...ঋভু চট্টোপাধ্যায়
গলির মুখের
চায়ের দোকানে বসে বসে পা দোলাচ্ছে ঝুমুর।একটু পরেই সন্ধে নেমে যাবে শহরের এই
গলির ভিতর, তবে মিশবে না।এখন এখানে সন্ধে
মিশছে না।চায়ের দোকানের দুলাল কাকার কয়েকটা কাপ ডিশ মাজার আওয়াজ আসছে।গলির মুখটাতে
ছেলেটা এখন আর বসে ফুল বিক্রি করছে না।ঝুমুর ছেলেটাকে চেনে, নাম ভোঁদা, অনেকদিন
তার কাছে নতুন নতুন কাস্টমার এনে দিয়ে বলেছে,‘ঝুমুরদি, আজ নতুন কাস্টমার
দিয়ে গেলাম, কাল আমার কাছে একটা মালা কিনবে।’
ঝুমুর তার
কাছে প্রায়ই মালা কেনে।এমনি কাস্টমারদের থেকে তার কাছে ছেলেটা অনেক টাকাই কম নেয়।মাঝে
মাঝে কাস্টমার এনে দিলেও কিছু কিছু টাকা হাতে গুঁজে দেয়।‘কাকা, কাল ভোঁদা বসে ছিল?’
ঝুমুর জিজ্ঞেস করতেই দুলাল কাকা ঘাড় ঘুরিয়ে উত্তর দেয়,‘এসেছিল, পুলিশের ক্যালানি
খেয়ে পালালো।আমাকেও তো বন্ধ করে দিতে বলেছিল।’
-করনি কেন ?
-আমি দু’
কাপ চাপ আর বিস্কুট দিতেই বলল,‘কাউকে কাচের কাপ বা গ্লাসে চা দেবে না, কাগজের কাপ
ব্যবহার করবে, ভিড় দেখলেই বন্ধ করে দেবে।’
-আজ খুললে
কেন?
-খাবো কি?এপাড়ায়
সকালের দিকে একটু চা, আর সন্ধের দিকে দু’একটা বোতল, এতেই তো বেঁচে আছি।সবই তো
জানিস।তাও আজ যা অবস্থা কেউ আর আসবে বলে মনে হচ্ছে না।
ঝুমুর পা
দোলাতে দোলাতেই একটা লম্বা শ্বাস ফেলল।এমনি সময় শহরের এই গলির মুখে পা ফেলবার
জায়গা থাকে না।এখানে ওখানে সবাই দাঁড়িয়ে থাকে।কাস্টমারদের থিকথিকে ভিড়, বক্সের আওয়াজ,
কেমন যেন অন্য রকমের লাগে।এখন শ্মশানের মত লাগছে।ঘন ঘন পুলিশের গাড়ি ঘুরছে, হাত পা
শুকিয়ে যাচ্ছে সবার।একটু আগেই কয়েক জন সেজে গুজে মোড়ের মাথাতে দাঁড়িয়ে ছিল।মিনিট
পনেরো পরেই হাঁপাতে হাঁপাতে গলিতে ঢুকে গেল।ঝুমুর তাদের ওরকম ভাবে আসতে দেখে ‘কি
হলো রে?’ জিজ্ঞেস করতেই উত্তর দিল, ‘পুলিশ হেব্বি খিস্তি করছে।একদম দাঁড়াতে দিচ্ছে
না।তুমিও ঘরে ঢুকে যাও,এখন আর কোন বাবুর আশা নেই।’
–বললি না
কেন মুখে খাবারটা কি তোমার বাবা দেবে?সব শালা ঢেমনা।খেতে দেবার মুরোদ নাই কিল
মারতে চলে এলো।
-কেন রে কাল
থেকে প্যাকেটে প্যাকেটে চাল ডাল সব পৌঁছে দেবে তো।শুনলি না আজ সকালেও তো মাইক নিয়ে
বেরিয়ে ছিল।
-দুলাল
কাকা, তুমি বেশি ফ্যাচ ফ্যাচ করবে না তো।তোমার নিজের আলু গুলো সিদ্ধ করে গেলো,
যত্ত সব, হাতে টাকা না থাকলে বাকি খরচের কি হবে ভেবেছ।তোমার ওষুধ কিনবে কিভাবে,
ভেবেছো ?
দুলাল কাকা
চুপ করে যায়।এপাড়াতে ঝুমুরের অনেক বছর হয়ে গেল। কত বছর আর মনে নেই।সেই ঐ বছরে একটা
বাংলা বই বেরিয়ে ছিল।গানটা খুব ভালো লাগত ঝুমুরের।তার নিজের ছোট গ্রামে ঘোরার সময়,
স্কুল বা প্রাইভেট থেকে ফেরার সময় নিজের
মনে গানটা খুব গাইত।এখন আর মনে পড়ে না।শুধু কি গান, কত কিছু মারিয়ে গেছে।
-কি গো
ঝুমরি, তোমার কি খবর? কাস্টোমার কই, এক্কেবারে মারিয়ে গেছে তো, আমার সাথে যাবে ?ভালো
মাল পাবে।
একটু অন্য
মনস্ক হয়ে গেছিল ঝুমুর।কথাগুলো শুনেই চোখ ঘুরিয়ে দেখল পচা তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে
আছে। মুচকি হেসে বলে উঠল,‘এই বন্ধের বাজারে তুই কি মরতে...?’
–মরতে নয়,
মারাতে।
-যা, পুলিশ
পোঁদের চামড়া তুলে নেবে।আজ সকালেই এই মোড়ে হেব্বি কিচাইন হয়েছে।কেলিয়ে পাট করে
দিয়েছে।
–আরে আমাকে
কেউ কেলাবে না, মালের কাছে সব চুপ।তুমি যাবে কিনা বল?
–কোথায় ?
–সামনেই,
ফরেনার আছে।ভালো মাল দেবে।
–ফরেনার!নারে
ওরা খুব ঢেমনা হয়, টাকা দিলেও এক্কেবারে খাল করে দেয়।একজনের টাকা দিয়ে পুরো হোটেল
চলে আসে।
-এখন
বিদেশীদের থেকে দূরে থাক ঝুমুর।এই রোগটা নাকি বিদেশ থেকেই এসেছে।কয়েক দিন আগে এক
বাবু চা খেতে এসে সব বলছিলেন।না হলে আমি আর কি করে জানবো।জ্বর, সর্দি হলে ডাক্তার
দেখানোর কথাও বলছিলেন।তুই বাইরে গেছিস শুনলে আর কিন্তু গলিতেও বেরোতে দেবে না।কাকে
যেন বাইরে থেকে চাবি দিয়ে রেখে দিয়েছে।
–তাই!তাহলে
মারিয়েছে।তারপর পচার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,‘এই শালা, সত্যি করে বলতো আমাদের এই গলির
কতজনকে তোর ঐ ফরেনারের কাছে নিয়ে গেছিলি?’
–ও রে বাবা!কে
আমার এলো গো।শোনো সব ঠিক হলেও তোমার মার্কেট ডাউন।ঐ ভ্যান, আর রিক্সা ছাড়া আর কেউ
যাবে না। নিজেকে একবার ভালো করে দেখবে।কদিন পরে পা থেকে আরম্ভ করতে হবে।
ঝুমুর চুপ
করে যায়।সত্যিই আর সেরকম ভালো কাস্টোমার আসে না।জোর করে একবার নিয়ে এলেও পালিয়ে
যায়। অথচ একদিন ঝুমুরের কি বাজারটাই না ছিল।কত ভাউ, কত ন্যাকড়া।কোথাকার একটা লোক
মায়ের থেকে বিয়ের নামে কিনে এ’পাড়াতে এক মাসির কাছে বিচে দিয়ে চলে গেল।সব ন্যাকড়া
দুদিনের মধ্যে উঠে গিয়ে যখন এপাড়ার একজন হয়ে উঠল তখন দুহাতে শুধু টাকা আসতে আরম্ভ
করল।খোলতাই চেহারা, গঙ্গা মাটির মত গায়ের রঙ, শাড়ি খোলার আগেই যেকোন লোকের প্যান্ট
ভিজে যেত।প্রথম কয়েকটা দিন একটু লজ্জা পেলেও পরে লোকগুলোকে দেখে বেশ মজা লাগত।নিজেকে
কেমন যেন রানী রানী মনে হত।লোকগুলো ফিরে যাবার সময় মাসির হাতে ছাড়াও ঝুমুরের নিজের
হাতেও টাকা গুজে দিয়ে যেত।তার পর মাসির কাছ থেকে বেরিয়ে এই গলিতে নিজের আলাদা ঘর ভাড়া
নিল।ভাড়ার টাকা ছাড়া মাসিকে আর কোন টাকা দিতে হল না।দুহাতে টাকা নিয়েও রাতে একা
ঘরে শুয়ে থাকতে থাকতে নিজের ঘরের ভিতরেই গ্রামের ঘরের পুকুরটা চলে আসত।এপাড় থেকে
মা চিৎকার করে ডাকত,‘মানারে কটা বাজছে বলতো, স্কুল যাবি তো নাকি?’ বাকি দুটো বোন
তখনও ওপারে, মায়ের ডাক শুনে ভয় পেয়ে বলে উঠত, ‘দিদিরে এবার চল, তুই না গেলে তো
আমরাও স্কুল যেতে পারবো না।’ ঝুমুর তখন স্বাগতা নাম নিয়ে দুদিকে দুটো বিনুনি ঝুলিয়ে
স্কুল যেত।বাজারের মাথায় বাবার সায়া ব্লাউজের একটা ছোট্ট দোকান ছিল।প্রতিদিনের
হাঁটা চলার মধ্যেও একবারের জন্যেও এই জীবনটার জন্য তৈরী ছিল না।তাই চোখের সামনে
বাবার মারা যাওয়া, মায়ের দোকানটা না পাওয়ার ঘটনাগুলো একটার পর এসে সব হিসাব বদলে
দিতেই তার ঝড়ে স্বাগতা নিজেকে আর সামলাতে পারল না।সোজা ঝুমুর হয়ে গেল।অবশ্য মাঝে
একজন সুজনকে পেয়েছিল, সে পরম যত্নে গণ্ডগ্রাম থেকে বিয়ের নামে শহরের এই সুন্দর
গলিতে তুলে দিয়ে গেল।প্রথম প্রথম ঝুমুর বড় বেশি স্বাগতা হতে চাইত, আর তখন নিজের
মধ্যে ঝড় উঠত,একটা নাগরদোলা উপর নিচ করে এক্কেবারে ক্ষত বিক্ষত করে দিত, পালিয়ে
যাবার জন্য পা’দুটো ছটফট করত, এই গলি এক্কেবারে ভালো না, কিন্তু যাবে কোথায়?এখানে
আসার পর আরো কয়েকজনের সাথে আলাপ হল, সবার গল্পই মোটামুটি এক।সবাই সেই এক
কথায় বলে যেত,‘এখান থেকে পালিয়ে যাবার কোন জায়গা নেই রে, সব দরজাই বন্ধ, ধান্দা
কর, টাকা জমা, শরীর একবার ঝুলে পড়লে আর কেউ তাকাবে না, তখন রাস্তায় বসে বসে ভিক্ষা
করতে হবে।’ তখনই দরজার গোড়াতে মাসি দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উঠত,‘কাঁদিস না, এখানে
কাঁদলে নিজের রেট কমে যায়, ফূর্তি করে থাক, সব পাবি, না হলেই মারাবি।’ ঝুমুর আস্তে
আস্তে নিজের ভিতরেই স্বাগতাকে মেরে এই গলি, এই রাস্তা, এই খিস্তির ইট পাথর ধুলো
বালি, এই মুতের গন্ধ সব মিশে গিয়ে সাজানো বাগানের ফুলের গন্ধের একজন হতে আরম্ভ করতেই
বুঝল, নিজেকে টেনে নিচে নামাতে গেলেও শক্তির প্রয়োজন।
-কি
ভাবছো?এখানে একমাস কেউ আসবে না, ভয়ে সবার গুটিয়ে গাপ হয়ে গেছে।শুনছো তো সব?চারদিক
দেখছ না সবাই মুখে কি সব বেঁধে ঘুরছে।শুনলাম ছুঁলেও নাকি রোগটা ছড়িয়ে যাচ্ছে
দাঁড়াতে গেলেও দূরে থাকতে হবে। দেখো পুলিশ কোন দিন না এসে গলি বন্ধ করে দিয়ে চলে
যায়।
-দুর শালা,
শুধু বাঁজা বকছে। কত দিবি বল ?
–মানে ?
-বেশি না দিলে
যাবো না।
-অতো গরম
মারাও না।তোমার দিন শেষ।না গেলে ওপাড়া থেকে কাউকে নিয়ে যাবো। আরো টাইট পাবো, তোমার
তো এখন পেট অবধি ....।
কথাগুলো শেষ
করতে দিল না ঝুমুর। তার আগেই ঝাঁঝিয়ে বলে উঠল,‘তাহলে ওদেরকেই নিয়ে যা, ফোট তো এখান
থেকে।’
-এই শোনো
শোনো।তুমি চল, কিছু কাজ নেই।ফরেনার বুড়ো দের একটা পার্টি হবে, একটু নাচবে, একটু
চটকাবে এর বেশি কিছু হবে না।সবগুলোই মাল টেনে শুয়ে পড়বে।
ঝুমুর কিছু
সময় ভেবে জিজ্ঞেস করল,‘তুই নিয়ে যাবি কিভাবে ?এখন তো গাড়ি বন্ধ।’
–সে তোমাকে
চিন্তা করতে হবে না, সব ব্যবস্থা করা আছে।গাড়িতে যাবে, আসবে, মাঝে কিছু কাঁচা মাল
কামাবে। ঝুমুর কিছু সময় আবার চুপ থেকে বলে উঠল, ‘না রে, যাবো না, তুই অন্য কাউকে
দেখ। পাড়াতে ঝামেলা করতে পারে।’
–এগলিতে
অন্য অনেক আছে। তাও তোমায় সময় দিলাম।
শেষের
কথাগুলো বলেই পচা গলির ভিতরে চলে যেতেই ঝুমুর দুলাল কাকার চায়ের দোকানের বেঞ্চ
থেকে নেমে পায়চারি করতে লাগল।দুলাল কাকার
দোকান গোটানো হয়ে গেছে।গলির মুখে সন্ধে নেমে এলেও এক্কেবারে ফাঁকা।সকালেও পুলিশের
ভ্যান, কয়েকজন দিদি ঢুকে সবার ঘরে ঘরে কয়েকটা দিন ধান্দা বন্ধের জন্য বলে
গেছে।কিন্তু তারপর ?ঝুমুর চারদিকটা একবার দেখে নিল।এই রকম অবস্থা কোনদিন দেখেনি।সকালে
চাল কিনতে গিয়ে শুনেছে,‘কোন গাড়ি চলছে না, এমনকি ট্রেনও বন্ধ।’শুধু তাদের গলিতে
বিভিন্ন ঘরের দরজার মুখে দাঁড়িয়ে কয়েকজন ঝুমুরের মতই খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করতে
লাগল।
‘খদ্দের কি
উড়ে উড়ে আসবে ?ঘরে গিয়ে বোসো গে।কাল সকাল থেকে চাল ডাল পাবে, খেও।’ পানের দোকানের
ছেলেটা ঝুমুরকে দেখতে পেয়েই বলতে বলতে চলে গেল।
ঝুমুর কয়েক
পা হেঁটে আবার নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াতেই পেটটা কামড়ে ধরল।বাঁ হাত দিয়ে পেটটা
টিপে আবার দুলাল কাকার চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর বসে পড়ল।এটা কি পেট খারাপের
ব্যথা? না সেই ব্যথাটা? কয়েকদিন আগেই ঝুমুরকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।মেয়েদের এক
ডাক্তার দিদিমনি প্রথম দিনেই অনেক ফটো করিয়ে সবকিছু দেখেই বলে উঠলেন,‘তোমার কিন্তু
অবস্থা ভালো নয়,এখনও খদ্দের নিচ্ছো ? বন্ধ কর, না হলে কিন্তু বাঁচবে না।’
–বন্ধ করলেও
তো বাঁচবো না দিদি।
–প্রতিমাসের
শরীর খারাপটাকেই বন্ধ করে দাও তো নাকি ?
ঝুমুর মাথা
নিচু করেই উত্তর দিল,‘চার পাঁচদিন ধান্দা বন্ধ করলে মরে যাবো।’
–এবার তো
অপারেশন করতে হবে।তারপর তো আর.....
শেষের
কথাগুলো শুনে ঝুমুর আর হাসপাতাল যায় নি।সত্যিই যদি অপারেশনের পর আর ধান্দা না করতে
পারে, খাবে কি? বাঁচবে
কিভাবে ?
“টাকা জমা
ঝুমুর, টাকা জমা, শরীর ঝুলে গেলেই সব শেষ।” কথাগুলো কেমন যেন শরীরটাকে গিলতে আসে। মনে
পড়লেই হাত পা অবশ করে দেয়।তার মানে কি অপারেশনটাও করাতে হবে?
উফঃ।পেটে
ব্যথাটাও মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিচ্ছে।সারাটা শরীরেও কেমন যেন একটা অস্বস্তি হল।চোখ দুটো
বন্ধ হয়ে আসছে।সেই সময়েই গলির উল্টো দিক থেকে পচাকে আসতে দেখে কিছুটা জোর করেই উঠে
দাঁড়ালো ঝুমুর।গলিটাতে আর কেউ নেই।পচা সামনে আসতে নাম ধরে ডাকতেই কাছে এল।ঝুমুর
তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,‘ কি রে পেলি ?’
ঘাড় নাড়ল
পচা।
তার মানে
পায় নি।
জিজ্ঞেস
করল, ‘তুই কি এখন প্রতিদিনই আসবি, নাকি শুধু আজ....’
-তুমি জেনে
কি করবে? যাবে?
ঝুমুর একটু
কষ্ট করে উঠে বলে উঠল, ‘কোন ধার বাকি হবে না তো?’
–খেপেছো?
-বেশ, তাহলে
আর নতুন করে শাড়ি ছাড়তে বলবি না।এটাই এখনো খুলিনি।’
শহরের রাস্তায় অন্ধকার নেমে এলেও ঝুমুর একটা গাড়িতে চেপে আস্তে আস্তে গলি ছাড়িয়ে
বড় রাস্তাতে ওঠে।শুধু জানতে পারে না এই ওঠাটা তার কাছে আরেকটা নেমে যাওয়া কিনা ?
wribhuwriter.dgp@gmail.com
পশ্চিম বর্ধমান
No comments:
Post a Comment