...পৃথা মন্ডল
খুঁজে খুঁজে এক-আধটা স্পেসিমেন আনেন বটে
ফরেন্সিকে।আমাকে বোতল বোতল রুম ফ্রেশনার ছড়াতে হচ্ছে"--ইনভেস্টিগেটিং অফিসার
সৌরিন্ধ্রী সেনের দিক তাকিয়ে বললেন ডাঃ অমর দত্ত।সৌরিন্ধ্রী হাসে।উত্তর দেয় না।
দুদিন সে ছুটিতে ছিল।আজ জয়েন করা মাত্রই তাকে ল্যাবে ছুটতে হয়েছে কেসের
ব্যাপারে।একদিকে ভালোই হয়েছে ।দিন তিনেক আগে সাড়ে তিন বছরের প্রেমিক ও সহকর্মী
রজতাভর সঙ্গে সম্পর্কে ইতি পড়েছে রজতাভর দিক থেকেই। খবরটা স্বাভাবিকভাবেই আগুনের
মত ছড়িয়ে পড়েছে ডিপার্টমেন্টময়। সৌরিন্ধ্রী সিভিয়ার ডিপ্রেশনের রুগী। ঘটনার
আকস্মিকতায় সে বিছানা নিয়েছিল। আজ অফিসে এলে তাকে সকলের সহানুভূতির শিকার হতে হত।
ল্যাবে এলে সে চিন্তা নেই। ডাঃ দত্ত সহানুভূতির ধার মাড়ান না।
লোকে বলে, সারাজীবন মড়া ঘেঁটে ঘেঁটে তাঁর অনুভূতিগুলোও মরে গেছে।
সৌরিন্ধ্রীর খারাপ লাগেনা ওঁকে। অসম্ভব মেধাবী। একই কথা দু'বার বলতে গেলে ক্ষেপে যান।
"কি বুঝছেন ডাক্তার?"
"মহিলা, যুবতী, বয়স ২২-২৫ এর
মধ্যে। মাথার খুলিটা হাতুড়ি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে ভাঙা হয়েছে। হাতের চামড়া পুড়িয়ে
দেওয়া হয়েছে যাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না পাওয়া যায়। গায়ে জামাকাপড় ছিল না। গয়না ছিল
না। জলের নীচে ডোবানোর জন্য গলায় ভারী পাথর বাঁধা হয়েছিল।" একটানা বলে গেলেন
ডাঃ দত্ত। এক দীঘির জলে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা দেহটা উদ্ধার করেছে জানে সৌরিন্ধ্রী।
সম্ভবত যে দড়িটা বেঁধে ডোবানো হয়েছিল সেটা পচে যায় বা ক্ষয়ে যায়। কঙ্কাল ভেসে ওঠে।
"কতদিন আগের ঘটনা মনে
হচ্ছে?" জানতে চাইলে ডাঃ দত্ত
বলেন, "অন্ততঃ বছর দেড়েক,
বেশি হতে পারে। কম নয়।"
বছর দেড় থেকে দুই-এর মধ্যে যে যে ২২-২৫ বছর
বয়সী মেয়েরা হারিয়ে গিয়েছিল এবং যাদের খবর এখনও পাওয়া যায়নি তাদের রেকর্ড বার করে
সৌরিন্ধ্রী। ডাঃ দত্ত তাকে জানিয়েছেন মেয়েটির উচ্চতা ৫'৬" থেকে ৫'৭" হবে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে এই ধরণের উচ্চতা সংখ্যায় কম। তাদের মধ্যে
হারিয়ে যাওয়া যুবতীর সংখ্যা নিশ্চয়ই আরো কম হবে। তবু গোটা ১২ জন মহিলার বৃত্তান্ত
খুঁজে বার করল সৌরিন্ধ্রী। কাজ করার মস্ত
সুবিধা হচ্ছে লোকের মিথ্যে সহানুভূতি দেখতে হয়না।
রাতে অফিস থেকে বেরোতে যাবে সৌরিন্ধ্রী,
ডাঃ দত্ত তাঁর ল্যাবে ডেকে পাঠালেন। অমর দত্তের
সংসার বলে কিছু নেই। বিয়ের দু'বছরের মাথায় ওনার
স্ত্রী, "মড়াদের সঙ্গেই সংসার
করো...." বলে বেরিয়ে গিয়েছেন। ভদ্রলোকের সেই অবধি সময়জ্ঞান নেই। আর কয়েকদিন
আগে হলে সৌরিন্ধ্রী না করে দিত। রজতাভ অপেক্ষা করবে বাড়িতে। এখন মনে হল ওই খালি
বাড়িতে যাওয়ার থেকে মর্গে যাওয়া সুখপ্রদ। তাই সে না করল না।
"মেয়েটির মাথার খুলির
টুকরোগুলো এখনও জোড়া লাগাতে পারিনি। পারলে ফেস রিকগনিশনের জন্য কিছুদিন সময় দিতে
হবে। কিন্তু হত্যার কারণটা আবিষ্কার করতে পেরেছি... এই কঙ্কালের সঙ্গে এরকম কিছু
হাড় পাওয়া গেছিল যেগুলোকে আমার সহকারী রমলা ব্যাঙের দেহাবশেষ বলে ভেবেছিল। এখন
জানা গেছে ওগুলো মানুষের কানের হাড়.... মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল তবে বেশিদিনের নয়।
সম্ভবতঃ, ওর হত্যার কারণও তাই। আরও
বাকি আছে...." সৌরিন্ধ্রীকে নিয়ে হাড়গুলোর কাছে আসেন ডাঃ দত্ত। কতগুলো হাড়ে
দাগ দেখা যায়। উনি বলেন, "হাতুড়ি দিয়ে ওর
মাথা ভাঙা হলেও, ওর হত্যার আসল অস্ত্র
ছুরি জাতীয় ধারালো কিছু। এই যে দাগগুলো দেখছেন, এগুলো তারই দাগ। আমার হিসেবে ৮-১০ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
এই দাগগুলো লক্ষ্য করুন উপর থেকে নীচের দিকে যাচ্ছে....গভীরতা দেখুন। তার মানে এই
ছুরি মারবার সময় মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল। পিঠের হাড়গুলো দেখুন, ছুরি উপর থেকে নীচের দিকে গেছে কাঁধ বরাবর।"
"একাধিক আততায়ী..."
বলে ফেলে সৌরিন্ধ্রী।
"একদম। তারপর কয়েকটা দাগ
সোজা ঢুকেছে, বেরিয়েছে, এটা সম্ভবতঃ মৃত্যু নিশ্চিত করবার জন্য করা হয়েছে। মেয়েটি
পড়ে যাওয়ার পর করা হয়েছে..." বলেন ডাঃ দত্ত।
"আর মাথায় হাতুড়ির বাড়ি?"
"পোস্ট-মর্টেম। সম্ভবতঃ
পরিচয় গোপন করবার জন্য। সিমেন্টের বস্তা দিয়ে মুখ ঢেকে বড় স্লেজ হ্যামার জাতীয়
কিছু দিয়ে বারবার বাড়ি মারা হয়। লাশটা ডুবিয়ে দেওয়ার সময়েও বস্তাটা ওর মুখে বাঁধা
ছিল। তাই খুলির অধিকাংশ টুকরো উদ্ধার হয়েছে..." বলে ঘুরে তাকিয়ে ডাঃ দত্ত
দেখেন অন্যমনস্ক হয়ে কি ভাবছে সৌরিন্ধ্রী।
"কি মনে হয়?" ডাঃ দত্ত জানতে চান। এই মেয়েটির সঙ্গে আগেও বহুবার কাজ
করবার অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে। প্রত্যেকটা কেসকে ভীষণ পার্সোনালি নিয়ে নেয়। ওর মানসিক
অবস্থার জন্য এটা কতটা ক্ষতিকারক ডাঃ দত্ত জানেন না। কিন্তু এর ফলে যে ওর অবসাদ
বৃদ্ধি হচ্ছে এবং সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনের উপর তার ছাপ পড়ছে, তা তিনি বোঝেন।
"আপনার কি মনে হচ্ছে না
ডাঃ দত্ত যে, যারা মেয়েটিকে খুন করেছে,
তারা খুন করার চেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে ওর
পরিচয় গোপন করতে? ধরা যাক, অবৈধ সম্পর্ক ছিল মেয়েটির সাথে কোন পুরুষের। মেয়েটি
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ছেলেটিকে জানায়। ছেলেটি বলে গর্ভ নষ্ট করতে। মেয়েটি বেঁকে
বসে। হয়তো চাপ দেয় ছেলেটির বাড়িতে বা স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়ার। তাই ছেলেটি তার এক
বন্ধুকে বা বন্ধুদের হাত করে। মেয়েটির সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে করতে মেয়েটিকে ছোরা
মারে..."
"তর্কাতর্কি করতে করতে
সম্ভবতঃ নয়। ছুরির প্যাটার্ন বলছে মেয়েটি বোধহয় হামলার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জানত
না। খুব বেশি প্রতিবাদ করার সুযোগ হয়নি। দ্বিতীয় বা তৃতীয় আঘাতেই সে নেতিয়ে
পড়ে।"
"বেশ। তাহলে ধরে নিচ্ছি
মেয়েটাকে মারবার জন্য ছুরি, হাতুড়ি, সিমেন্টের বস্তা সব নিয়ে একজন তৈরি ছিল। কিন্তু এরকম কাজ
রাস্তায় করার রিস্ক আছে। সাক্ষী জুটে যেতে পারে। আর যারা পরিচয় গোপনের জন্য এত
সচেষ্ট তারা নিশ্চই সাক্ষী চাইবে না। ফলে মেয়েটিকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়ে ছিল।
সেক্ষেত্রে ওকে ড্রাগ দিয়ে অজ্ঞান করেও নিয়ে যাওয়া যেত কিন্তু হামলার সময় মেয়েটি
দাঁড়িয়ে ছিল অর্থাৎ তাকে অজ্ঞান করা হয়নি বা জোর করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। সে
নিজেই গিয়েছিল এবং যেখানে বা যার কাছে গিয়েছিল তাকে ও বিশ্বাস করত। তাই আক্রমণের
পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সে স্থির ছিল।"
"সাবাশ তোপসে..."
হেসে উঠলেন ডাঃ দত্ত, "বাকি ক্লুটা আমি
দেবো কিন্তু একটাই কড়ারে। আমি তোমার সঙ্গে ময়দানে নামব।"
"কিন্তু আপনার জায়গা তো
এখানে, ল্যাবে..." ডাঃ দত্ত
যা ঠোঁটকাটা লোক, তাকে নিয়ে ময়দানে নামলে
কি ঘটবে কে জানে!
"তাহলে ১২ জনের ডিটেলস
খুঁজে বেড়াও..." । ডাঃ দত্ত ল্যাব বন্ধ করতে উদ্যত হলেন। বেগতিক দেখে রাজি হল
সৌরিন্ধ্রী। ডাঃ দত্ত ঘুরে বললেন, "বছর ঊনিশ বয়সে ওর হাত ভেঙেছিল, প্লেট বসাতে
হয়েছিল। মাল্টিপল ফ্র্যাকচার....এটা ১২ জনের মধ্যে কার হয়েছিল?"
উত্তরটা খুঁজে বার করতে সময় লাগল দেড় দিন।
ততক্ষণে খুলি প্রায় তৈরী করে ফেলেছেন ডাঃ দত্ত। মাত্র প্লাস্টিসিনের কাজ বাকি।
ইতিমধ্যে আরও একটি লাশ এসেছে ল্যাবে। আদ্যোপান্ত ঝলসানো। চামড়ার জায়গায় কার্বন
উঠছে শুধু। পুলিশে পুলিশে ল্যাব ছয়লাপ।সৌরিন্ধ্রীকে ফোন করে সেদিন হঠাৎই সেদিন ডাঃ
দত্ত বললেন, "আজ সন্ধ্যেবেলা ফ্রি আছ?"
সৌরিন্ধ্রীর মনে হয়েছিল নিজের ল্যাবেই ডাকবেন
ডাঃ দত্ত। কিন্তু হঠাৎ হোটেলে ডিনারের নিমন্ত্রণ জানাতে বিশাল ঝটকা খেল
সৌরিন্ধ্রী। হাতের কফি চলকে গায়ে পড়ে, সে বিশ্রী অবস্থা। শেষে কিনা ডাঃ দত্ত-ও?
সৌরিন্ধ্রীকে দেখে হাসলেন ডাঃ দত্ত। স্যুট
পরেছেন আজ। ল্যাব কোট ছাড়া ভদ্রলোকের কাছে
আর কোন জামাকাপড় আছে এটাই জানত না সৌরিন্ধ্রী। দিব্যি তো ল্যাব- কোটে চলছিল,
এই বয়সে লোকটার ভীমরতি ধরল কেন? সৌরিন্ধ্রী যথাসম্ভব ভদ্রভাবে জানতে চাইল, "আজ হঠাৎ ডিনার?"
"কারণ তোমার প্রাক্তন
প্রেমিক পোড়া রাষ্ট্রদূতের লাশ নিয়ে মেতে আছে। কয়েকশো লোক আমার ল্যাবের শান্তি
নষ্ট করে দিয়েছে।" সৌরিন্ধ্রী প্রমাদ গণল। অন্য টেবিলের লোকজন ওদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ না করে। যা গাঁক গাঁক করে চেঁচাচ্ছেন ভদ্রলোক।
"রাষ্ট্রদূত তো
ক্রিটিক্যাল ব্যাপার। আপনি দেখছেন?" ডাঃ দত্ত মদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে, নিমপাতার পাঁচন গেলার মত মুখ করে বললেন, "আজ্ঞে না। আমাদের স্বনামধন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডাক্তার
রাস্তগীকেই কাজটা করবার ভার দিয়েছেন। তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সহচর রাহুল
ব্রহ্মচারীকে পাঠিয়েছেন তদারক করতে। ব্রহ্মচারী মহাশয় সারাক্ষণ ল্যাবের চারপাশে
মাছির মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন..."
এতক্ষণে সৌরিন্ধ্রী হোটেলে ডিনার খেতে
ডাকার কারণটা অনুধাবন করতে পারল। ডাঃ দত্ত বস্তুতঃ গৃহহারা। উপরন্তু রাষ্ট্রদূত
হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের ভার তাঁকে না দিয়ে তার ছাত্রকে দেওয়ায় সম্মানে
আঘাত লেগেছে তাঁর। তাই ল্যাব পরিত্যাগ করেছেন।
"তাহলে আমাদের এখনই ল্যাবে
যাওয়া প্রয়োজন।" বলে সৌরিন্ধ্রী। "কারণ আমাদের সুন্দরী ছিল রাহুল
ব্রহ্মচারীর প্রেমিকা এবং নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ক্যাম্পেন
এডভাইজার সুনীপা ব্যানার্জী।" কেসটা রাজতাভ দেখছে, সৌরিন্ধ্রী জানে।
এই সময় রজতাভর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নামবার ইচ্ছে তার মোটেই ছিল না।
কিন্তু.... কিংকর্তব্য!
মন্ত্রীমশাইকে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন,
"সুনীপা ভালোই কাজ করত কিন্তু এর বেশি তিনি
কিছুই জানেন না তাঁর সম্পর্কে। রাহুলের সঙ্গে কোনরকম সম্পর্ক থাকলে সেটা রাহুলের
ব্যাপার। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ অনেকটা দূর দাঁড়িয়ে ছিলেন ডাঃ দত্ত। হঠাৎ এগিয়ে
এসে বললেন, "আপনার খাওয়া জলের গ্লাসটা
আমি নিলাম। এই DNA থেকে বোঝা যাবে সুনীপার
সন্তানের পিতা কে ছিল!" সৌরিন্ধ্রী ডাঃ দত্তকে সামলানোর জন্যে হাত বাড়ানোর
আগেই মন্ত্রীমশাই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। গ্লাস কেড়ে নিতে যান এবং ডাঃ দত্তকে ঘুঁষি
মারতে চেষ্টা করেন।
ডাঃ দত্ত ঘুঁষিটা ব্লক করে বলেন,
"আমি একসময়ের ব্ল্যাকবেল্ট। তাছাড়া আমার মনে হয় DNA
র দরকার আর পড়বে না...." মন্ত্রীমশাইকে
আবার নিজের জায়গায় এসে বসানো হয়। ভদ্রলোক নিজের উকিলকে ডেকে পাঠিয়ে বয়ান দেন,
"সুনীপা গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তিনি তাকে বলেছিলেন
গর্ভ নষ্ট করতে। সুনীপা রাজি হয়নি। অনেক টাকা দিয়ে মন্ত্রী মশাই তাকে বিদেশে
পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। পুরো দায়িত্ব ছিল রাহুলের। সেই তাঁর সঙ্গে সুনীপার শেষ
দেখা...."
সৌরিন্ধ্রী ডাঃ দত্তকে বলে, "আপনি যদি হঠাৎ জানতে পারেন যে আপনার প্রেমিকা আপনার বসের সন্তানের
মা হতে চলেছে, আপানি কি করবেন?"
ডাঃ দত্ত হাসেন, "জরুরি প্রশ্ন সেটা নয়, জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে রাহুল কি করেছিল...."
সৌরিন্ধ্রী আর ডাঃ দত্ত যখন রাহুলের বাড়িতে
পৌঁছালেন। তখন রাহুল একটি নোটে সমস্ত দোষ স্বীকার করে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল।।
madhurimondal2009@gmail.com
ঢাকুরিয়া, কলকাতা
No comments:
Post a Comment