1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Sunday, September 21, 2025

যন্ত্রণার সমুদ্র-মন্থন

ছবি : ইন্টারনেট

যন্ত্রণার সমুদ্র-মন্থন 

গীতশ্রী চক্রবর্ত্তী মল্লিক

"এক আকাশ নক্ষত্রদের মিছিলে ধ্বনিত

যে হাহাকার

শূন্য হতে মহাশূন্যতার

জন্ম হতে মৃত্যু সেতু পারাপার।

ক্ষণিকের অতিথি জীবন   

জড়িয়ে সম্পর্কের মায়ার বন্ধন

সম্পর্কের ভীড়, অজস্র কথার ভীড়, মতান্তর-মনোমালিন্যের ভীড়

এই অজস্র ভীড়েও মানুষ পথ হাঁটে একা"।

সান্ধ্য আড্ডা সেরে ফিরলো প্রৌঢ় যশ। ঘড়িতে প্রায় ৯.৩০। আট-দশ জনের আড্ডাটা প্রায় রোজই চলে। সব বন্ধুরাই কর্মজগত থেকে অবসর নিয়েছে। সংসারের দায়িত্ব-কর্তব্য প্রায় শেষ। এই আড্ডাটা মনের খাদ্য, বেঁচে থাকার জন্য জরুরী অক্সিজেন। প্রায় প্রত্যেকেই আসে পাড়ার মোড়ে মিহিরের চায়ের দোকানে।

এই আড্ডায় প্রায় সবাই ফিরে যায় যৌবনের সেই দিনগুলোতে। কে কটা হাফসুল খেয়েছে, কার ভালোবাসা ভেঙে অন্যত্র পরিণয়ে অচেনা নারীকে চেনার প্রচেষ্টায় সারাজীবন কাটিয়ে দিল, কে প্রণয় থেকে পরিণয়ে পৌঁছতে পেরেছে, জীবনের আরো নানা গল্পে বিভোর হয়ে থাকে সেই আড্ডা।

যশ একাই থাকে। মাস-মাইনের একটি ছেলে আছে যে দুবেলা এসে যশের  রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা,জামাকাপড় ধোয়া-ইস্ত্রীর কাজগুলো সব করে দেয়।

ড্রেস চেঞ্জ করে সোফায় বসে। সাউন্ড সিস্টেমে সেতার-সম্রাট নিখিল ব্যানার্জির সেতার চালিয়ে দেয়। টি টেবিলে হুইস্কির বোতল, গ্লাস।

রাগ--যোগকোষে নিখিল ব্যানার্জির আঙুলের ছোঁয়ায় হৃদয়-নিঙরানো সুর। ঘরের দেওয়াল-সিলিং জুড়ে সুরের মেহফিল। সামনে তিস্তার সাদাকালোর বড়ো ছবি, ভীষণ বাঙ্ময়। চেয়ে আছে যশের দিকে। গত দশবছর যশ একাই থাকে। তিস্তা বয়ে গেছে কালের নদীতে, হঠাৎ ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। নিমেষেই তিস্তা চিরদিনের মতো স্তব্ধ হয়ে গেল। যশ মেনে নিতে পারে নি। একমাত্র ছেলে তিতাস  বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। বাবাকে অনেক চেষ্টাতেও নিয়ে যেতে পারে নি। আজো তিস্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। তাই কাজের লোক হিসেবে কোনো মেয়েকে রাখে নি। তিস্তা ছাড়া আর কোনো মেয়েকে দেখতে চায় না এই ফ্ল্যাটে।

গ্লাসে হুইস্কি ঢালে। এইসময়টা যশের একান্ত ব্যক্তিগত। সুরা-সুর-তিস্তা সব নিয়ে যশের নিজস্ব জগৎ।অন্য কারোর প্রবেশাধিকার নেই। তিস্তার সঙ্গে কত না-বলা কথা বলার সময় এটা।

এইসময়টা যশ কারোর সঙ্গেই শেয়ার করে না।

সেতারে নিখিল ব্যানার্জির সুরের আলাপ সঙ্গে পন্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের অনির্বচনীয় সঙ্গত----- সুরে সুরে সুরলোক। ডুবতে থাকে, বিবশ হতে থাকে যশ, সঙ্গে সুরাপানের মাদকতা।

যশ তিস্তাকে আদর করে নদী বলে।

যশ--- নদী, আমাকে বোকো না। কথা দিচ্ছি বেশী খাব না।

আমার পাশে এসে বোসো। তোমাকে ওই ফোটোফ্রেমে একদম মানায় না।

সুরের আলাপে এক অব্যক্ত যন্ত্রণা জড়িয়ে আছে। যশ ক্রমশঃ বিভোর হতে থাকে, বাস্তবটা ভুলতে থাকে।

সুরা ও সুরে আচ্ছন্ন যশ----- এই তো আমার পাশে এসে বসলে।নদী, তোমার দুষ্টুমিটা আজও একইরকম আছে। যতক্ষণ আমি না বলবো কিছুতেই কাছে আসবে না। আবার মুখ টিপে হাসছো!!

নেশাচ্ছন্ন যশ শুনতে থাকে নদী বলছে------আমি তো সব সময়ই তোমার কাছে আছি। এই যে আমায় এমন করে জড়িয়ে ধরেছো যদি কাজের মেয়েটা দেখতে পায়!! লোকজন মানো না, আমার তো লজ্জা করে।

যশ জড়ানো গলায় বলতে থাকে-----বেশ করবো জড়িয়ে ধরবো। আমার একমাত্র ভীষণ আদরের বউটাকে আমি আদর করবো, চুমুর সমুদ্রে ভাসিয়ে নিয়ে যাবো তাতে কার কি, সারা দুনিয়া যদি দেখে তো দেখুক না, কি আসে যায়! বরং আমার থেকে শিখে নিক বউকে কেমন করে আদর করতে হয়।

নদী, শুনছো সেতার-সম্রাট কেমন বাজিয়েছে রাগ যোগকোষ! ওনার মনে কি কোনো অব্যক্ত যন্ত্রণা ছিল! সেই যন্ত্রণাকে সুরে সুরে মিলেমিশে একাকার করে দিয়েছেন!  

নেশাতুর যশ শোনে নদী বলছে------ হয়তো ছিল। শিল্পী মানুষ তো। ওনার বাজনা ভয়ঙ্কর সেন্সেটিভ, ভীষণরকমের সূক্ষ মোচড়।যা হৃদয়তন্ত্রীর মর্মমূলে সোজা ধাক্কা মারে।

যশ, ডিনার কখন করবে? অনেক রাত হোলো, চিরকালের বেপরোয়া তুমি।

আবেশে জড়ানো যশ বলে--- নদী, খেতে পারি যদি তুমি খাইয়ে দাও। নয়তো তোমার সাথে বসেই সারারাত কাটিয়ে দেবো।

হঠাৎ একটা দমকা বাতাস ড্রয়িংরুমের পর্দাগুলোকে দুলিয়ে দিলো।

দু পেগ শেষ হোলো। আবার আরেকটা পেগ নিয়ে বসে যশ---- নদী, তুমি কোথায় গেলে? তুমি কি জানো না তোমায় ছাড়া থাকতে পারি না আমি! চীৎকার করে ডাকতে থাকে যশ। আচ্ছন্ন অবস্থায় শুনতে পায় যশ-----এই তো আমি তোমার পাশে, তোমার নদী। 

যশ------ তোমার মনে পড়ে কি নদী আমাদের প্রথম দেখা  হওয়া, সেই শুশুনিয়া পাহাড়!  পাহাড়ে উঠতে গিয়ে তোমার এক পায়ের জুতো খুলে যাওয়া! তুমি ওপরে একপাটি জুতো নীচে, ঠিক সেখানেই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।জুতোটা তুলে তোমার পায়ে পড়িয়ে দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিলো এই নারীর সাথে আমার বহু জনমের পরিচয়।

খুব লজ্জা পেয়েছিলে তুমি। তুমি একটা পিকনিক গ্রুপের সাথে গিয়েছিলে, আমিও অন্য একটা পিকনিক গ্রুপের সাথে গিয়েছিলাম।

যশ নেশায় ডুবে শুনতে থাকে  নদী বলছে----সব মনে আছে। ফেরার সময় আমার ফোন নং নিয়েছিলে। কথায় কথায় তুমি জেনে নিয়েছিলে গ্রে স্ট্রীটে এক বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর কাছে আমি গান শিখতে যাই এবং কবে,কখন।

যশ, আমার সব মনে আছে। বেশ ক'দিন পর গান শিখে বেড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে গ্রে স্ট্রীটের ক্রশিংয়ে পেট্রল পাম্পের সামনে গেছি বাস ধরবার জন্য, হঠাৎ গাড়ীর হর্ণ। চেয়ে দেখি একটা লাল গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে তুমি। আমাকে এমন করে তাড়াতাড়ি গাড়ীতে উঠতে বললে যে সম্মোহিতের মত উঠে পড়লাম কিন্তু ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে। তুমি সেটা লক্ষ্য করে বলেছিলে " আমার গাড়ীতে যখন উঠবে মাথা উঁচু করে"।

সুরে সুরে বিবশ যশ বলতে থাকে------নদী শুনছো, ত্রিতাল মধ্যলয়ে চলছে বাজনা। কি অনির্বচনীয়! মনে হয় সুরের স্বর্গলোক। যে যন্ত্রণা, যে কষ্ট কোনোদিনই বলা যায় না অথচ কি যেন না-পাওয়ার বেদনার ঢেউ নিরন্তর বয়ে চলেছে হৃদয়ের অতলে, তারই কি অপরূপ প্রকাশ সুরের মূর্ছনায়।

নদী,তোমাকে একান্ত করে পাওয়ার জন্য, ভালোবাসার জন্য আমি অনন্তকাল ধরে পৃথিবীতে ফিরতে চাই। আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেবে?

নেশায় ঢুলুঢুলু যশ শোনে নদীর কথা-----তুমি চিরকালই আমায় ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেল করে গেলে!খুব ভালো করেই জানো তোমার কোনো কথা আমি ফেলতে পারি না। দিচ্ছি মাথায় হাত বুলিয়ে।

যশ-----নদী, তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে আমার ব্লাডপ্রেসারটা নরমাল  হয়ে যায়। বয়স তো  হচ্ছে, আজকাল প্রেসারটা ওপরের দিকেই থাকে।

আচ্ছন্ন যশ শোনে নদী বলছে-----কেন তিতাসের কাছে যাচ্ছো না? ও যে বারবার ডাকছে তোমায়। তোমাকে নিয়ে তিতাসও তো চিন্তায় থাকে।

নেশাচ্ছন্ন যশ রেগে চীৎকার করে বলে--- এই কথা একদম বলবে না। তুমি জানো না, তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারি না! আমাদের দাম্পত্যের ঘর-গেরস্থালি, আমার ফেরার অপেক্ষায় তোমার অপেক্ষা, তোমার শরীরের গন্ধ, পথ-হারানো ঘন কালো একরাশ চুলের গন্ধ, তোমার বিশেষ পারফিউমের ঘ্রাণ-----এগুলো ছাড়া আমি থাকতে পারি না যে! তিতাস ভালো আছে ওর বউ মহুল আর নাতি প্রীতমকে নিয়ে। ওখানে ওদের তৈরী জগতে। আর এখানে তোমাকে নিয়ে এই ফ্ল্যাটে আমার জগৎ। তিতাসও এসেছে আমাদের মাঝে। তুমি-আমি মিলে ওর সেই ছোট্টো দুটো ডানায় শক্তি জুগিয়েছি স্বাধীনভাবে জীবনের আকাশে উড়তে। তাই আজ ও উড়ছে। খুব ভালো থাক ওরা, আর আমি তোমাকে নিয়ে।

নদী, এইসব ছেড়ে আমাকে যাওয়ার কথা আর কখনও বলবে না। কথা দাও।

সুর-সুরায় আচ্ছন্ন যশ শুনছে নদীর কথা----- কথা দিলাম আর কখনও বলবো না। এবার মাথা ঠান্ডা হয়েছে তো? ভালো করে শোনো ত্রিতাল মধ্যলয়ের গৎ। সেতারশিল্পী আর তবলাশিল্পীর কি অনবদ্য বোঝাপড়া! আলাপ-বিস্তারের পরতে পরতে রাগ যোগকোষের সুরের অনির্বচনীয় মায়াজ্বাল।যশ, তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই  কলামন্দিরে সদারঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলনে কত কত বিখ্যাত শিল্পীদের প্রোগ্রাম শুনেছি। মনে পড়ে বঙ্গসংস্কৃতি সম্মেলনে বেগম আখতারের ঠুংরী---কি অপূর্ব! যশ, তুমি-আমি মিলে বিখ্যাত প্রচুর শিল্পীদের প্রোগ্রাম শুনেছি।

যশ----- প্রতি শীতেই আমরা এই সঙ্গীত-সম্মেলনে যেতাম। শীতে প্রকৃতিতে যে মৃত্যুর হাতছানি থাকে মরশুমী ফুলের রঙের বর্ষা তাকে বিস্মৃতি দেয়, জীবনের উষ্ণতায় ভরিয়ে তোলে। আর শীতকালেই যত বেশী সঙ্গীত সম্মেলন হয়। এই সঙ্গীত যা হৃদয়ের উষ্ণতা-উত্তাপকে জীবনের খেলাঘরকে অন্য মাত্রা দান করে।

নদী, আমরা দুজনে নাইট শো-তে অনেক সিনেমা দেখেছি। সিনেমা দেখে সেন্ট্রাল এভেনিউ ধরে গাড়ীতে করে ফেরা। বেশী জোরে চালালে তুমি রাগ করতে।

নেশায় বুঁদ যশ শোনে নদীর কথা----- বৃষ্টি যে আমার খুব প্রিয় সেটা খুব ভালো জানো তুমি যশ। রাতে বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই, আমার বৃষ্টিমুখর শহর। তোমাকে কত বলেছি এই মুষলধারায় বৃষ্টিতে গাড়ীতে নিয়ে বেরোতে। তুমি কখনও "না" করো নি। তুমি আমায় নিয়ে বেরোতে বৃষ্টিমুখর শহরের রূপ দেখাতে। তুমি আমায় অনেক অনেক দিয়েছো, জীবনকে ভরিয়ে দিয়েছো।

ক্রমশঃ রাতের বয়স বেড়ে চলে। সুরাপানে মত্ত হতে থাকে যশ। টেবিলে রাতের খাবার ঢাকা। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। পর্দা সরিয়ে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকায় যশ। সেতার আর তবলার যুগলবন্দী দ্রুত লয়ে চারিদিকের পরিবেশ মোহনীয় করে তুলেছে।

যশ নদীকে ডাকে----- আমার পাশে এসে দাঁড়াও নদী।আকাশ দ্যাখো। আকাশও যেন কিছু বলতে চায়।

সুরাচ্ছন্ন যশ শোনে নদী বলছে----- হ্যাঁ, আকাশেরও ব্যথা আছে। যখন বাদল মেঘ তাকে বিবর্ণ করে,কালোয় কলঙ্কিত করে, তখন আকাশেরও কষ্ট হয়। স্বপ্ননীল রঙ হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় শঙ্খচিলের ডানা মেলে ওড়ার স্বপ্ন। আকাশের কষ্ট মেঘধোয়া জলে ভিজে হয় একাকার।

আচ্ছন্ন যশ বলতে থাকে------নদী, তোমার গায়ের গন্ধ পাচ্ছি। তোমার ওই একরাশ চুলে আমার মুখ ঢেকে যাচ্ছে, দেখতে পাচ্ছি না আমি। আমার হাতটা ধরো। জীবনের উষ্ণতায় আমায় ফিরিয়ে নিয়ে চলো।

ত্রিতালের দ্রুত লয়ে সেতারের ঝালা আর তবলার অনবদ্য সঙ্গতে রাত তখন পূর্ণযৌবনা নারীর মতো বিরহ-ব্যাকুল। সে যুগলবন্দীর অনিন্দ্য প্রকাশে চাঁদের জোছনাও ব্যথাতুর। রাত ভেসে যায় সে আকুলতায়, আচ্ছন্ন যশ ভেসে যায়, বলতে থাকে------ নদী, আজ তো পূর্ণিমা। তবু কেন এত আঁধার? তোমার একরাশ ঘন কালো চুলে মুখ ঢেকেছে আমার। দেখতে পাচ্ছি না নদী। আমার হাতটা ধরো।

দমকা হাওয়ায় তিস্তার হাতে লাগানো বারান্দার জুঁইগাছটা যেন এক অব্যক্ত যন্ত্রণায় দুলতে থাকে।

সম্মোহিতের মত যশ শোনে নদীর কথা------

"আমি ভেসে গেছি মহাকালের পারাবারে

কালের যাত্রায়,

স্মৃতির সরণী ধরে তুমি হেঁটে চলেছো

প্রতিদিন প্রতিরাত

এই মৃত্যু-উপত্যকায়

আমার কায়া আজ ছায়া হয়ে

বর্ষা-বসন্তে বিদ্যমান,

শরতের কাশে, হেমন্তের শিশির-সিক্ত ঘাসে রোরুদ্যমান,

গ্রীষ্মের খরতাপে আর শীর্ণকায় শীতের অরণ্যে ঝরাপাতার ব্যথাতুর আলাপে আমি বিলীয়মান

কাকে ছুঁতে চাও তিস্তাকে?

খুঁজে দেখো, অন্তরের মোহনায়

তোমার নদী হয়ে সর্বদা প্রবহমান"।

যশ টলোমলো পায়ে যেতে থাকে ডিনার টেবিলে----- নদী, বড্ডো খিদে পেয়েছে আমার,খাইয়ে দাও। কতদিন তোমার হাতে খাই নি বলো তো?

টাল সামলাতে না-পেরে ডিনার টেবিলে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে সম্বিত হারায় যশ। কাঁচের ডিশগুলো সেই ধাক্কায় ঝনঝন শব্দে ভেঙে গুড়িয়ে পড়ে মেঝেতে। চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা খাবারের মাঝে সম্বিত-হারা যশ পড়ে থাকে।

ওদিকে সুরে সুরে সেতারের ঝালা বেজে চলেছে যন্ত্রনার সমুদ্র মন্থন করে। তিস্তার খুব আদরের জুঁইগাছটা বারান্দায় অসহায়ভাবে দুলতে থাকে।

...(সমাপ্ত)...




No comments:

Post a Comment