![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
বেবুশ্যা পুন্নিমার চাঁন
রাবাত রেজা নূর
ফসলের মাঠের ভেতর
দিয়ে কালো মাটির আলপথ ধরে হাট থেকে সওদা পাতি কিনে ঘরে ফিরে কাজেম আলি। গামছার দুই
প্রান্তে তরি তরকারি আনাজ রসুন বেঁধে গলার দুইদিকে ঝুলিয়ে এভাবেই প্রতি হাটবারে
সংসার বয়ে নিয়ে আসে সে।
আজকেও বিকাল বেলা
হাটে গিয়েছিল কাজেম আলি। গোসাইর চাকলা হাট বহু পুরাতন হাট। লোকজন গোসাইরহাট নামেই
চিনে। ছিমছাম ছবির মতো ছোট্ট শহর পঞ্চগড় থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার পূর্বে এই হাট
বসে প্রতি শনিবার ও বুধবার।
বহু দূরদূরান্ত থেকে এই হাটে লোকজন আসে। জিনিস পত্র বিকিকিনি করে। চাল, ডাল, আটা, কলা, আলু। লাউডুগি, কলমি লতা নানা রকম শাক সবজি তরি তরকারি। গরু ছাগল ভেড়াও কেনাবেচা হয় দেদারসে। পাওয়া যায় হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে আনা রঙ বেরঙের জিনিস পত্র। প্রয়োজনীয় সওদা পাতি কিনে সন্ধ্যার পরে সাইকেলে চেপে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয় দূরের মানুষেরা। সাইকেলের বেল বাজে ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং। কাছেই যাদের বাড়ি তারা আড্ডা দেয় চৌরঙ্গীতে। চা খায়, বিড়ি ফুঁকে। মতি বিড়ি শেষ হয়ে গেলে আরেক জনের কাছ থেকে নেয়। ফেরার পথে এক মোঠা মতি বিড়ি কিনে নিয়ে ঘরে ফেরে বাপ চাচারা।
কাজেম আলি এতো
তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে না।
চৌরঙ্গীতে বসে
আড্ডা দেয়, লোকজনের সাথে গল্প করে, পান বিড়ি খায়। রাত একটু বেশি হলে সে যায় তরি
তরকারি কিনতে। যখন দোকানিরা তাদের বিকিকিনি শেষ করতে চায় এবং কম দামে সবার শেষে
থাকা আলু পটল বেগুন ফুলকপি ঢোপ দিয়ে বিক্রি করতে চেয়ে চিৎকার করে,
- এই আইসেন বারে, এইটা আলুর ঢোপ দশ টাকা,
খালি দশ টাকা। তাড়াতাড়ি
আইসো বারে।
- এই গটেলায় বেইগোন বারো টাকা, খালি বারো টাকা, আইসো ধোরে যাও।
তখন কাজেম আলি
দোকানির কাছে গিয়ে জিঙ্গেস করে,
- এইলা বেইগোন দশ টাকায় দিবা নাহান বারে? দোকানি বলে,
- বারো টাকা দিলে ভালো হয় বারে।
- দশ টাকায় দিলে দ্যাও, অত টাকা নাই হামারঠে। গরিব মানসি হামেরা।
দোকানদার বলে,
-তুমরা শিল্পী মানসি, হামারলাক গান শুনান, ন্যাও, দ্যাও দশ টাকায় দ্যাও, তামেললায় ধোরে যাও, বাড়ি চোলে যামো।
এই ভাবে কাজেম
আলি বাজার সওদা করে, ঢোপ দিয়া আলু কিনে, পটল কিনে। মরিচ পেয়াজ লবন কিনে। মাছের বাজার
তিনবার গিয়ে ঘুরে আসে। যা দাম তাতে মাছের বাজারে অবস্থান করা মুশকিল। আধা কেজি
দারকিনা মাছ ষাট টাকা দাম। কাজেম আলি তাও তিন চার বার মাছের বাজার গিয়ে ঘুরে আসে, যদি শেষবেলায়
কমদামে কিছু মাছ কেনা যায়। শেষে সিদ্ধান্ত নেয় বাড়িতে নিজেই জাল দিয়ে মাছ ধরবে।
ঘাড়ের গামছা খুলে
বাজার সওদা পাতি সব গামছার দুইদিকে বেঁধে রাখে কাজেম আলি। হাটে আসার সময় কেরোসিন
তেল নেওয়ার জন্য গলায় দড়িবাধা কালো কাচের বোতল দিয়েছিল মহরমের মা। কেরোসিন না
থাকলে ঘরে কুপি জ্বলে না। অগত্যা কেরাসিন তেল কিনতেই হয় কাজেম আলিকে।
কাজেম আলি এর পর
দ্বিতীয় দফায় চৌরঙ্গীতে আড্ডায় বসে। দূর দুরান্তের লোকজনের সাথে দেখা হয়। পান খায়, মতি বিড়ি খায়।
রাত বাড়ে। যে যার মত বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়। আস্তে আস্তে হাট ফাঁকা হতে শুরু করে। ধুপধাপ শব্দে দোকানের ঝাপ বন্ধ হয়। কাজেম আলি গামছায় বাঁধা সওদাপাতি গলার দুইদিকে ঝুলিয়ে বাড়ির দিকে হাটতে শুরু করে। এক হাতে থাকে দড়িবাধা কেরোসিন তেলের বোতল।
কালো মাটির আলপথ
ধরে বাড়ি ফেরে কাজেম আলি। ফসলের মাঠের ভেতর দিয়ে, বাশঁবনের ভেতর দিয়ে যে পথ তার বাড়ি অব্দি পৌঁছে
গেছে সে পথ ধরে হাটতে থাকে কাজেম আলি। ততক্ষণে আকাশে বড় চাঁদ উঠে গেছে। পূর্নিমার
গোলগাল ছিমছাম স্নিগ্ধ চাঁদ। যে চাঁদ দেখে কবি সুকান্ত তার বিখ্যাত কবিতাটি
লিখেছিলেন ঠিক সেই রকম চাঁদ। ধবল দুধের মত জোৎস্না আছড়ে পড়ে ফসলের মাঠের ভেতর।
জোৎস্নার আলোতে চিকচিক করে কচি ঘাসের মাথা, ক্ষেতের ফসল।
এই জোৎস্নার মধ্য
দিয়ে বাড়ি ফেরে কাজেম আলি। মাঝে মাঝে আকাশে চেয়ে দেখে। এতো বড় চাঁদ। জোৎস্না গায়ে
মাখতে মাখতে হাটতে থাকে কাজেম আলি। মনের ভেতর উঁকি দেয় গানের কলি। হাওয়ায় ভাসে
দোতারার টুংটাং ধ্বনি। সে ভাবে,
এমন বেবুশ্যার মত পুন্নিমার চাঁন উঠিলে কি কাহো ঘরত থাকিবার পারে? কত বড় চাঁন, কি তার রুপ! কি তার বাহার!! ইশ যুদি দোতোরাখান ধোরে আসিনু হয় তাইলে তো এইঠে গান গাওয়া গেইল হয়।
দোতারা সাথে না নিয়ে হাটে আসার ফলে কাজেম আলির মন খারাপ হয়ে যায়। যদি দোতারাটা আনা যেতো তাহলে এই জোৎস্নার মধ্যে গানে টান দেওয়া যেতো। কাজেম আলি ভাবে। এমন সুন্দর জোৎস্না তো আর প্রতিদিন উঠে না। কাজেম আলি খালি গলায় গানের কলি গুনগুন করে। মলিন পাঞ্জাবির পকেট থেকে মতি বিড়ির মোঠা বের করে একটা বিড়ি ধরায়, গালভর্তি ধোঁয়া ছাড়ে। মাঝে মাঝে গুন গুন করে গানে টান দেয়। গলায় ঝোলানো গামছায় বাঁধা আনাজ রসুন। একহাতে দড়িবাধা কেরাসিন তেলের বোতল হাতে হাটতে থাকে কাজেম আলি বাড়ির দিকে।
এমন বেবুশ্যা পুন্নিমার চাঁনের জোৎস্না দেখে কাজেম আলির মনে শিল্পীসত্তা জেগে ওঠে। তার দাদা ছিল অত্র অঞ্চলের একজন নামকরা শিল্পী। একনামে চিনতো দশগ্ৰামের মানুষ। হযরত আলির নাম শুনলে মানুষ আগেভাগে গিয়ে যায়গা দখল করে রাখতো গান শোনার জন্য। একতারা দোতারা বেহালা বাজিয়ে গান করে এই অঞ্চলের মানুষকে মাতিয়ে রাখতো মানুষটা। কিন্তু সংসারে তার কিছু ছিল না। এইভাবে সংসার ঠিক চলতো না। পেট চলার জন্য টাকা থাকা লাগে। খালি গান গেয়ে বেড়ালে নিজের পেট চললেও পরিবারের পেট চলে না। তাই দাদা মারা যাওয়ার পর তার বাবা সেকান্দর আলি গান বাজনা করলেও অন্যান্য কাজকর্মও করা শুরু করে। কাজেম আলির বাবা সেকান্দর আলি গত হয়েছে বছর দশেক আগে।
কাজেম আলি পেয়েছে
তার দাদার স্বভাব। ছোট বেলা থেকেই গান বাজনার প্রতি ঝোঁক। গানের গলাও দারুণ। লোকে
বলে, হযরত আলির নাতি
বোলে কাথা, অমার হইল গানের বংশ। এইতানে কাজেম আলির গলাত এতো সুর।
কাজেম আলি গান
বাজনা করে বেড়ায়। সংসারে মন নেই। বাবা সেকান্দর আলি অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও
ছেলেকে সংসারমুখী করতে পারেনি। অবশেষে বিয়ে দিয়েছেন ছেলেকে। মহররমের মা'র আপ্রাণ চেষ্টায়
সংসারটা চলছে। অবশ্য এটা নিয়ে কাজেম আলির বিশেষ কোনো মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয়
না।
মাঠ ঘাট পাড়ি
দিয়ে, বেবুশ্যা
পুন্নিমার চাঁনের জোৎস্না গায়ে মাখতে মাখতে কাজেম আলি হাজির হয় বাড়ির দরোজায়। ডাকে,
- মহরমের মা, মহরমের মা।
দুইবারের বেশি
ডাকতে হয় না তাকে। কুঁড়ে ঘরের দরোজা খুলে যায় সাথে সাথেই। ঘাড়ের গামছা খুলে দেয়
মহরমের মার হাতে। কেরোসিন তেলের বোতল হাতে হাতে নিতে নিতে মহরমের মা বলে,
-হাত পাও ধুইয়া আইসো তাড়াতাড়ি, ভাত খাবেন।
এরই মধ্যে কুড়ে
ঘরের ভেতর জ্বলে উঠেছে কুপি বাতি। বেবুশ্যা চাঁদের জোৎস্না বাশেঁর বেড়ার ফাঁকা
দিয়ে ঘরে ঢুকে আর কেরোসিন তেলের কুপির আলোয় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। পুকুর পাড়ের
দিকে হাত মুখ ধুতে যেতে যেতে কাজেম আলি বলে,
- মহরমের মা, এইনং পুন্নিমার চাঁনের আলোত গান বাজনা না করিলে পাপ হবে। বাসুরিয়া'ক খবর দ্যাও, গান বাজনা করিমো।
মহররম'ক ডাকে দ্যাও, দোতারাখান ঠিক
করুক।
মহরমের মা তার
স্বামীকে চিনেন। সংসারে মন না থাকলে কি হবে এমন ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
মহররমের মা বলে,
- তোমরা ভাত খায় শ্যাষ করো, মুই অমাক কহে আইসোছো।
- জালাল বাড়িত আছে না নাই, অক কহিলে হারমনিটা ধোরে আসিল হয়।
- সবাকে কোহে আইসেছো। তোমরা ভাত খাও।
মহরমের মা উঠানের
উপর জলচৌকি পেতে ভাত খেতে দেয় স্বামীকে। উঠোনের উপরে জ্বলতে থাকে কেরোসিনের কুপি।
উপরে বেবুশ্যা পুন্নিমার চাঁন ঢালে তার দুধের মত জোৎস্না। ভাতের সাথে লাউশাক, বেগুনভর্তা।
খাওয়া নিয়ে কাজেম আলি কোনো দিন স্ত্রীকে কিছু বলেছে বলে মনে পরে না মহরমের মায়ের।
ভাত বেড়ে দিয়ে মহররমের মা যায় বাসুরিয়ার বাড়ির দিকে, পথের পাশে ডাক দেয় জালাল উদ্দিন কে। পাড়া
প্রতিবেশী ছাড়া দুনিয়া অচল।
ততক্ষণে ঘুম থেকে
উঠে দোতারার তার ঠিক করতে বসে গেছে বারো বছরের মহররম। মহরমও বাপের মত দোতারা
বাজাতে পারদর্শী হয়ে উঠছে দিনকে দিন। এই বয়সে যা বাজায়, একেবারে অনবদ্য। গ্রামের লোকেরা বলে,
- মহরম দোতরা বাজাইলে একেবারে কইলজাত যায় বিন্দে।
কাজেম আলি উঠোনে
বসে ভাত খায়। পুন্নিমার চাঁনের জোৎস্নায় বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার মত অবস্থা। কাজেম আলি
পাশে জ্বলতে থাকা কেরোসিনের কুপি ফুৎকারে নিভিয়ে দেয়। কি দরকার খালি খালি কুপি
জ্বালাবার। যেখানে পূব আকাশে জ্বলে থাকে এতোবড় চাঁন। চাঁদের জোৎস্নায় উঠোনে বসে
আলুভর্তা ভাত খায় কাজেম আলি।
মহরমকে বলে,
- মহরম বাপ, ভাত খাবোতে আয়। মুই খিলে দেছো।
মহরম বলে,
- তোমরা খাও আব্বা, মুই আগোতে খাইছু। দোতরাখান ঠিক করছো।
- করেক তাড়াতাড়ি, অমরা এলায় চোলে আসিবে।
মহরমের মা ফিরে
আসে। দেখে কুপি নিভিয়ে দিয়ে স্বামী বসে আছে উঠোনে। মহরমের মা বলে,
- মহরমের বাপ পান খাবেন নাকি, আনে দিম?
- দ্যাও, চুন জর্দা দিয়া খাই। খাওয়াটা কনেক বেশি হয় গেইল।
মহরমের মার এনে
দেওয়া পান খেয়ে ঠোঁট লাল করে কাজেম আলি।
একটু পরে
বাসুরিয়া এসে হাজির। কাঁধে হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে এসে উপস্থিত হয় জালাল। বেবুশ্যা
পুন্নিমার চাঁনের আলোয় উঠোনে শুরু হয় রঙিলা গানের আসর। বাসুরিয়ার বাশির একটান
ছড়িয়ে পড়ে সাড়া পাড়ায়। বেজে ওঠে জালালের হারমোনিয়াম। মহরম টুংটাং তাল ওঠায়
দোতারায়। তার আগে বাপের কাছে এসে নেয় চরণের ধূলা।
বেবুশ্যা
পুন্নিমার চাঁনের আলোয় আলোকিত হয় কাজেম আলির বাড়ির উঠান। বাড়ে চাঁদের নির্জলা রূপ।
সেই আলোয় গান ধরে কাজেম আলি,
- ওকি ও মৈশাল বন্ধু রে
দিনো গেলো, বছর গেলো
দিনে দিনে দিন
ফুরাইলো রে
আর কতকাল রহিম
মুই একেলা ঘরে রে।
আসিবার কাথা কোহে
গেলেন,
আর না আসিলেন, ও নিদয়া মৈশাল
বন্ধু রে।
তোমার মনত কি কুনো দয়া মায়া নাই রে।
আশেপাশের লোকজন ততক্ষণে জেনে গেছে যে কাজেম আলি তার বাড়িতে আসর বসিয়েছে। বাদ্য বাজনার সুর ছড়িয়ে পরে তামাম গ্ৰামে। তারা আসতে শুরু করে কাজেম আলির বাড়ির দিকে যেখানে চাঁদের আলোয় গান ধরেছে কাজেম আলি,
- শীত বসন্ত গেলো চইলারে-এএএএএ
বন্ধু রইলো বৈদেশে............
বেবুশ্যা
পুন্নিমার চাঁনের আলোয় একদল মানুষ গান গেয়ে চলেছে। অপার্থিব আনন্দে চকচক করছে
তাদের মুখগুলো। এই মানুষ গুলোর মধ্যে কেউ হয়তো রাতে শুধু লবন মরিচ দিয়ে ভাত খেয়েছে
কিংবা মাঠে ঘাটে পাওয়া শাক দিয়ে রাতের খাওয়া সেরেছে। কেউ কেউ হয়তো পাশের বাড়ি থেকে
চাল ধার করে এনে রান্না করেছে। কিন্তু চোখ মুখ দেখে অনুমান করা কঠিন তারা এই
মুহূর্তে কি পরিমাণ সুখী। মনে হয় পৃথিবীর সেরা সুখী এই মানুষগুলো। আনন্দে ঝলমল করে
তাদের মুখ।
কাজেম আলি গলার
গামছা খুলে মাথার উপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচে আর গায় উদাত্ত গলায় গান। জালাল
হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে মনের সুখে বাজানোর সাথে সাথে গানে তাল দেয়। প্রায় খালি গায়ে
মহরম মোহনীয় দোতারা বাজিয়ে চলে। কি তার সুর। বাসুরিয়ার বাশির টানে চোখে ছলকে ওঠে
জল।
ঘরের দাওয়ায় বসে
মুখে পান পুরে মহরমের মা মাথায় আচঁল তুলে দিয়ে স্বামী ও সন্তানের গান শুনে।
গ্ৰামের অনেকেই
এই গানের আসরে যোগ দিয়েছে। কেউবা ঘুরে ঘুরে নাচে। কেউবা গানে তাল দেয়। আনন্দে ভরে
উঠে বেবুশ্যা পুন্নিমার চাঁনের আলোয় প্লাবিত হওয়া কাজেম আলির বাড়ির উঠান। মাঝে
মাঝে এমন কিছু বেবুশ্যা পুন্নিমার চাঁন উঠুক। দুধের মত সাদা জোৎস্নায় ভরে দিক এই
পৃথিবীর বুক। প্রতিদিন এই পূর্নিমার চাঁদ উঠলেও ক্ষতি কি?
No comments:
Post a Comment