1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, February 21, 2021

দ্বিতীয় প্রেম

 

ছবি  : ইন্টারনেট 

দ্বিতীয় প্রেম
অঙ্কিতা বক্সী

         পুরীর উত্তাল নির্জন সমুদ্র সৈকতের বালুকাময় ভূমির উপর দিয়ে ধীর পদক্ষেপে পাশাপাশি হেঁটে চলেছে এক বিবাহিত দম্পতি।স্ত্রীর হাতখানা শক্ত মুষ্ঠিতে নিজের হাতের তালুর মধ্যে ধরে রেখেছে যুবক। ভাবখানা এমনই যেন এরপর হাজার ঝড়-ঝাপটা এলেও সে হাতের বন্ধন এতটুকুও আলগা হতে দেবে না সে।স্বামীর চোখের দিকে প্রেমাতুর দৃষ্টি নিয়ে একবার তাকাল যুবতী। পরক্ষণেই একটা লাজুক হাঁসিতে ভরে গেল তার মুখখানা। তাদের মধ্যে যে কখনো এমন  প্রণয়পূর্ণ দৃষ্টিবিনিময় হবে, কখনো এমন এক নির্জন রাতে সকলের অগোচরে হাতের উপর হাত রেখে, পূর্ণিমার স্নিগ্ধ চাঁদের আলোয় ধৌত হয়ে দুজনে একই সাথে একই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে তেমনটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি অহনা এবং দিব‍্য। আর পাঁচটা সাধারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো সহজ স্বাভাবিক ছিলনা তাদের সম্পর্কটা।একই ঘরের চার দেওয়ালের মাঝে বাস করেও এতদিন শত সহস্র যোজন দূরত্ব বিরাজ করেছে তাদের মধ্যে।

               দিব‍্যর পরিবার বেশ অবস্থাপন্ন। দিব্যর বাবা শ্যামলবাবুর কলকাতায় চার-চারটে নামকরা হীরের গয়নার দোকান। সেগুলো প্রত্যেকটাই বেশ রমরমিয়ে চলে। বলতে গেলে সোনার চামচ মুখে নিয়েই ভূমিষ্ঠ হয়েছে দিব্য। জীবনে কখনো কোন আর্থিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। এহেন ধনী পরিবারের একমাত্র ছেলের বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিচার করতে গিয়ে তাকে যদি এককথায় 'রাজপুত্র' বলে সম্বোধন করা হয়, তাহলেও বোধহয় অতিশয়োক্তি করা হয় না। এমন ছেলের জীবনে যে একাধিক মেয়ের প্রণয় প্রস্তাব আসবে তা বলাই বাহুল্য। ধনী পরিবার এবং সুপুরুষ স্বামী এই দুইয়ের একত্র অবস্থান যে বড়ই দুর্লভ। এমন অবস্থায় যে কোন ছেলের নৈতিক ও চারিত্রিক অবনমন ঘটা, এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু শ্যামলবাবু তার ছেলেকে ছোট থেকে এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন,যা দিব‍্যকে কখনোই অধঃপতনের পথে পা বাড়াতে দেয়নি। ছোট থেকেই দিব‍্যকে একজন প্রকৃত মানুষ হবার শিক্ষা দিয়েছেন শ্যামলবাবু, তাকে উপার্জন করা অর্থের মুল্য বুঝতে শিখিয়েছেন, নারীজাতিকে, গুরুজনদের সম্মান করতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষাই আজ দিব্যর আচরণে, ব্যবহারে প্রকাশ পায়।

           বিদেশ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে যখন দেশে ফিরে এলো দিব‍্য, তখন তার পরিচয় হয় অলিভিয়ার সাথে। অলিভিয়া, শ্যামলবাবুর প্রাক্তন বিজনেস পার্টনার অমিতাভ রায়ের একমাত্র কন্যা। দিব‍্যর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অমিতাভবাবুকে সপরিবারে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শ্যামলবাবু। নিজের একটি ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি খোলার তাগিদে শ্যামলবাবুর সাথে বাণিজ্যিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন অমিতাভ রায়। এই ঘটনায় মনে মনে অবশ্য বেশ খুশিই হয়েছেন শ্যামলবাবু।ভদ্রতার খাতিরে এতদিন তিনি অমিতাভবাবুকে বিজনেস থেকে সরে যেতেও বলতে পারছিলেন না। আবার তাকে কোম্পানিতে রেখে দিয়েও নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না। তার থেকে এটাই ঢের ভালো হয়েছে। অমিতাভবাবু মোটেই সুবিধার মানুষ নন।চরম অসৎ এবং সুবিধাভোগী মানুষ  তিনি।স্বার্থের জন্য তিনি করতে পারেননা এমন কোন কাজ নেই।এই কথাগুলো বেশ কিছুদিন ধরে ভালভাবেই বুঝতে পারছিলেন শ্যামল  বাবু। দুজনের সম্পর্কে তিক্ততা থাকলেও প্রকাশ্যে অবশ্য সেটা প্রকাশ করেন না কেউই। পারিবারিক সকল অনুষ্ঠানেই একজন অপরজনকে সপরিবারে আমন্ত্রণ জানায়। সেদিন পার্টিতে অলিভিয়াকে দেখে বিমোহিত হয়ে পড়েছিল দিব্য। অলিভিয়াকে এক কথায় 'ডানা কাটা পরী' বলা চলে। দীর্ঘাঙ্গী,সুদর্শনা মেয়েটির মুখের হাঁসি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল দিব‍্যর। সেদিনের পর থেকে প্রায় রোজই অলিভিয়ার সাথে ফোনে কথা হতো তার । এরপর শুরু হল তাদের ঘন ঘন দেখা হওয়া।এরই মাঝে একদিন সন্ধ্যেবেলায় একটা দামী রেস্টুরেন্টে  ডিনার সারতে সারতে নিজের মনের কথাখানা অলিভিয়া কে বলেই ফেলল দিব‍্য।অলিভিয়া উত্তর দিল," তোমাদের দোকানের সবথেকে সুন্দর হীরের  হারটা যদি উপহার হিসেবে দিতে পারো আমায়, তাহলেই প্রস্তাবটা ভেবে দেখতে পারি।" তখন একটা বড় কোম্পানিতে চাকরি করছে দিব‍্য।জীবনে নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত তার একান্ত ব্যক্তিগত।আপত্তি করেননি শ্যামলবাবু বরং খুশিই হয়েছিলেন।মাইনের টাকা দিয়ে ভালোবাসার মানুষটার জন্য একটা হীরের হার কিনে এনে অলিভিয়াকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল দিব‍্য।হারটা দেখে তেমন একটা খুশি হয়নি অলিভিয়া। মুখ বেঁকিয়ে দিব‍্যকে বলেছিল,"এত কম দামি হালকা একটা হার কিনলে! তুমি এত কৃপণ জানতাম না তো।"দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্ক শুরু হয়েছিল বটে,তবে সেই সম্পর্কে অলিভিয়া কতটা নিমজ্জিত ছিল সেটা একবারের জন্যেও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি দিব‍্য।মানুষ বোধহয়  মনে মনে যা চায় তাকেই অলীক কল্পনায় সত্যি বলে ভেবে নিতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছিল। অলিভিয়ার প্রেমের বন্ধনে প্রতিদিন আরও বেশি করে আবদ্ধ হয়ে পড়তে লাগলো দিব‍্য।সপ্তাহান্তে কিংবা ছুটির দিনগুলোতে দুজনের দেখা হলেই অলিভিয়াকে দামী দামী গিফট দেওয়া, ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো এসব ছিল বাধা। কিন্তু এত কিছু করেও অলিভিয়াকে খুশি করতে পারেনি দিব্য। এভাবেই দিন কাটতে লাগলো। দুই পরিবারের মধ্যে খবরটা চাউর হতে খুব বেশি সময় লাগল না।শ্যামলবাবুর এই বিয়েতে মত ছিল না। কিছুটা নিমরাজি হয়েই ছেলের মুখ চেয়ে বিয়েতে সম্মতি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ওদের বিয়েটা হল না। আশীর্বাদের দিন সকালে ফোন করে জানিয়ে দিল অলিভিয়া যে এই বিয়ে সে করতে চায় না।মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল দিব‍্যর। অনেক অনুনয় বিনয় করেও অলিভিয়ার মন গলাতে পারেনি সে।এরপর এক মাস যেতে না যেতেই একজন মন্ত্রীর ছেলের সাথে ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল অলিভিয়ার। কাগজে হাঁসিমুখে নবদম্পতির ছবিও ছাপা হয়েছিল। সেখানা হাতে নিয়ে অঝোর ধারায় কেঁদেছিল দিব‍্য।অলিভিয়ার পুরোনো স্মৃতিগুলো আঁকড়ে বাঁচতে গিয়ে একরাশ হতাশা গ্রাস করে ফেলতে শুরু করে তাকে। প্রথম প্রেম ব্যর্থ হলে কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এক্ষেত্রে নিজেকেই সবকিছুর জন্য  দায়ী করে গোটা দুনিয়া থেকে একপ্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল দিব্য।

              শ্যামলবাবু এবং প্রভাদেবী নিজেদের চোখের সামনে তাদের একমাত্র সন্তানকে এভাবে তিল তিল করে শেষ হয়ে যেতে দেখতে পারছিলেন না।শেষে অহনার সাথে দিব‍্যর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তারা।তীব্র অনিচ্ছাসত্ত্বেও মায়ের কথায় বিয়ে করতে রাজি হয় দিব‍্য।গত চার বছর ধরে অহনা শ্যামলবাবুর গয়নার দোকানে কাজ করে। তার সততা এবং  মিষ্টস্বভাবের জন্য খুব অল্প দিনের মধ্যেই শ্যামলবাবু এবং প্রভাদেবীর স্নেহের পাত্রী হয়ে উঠতে পেরেছিল সে।শ্যামলবাবুদের বাড়িতেও বেশ কয়েকবার এসেছে অহনা। নিতান্তই নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে সে। অহনার বাবা বহু বছর ধরে শয্যাশায়ী। ছোটভাইটা জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। অহনার উপার্জনেই গোটা সংসারটা চলে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে অহনাকে। প্রভাদেবী যখন প্রথম নিজের ছেলের সাথে তার  বিয়ের প্রস্তাবখানা অহনার  কাছে পাড়লেন তখন সব শুনে চমকে উঠেছিল অহনা। প্রথমে খানিক আপত্তিও করেছিল সে। পরে প্রভাদেবী এবং শ্যামল বাবুর অনুরোধে দিব‍্যকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় সে।

          শ্যামবর্ণা, মাঝারি হাইটের, জৌলুসহীন, নিতান্তই সাদামাটা চেহারার মেয়েটিকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারেনি দিব‍্য।মনের গহনে সযত্নে লালন পালন করা অলিভিয়ার স্মৃতি এবং অহনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ তাকে অহনার কাছে আসতে দেয়নি কখনো। তার সবসময় মনে হয়েছে এই বিয়েটা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছে অহনা, নিজের পরিবারকে সচ্ছল  করাই অহনার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল।সেটা নিয়ে অবশ্য অহনার সাথে সরাসরি কোনরকম মতবিরোধ কখনো হয়নি দিব‍্যর। সেটার প্রয়োজনও অনুভব করেনি সে ।  সারাদিনে দুজনের মধ্যে প্রয়োজনের একটা দুটো কথা ছাড়া অতিরিক্ত আর একটা কথাও হয় না।অহনা অবশ্য কারো কাছে কোন অভিযোগ করেনি। অন্তঃসারশূন্য একটা সম্পর্কের বোঝা নিঃশব্দে বহন করে নিয়ে চলেছিল  দুজনে।

               তারপর কিভাবে যেন সবটা আস্তে আস্তে বদলে যেতে শুরু করল। প্রতিদিন যত একটু একটু করে অহনাকে চিনছিল দিব‍্য, ততই অবাক হয়ে যাচ্ছিল সে। ইতিমধ্যেই অলিভিয়ার আসল সত্যিটা তার সামনে দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছে। দিব‍্যর সাথে সম্পর্কে থাকাকালীনই নাকি একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে অলিভিয়া। এই ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণও পেয়েছে দিব‍্য। তবে তাদের কারো সাথেই শেষপর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার তাগিদ অনুভব করেনি সে। এসব তার কাছে কেবলমাত্র একটা ছেলেখেলা। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই মন্ত্রীর ছেলের সাথে সব সম্পর্ক ঘুঁচিয়ে এখন নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে সে। শোনা যায় নাকি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে স্বামীর থেকে মোটা অংকের খোরপোষ দাবি করেছে অলিভিয়া। এমন মেয়েকে বিয়ে করে কোনদিনই সুখী হতে পারতো না দিব‍্য, তা এখন ভালোভাবেই বোঝে সে। অলিভিয়ার মত মেয়েরা একটা মরীচিকার মত।তাদের কখনোই নিজের করে রাখা সম্ভব নয়।

          শ্যামলবাবুর অপমান হবে ভেবে দোকানের কাজটাতে পুনরায় যোগদান করতে চায়নি অহনা।এখন একটা ছোট প্রাইভেট অফিসে চাকরি করে সে। যে সামান্য কটা টাকা মাইনে পায় তার বেশির ভাগটাই মায়ের হাতে তুলে দেয় অহনা। আর বাকিটা দিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ানো অবলা প্রাণীগুলোর জন্য দু'বেলা দু'মুঠো অন্নসংস্থান করতে ব্যস্ত হয়ে থাকে সে। বেতনের একটা টাকাও নিজের জন্য রেখে দেয় না অহনা। নিজের আগে অন্যের ভালো থাকাটাকে গুরুত্ব দেয় সে। এখন দিব‍্য সমস্ত কাজে তার পাশে থাকতে চায়। প্রথম প্রথম তার থেকে কোন সাহায্য নিতে অস্বস্তি বোধ করত অহনা।পরে ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের আড়ষ্টতা কেটে গিয়ে যখন একটা সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলো দুজনের মধ্যে, তখন আর দ্বিধাবোধ রইল না অহনার মনে।অহনার বাবা এবং ভাইয়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে দিব‍্য।প্রায় জোর করেই অহনার কাছের মানুষগুলোর জন্য একটা ফ্ল্যাটের বন্দোবস্ত করেছে সে। অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং অটুট বিশ্বাসের মেলবন্ধন এই সম্পর্কটাকে আরো গভীর হতে সাহায্য করেছে।

           বিয়ের একবছর পর হাজার ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে, ওদের জীবনে এক নতুন সম্পর্কের সূচনালগ্ন এসে উপস্থিত। সাতপাকে বাঁধা পড়ার পর প্রথমবার একসাথে এভাবে বেড়াতে আসার সুযোগ হয়েছে তাদের। রাতের সমুদ্রসৈকতের নৈসর্গিক শোভা উপভোগ করার প্রস্তাব দিব‍্যই প্রথম দিয়েছিল অহনাকে। মৃদু হেঁসে সম্মতি জানিয়েছিল অহনা। আজ পর্যন্ত একে অপরকে ভালোবাসার কথা মুখে স্বীকার না করলেও, দুজনের কথাবার্তা, আচার-আচরণে সর্বদা সেই ভালোবাসা প্রকাশ পায়। এবার সেই মৌখিক ফর্মালিটিটুকুও সেরে ফেলতে চায় দিব‍্য। অহনার সামনে নিস্তব্ধ সমুদ্রসৈকতে হাঁটু গেড়ে বসে তার মনের কথাখানা মুখে প্রকাশ করেই ফেলল দিব‍্য,"আই লাভ ইউ অহনা, আই লাভ ইউ সো মাচ।"

অহনাও বোধহয় দিব‍্যর মুখে এই কথাটা শোনার জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করেছিল। অশ্রুসিক্ত নয়নে উত্তরটা দিতে খুব বেশি সময় নিল না সে, " আই লাভ ইউ টু । সারাটা জীবন এভাবেই আমার পাশে থেকো।"

সুবিশাল সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি এবং শীতল চন্দ্রালোক কে সাক্ষী রেখে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের পথে পা বাড়ালো অহনা এবং দিব্য।

abakshi737@gmail.com
হুগলী

No comments:

Post a Comment