...তপন তরফদার
আমি সবার সঙ্গেই গল্প করি। গল্পের এখন
অনেক ধারা উপধারা। গল্পগুজবের ও এখন
অনেক বিষয়। কখন কি কোন
আঙ্গিকে গল্পকথনের মাঠে নামাতে হবে তার সমক্য ধ্যনধ্যারনা আমার জলের
মত পরিস্কার। ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে মধুমাস। অথচ
নেই সেই দখিনা
বাতাস। সবুজ পৃথিবীকে ধ্বংস করায় প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। করোনা ভাইরাস মানব সভ্যতাকে টলিয়ে দিয়েছে। ইতিহাস বলে, এক একটা মহামারি মানুষকে বুঝিয়ে দেয় এই মহাজাগতিক প্রকৃতির কাছে তারা কত অসহায়। সেবারও প্লেগ মহামারি শুরু হয়েছিল
চিনের ইউনান প্রদেশ থেকেই। ছড়িয়ে পড়লো গুয়াংডং,গুয়াংসি থেকে ক্যান্টন হয়ে হংকং,চিনা কলোনি। দুমাসের মধ্যে মারা গেল দেড় লক্ষ লোক। হংকং থেকে জলপথে প্লেগ ঢুকলো বোম্বাই শহরে, পুণেতে। ১৮৯৬সালে মহামারিকে রুখতে ইংরেজ সরকার শুরু করলো “কোয়ারান্টিন”। কোয়ারান্টিন নিয়ে তখনও এখানকার মত ঝামেলা হয়ে ছিল। উচচবংশের মানুষরা নিন্মজাতের লোকজনদের সঙ্গে থাকবেনা। প্লেগতো উচ্চ-নিন্ম জাত চেনেনা। সে সংক্রমণ ছড়ায় রক্ত মাংসের মানুষের দেহে। প্লেগের মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া সরকারকে কঠোর হতে নির্দেশ দেন। ১৮৯৭সালের ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে কলকাতায় ইংরেজ সরকার পেশ করে। লাগু হয় ‘এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট’ যাকে বলা হয় মহামারী আইন। ওই মান্ধাতা আমলের আইন আবার জেগে উঠেছে করোনা কে রুখতে। এখোন এই বিষয় নিয়ে সবার সঙ্গে গল্প করা যাবে কিনা একটু ভেবে নিতে হবে। এখন টিভি দেখে দেখে গল্পেতে আর মন ভরেনা ওরা গিলতে চায় কেচ্ছা। আমি পিঁয়াজের খোষা ছাড়াবার মত পরতে পরতে কথা এগোবো। যত এগাবে পিঁয়াজের মত ঝাঁজ ও বাড়বে। সবার আগে আমার সঙ্গে আমাকেই বুঝে
নিতে হবে আমর ক্ষমতা, এক্তিয়ার।
অধমের পরিচয় না দিলে,কার কার সঙ্গে গল্পকথন, পরিস্কার না করলে গল্পগুজব জমবেনা। আমার নাম রাধাকান্ত। বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার শীতলা গ্রামে নিবাস। আমার প্রপিতামহের নাম রাধাচরণ। রাধাচরণের জমিদারি ছিল না কিন্তু প্রচুর জমি ছিল। এই জমি কি ভাবে হস্তগত করেছিল তা যে কোন রহস্য গল্পকে ম্লান করে দেয়। রাধাচরণ বংশপরম্পরায় রাধা-কৃষ্ণর ভক্ত হয়েও সদরের গির্জার ফাদার ডেভিডসনের সংস্পর্শে জানতে পারতো অনেক অনেক নতুন কথা। নতুন চমকপ্রদ ঘটনা।
বাপের বাড়ি যশোর থেকে সবে ঘুরে এসেছে গ্রামের বধু হরিমতি। বধূর
চার বছরের মেয়ের বমি সহ পেটের রোগের জন্য ব্যবহার করা কাপড়
চোপড় লালদিঘিতে কাচছে। রাধাচরণের নজরে কাকতলীয় ভাবে চলে আসে। খোঁজ খবর নিয়ে বুঝতে
পারে শিশুটির কলেরা হয়েছে। বধূ এই দিঘির জলকে নিশ্চয়ই দূষিত করে দিয়েছে। উনি ফাদারের কাছে শুনে ছিলেন লন্ডনের
ডাক্তার জন স্নো ১৮৫৪সালের আগষ্ট মাসে দেখেন এক বিশেষ এলাকার লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। তখন মনে করা হত দূষিত বাতাসে কলেরার জীবাণু সংক্রামিত হয়। ডাক্তারবাবু অনুসন্ধান
করে জানতে পারেন, কলেরা ছড়িয়ে পড়ার পিছনে আছে দূষিত জলের ব্যবহার। প্রথম প্রথম ডাক্তারের কথায় কেউ মান্যতা দেয়নি। পরে অবশ্য ডাক্তারের কথাই সঠিক প্রমাণিত হয়। রাধাচরন সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবাইকে নির্দেশ দেয় ওই দিঘির জল ভালো
করে ফুটিয়ে ব্যবহার করবে। ফুটান জলের কথা কাউকে বলোনা। কয়েকদিন বাদেই গ্রামে হুলুস্থুল কান্ড। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করছে। গ্রামবাসীদের কানে কানে কথাটি ছড়িয়ে পড়লো -“ওলাউঠা দেবী এই গ্রামের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। সবাইকেই মরতেই হবে। “
মানুষ বাঁচতে চায়। বাঁচার জন্য সবকিছুই
করতে চায়। যেন তেন প্রকারে বাঁচতে হবে। এখানকার
দূষিত বাতাসে নিশ্বাসের জন্যই মৃত্যু। গ্রামের প্রায় সবাই পালাতে চায়। অনেকেই জমিজিরাত বিক্রি করে চলে যেতে চায়। রাধাচরণ বলে আমার ইচ্ছে থাকলেও ভিটে ছাড়তে পারবোনা।।আমাদের পূর্ব পুরুষের প্রতিষ্ঠিত রাধা-শ্যামের মন্দির ছেড়ে যেতে পারবোনা। জলের দরে অনেকেই সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। আমার প্রপিতামহ রাধাচরণ কিনে নেয়। অর্থবিদ্যা বলে “টাকা টাকাকে ধরে আনে”। অর্থাৎ,পকেটের টাকাই অন্য টাকাদের আকর্ষণ
করে ওই পকেটে ঢোকানোর ব্যবস্থা সুগম করে দেয়। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাধাচরনের ছেলে, রাধানাথ। আমার দাদু। রাধানাথের দুই ছেলে, রাধাবল্লভ ও রাধামাধব। রাধাবল্লভ বড় ছেলে, আমার বাবা।রাধামাধব ছোট ছেলে।রাধামাধব নিজস্ব কিছু কৃতকর্মর জন্য গ্রামে থাকতে পারেনি।
রাধামাধব বাগদি পাড়ার ডানাকাটা পরি ময়নামতিকে মন-প্রাণ সঁপে দেয়। লায়লা মজনুর প্রেমকাহীনিও এদের প্রেমগাথার কাছে মলিন হয়েছিল। “ময়নাকে বিয়ে করে আমি স্বেচ্ছায় ভট্টাচার্য পরিবার থেকে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে আমি গৃহত্যাগী হলাম।“ মানুষ ভাবে এক আর হয় অন্য এক। অধিকাংশ রূপবতী মেয়েরা সুখী হতে পারেনা। ইতিহাস বলছে হয় নিজের প্রিয়জন রূপবতীদের চলাফেরায় সন্দেহ করে, নয়ত অন্য পুরুষরা ওদেরকে ফাঁদে ফেলতে ফন্দিফিকির খোঁজে। পৃথিবীতে কত যুদ্ধ বেধেছে ঔই সুন্দরীদের দখলের জন্য। সিনেমার নায়িকা হয়ে রাধামাধবের ধারে কাছে ঘেঁষে না ময়নামতি ওরফে অপ্সরা মেনকা। কিছু দিন বাদে রাধামাধবের দেহ গঙ্গার জলে ভাসতে দেখা যায়।
আমি রাধাকান্ত ও কিশোর বয়সে প্রেমে পরে যাই। আমাদের কাজের মাসি শিউলির মেয়ে রেণুর সঙ্গে। মায়ের নজরে পরে যায়। মা মাথায় হত দিয়ে বলে বল, ওই মেয়েকে বিয়ে করবিনা। আমি মাথার
হাতটা সরাবার চেষ্টা
করি। মা কাঁদতে কাঁদতে বলে আমি আত্মঘাতী
হব।সবাইকে বলে যাব কি কারণে গলায় দড়ি দিলাম। মাকে কথা দিয়েও গোপনে রেণুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলাম। রেণু খুবই বুঝদার মেয়ে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে
চলতে জানে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট
করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিল।
আমার মা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। ঘি আর আগুন একসাথে হলে পরিণতি কি হয় সবাই জানে। গোদের উপর বিষফোঁড়া এই পরিবারের ওই ঘটনার
কথা সবাই জানে। মা শিউলি মাসিকে একান্তে কি বললো কেউই জানতে পারলোনা। ফাগুনের প্রথম বিয়ের তারিখেই পাশের
গ্রামে কেশবপুরের মোহনের সঙ্গে রেণুর বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেল।
বিয়ের দুদিন আগে
রেণু লুকিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করে যে
কথা বলে। অবাক হয়ে যাই। দিদিমণিদের মত আর্দশের কথা- “রাধাকান্তদা বিয়ে না করে ও ভালোবাসার
মানুষকে ভালোবাসা যায়। আমি তোমার,চিরদিনের, এ জীবনে আমার মন প্রাণ তোমারই থাকবেো। দেহকে পাবেনা। দেহজ প্রেম প্রেম নয়,কামের বহিঃপ্রকাশ।খাঁটি প্রেম প্রাণে।“
রেণুর বিয়েতে পিঁড়ি ধরে বিয়ের আসরে আনলাম শুভদৃষ্টির জন্য। কে কি ভাবলো আমি বলতে পারবোনা। রেণুর মুখ দেখে আমার কষ্ট লাগছিল। কনে বিদায়ের সময়েই মোহনের বাড়িতে
খবর এলো আর্মি থেকে “কালই কাজে যোগ দিতে হবে। সেনাবাহিনীর জরুরি প্রয়োজন।“ মোহনের ফুলশয্যা হল না।
রেণুর বিয়ে হয়ে গেল আমার পড়াশোনা ও ডকে উঠে গেল।। রেণুর কথাটাই কানে বাজে, বই খুললেই পাতায়
রেণুর ছবি ভেসে ওঠে। কলেজের গণ্ডী পেরোতে পারলাম না। বাবা বাড়ির লাগোয়া জমিতে এক মনোহারি দোকান খুলে বলে -পড়াশোনা তোমার দ্বারা হবেনা। এই দোকানে বসে পেটের ভাত যোগাড় করো। রেণুর পোড়া কপাল। হুলুস্থুল পরে গেল
ব্রেকিং নিউজে টিভিতে দেখাতে লাগল বাঁকুড়া জেলার মোহন জঙ্গীদের গুলিতে মারা গেছে। রেণু
বিধবা হয়ে ঘরে ফিরে আসলো।
সময় তার নিজের গতিতে
এগিয়ে চলে, ওকে কেউই জমাতে পারেনা। সময় কিন্তু সময়কে গিলে নেয়। মা এখন আমার বিয়ে নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি বলি আমি বিয়ে করবনা। মা বুঝতে পারে কিন্তু প্রকাশ করেনা। রেণুযে বিধবা তা ওর সাজ পোশাক দেখে বোঝা যায় না। এখন শহরের মেয়েদের মত এখানকার মেয়েরা ও ওই জিন্সের প্যান্ট
ক্যাপ্রি পরে। রেণু মার্জিত সালোয়ার কামিজ, শাড়ি পরে। আমার দোকানে এসে বলে এসোনা গল্প করি। ও লোক-লজ্জার ভয় করেনা। ও এখন হালকা বেগুনি রংএর শাড়ি পরে প্রায়ই গ্রামে যায়। ওর মুখ থেকেই জানতে পারলাম ও আশাকর্মী হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য
সম্পর্কে সচেতন করে। সেদিন বুধবার বেশ ক্লান্ত পায়ে আমার
দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ওর যৌবন প্রস্ফুটিত পদ্মকোরক হওয়া সত্বেও জীবন শুষ্ক মরুভূমি। ঘন বর্ষার জলভরা মেঘের ছায়া নেই। জোৎস্নার পুলকিত যামিনীর চন্দ্রাতপ নেই। জীবনের নিষ্ঠুর বন্ধন সহ্য করতে হচ্ছে।
অমিই ডাকলাম –“এসো না গল্প করি।“ওর এলোমেলো কুচো চুলগুলো মুখে লেপটে আছে।ও হলুদ
তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখের ঘাম মুছে টুলে বসলো। আমি আমার কর্মচারীকে বললাম রেণুকে একটা কেক দে, ঘর থেকে দুকাপ চা নিয়ে আয়। মা এখন জানে রেণুর সঙ্গে গল্প করি,কিছু বলেনা।
রেণুই বললো আমাদের আজ ট্রেনিং ছিল। এক মহামারী সারা পৃথিবীকে তছনছ করে দেবে। একশো বছর পর পর এরকম ভাইরাস দেখা যায়।১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালে হয়েছিল “স্প্যানিশ ফ্লু”। বিশ্বের পাঁচ কোটি লোক মারা যায়। ভারতবর্ষে প্রায় দুকোটি। কিছু মানুষ কিছুতেই সাবধানতা নেয়না। আলবেয়ার কামু তার “দি প্লেগ “ উপন্যাসে লিখেছেন -অনেকেই আশা করছিল
যে মহামারি চলে যাবে তারা, তাদের পরিবারের কোন ক্ষতি হবে না। তারা নিজেদের না শুধরে গোটা সমাজের বিপদ ডেকে এনেছিল। ফেসমাস্ক পরবেনা বলে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল ১৯১৮ সালে আমেরিকায়। ফেসমাস্ক পুড়িয়ে ফেলে। ১৮৬৭ সালে এখানে কলেরা মহামারি। বৃটিশ সরকার পুরীর রথ যাত্রায় যেতে বারণ করার ফলে দাঙ্গা লেগে যায়। কিছু মানুষ আছে তারা সবসময় মনে করে নিজের কিছুই হবেনা। সমাজের
ক্ষতি হলে ওদের কিছুই যায় আসেনা। রেণু উঠতে উঠতে
বলে, রাধুদা তুমি
কিন্তু সাবধানে থেকো। এই সময়েই এক ভদ্রলোক ষোলো-আনা চানাচুর কিনে মানিব্যাগ খুলেই কাশতে লাগল। রেণু সঙ্গে
সঙ্গে রুমাল দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে কয়েক পা পিছিয়ে যায়। লোকটা চলে গেলে রেণু কাছে এসে প্রশ্ন করে লোকটা কে। আমি বললাম পঞ্চায়েত
প্রধানের জামাইবাবা। দিল্লী
থেকে এসেছে। রেণু বলে সর্বনাশ উনার কোয়ারান্টিনে থাকা উচিত।। এইভাবে ঘুরে বেড়ানো অন্যায়। কবে যে এরা বুঝবে। আমি বললাম
কোয়ারান্টিন কি। রেণু শিক্ষিকার সুরে বললো, সিল্ক রুট ধরেই ১৩৪০ সালে মধ্য এশিয়া থেকে ক্রমিয়া হয়ে ইউরোপে হাজির হল,বিউবোনিক প্লেগ।ব্ল্যাক ডেথ। ১৩৭৩ সালে ভেনিসের শহর কর্তৃপক্ষ ঠিক
করে জাহাজে প্লেগে আক্রান্ত সন্দেহ হলেই চল্লিশ দিন একটা
দ্বীপে নির্বাসনে থাকতে হবে।ইতালির ভাষায় চল্লিশ হল “কোয়ারাস্তা”-কোয়ারাস্তিনারো থেকে ইংরাজিতে হল ‘কোয়ারান্টিন’।
চারদিনের পর থেকেই আমার জ্বর সঙ্গে খটমট কাশি। রেণু আমাকে জোর
করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লালারস জমা দিল। দুদিন বাদে জানা গেল আমি করোনায় আক্রান্ত। রেণু মাকে বললো মাসিমা ভয় পাবেননা। আমি,উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখেই ট্রিটমেন্ট করবো। কেউ রাজী নয়। আমি জিদ ধরে বললাম, রেণু যা করবে তাই হবে। মা আর বাধা না দিয়ে রাধাকৃষ্ণর মন্দিরে মাথা ঠুকে মানত করলো।
রেণু দিনরাত এক করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ-পথ্য দিয়ে সেবা করে সুস্থ
করে। রেণু আজকে সদরে গেছে রিপোর্ট আনতে। তার আগেই পঞ্চায়েতে
ফোন আসে রাধাকান্ত করোনা মুক্ত। গ্রাম প্রধানের জামাইবাবার অবস্থা সংকটজনক।
রেণু রিপোর্ট নিয়ে বাস থেকে নেমে প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে।আমার মা ঘরের দরজা আগলে রেখে বলে,না তুমি ঘরে ঢুকবে না। সবাই অবাক।আমি মায়ের
দিকে এগোতে গেলে মা এক হাতে আমাকে অন্য হাতে রেণুকে টানতে টানতে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বলে রেণুর মাথায় সিঁদুর পরিয়ে আমার লক্ষীকে আমাদের ঘরে তোল।
tapan.tarafdar@gmail.com
আইআইটি ,খড়্গপুর
No comments:
Post a Comment