ছবি-আন্তর্জাল |
ওপারে মোতিগঞ্জ থেকে নৌকো আসে এপারে
মানুষ নামে কত, সামান নামায় কত লোকে
বোট-পুল নড়ে চড়ে জলে, খুলে রাখে তোড়ে
নদীর পারে হাট, সেই সোমবারে এই শুক্রবারে
ইছামতীর বুকের উপর বৃষ্টি নামে ত্রিকাল ধরে...
এই তো
তিরিশ বছর, ঐ যে পানারা মেলেছে ডানা একান্নবর্তী
সংসারে,
কবেই তো সারি সারি বোট গুলো গেছে মরে শরীরে জং ধরে,
কবেই তো সারি সারি বোট গুলো গেছে মরে শরীরে জং ধরে,
কাঠ পাতা সরু রায়ব্রীজ---সেও যে
হয়েছে ভুলে যেতে,এখন নদী এফোঁড় ওফোঁড় পাকাপকি দুই সেতু, কতকাল কত কত পারাপার পেরিয়ে যাবার হেতু...
চেনা ছিল
নদী, দুই ডাঙায় ছড়ানো বাজার---
শৈশব গিয়েছে
তার, ঝাপ তোলা দোকানের সারি---
কাপড়ের, বাসনের,নানা
মনিহারী
কালে নদী
হলো নালা, বস্ত্রালয়ের বস্ত্রহরণ হল সারা,
ঝুলে থেকে সাইনবোর্ডের ভাঙা হাড়গোড়, কখন যে মেলে দিলো শপিংমলের পাড়া,
ঝুলে থেকে সাইনবোর্ডের ভাঙা হাড়গোড়, কখন যে মেলে দিলো শপিংমলের পাড়া,
রং করা, কত উঁচিয়ে থাকা বাজার, আর
ঠান্ডা হাওয়ার বেচা কেনা, মরা নদী
বলে--
আমারই প্রতিচ্ছবি যায় না তো চেনা ; মোতিগঞ্জের মোতি গেছে চুরি, ইচ্ছেমতীর ইচ্ছে গেছে কাদার নীচে থেমে---
আমারই প্রতিচ্ছবি যায় না তো চেনা ; মোতিগঞ্জের মোতি গেছে চুরি, ইচ্ছেমতীর ইচ্ছে গেছে কাদার নীচে থেমে---
দু'পারে ঢাক বাজে মন্ডপে, এল ইডি আলোয় চরাচর চকচক করে, মাইকে মাইকে ভেসে যায় ইতিহাস---
নদী
প্রৌঢ় হয়, গঞ্জে বসে শহর, নৌকো ভাঙে কাদা, পানায়
ঢাকে জল---
মিছিলে নামে সময় হাট বসে এখনও শুক্রবারে, বনের গাঁয়ে বদলে যাওয়ার পারে,
পুরানো কেবল মরে...
মিছিলে নামে সময় হাট বসে এখনও শুক্রবারে, বনের গাঁয়ে বদলে যাওয়ার পারে,
পুরানো কেবল মরে...
লেখক - সুব্রত বিশ্বাস
biswassubrata1168@gmail.com
কবিতাটিতে একটা প্রাঞ্জল ছবি ফুটে উঠেছে। কিছু কিছু প্রশংসনীয় শব্দের বিন্যাস মন কেড়ে নেয়।
ReplyDelete'কালে নদী হল নালা, বস্ত্রালয়ের বস্ত্রহরণ হল সারা
ঝুলে থাকা সাইনবোর্ডের ভাঙা হাড়গোড়
মেলে ধরলো শপিংমলের পাড়া।'
সমীর কুমার মজুমদার