1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, October 6, 2021

কসমস

 


কসমস
বাঞ্ছারাম

প্রচলিত নামঃ কসমস বা মেক্সিকান এষ্টার

গাছের ধরনঃ ফুল গাছ

জাতঃ বিদেশি (মেক্সিকো)

সূর্যালোকঃ আংশিক ছায়া/পূর্ণ সূর্যালোক

মাটি নির্বাচনঃ যে কোন মাটি, উর্বর দোআঁশ বেশি উপযোগী

বংশবৃদ্ধিঃ বীজ, অঙ্গজ

           শীত মৌসুমের ফুলের মধ্যে  কসমস বেশ জনপ্রিয়। আদি নিবাস মেক্সিকোতে হলেও এশিয়াতে বেশ জনপ্রিয় ফুলটি।এছাড়া  আমেরিকার ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা এমনকি প্যারাগুয়ে পর্যন্ত এই ফুলের বিভিন্ন ধরণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। কসমস একটা গ্রিক শব্দ যার মানে হলো সামঞ্জস্যপূর্ণ পৃথিবী।

           কসমস ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus । রঙ এবং ধরণ ভেদে নামের ভিন্নতা জন্যে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ প্রজাতির কসমস পাওয়া যায়।উজ্জ্বল কমলা,হলুদ,সাদা এবং গোলাপি কসমস। এমনকি চকোলেট রঙেরও কসমস পাওয়া যায়।

           জমিতে বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর। সাধারণত বীজ থেকে চারা গজানোর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর থেকে গাছে ফুল ফুটতে থাকে। সরাসরি জমি ও টবে এ ফুল উৎপাদন করা যায়। এটি সাধারণত ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। এর উপযুক্ত মাটির পি এইজ ৬.০ থেকে ৮.৫ হলে ভাল হয়। কসমসে তেমন একটা রোগ-জীবাণু বা পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না।তাই কীটনাশক ব্যবহার তেমন প্রয়োজন নেইকসমসের বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। শীতের শেষের দিকে কিছু ফুল গাছেই শুকিয়ে যেতে দিন। পরে ডাল সহ কেটে উলটো করে ঝুলিয়ে শুকাতে দিন। ফুলের মাঝের অংশে বীজ কালো হয়ে গেলে এগুলোকে সংগ্রহ করুন। পরবর্তী বছরের জন্য জমিয়ে রাখতে পারেন একটি কাগজের খামে। শীতের ঝলমলে রোদে অনেকদূর থেকেই নজর কাড়ে কসমস। এ ফুল ছাড়া মৌসুমি ফুলের বাগান অনেকটা অসম্পূর্ণ।

কসমস এর কিছু ভেষজ গুণাবলি ও উপকারিতা

বিষফোড়া, জিভের ক্ষত, চুলকানি নিরাময়ে কসমস গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়



No comments:

Post a Comment