1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, October 21, 2020

আন্দামান ভ্রমন ( সেলুলার জেল )

 

ছবি : ইন্টারনেট                                                                     দয়াল বন্ধু মজুমদার

জীবনে তো কতোকিছুর জন্যই আফশোস থেকে যায়। আমার একটি ব্যাপারে আফশোস, আজ ২৯ শে এপ্রিল, সকালে রেডিওটা চালিয়েই আবার মনে পড়ল। আজ প্রনম্য স্বাধীনতা সংগ্রামী, প্রয়াত বিমল দাশগুপ্ত মহাশয়ের পবিত্র জন্মদিন। মেদিনীপুর শহরে বছর সাতেক থাকার সময়, কলেজ মোড়ে এই প্রণম্য বিপ্লবীর বাড়ীর সামনে দিয়ে বহুবার যাতায়াত করেছি। প্রথম দিকেই এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, ঐ জায়াগায় থাকেন ঐ মহান বিপ্লবী। একবার প্রণাম করতে যাবো, বলেওছিলাম ঐ বন্ধুকে। এখন পিছন দিকে তাকালে ভাবি, কি বিচিত্র সব কাজে আর অকাজে প্রায় সাতটা বছর কাটিয়েছি মেদিনীপুর শহরে। একদিন সন্ধ্যায় যাওয়ার সময় হলনা, সাত বছরে? তারপর উত্তরবঙ্গের চাকরীর জারগার ব্যস্ততা। ঠিকমত বললে ব্যাতিব্যস্ততা, মেদিনীপুর শহরের সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। বছর ছয় সাত পর আবার মেদিনীপুরে যাতায়াত শুরু করেছিলাম। ঐসময় একদিন বাসে আসতে গিয়ে দেখলাম, শ্বশানে ঢোকার রাস্তার মুখে একটা আবক্ষ মূর্তি। সামনে থেকে ঐ মহান বিপ্লবীকে দেখিনি কোনদিন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ঐ মূর্তির কাছে বাসটা একটু দাঁড়ানোয়, মূর্তির নিচে নাম দেখলাম, বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত! মনে একটা গোপন অপরাধবোধ যেন উঁকি দিয়ে গেল। মনে মনেই মহান বিপ্লবীকে একটা প্রনাম করলাম। সেই মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা অপরাধবোধটা আবার একবার বিবেকের দরজায় নাড়াদিয়ে গেল কদিন আগে। আন্দামানে সেলুলার জেল দেখে এলাম, দুমাস পেরিয়েছে। ওখানে প্রত্যেক ভারতীয়ের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র দর্শনের অভিজ্ঞতা হল। এর মধ্যে আন্দামানের ভ্রমণকাহিনী লেখা শুরুও করেছি। গোটাছয় পর্ব লেখাও হয়েগেল। সকালে রেডিওটা চালিয়েই শুনলাম এক বিপ্লবীর শুভ জন্মদিন। মেদিনীপুরের অত্যাচারকারী বৃটিশ মেজিষ্ট্রেট পেডিকে হত্যা ইত্যাদি নিয়ে বলতে শুনেই আমার সেই গোপন ক্ষতে আঘাত খেলাম। মেদিনীপুর আমার জন্মস্থান হওয়ার সুবাদে, তিনজন অত্যাচারকারী বৃটিশ মেজিষ্ট্রেট, পেডি - ডগলাস - বার্জ, এদের হত্যাকাণ্ড একটু আধটু জানাই আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান ইতিহাসে মেদিনীপুরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কিন্তু আমার মত মেদিনীপুরের ইতিহাসগর্বী তথাকথিত শিক্ষিত লোকজনের যে সেই গর্ববোধের বিন্দুমাত্র অধিকার আজ আর নেই, সে তো নিজের অবস্থান থেকেই পরিস্কার। রেডিওটা বেজেই চলেছে। আমার সেই অতিপুরাতন অপরাধবোধ আমাকে পিছিয়ে নিয়েগেল তিরিশটা বছর। এরপর যখন জানলাম, মেদিনীপুরের এই মহান বিপ্লবীকে বেশ কয়েক বছর আন্দামানের সেলুলার জেলে থাকতে হয়েছিল, নিজের অপরাধবোধটা চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছল। সেলুলার জেলের চত্তরটা এবার আন্দামানে ভ্রমণের সময় দুবার ঘুরে এলাম। সবাই তাই করে। আমরা প্রথমদিন সন্ধ্যায়ই জেলের ভেতরের লাইট এন্ড সাউন্ড দেখলাম। জেলের ইতিহাস ভূগোল সবকিছুই একটু একটু করে বলেযাওয়া হয় ঐ প্রায় ৪৫ মিনিটে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানের পূণ্যভূমিতে বসে, সেই ইতিহাস শোনা,অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার। নীল দ্বীপের কথা লেখার সময়, আমার এক শ্রদ্ধেয়া অধ্যাপিকা দিদির কথা লিখেছি। ওনার অভিজ্ঞতার কথা মাথায় ছিল। তাই বাঙালী বিপ্লবীদের কথা কতোটা বলাহয় সেটার দিকে সজাগ ছিলাম। আমার ঐ দিদি যতোটা হতাশ হয়েছিলেন, আমি ততোটা হতাশ হইনি। প্রনম্য বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তর কথা বলা হয়েছে ঠিকই; কিন্তু অন্য এক দুজনকে নিয়ে একটু যেন বেশীই মাতামাতি আছে ঐ অনুষ্ঠানে। আবার শেষের দিন, জেলখানার ভেতরের খুঁটিনাটি দেখার প্রায় শেষ পর্বে গিয়ে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামের দীর্ঘ তালিকা দেখলাম। ঐ তালিকার সামনে দাঁড়ালে নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করাযায়। কত অসংখ্য বিপ্লবী, কী অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করেছেন, দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের জন্য! এত দীর্ঘ তালিকা, সব নাম পড়ে শেষকরাই মুস্কিল। ঐদিনটা ছিল আমাদের আন্দামানে ভ্রমণের শেষদিন। সকালে আটটা নাগাত বেরিয়ে প্রথমে চাথামের কাঠ চেরাই কারখানা, তারপর দুটি মিউজিয়ামে ঘুরে প্রায় এগারোটা নাগাদ সেলুলার জেলে পৌছেছিলাম। মূল ফটকের ডানদিকে পঞ্চাশ ফুট মত দূরে ছোট একটি গেটের ভেতর টিকিট ঘর। আমাদের চারটি টিকিট কাটার জন্য ওরা কার্ডে পেমেন্টের জন্য জোর দিল। আমাদের কোন আপত্তিও ছিল না। গাইডের দুশো টাকা, পরে গাইডকেই দিতে হল। প্রথমদিন সন্ধ্যায় যে মূল ফটক দিয়ে ঢুকেছিলাম লাইন দিয়ে, সেই ফটক দিয়েই এক দুজন করে ধিরে সুস্থে ঢুকলাম। ভেতরেই একজন গাইড দাঁড়িয়ে ছিলেন, ওনার কাছে যেতেই বললেন, দাঁড়ান,আর দু চারজন আসুক। ওনার কাছে আমাদের দেখেই আয় দুজন যারা ভেতরেই অপেক্ষা করছিল,এদিয়ে এল। ততো সময়ে গাইড আমাদের, সামনেই বাঁদিকের নিরন্তর জ্বলন্ত অমর জ্যোতি দেখেনিতে বলেছেন। মূল ফটক থেকে সোজা যে রাস্তা ভেতরে চলেযাচ্ছে তার বাঁদিকে একটা বাগানের মত জায়গায় তৈরী হয়েছে মহান শহিদের স্মরনে, অনির্বাণ শিখা। গাইডের কাছেই জেনেছি, ভারত সরকারের পেট্রলিয়াম দপ্তরের তৈরী এই অনির্বাণ শিখা, তরল প্রাকৃতিক গ্যাসে নিরন্তর প্রজ্জ্বলিত। আমরা দু একটা ছবি তুলতে না তুলতেই গাইড আমাদের ডেকে নিলেন। রাস্তার ডানদিকে সেই বিখ্যাত অশত্থ গাছ। লাইট এন্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানে যে গাছ একজন প্রধান চরিত্র। তবে, সম্ভবত বর্তমান গাছটি আদি অশত্থটি নয়। সেটি আগেই কোন ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। ডানদিকে অশত্থ গাছ ছাড়িয়ে, হাজারখানেক ধাতব চেয়ার পাতা হয়েছে, লাইট এন্ড সাউন্ড অনুষ্ঠান বসে দেখার জন্য। ঐ চেয়ারগুলি ছাড়িয়ে, আরও ডানদিকে চললাম, গাইডের সাথে সাথে। প্রথমেই ঢুকলাম ফাঁসিঘরে। লাইট এন্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানে যে কথাটা পরিস্কার করে বলা হয়নি, গাইড সেটা জানালেন। বিপ্লবী কাজের জন্য যাঁদের ফাঁসি হত, তাঁদের তো এই জেলে আনা হত না। দ্বীপান্তর সাজাপ্রাপ্ত কেউ এখানে মারাত্মক কোন অপরাধ করলে, তাঁকেই এখানে ফাঁসি দেওয়া হত। জীবনে প্রথম কোন ফাঁসির মঞ্চ, দড়ি, পাটাতনের হ্যান্ডেল, এমনকি নিচে যেখানে শহিদের দেহ ঝুলে থাকত, সেখানে ঢুকেও দেখলাম। নিজে ডাক্তার বলেই কি না জানিনা, প্রণম্য শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসা ছাড়া আর কোন অনুভুতি হয়নি। ওখান থেকে বেরিয়ে জেল প্রাঙ্গণের ঘানি টানার ঘর দেখতে গেলাম। সেই সময়কার ঘানি, নারকেল ছোবড়ার থেকে দড়ি বানানোর জায়গা, পায়ে হাতে বেড়ি লাগিয়ে অত্যাচার, এসবেরই মডেল তৈরী করে রাখা হয়েছে ঐ ছাউনির ভেতর।আমাদের গাইড সবই বুঝিয়ে বলছিলেন। বৃটিশ সাহেবরা অত্যাচারকারী ছিল, এ খবর আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমাদের প্রাতঃস্মরণীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর কতোটা পাশবিক অত্যাচার তারা করে গিয়েছে, ওখানে না গেলে কোনদিন কল্পনাও করতে পারতাম না। ঐ ছাউনির বাইরে, ছাউনি আর ফাঁসিঘরের মাঝে,একটা সিমেন্টের বেদী মত দেখিয়ে গাইড জানালেন, ওটা ফাঁসি দেওয়ার আগে শহিদ বিপ্লবীদের স্নান করানো, আর ধর্মগ্রন্থ পড়ে শোনানোর জায়গা। ওখান থেকে চললাম দোতলায় বিপ্লবীদের আটকে রাখার সেলগুলি দেখতে। আমরা অনেকেই সেলুলার জেলের একটা মডেলের ছবি অনেক জায়গায় দেখেছি। একটি সাত বাহুর একটি তারার মত। মাঝের একটা গোলমত সিঁড়িঘরের সাতদিকে সাতটি তিনতলা বাড়ী। বর্তমাতে তিনটি বাড়ী বা উয়িং আছে। বাকি চারটি বহুবছর আগেই ভূমিকম্পে নষ্ট হয়। ওগুলির জায়গায় তৈরী হয়েছে দ্বীপপুঞ্জের প্রধাণ হাসপাতাল, জি বি পন্থ হাসপাতাল। তিনতলায় উঠলে পাখীর চোখে গোটা হাসপাতালটিই দেখা যায়। এই যে তিনতলা এক একটি বাড়ীর মত এক একটি উয়িং; প্রতিটির এক এক তলায় গোটা তিরিশ করে সেল বা কক্ষ সবই একই রকম। সামনে একটা টানা বারান্দা। বারান্দার দিকে দরজায় মোটা লোহার গ্রীলের কপাট। এই গ্রীলগেট বন্ধ করার জন্য দরজার পাশে, মোটা দেওয়ালের ভেতর কৌশল করে কব্জা লাগানোর বন্দোবস্ত। দেওয়ালের ভেতর এমনভাবেই কব্জাকে ঢোকানো যে, হাতে চাবি পেলেও, সেলের ভেতর থেকে চাবি পর্যন্ত হাত যাওয়ার বিন্দু মাত্র সম্ভাবনা নেই। সেলের পিছনদিকের দেওয়ালে,অনেক উঁচুতে ছোট্ট একটি ঘুলঘুলি; তাইদিয়ে আকাশ দেখাতো দূরের কথা, আলোও ঠিকমত ঢোকে না। প্রতিটি উয়িং এমনভাবেই তৈরী যে, কোন সেল থেকে অন্য সেলে বন্দি বিপ্লবীর মুখ দেখার কোন সম্ভাবনাই নেই। বড়জোর চিৎকার করে কথা বললে,পাশের দু তিনটি সেলের বন্দি শুনতে পাবেন। আমরা গাইডের পিছন পিছন একটি বারান্দা ধরে, একটি একটি সেল দেখতে দেখতে এগিয়ে গেলাম। দু একটি সেল আর কব্জার ছবিও তোলা হল। তিন তলার একেবারে শেষ সেলটি একটু বিশেষ ভাবে রাখা আছে। এইখানে, অত্যন্ত গভীর মনোবেদনার সাথে লিখতে বাধ্য হচ্ছি যে, আজ আমার যে কথাটা চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে, সেটি বলতে পারছি না। কারন, কথাটি," পোলিটিক্যালি ইন্‌কারেক্ট"! ঐদিন অবশ্য ঐ পবিত্র তীর্থক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আমার এসব কথা মাথায় আসেনি। আমার সেই অধ্যাপিকা দিদির ক্ষোভ যে অমূলক নয়, বাঙালীমাত্রই উপলব্ধি করবেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস একটু আধটু যারা পড়েছে, সেলুলার জেলের লাইট এন্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানে গেলে, কিংবা জেলটি ঘুরে দেখলে, ইতিহাসের বিকৃত রূপ তাদের চোখে পড়বেই। আমরা গাইডের সাথে ঘুরতে ঘুরতে মাঝের গোলাকার অংশের ওপর তলায় পৌছলাম। ওখানে কয়েক মিনিট আমাদের সাথে থেকে, ওর পরে কোনদিকে যাওয়া যাবে জানিয়ে গাইড বিদায় নিলেন। ওখানে দেওয়ালে, লম্বা লম্বা মার্বেল পাথরের ফলকে, ঐ জেলে যে সকল মহান বিপ্লবীকে একসময় আটকে রাখা হয়েছিল, তাঁদের নাম ক্ষোদিত আছে। এত দীর্ঘ তালিকা যে আমরা সবকটা নাম পড়ে শেষ করতে পারলাম না। পরে শুনেছি ঐ তালিকায় ছয়শো মত বিপ্লবীর নাম আছে। তার মধ্যে পাঁচশর বেশী নাম বাঙালীর। আমার শ্রদ্ধেয়া অধ্যাপিকা দিদির ক্ষোভ এই নিয়েই। অবশ্য আমি একটু আশাবাদী মানুষ। যে কোন দুর্যোগ, যে কোন ব্যর্থতার থেকে ভালো জিনিসটি খুঁজে বেরকরার চেষ্টায় থাকি। আজ প্রদেশ হিসেবে বাংলার এত পিছিয়ে পড়ার কারন কি? আমাদের আত্মঘাতী কাঁকড়ার স্বভাবই এর জন্য দায়ী। যেখানে অন্য প্রদেশের মানুষ নিজেদের সামান্য গৌরবের কিছু পেলেই তাকে প্রচারের কৌশলে বিশাল করে তোলেন, আমরা আমাদের যে কোন সম্পদকে কি করে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় তার প্রতিযোগীতায় নেমেছি। যে নেতাজীর নাম উচ্চারণ করলে আপামর ভারতীয়ের মাথা শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসে, একটা কলকাতার গলির মস্তান তাঁর বাড়ীটা পর্যন্ত চেনেনা! ২০১৮ সালে , কলকাতায় একজন কৃমিকীট , “ সুভাষদাকেই ডেকে দিন” বলার মত আস্পর্ধা দেখাল! আমরা তাকে ল্যাম্পপোষ্টে বেঁধে ঝাঁটার বাড়ী মারতে শিখিনি এখনও, এটাই সবথেকে বড় ব্যার্থতা আমাদের। আজ আমাদের এতই দুর্দশা যে, রাজ্যের বাইরে নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতেও কুন্ঠা বোধ হয় । আন্দামানের ঐ পবিত্র তীর্থক্ষেত্রে গিয়ে অন্যান্য প্রদেশের বিপ্লবীদের গৌরবগাঁথা শুনলে নিজেদের নীচতাকে সুন্দরভাবে উপলব্ধি করা যায়। আমরা মহান বিপ্লবীদের অনেক কটা তালিকা থেকে কয়েকটার ছবিও তুললাম। আমার একটি মাত্র পরিচিত নাম চোখে পড়ল, চট্টগ্রামের প্রাতঃ স্মরণীয় মাষ্টারদার সহযোদ্ধা , প্রনম্য লোকনাথ বল। এই মাত্র সেদিন, ২৯ শে এপ্রিল, সকালে রেডিও শুনে জানলাম, প্রণম্য বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত মহাশয়ও ঐ পবিত্র কারগারে কয়েক বছর থেকে এসেছেন। একথা শুনেই আমার স্ত্রী জানাল, সেলুলার জেলের ঐ মার্বেল ফলকগুলির কোনটিতে, সে ঐ মহান বিপ্লবীর নামটি দেখেছে। আমার অপরাধবোধের কলসটি এবার কানায় কানায় পূর্ণ হল। এরপর থেকে," মেদিনীপুরে আমার জন্মভিটা", একথাটা বলার আগে, নিজের অজ্ঞতা আর তুচ্ছ কারনে ঐ মহান বিপ্লবীর চরণ স্পর্শ করার সুযোগ হারানোর আপশোস, আজীবন আমাকে তাড়াকরে বেড়াবে।
dayalbm@gmail.com
কলকাতা

1 comment: