![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
পৌরুষহীনতার গ্লানি
ডাঃ দীপক কুমার রায়
মাকে সকাল হতেই রেখে এলাম ও পাড়ার বৃদ্ধাশ্রমে
বাড়িতে কান পাতা দায় চলছে লড়াই উচ্চ গ্রামে।
এটা ওটা সব ব্যাপারেই শাশুড়ি বৌয়ের মতবিরোধ
খিটির মিটির লেগেই থাকে ধুলায় মিলায় সন্মানবোধো।
ছোট মোট তুচ্ছ জিনিস ওদের কাছে বিরাট কিছু
সোরগোল বেড়েই চলে কেউ ছাড়ে না কারোর পিছু।
এ যদি যায় বাঁদিক পানে অন্যজনে ডাইনে
মুখোমুখি হলেই বিপদ একেবারেই যেটা চাইনে।
কিন্তু উপায় কি, ছোট্ট ফ্ল্যাটে এক বাড়িতেই থাকা
সব সময়ই বৌ শাশুড়ির মুখোমুখি দেখা।
মন্ত্র শুধু এই কটা দিন শান্ত হয়ে থাকা
আর রণং দেহি বৌ শাশুড়ির মেজাজ ঠিক রাখা।
সকাল হলেই মায়ের মুখে নালিশ হাজার হাজার
রাতের বেলা বৌয়ের জ্বালায় পাগল হওয়ার জোগাড়।
মাকে রাখি না বৌকে রাখি কার কথাই বা শুনি
কেই বা বলে সঠিক কথা কারটা বেঠিক মানি।
অনেক কষ্টে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম পরে
মা যাবে বৃদ্ধাশ্রমে থাক ঘরের লক্ষী ঘরে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকি কাজের বোঝা মাথায়
মাকে নিয়ে ভাববো, সময় আছে কোথায়।
ভাবনা শুধু এক কেন্দ্রীক বৌ বাচ্চা নিয়ে
কি করলে শান্তি পাবো স্বস্তি পাবো কি দিয়ে।
তাই সকাল হতেই পৌঁছে গেলাম ও পাড়ার বৃদ্ধাশ্রমে
মাকে নির্দ্বিধায় সঁপে দিয়ে বিদায় নিলাম সসম্ভ্রমে।
গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে গেলাম কায়দা কানুন করে
পৌরুষহীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি পাই কি করে। ।
...(সমাপ্ত)...
No comments:
Post a Comment