![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
জোৎস্না
অমিতা ঘোষ
আধা মফস্বলের এই পাড়াটা একটু নির্জন হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। রাত্রি নটায় একদম নিঝুম হয়ে যায়। শুধুমাত্র বাড়ি র জানালায় আলো জ্বলে বেশ রাত্রি অবধি। কারণ টা জানা যায়নি কেন এমন ধারা
এই পাড়াটি। সে আজ অনেক দিনের কথা তখন এই পাড়াটি গ্ৰামের মধ্যেই পড়তো, বেশ কয়েকটি পুকুর ও ছিল, তাতে হাঁস সাঁতার কেটে ঘুরে বেড়াতো, অনেক গাছ পালা ও ছিল। এই অঞ্চলে একটি অল্প বয়সী ছেলে ছিল ,গাছ পালা র উপর তার বেজায় মায়া খুব যত্ন করতো গাছপালা র । পাড়ার লোকেদের
অনেক উপকার ও করতো। বিপদ কে ভয় পেতো না।
সময়ের সাথে জনবসতি বাড়তে থাকে। পাড়াতে পুকুর বুজিয়ে বাড়ি এবং গাছপালা কাটার উপক্রম হলে, সেই ছেলে টি ই একমাত্র রুখে দাঁড়ায়। কিন্তু কে বা কারা ছেলেটিকে গুম করে দেয়। তারপর থেকে ঐ ছেলেটিকে আর দেখতে পাওয়া যায় না।
কিন্তু সমস্যা টা অন্য জায়গায় দেখা দেয়, এই অঞ্চলে পুকুর বুজালে কিম্বা নতুন বাড়ি তৈরি হলেই নানান
রকম ভৌতিক উৎপাত শুরু হয়। সেই জন্য এই পাড়াটি এখনোও নির্জন , নিরিবিলি আছে। নতুন প্রজন্ম এইকথা বিশ্বাস না করলেও প্রবীণেরা এই ঘটনাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। তাদের কাছে। দোতলা বাড়ি থেকে চাঁদের জোৎস্না অনেক বেশি উপভোগ্য, কোনো বহুতল থেকে। তাই তারা মনে করে ঐ ছেলেটির আত্মা ই হয়তো এখনোও এই পাড়াটি কে রক্ষা করে চলেছে।
No comments:
Post a Comment