগুজবের   এখন অনেক বিষয়কখন কি কোন আঙ্গিকে গল্পকথনের মাঠে নামাতে হবে তার সমক্য  ধ্যনধ্যারনা  আমার জলের মত পরিস্কারক্যালেন্ডারের পাতা বলছে মধুমাসঅথচ নেই সেই দখিনা বাতাসসবুজ পৃথিবীকে ধ্বংস করায়  প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে করোনা ভাইরাস মানব সভ্যতাকে টলিয়ে দিয়েছেইতিহাস বলে, এক একটা মহামারি  মানুষকে  বুঝিয়ে দেয় এই মহাজাগতিক প্রকৃতির কাছে তারা কত অসহায় সেবারও প্লেগ মহামারি শুরু  হয়েছিল চিনের ইউনান প্রদেশ থেকেইছড়িয়ে পড়লো গুয়াংডং,গুয়াংসি থেকে ক্যান্টন হয়ে হংকং,চিনা কলোনিদুমাসের মধ্যে মারা গেল দেড় লক্ষ লোকহংকং থেকে জলপথে প্লেগ ঢুকলো  বোম্বাই শহরে, পুণেতে১৮৯৬সালে মহামারিকে রুখতে ইংরেজ  সরকার শুরু  করলো কোয়ারান্টিন কোয়ারান্টিন নিয়ে তখনও এখানকার মত ঝামেলা হয়ে ছিলউচচবংশের মানুষরা নিন্মজাতের লোকজনদের সঙ্গে থাকবেনা প্লেগতো উচ্চ-নিন্ম জাত চেনেনাসে সংক্রমণ ছড়ায় রক্ত মাংসের মানুষের দেহেপ্লেগের মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া সরকারকে কঠোর হতে নির্দেশ দেন১৮৯৭সালের ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে কলকাতায় ইংরেজ সরকার পেশ করে লাগু হয় এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্টযাকে বলা হয় মহামারী আইন ওই মান্ধাতা আমলের আইন আবার  জেগে উঠেছে করোনা কে রুখতে এখোন এই বিষয় নিয়ে সবার সঙ্গে গল্প করা যাবে কিনা একটু ভেবে নিতে হবে এখন  টিভি দেখে দেখে গল্পেতে আর  মন ভরেনা ওরা গিলতে চায় কেচ্ছা আমি  পিঁয়াজের খোষা ছাড়াবার মত  পরতে পরতে কথা এগোবো যত এগাবে পিঁয়াজের মত ঝাঁজ বাড়বেসবার আগে আমার সঙ্গে আমাকেই বুঝে নিতে হবে আমর ক্ষমতা, এক্তিয়ার
         অধমের পরিচয় না দিলে,কার কার সঙ্গে গল্পকথন, পরিস্কার না করলে গল্পগুজব জমবেনাআমার নাম রাধাকান্ত বাঁকুড়া  জেলার বড়জোড়া থানার শীতলা গ্রামে নিবাস আমার প্রপিতামহের নাম রাধাচরণরাধাচরণের  জমিদারি ছিল না কিন্তু প্রচুর জমি ছিলএই জমি কি ভাবে হস্তগত করেছিল তা যে কোন রহস্য গল্পকে ম্লান করে দেয়রাধাচরণ  বংশপরম্পরায় রাধা-কৃষ্ণর ভক্ত হয়েও সদরের গির্জার ফাদার ডেভিডসনের সংস্পর্শে জানতে পারতো অনেক  অনেক নতুন কথানতুন চমকপ্রদ ঘটনা
           বাপের বাড়ি যশোর থেকে সবে ঘুরে এসেছে গ্রামের বধু হরিমতিবধূর চার বছরের মেয়ের বমি সহ পেটের রোগের জন্য ব্যবহার করা কাপড় চোপড় লালদিঘিতে কাচছে রাধাচরণের নজরে কাকতলীয় ভাবে চলে আসেখোঁজ খবর নিয়ে  বুঝতে পারে  শিশুটির কলেরা হয়েছেবধূ এই দিঘির জলকে নিশ্চয়ই দূষিত করে দিয়েছেউনি ফাদারের কাছে শুনে ছিলেন লন্ডনের ডাক্তার জন স্নো ১৮৫৪সালের আগষ্ট মাসে  দেখেন এক বিশেষ এলাকার লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেতখন মনে করা হত দূষিত বাতাসে কলেরার জীবাণু  সংক্রামিত হয়ডাক্তারবাবু অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, কলেরা ছড়িয়ে পড়ার পিছনে আছে  দূষিত জলের ব্যবহার প্রথম প্রথম  ডাক্তারের কথায় কেউ  মান্যতা দেয়নিপরে অবশ্য ডাক্তারের কথাই সঠিক প্রমাণিত হয়রাধাচরন সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির  সবাইকে নির্দেশ দেয় ওই দিঘির জল ভালো করে ফুটিয়ে ব্যবহার করবেফুটান জলের কথা কাউকে বলোনা কয়েকদিন বাদেই গ্রামে হুলুস্থুল কান্ডপ্রায় প্রতিটি ঘরেই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করছেগ্রামবাসীদের কানে কানে কথাটি ছড়িয়ে পড়লো -“ওলাউঠা দেবী এই গ্রামের প্রতি রুষ্ট হয়েছেনসবাইকেই মরতেই হবে
               মানুষ বাঁচতে চায়বাঁচার জন্য সবকিছুই করতে চায়যেন তেন প্রকারে বাঁচতে হবেএখানকার দূষিত বাতাসে  নিশ্বাসের জন্যই মৃত্যুগ্রামের প্রায় সবাই পালাতে চায়অনেকেই জমিজিরাত বিক্রি করে চলে যেতে চায়রাধাচরণ বলে আমার ইচ্ছে থাকলেও ভিটে ছাড়তে পারবোনা।।আমাদের পূর্ব পুরুষের  প্রতিষ্ঠিত  রাধা-শ্যামের মন্দির ছেড়ে যেতে পারবোনাজলের দরে অনেকেই সম্পত্তি বিক্রি করে দেয় আমার  প্রপিতামহ রাধাচরণ কিনে নেয়অর্থবিদ্যা বলে টাকা টাকাকে ধরে আনে অর্থাৎ,পকেটের টাকাই অন্য টাকাদের আকর্ষণ করে ওই পকেটে  ঢোকানোর ব্যবস্থা সুগম করে দেয় ক্ষেত্রেও  তার ব্যতিক্রম হয়নিরাধাচরনের  ছেলে, রাধানাথ আমার দাদুরাধানাথের দুই ছেলে, রাধাবল্লভ রাধামাধবরাধাবল্লভ বড় ছেলে, আমার বাবারাধামাধব ছোট ছেলেরাধামাধব নিজস্ব কিছু  কৃতকর্ম জন্য গ্রামে থাকতে পারেনি
        রাধামাধব বাগদি পাড়ার ডানাকাটা পরি ময়নামতিকে মন-প্রাণ সঁপে দেয়লায়লা মজনুর প্রেমকাহীনিও এদের প্রেমগাথার কাছে মলিন হয়েছিল ময়নাকে বিয়ে করে আমি স্বেচ্ছায় ভট্টাচার্য পরিবার থেকে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে আমি গৃহত্যাগী হলাম মানুষ ভাবে এক আর হয় অন্য একঅধিকাংশ রূপবতী মেয়েরা সুখী  হতে পারেনাইতিহাস বলছে হয় নিজের  প্রিয়জন রূপবতীদের চলাফেরায় সন্দেহ করে, নয়ত অন্য পুরুষরা ওদেরকে ফাঁদে ফেলতে  ফন্দিফিকির খোঁজেপৃথিবীতে কত যুদ্ধ বেধেছে ঔই সুন্দরীদের দখলের জন্য সিনেমার নায়িকা হয়ে রাধামাধবের ধারে কাছে ঘেঁষে না ময়নামতি ওরফে অপ্সরা মেনকাকিছু  দিন বাদে রাধামাধবের দেহ গঙ্গার জলে ভাসতে দেখা যায়
        আমি  রাধাকান্ত কিশোর বয়সে প্রেমে পরে যাইআমাদের কাজের মাসি শিউলির মেয়ে রেণুর সঙ্গেমায়ের  নজরে পরে যায়মা মাথায় হত দিয়ে বলে বল, ওই মেয়েকে বিয়ে করবিনাআমি  মাথার হাতটা সরাবার চেষ্টা করিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে আমি  আত্মঘাতী হবসবাইকে বলে যাব কি কারণে গলায় দড়ি দিলামমাকে কথা দিয়েও গোপনে রেণুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলাম রেণু খুবই বুঝদার মেয়েযুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে  চলতে জানেমাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিল
             আমার  মা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনিঘি আর আগুন একসাথে হলে পরিণতি কি হয় সবাই জানেগোদের উপর বিষফোঁড়া এই পরিবারের ওই ঘটনার কথা সবাই জানেমা শিউলি মাসিকে একান্তে কি বললো কেউই জানতে পারলোনাফাগুনের প্রথম বিয়ের তারিখেই পাশের গ্রামে কেশবপুরের মোহনের সঙ্গে রেণুর বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেল
      বিয়ের দুদিন আগে রেণু  লুকিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করে যে কথা বলে অবাক হয়ে যাই দিদিমণিদের মত আর্দশের কথা- “রাধাকান্তদা বিয়ে না করে ও ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা যায়আমি তোমার,চিরদিনের, জীবনে আমার মন প্রাণ তোমারই থাকবেো দেহকে পাবেনাদেহজ প্রেম  প্রেম নয়,কামের বহিঃপ্রকাশখাঁটি প্রেম প্রাণে।“
       রেণুর বিয়েতে পিঁড়ি ধরে বিয়ের আসরে আনলাম শুভদৃষ্টির জন্যকে কি ভাবলো আমি বলতে পারবোনারেণুর মুখ দেখে আমার কষ্ট লাগছিলকনে বিদায়ের    সময়েই মোহনের বাড়িতে  খবর এলো আর্মি থেকে কালই কাজে যোগ দিতে হবেসেনাবাহিনীর জরুরি প্রয়োজনমোহনের ফুলশয্যা হল না
       রেণুর বিয়ে হয়ে গেল আমার পড়াশোনা ও ডকে উঠে গেল।। রেণুর কথাটাই কানে বাজে, বই খুললেই পাতায় রেণুর ছবি ভেসে ওঠেকলেজের গণ্ডী পেরোতে পারলাম নাবাবা বাড়ির লাগোয়া জমিতে এক মনোহারি দোকান খুলে বলে -পড়াশোনা তোমার দ্বারা হবেনাএই দোকানে বসে পেটের ভাত যোগাড় করোরেণুর পোড়া কপাল হুলুস্থুল পরে গেল ব্রেকিং নিউজে টিভিতে দেখাতে লাগল বাঁকুড়া জেলার মোহন জঙ্গীদের গুলিতে মারা গেছে রেণু বিধবা হয়ে ঘরে ফিরে  আসলো
         সময় তার নিজের গতিতে এগিয়ে চলে, ওকে কেউই জমাতে পারেনা সময় কিন্তু সময়কে গিলে নেয়মা এখন আমার বিয়ে নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেআমি বলি আমি বিয়ে করবনামা বুঝতে পারে  কিন্তু  প্রকাশ করেনারেণুযে বিধবা তা ওর সাজ পোশাক দেখে বোঝা যায় নাএখন শহরের মেয়েদের মত এখানকার মেয়েরা ও ওই জিন্সের প্যান্ট ক্যাপ্রি পরেরেণু  মার্জিত সালোয়ার কামিজ, শাড়ি পরেআমার দোকানে এসে বলে  এসোনা গল্প করি লোক-লজ্জার ভয় করেনা এখন হালকা বেগুনি রংএর শাড়ি পরে প্রায়ই গ্রামে যায়ওর মুখ থেকেই  জানতে পারলাম ও আশাকর্মী হয়েছেগ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করেসেদিন বুধবার বেশ ক্লান্ত পায়ে আমার দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেওর যৌবন প্রস্ফুটিত পদ্মকোরক হওয়া সত্বেও জীবন শুষ্ক মরুভূমিঘন বর্ষার জলভরা মেঘের ছায়া নেইজোৎস্নার পুলকিত যামিনীর চন্দ্রাতপ নেই জীবনের নিষ্ঠুর বন্ধন সহ্য করতে হচ্ছে
        অমিই ডাকলাম –“এসো না গল্প করি।“ওর এলোমেলো কুচো চুলগুলো মুখে লেপটে আছে হলুদ তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখের ঘাম মুছে টুলে বসলো আমি আমার কর্মচারীকে বললাম রেণুকে একটা কেক দে, ঘর থেকে দুকাপ চা নিয়ে আয়মা এখন জানে রেণুর সঙ্গে গল্প করি,কিছু বলেনা
      রেণুই বললো আমাদের আজ ট্রেনিং ছিলএক মহামারী সারা পৃথিবীকে তছনছ করে দেবেএকশো বছর পর পর এরকম ভাইরাস দেখা যায়১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালে হয়েছিল  স্প্যানিশ ফ্লুবিশ্বের পাঁচ কোটি লোক মারা যায়ভারতবর্ষে প্রায় দুকোটি কিছু  মানুষ কিছুতেই  সাবধানতা নেয়নাআলবেয়ার কামু তার দি প্লেগ উপন্যাসে লিখেছেন -অনেকেই আশা করছিল  যে মহামারি চলে যাবে তারা, তাদের পরিবারের কোন ক্ষতি হবে নাতারা নিজেদের না শুধরে গোটা সমাজের বিপদ ডেকে এনেছিলফেসমাস্ক পরবেনা বলে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল ১৯১৮ সালে আমেরিকায় ফেসমাস্ক পুড়িয়ে ফেলে১৮৬৭ সালে এখানে কলেরা মহামারি বৃটিশ সরকার  পুরীর রথ যাত্রায় যেতে বারণ করার ফলে দাঙ্গা লেগে যায়কিছু মানুষ আছে তারা সবসময় মনে করে নিজের কিছুই হবেনাসমাজের ক্ষতি হলে ওদের কিছুই যায় আসেনারেণু  উঠতে উঠতে বলে, রাধুদা তুমি কিন্তু  সাবধানে থেকোএই সময়েই এক ভদ্রলোক  ষোলো-আনা চানাচুর কিনে মানিব্যাগ খুলেই কাশতে লাগলরেণু  সঙ্গে সঙ্গে রুমাল দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে কয়েক পা পিছিয়ে যায়লোকটা চলে গেলে  রেণু  কাছে এসে প্রশ্ন করে লোকটা কেআমি বললাম পঞ্চায়েত প্রধানের জামাইবাবাদিল্লী থেকে এসেছেরেণু  বলে সর্বনাশ  উনার কোয়ারান্টিনে থাকা উচিত।। এইভাবে ঘুরে বেড়ানো অন্যায়কবে যে এরা বুঝবে আমি  বললাম  কোয়ারান্টিন কিরেণু শিক্ষিকার সুরে বললো, সিল্ক রুট ধরেই ১৩৪০ সালে মধ্য এশিয়া থেকে ক্রমিয়া হয়ে ইউরোপে হাজির হল,বিউবোনিক প্লেগব্ল্যাক ডেথ১৩৭৩ সালে ভেনিসের শহর কর্তৃপক্ষ ঠিক করে জাহাজে প্লেগে আক্রান্ত সন্দেহ হলেই চল্লিশ দিন একটা দ্বীপে নির্বাসনে থাকতে হবেইতালির ভাষায় চল্লিশ হল কোয়ারাস্তা”-কোয়ারাস্তিনারো থেকে ইংরাজিতে হল কোয়ারান্টিন
             চারদিনের পর থেকেই আমার জ্বর সঙ্গে খটমট কাশিরেণু  আমাকে জোর করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লালারস জমা দিলদুদিন বাদে জানা গেল আমি করোনায় আক্রান্তরেণু  মাকে বললো মাসিমা ভয় পাবেননা আমি,উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে  রেখেই ট্রিটমেন্ট করবোকেউ রাজী নয়আমি জিদ ধরে বললাম, রেণু  যা করবে তাই হবেমা আর বাধা না দিয়ে  রাধাকৃষ্ণর মন্দিরে মাথা ঠুকে মানত করলো
           রেণু দিনরাত এক করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ-পথ্য দিয়ে সেবা করে সুস্থ করেরেণু আজকে সদরে গেছে রিপোর্ট আনতেতার আগেই পঞ্চায়েতে ফোন আসে রাধাকান্ত করোনা মুক্তগ্রাম প্রধানের জামাইবাবার অবস্থা সংকটজনক
         রেণু রিপোর্ট নিয়ে বাস থেকে নেমে প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে আসছেআমার মা ঘরের দরজা আগলে রেখে বলে,না তুমি  ঘরে ঢুকবে নাসবাই অবাকআমি মায়ের দিকে এগোতে গেলে মা এক হাতে আমাকে অন্য হাতে রেণুকে টানতে টানতে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বলে রেণুর মাথায়  সিঁদুর পরিয়ে আমার লক্ষীকে আমাদের ঘরে তোল
tapan.tarafdar@gmail.com
আইআইটি ,খড়্গপুর

No comments:

Post a Comment