1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, January 1, 2020

মধুরেণ সমাপয়েৎ

                                                                                         ...সঞ্জয় গায়েন 
          ধ্যাৎ, এমনটা আবার হয় নাকি?
হতে পারতো, ছেলেটা যদি গ্রামের মুখ্যুসুখ্যু হতো। তুমি তো বলছো,শহুরে ছেলে, তাও আবার ইঞ্জিনিয়ার, প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করে, সেই ছেলে নিজের বউএর জন্য ওই কটা টাকা খরচ করে না। এ বিশ্বাস করা অসম্ভব। না না, অনেক ছেলে বউয়ের পার্লার খরচ, প্রত্যেক হপ্তান্তে হেথা হোতা ঘুরতে যেতে চাওয়া, দুদিন ছাড়াই এটা কিনে দাও, ওটা কিনে দাও বলে বায়নাক্কা করা, এসবের জন্য খরচ করতে রাজী হয় না। নামী দামী তেল, স্যাম্পু, বডিলোশন, ফেসপাউডার এরকম হাজারো জিনিস কেনা নিয়েও গোঁৎ গোঁৎ করে। তা ব’লে ন্যাপকিন কিনে দেবে না এটা হতে পারে নাকি?
বেশ। মেনে নিচ্ছি। সংসারে সবই হয়।
তারপর কি হল বলো।  
মেয়েটার মা বিয়ের পর প্রথম তিনমাস স-অ-ব খরচ দিয়ে যেতো, সে তো বললে। তা-আ-র-প-অ-র?
কে মারা গেল!
ওঃ! মেয়েটার ঠাকুমা! এমনভাবে বললে, আমি ভাবলাম, মেয়েটাই...
অ্যাঁ! কী বলছো? ঠাকুমা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে মেয়েটাকে একাকে ট্রেনে তুলে দিল? নাতজামাই হিসাবে শেষ দেখা দেখতেও এলো না! হ্যাঁ, সেটা আর অসম্ভব কি? যে ছেলে নিজের বউএর ন্যাপকিন কিনে দেয় না, সে সেই বউএর ঠাকুমার মৃত্যুতে একটা টাকাও খরচ করবে না, এটা জলের মতো পরিষ্কার।
আচ্ছা, এবার বুঝলাম। সেই থেকে দু-উ-উ মাস হয়ে গেলো। মেয়েটা বাপের বাড়িতে। কোন খোঁজখবর পর্যন্ত নেয় না। এটাই স্বাভাবিক।
কী বলছো কী? এতকিছুর পরও মেয়েটা আবার শ্বশুরবাড়ি গেল। মানে যেতে পারলো। যাক। মধুরেণ সমাপয়েৎ
কিন্তু এই অসম্ভবটা সম্ভব হল কি করে? মেয়ের মায়ের জন্য? আচ্ছা। হ্যাঁ মেয়ের বাবা ওর বিয়ের আগেই মারা গিয়েছে, সে তো জানি। মায়ের পেনশানের টাকাতেই ওদের সংসার চলতো, সেটা না বললেও বুঝি।
ওঃ, শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা হল। সেই পেনশানের টাকার অর্ধেক প্রত্যেক মাসে জামাইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। 
আমি ঠিক ভুল বলার কে? আর বলার প্রয়োজনটাই বা কোথায়। মেয়েটা তো নিজের সুখের জন্য এটা মেনে নিয়েছে। হ্যাঁ, মেয়েরাই মেনে নেয়। মানিয়ে নেয়।
কেন বলো তো? মেয়েরা বড্ড সুখী হতে চায়।  


sanjoygayen19@gmail.com

2 comments:

  1. ঠিক তাই, সুখের খোঁজে থাকে সর্বদা।

    ReplyDelete
  2. মেয়েরা মানিয়ে নিলেই লক্ষ্মী নয়তো অলক্ষ্মী

    ReplyDelete