1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, October 21, 2020

সামর্থ্য

 

ছবি : ইন্টারনেট


                                                                              কস্তুরী চ্যাটার্জি পত্রনবীশ 

               অবনীমোহনের কারখানাটা শহরতলির দিকে। জনবসতি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে। স্হানীয়শ্রমিকরাই কাজ করে।সিমেন্টের কারখানায় মহিলা শ্রমিক অল্প, তবু আছে।

কোন কোন মা তাদের শিশুদেরও নিয়ে আসে। শিশু বলা বাহুল্য, কাচ্চাবাচ্চা কথাটাই যেন মানায়। কেউআবার একটু বড়। কারখানার এককোণে বসে বিড়ি বাঁধে।

প্রাত্যহিক দৃশ্যটা মন দিয়ে দেখেন আর ভাবেন ওদের বাবা মায়ের সামর্থ্য নেই তাই পড়াতে পারেনা,এটাই ওদের ভবিতব্য। মায়া যে লাগেনা তা নয়, কিন্তু তার সামর্থ্য কোথায় এত শিশুদের ভার বহন করার!

ক্রিং ক্রিং শব্দে মুঠোফোন জানান দিচ্ছে। চিন্তার জালটা ছিঁড়ে গেল। 

ওপারে মাধবীর উৎকন্ঠা জানান দিল সাংঘাতিক কিছু হয়েছে।বিরক্তিতে ভুরুটা কুঁচকে উঠল মুহূর্তে।এই থানাপুলিশ আর ভালো লাগেনা।

“স্যার,এটাতো ফার্স্ট নয়...।”

হাত তুলে অবনীমোহনকে থামালেন ইন্সপেক্টর

“ অপরাধ তো অপরাধ মিঃ বোস। এবার আর টাকা দিয়েও ম্যানেজ হবেনা। ড্রিঙ্ক করে গাড়ি চালিয়েছে, ট্রাফিক রুলস ভেঙ্গেছে। আই কান্ট হেল্প। প্লিজ হেল্প ইয়োরসেল্ফ এ্যান্ড ইয়োর বয়।

টাকাপয়সা কাহাতক দেবেন! সেটাও একদিন সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে।”

কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলেন অবনীমোহন। কন্ঠা বার করা, মুখ খারাপ করা, অশিক্ষিত, সামর্থ্যহীন ঐশ্রমিক বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। ওদের সামর্থ্য নেই, অবনীমোহনের সামর্থ্য থেকেও নেই।

kastury.patranabis@gmail.com
টেক্সাস,আমেরিকা 



No comments:

Post a Comment