...ইন্দ্রানী দলপতি
।।১।।
- আয় বৃষ্টি ঝেপে,
ধান দেব মেপে, ধানের ভেতর পোকা.....
- আমার বোনটি একটি
বোকা!
- কী বললি তুই?
তুই আবার আমাকে বিরক্ত
করছিস তো? দাঁড়া, আমি মা-কে বলছি।
- বলি বয়সটাতো কম
হলো না বোনু। মা-কে বল তোকে বরং কমপ্ল্যান খাওয়াতে।
- খুব খারাপ হচ্ছে
কিন্তু দাদা। বাড়াবাড়ি করিস না।
- আমিও তো এইটাই
বলতে চাইছি, বাড়াবাড়ি রকমের
বোকামিটা করিস না।
- মানে? আমি আবার কী বোকামি করলাম?
- না, সেরকম কিছুই না। অমিয় আর আমার কলেজ আলাদা ছিল,
বিষয় আলাদা ছিল, আর কোন মুলুকে তার বাস, তাই মুখ চেনাচিনিরও কোনো সুযোগ সেক্ষেত্রে নেই।
তা আমি ভাবছিলাম কি বাবাকে একটু ডিটেলসে বিষয়টা জানিয়ে আসি বুঝলি!
- দ..দাদা, আরে! আরে! দাঁড়া না। এইসব ছোটোখাটো বিষয়ে
বাবা-মা-কে জড়িয়ে কী লাভ বল, নিজেদের মধ্যেই
বরং একটা মীমাংসা করে নিলেই তো হয়, তাই না? তুই তো আমার সোনা দাদা, লক্ষী দাদা ( মনে মনে- বাঁদর দাদা)।
- সে ঠিক আছে,
সবই বুঝলাম। আচ্ছা এক কাজ
কর, আমার আবার চা না খেলে
মাথায় ভাবনাগুলো ঠিক জেগে ওঠে না বুঝলি, যা, এক কাপ চা হাজির কর আমার
সামনে।
- বাহ্, সুযোগের সদ্ব্যবহার বুঝি এরেই কয়?
- Without চা, No মীমাংসা মামণি।
- অসভ্য বাঁদর
একখানা, সময় আমারও আসবে, বদলা নিয়েই ছাড়ব।
অন্বেষা আর
অন্বেষণ- দুই ভাইবোন। একজন যদি সাপ হয়, তবে অন্যজন নিশ্চিত নেউল। তবে বাড়িতে ওরা বাবা-মায়ের আদরের ডুডাং আর ফড়িং।
।। ২ ।।
- স্যরি, আমি কালকেও ফিরতে পারছি না পল্লবী।
- এ আর নতুন কী!
- প্লিজ, এই নিয়ে কোনো তর্ক আমি করতে চাইনা তোমার সাথে।
- না না, তা করতে হবে না। শুধু একটু কষ্ট করে তোমার ছেলে-মেয়েদের জানিয়ে দিও।
- কেন? তুমি কেন পারবে না?
- আমার এখনও অজুহাতের পড়াশোনাটা ঠিক মতো করা হয়ে ওঠেনি
তো!
- Don’t cross
your limit Pallabi.
- সত্যিটা শুনলে বরাবরই তোমার গলাটা চড়ে উঠেছে।
- Hey!
Listen, I don’t want to talk with you anymore. Go to hell!
ফোনটা কেটে যায়
ওপাশ থেকে। ৪৯ বছরের সংসার জীবনের অতি পরিচিত একটা ছবি। প্রাঞ্জল কাজ ছাড়া কিছুই
বোঝেনি কোনোদিন। যা কিছু অর্জন করেছে দু হাতে সংসারে নিবেদন করেছে। পরিবারের
প্রতিটা লোক যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটিয়েছে। এদিক দিয়ে কোনোরকম কার্পণ্য
প্রাঞ্জল করেনি। তবু একটা ফাঁক তৈরি হয়েছে তার আর পল্লবীর মধ্যে। সেই ফাঁক পূরণ
করা তো দূরের কথা, বরং যত দিন
যাচ্ছে সেই ফাঁক আরও দীর্ঘ হচ্ছে। পল্লবী এবার ক্লান্ত অনুভব করছে। না, ঠিক ক্লান্তও নয়, পল্লবী আজ বড্ড একা। ওর মানুষটাকে আজ পাশে চাই,
কাছে চাই।
।। ৩ ।।
ডুডাং আর ফড়িং আজ
সারারাত জাগবে। ওরা ঠিক করেছে সারা রাত জেগে পুরো বাড়ীটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে
ফেলবে। কাল সকালে বাবা-মা দুজনকেই সারপ্রাইজ দেবে। তাই যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ডাইনিং রুমটা রংচঙে কাগজে খুব
তাড়াতাড়ি সেজে উঠলো। সাথে মাঝে মাঝে বেলুনের গোছা। দুয়ে-দুয়ে চার হাতে যদিও ঘরটা
খুব তাড়াতাড়ি সাজানো হয়ে গেল। কিন্তু ওরা আর ঘুমাতে গেল না। উত্তেজনায় ঘুম আজ আর
চোখে আসবেও না। ওরা দুজনে শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনাটা ঝালিয়ে নিতে বসলো। Whatsapp-এ ‘গানপাগল’ গ্রুপটা মাঝরাতেই সক্রিয় হয়ে উঠলো।
ওপাশে পল্লবীর ঘরের টেবিল ল্যাম্পটা তখনও নেভেনি। পল্লবী মন থেকে চাইছে রাতটা আরও
দীর্ঘ হোক। পুরনো অ্যালবামটায় চোখ বোলাতে বোলাতে ফিরে গেল ৪৯ বছর আগের সেই দিনটায়,
অনেক স্বপ্ন চোখে সাজিয়ে
প্রাঞ্জলের হাতে হাত রেখেছিল পল্লবী। এত ব্যস্ততা তখনও প্রাঞ্জলের চারপাশে ঘিরে
ধরেনি। শেষ কবে একসাথে মুখোমুখি বসে কথা বলেছে, খাবার ভাগ করে খেয়েছে মনে করতে পারেনা। আগে
অপেক্ষা করত, এখন আর করে না।
সাংসারিক দায়িত্ব থেকে শুরু করে ঘরের বাইরের যাবতীয় দায়িত্বও পল্লবী নিষ্ঠা সহকারে
সামলেছে, প্রাঞ্জলকে
কোনদিনও মাথা ঘামাতে হয়নি। প্রাঞ্জলও কোনোকিছুর অভাব রাখেনি, পার্থিব স্বাচ্ছন্দ্য বরাবর বজায় রেখেছে সে।
শুধু পল্লবীর মনের খবর কোনোদিনও রাখেনি। আর এখানেই পল্লবীর যত অভিযোগ, ক্ষোভ জমা হয়েছে। ডুডাং আর ফড়িং-কে কী বলবে কাল
সকালে? কালকের দিনটাতেও কী ওরা
ওদের বাবার ব্যস্ততাটা বরাবরের মত মেনে নেবে, নাকি…… উফফ্! পল্লবী আর কিছু ভাবতে পারে না।
বয়স বৃদ্ধির ধকল ওকে জানান দিয়ে যায়।
।। ৪ ।।
আজকের মিটিং-টা
প্রাঞ্জলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ডিলটা ফাইনাল হয়ে গেলে একেবারে নিশ্চিন্ত।
অসময়ে টেবিলে রাখা ফোনটা বেজে উঠতেই প্রাঞ্জল কিছুটা বিরক্ত হয়। স্ক্রিনে চোখ
যেতেই ফড়িং-এর নামটা দেখতে পায়। ফোনটা কেটে দেয়। আবারও কিছুটা সময় পরে ফোনটা বেজে
ওঠে, এবার তাতে ডুডাং-এর নাম।
প্রাঞ্জল আর দেরী করে না, ফোনটা অফ করে
নিথরভাবে টেবিলের ওপর রেখে দেয়। মিটিং আরম্ভ হয়। দীর্ঘ কথাবার্তার পর শেষ পর্যন্ত
ডিলটা ফাইনাল হয়। প্রাঞ্জল আজ ভীষণ খুশী। এতটা খুশী সে এর আগে কোনোদিনও হয়নি। ও
ঠিক করে খবরটা সবার প্রথম পল্লবীকে জানাবে। হাতে ফোনটা নিয়ে অন করতেই ডুডাং আর
ফড়িং-এর অনেকগুলো মিসড্ কল দেখতে পায়। মনে পড়ে যায়, আজ ওর আর পল্লবীর ৫০তম বিবাহবার্ষিকী। ডুডাং-রা
কী একটা সারপ্রাইজ দেবে বলেছিল যেন! প্রাঞ্জল আর অপেক্ষা করে না। ফোনটা পকেটে রেখে
গাড়ী নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঠিক করে ও আজ পল্লবীকে চমকে দেবে। প্রায় সাড়ে
তিন ঘণ্টার জার্নি করে বাড়ীতে এসে পৌঁছায় প্রাঞ্জল। দরজাটা খুলেই ডাইনিং রুমে এসে
দারুণ অবাক হয়, ডুডাং আর ফড়িং-এর
কীর্তি খুশী করে দেয় ওকে। হাতঘড়িতে সময় জানান দেয় এখনও দিনটা শেষ হয়নি, বারোটা বাজতে তখনও কিছুটা দেরী রয়েছে। এত রাতে
সবাই যে যার ঘরেই থাকে, তাই ও প্রথম
পল্লবীর ঘরের দিকেই পা বাড়ায়। সেখানে গিয়ে ঘর ফাঁকা দেখে কিছুটা অবাক হয়। তারপর কি
একটা ভেবে সোজা ছাদের দিকে যায়, না, সেখান থেকেও খানিকটা হতাশ হয়ে ফিরে আসে।
তারপরেই চলে যায় ডুডাং-এর ঘরে। আশ্চর্য! এখানেও কেউ নেই। বিরক্ত হয় খানিকটা। ফড়িং-এর
ঘরে এসে মাথায় পারদ চড়ে যায় প্রাঞ্জলের। কিছু না জানিয়ে এইভাবে বাড়ী ফাঁকা করে চলে
যাওয়ার মানেটা কী! ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে ফোনটা ছুঁড়ে ফেলে
দেয় মেঝেতে। রোজকার অভ্যেসমতো খানিকটা মদ্যপান সেরে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে প্রাঞ্জল।
।। ৫ ।।
- পল্লবী, আমার কথাটা তো শোনো।
- আমার আর কিচ্ছু শোনার নেই প্রাঞ্জল।
- তুমি কিন্তু মিথ্যে জেদ করছো।
- এতদিন তো মিথ্যে আবদারও করে এসেছি আমি, তাই না?
- তুমি কিন্তু বিষয়টাকে এমনি এমনিই জটিল করছ।
- হাতটা ছেড়ে দাও প্রাঞ্জল। আমকে যেতে দাও।
- না, তুমি আমাকে এভাবে ভুল বুঝে চলে যেতে পারো না।
- অনেক দেরী করে ফেলেছ। আমার আর সময় নেই আজ। ছেড়ে
দাও, হাতটা ছাড়ো প্রাঞ্জল!
হাতটা জোর করে
ছাড়িয়ে নেয় পল্লবী। প্রাঞ্জল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর চলে যাওয়া দেখে। দেখতে থাকে কেমন
করে ধীরে ধীরে পল্লবী একটা বিন্দুতে পরিণত হয়, তারপর অন্ধকারে মিশে যায়। সেই অন্ধকার এবার
গুটি গুটি ওর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ভয় পেয়ে পিছোতে পিছোতে এক সময়ে ওর দেওয়ালে পিঠ
ঠেকে যায়। প্রাঞ্জল এবার লক্ষ্য করে, দূরে দাঁড়িয়ে ডুডাং আর ফড়িং ওর দিকে তাকিয়ে আছে, ওদের চোখ থেকে শুধুই অনুযোগ ঝরে পড়ছে। প্রাঞ্জল
হাতটা বাড়িয়ে দেয় ওদের দিকে, কিন্তু ছুঁতে
পারে না, ওরাও ততক্ষণে
বিন্দুতে পরিণত হয়েছে, সেই বিন্দু অব্দি
প্রাঞ্জল আর পৌঁছাতে পারে না। অন্ধকারটা এবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, গ্রাস করতে আসে ওকে, চিৎকার করতে যায়, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বেরোয় না। এক
অনিশ্চিত আশঙ্কায় চোখ দুটো বুজে ফেলে প্রাঞ্জল।
- কী হল গো দাদাবাবু? এমন ধড়ফড় করে উঠে পড়লে যে!
- একি ! তুই আমার ঘরে কখন এলি?
- এইতো তোমার চা-টা দিতে। তুমি কাল কখন ফিরলে?
বউদিমণি এখন ঠিক আছে তো?
কাল যা গেল তার ওপর দিয়ে!
- মানে? কি গেছে? আর কি হবে তোর
বউদিমণির? সে তো দিব্যি
ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার বলে যাবারও প্রয়োজন মনে করেনি। আর শোন তুই
এখন যা, ডাইনিংটা পরিস্কার কর। Disgusting!
- কি সব বলছ? ঘুরতে যাবে কি গো! বউদিমণি কে নিয়ে তো ডুডাং
বাবুরা নার্সিংহোমে ছুটলো। কতবার তো তোমাকে ফোন করছিলো। তুমি তো দেখছি কিছুই জানো
না!
প্রাঞ্জলের হাতটা
কেঁপে ওঠে। চায়ের কাপটা কোনোমতে টেবিলের ওপর রেখে দিয়েই, রেডি হয়ে মোটামুটি আন্দাজ করে বেরিয়ে পড়ে। যেতে
যেতে ওর ভোরে দেখা স্বপ্নটার কথা মনে পড়ে যায়। এক অজানা আশঙ্কা প্রাঞ্জলকে ধীরে
ধীরে ঘিরে ফেলতে থাকে…
।। ৬ ।।
আর কোনো বিপদের
আশঙ্কা নেই, ডাক্তারবাবু এসে
জানিয়ে গেছে। হয়তো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পল্লবীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। নার্সিংহোমে
পৌঁছে প্রাঞ্জল প্রথমেই ডুডাং আর ফড়িং এর মুখোমুখি হয়। ওদের ভাবলেশহীন মুখ
অস্বস্তিটাকে তিনগুন বাড়িয়ে তোলে। শুধু বেড নাম্বারটা জানিয়ে চলে যায় তারা,
বাড়তি কোনো কথা বলেনি আর।
প্রাঞ্জল অনুভব করে শব্দহীন আঘাত কতখানি জোরালো হতে পারে। আর সেই আঘাত দীর্ঘ বছর
বয়ে বেড়ানোর ভার কতখানি ওজনদার হতে পারে, তাও সে বুঝতে পারে। পল্লবীর এই অবস্থার জন্য আজ শুধুমাত্র সে নিজে দায়ী,
কেবলমাত্র নিজে দায়ী!
ঝাপসা চোখে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় পল্লবীর কাছে। এত কাছাকাছি ওরা, তবু এতখানি অস্পষ্টতা। প্রাঞ্জল চোখ মোছে,
কিন্তু জড়তা কাটে না।
পল্লবী দেখে, সমস্ত অজুহাতের
গণ্ডি পেরিয়ে প্রাঞ্জল ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। ওর প্রাঞ্জল, হ্যাঁ, এটাই ওর প্রাঞ্জল, পল্লবীর চিনতে
একটুও অসুবিধা হয় না। প্রাঞ্জল পল্লবীর মাথায় আলতো করে হাত ছোঁয়ায়, পল্লবীর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে আসে, অনেকখানি বোঝা নেমে গেছে ওর বুকের ওপর থেকে।
ঘরটার মধ্যে একটা অদ্ভুত নীরবতা বিরাজ করছে।
ইতিমধ্যে ডুডাং-ফড়িং ফিরে আসে। দুজনে বাবা-মা’র সামনে এসে দাঁড়ায়। পরিবেশটা
হালকা করতে ফড়িং-ই বলে ওঠে-
“শুভ
বিবাহবার্ষিকী বাবা-মা! আমরা এবার বাড়ি ফিরি তবে? সেলিব্রেশনটাতো বাকি আছে নাকি!” সেই কথার রেশ
ধরেই ডুডাং বলতে থাকে- “হ্যাঁ মানছি, একটা দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মা, কাল অব্দি তো আমাদের বাবাও আমাদের সাথে ছিল না। তুমিই তো বলতে, Better
late than never!”
“একদম ঠিক বলেছিস
দাদা। পরিবারে পরিপূর্ণতার যে কী আনন্দ! অন্তত এই আনন্দে তো একটা সেলিব্রেশন করা
যেতেই পারে, পারে না?”
প্রশ্নটা করেই জিজ্ঞাসু
দৃষ্টি নিয়ে ফড়িং তাকায় ওদের বাবা-মায়ের দিকে।
পল্লবীর ঠোঁটে
পরিতৃপ্তির হাসি। প্রাঞ্জলের চোখে আনন্দের অশ্রু। নীরবতাটা প্রাঞ্জলই প্রথম ভাঙে-
“নামিয়ে দিয়ে
এসেছি সব বোঝা,
তরী আমার বেঁধে এলেম ঘাটে-
পথে পথে ছেড়েছি সব খোঁজা,
কেনা বেচা নানান হাটে হাটে।
আমি এখন সময়
করেছি-
তোমার এবার সময় কখন হবে।“
সজল চোখে পল্লবী
বলে ওঠে-
“হায়, পলকে সকলই সঁপেছি
চরণে, আর তো কিছুই নাই।
আমি, আমার বুকের আঁচল
ঘেরিয়া তোমারে পরানু বাস।
আমি, আমার ভুবন শূন্য
করেছি তোমার পুরাতে আশ।“
প্রাঞ্জল পল্লবীর
হাতটাকে নিজের মুঠোর মধ্যে চেপে ধরে। ডুডাং-ফড়িং পরস্পর পরস্পরকে আনন্দে জড়িয়ে
ধরে। আজ অনেকদিন পরে খাওয়ার টেবিলে এতদিন ধরে জমে থাকা ফাঁকগুলো পূরণ হবে, সাথে সম্পর্কগুলোরও……
No comments:
Post a Comment