1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Friday, May 1, 2020

নুরেমবার্গ আইন


                                                                                                     ...চিরঞ্জিত ঘোষ 


Whoever saves one life saves the world entire-
Talmud Yerushalmi, Sanhedrin 4:12
           মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘটা ভয়াবহ ও কলঙ্ক পূর্ণ কিছু হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ । এই যুদ্ধে দ্য ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি বা এক কথায় নাৎসি বাহিনী এবং তাদের নেতা  অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়ার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন বর্ণ, জাতি তথা জাতিগত বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতেন। তিনি তার বক্তৃতা ও তার আত্মজীবনী 'মাইন ক্যাম্ফ' বইতে একটি জাতির বিশুদ্ধতা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং জার্মান জাতির উৎকৃষ্টতার কথা উল্লেখ করেন 
          জাতিগত বিশুদ্ধতায় বিশ্বাসী হিটলার জার্মান জাতিকে বিশুদ্ধ জার্মান জাতি' হিসেবে ঘোসণা করেছিলেন কেননা তার মতে  বিশ্বে আর্য জাতির মানুষদের রক্তই সবচেয়ে বেশি পবিত্র।আর জার্মান জাতি আর্যদের মতোই বিশুদ্ধ রক্তের বলে হিটলার মনে করতেন। অনার্য জাতি তার কাছে অপবিত্র এবং শয়তানের থেকেও নিকৃষ্ট ছিল। জাতিগত বিদ্বেষের ওপর ভর করে হিটলারের নাৎসি দল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের দায় ইহুদিদের উপর চাপিয়ে দিয়ে তারা বিভিন্ন অত্যাচার এবং নিধনমূলক আইন-কানুন প্রণয়ন করে।এই আইন গুলি  নুরেমবার্গ আইন বলে পরিচিত
1935 সালের 16 সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জার্মান সরকার গেজেট

 এই আইনের দুটি ভাগ ছিল  দ্য রাইখ সিটিজেনশিপ আইন ও জার্মান বা আর্য রক্ত সংরক্ষণ আইন , ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সালে পাস করান হিটলার , দ্য রাইখ সিটিজেনশিপ আইন অনুসারে, একমাত্র পরিশুদ্ধ জার্মান রক্ত বহনকারীরা নতুন আইনের আওতায় জার্মানির নাগরিক বলে বিবেচিত হবে। ওই আইনের মাধ্যমে ইহুদিরা ভোটাধিকার হারায় এবং  রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়। এমনকি নাগরিকত্ব সনদ বা পাসপোর্ট বাতিল করায় ইহুদিদের বৈধভাবে ভিসা নিয়ে জার্মানি ত্যাগের সুযোগ ছিল না। দ্বিতীয় আইনটি ছিল জার্মান বা আর্য রক্ত সংরক্ষণের জন্য। এই আইনে ইহুদিসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে জার্মানদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি ইহুদিদের সঙ্গে জার্মানদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কেরও অনুমতি ছিল না। ইহুদিরা ৪৫ বছরের কম কোনো জার্মান নারী বা তাদের রক্তের সম্পর্কিত কাউকে গৃহকর্মে নিয়োজিত করতে পারত না। 
নাগরিকত্ব আইন 

ইহুদিদের জার্মান পতাকা ওড়ানোর ও ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। দেশের রাষ্ট্রীয় রংও ইহুদিদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। তবে ইহুদিরা চাইলে নিজস্ব ধর্মীয় রং ব্যবহার করতে পারত। সর্বোপরি ইহুদিদের ধর্মীয় অধিকার রাষ্ট্রের কাছে মানে রাইখের কাছে সংরক্ষিত থাকবে বলে ওই আইনে বলা হয়েছিল। ফলে ইহুদিরা কখন বা কীভাবে ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করবে, তারও সিদ্ধান্ত আসবে রাইখের কাছ থেকে।নাৎসিরা ইহুদিদের আলাদা করতে  এবং সনাক্ত করতে পোশাক আইনগতভাবে ব্যাজ   পরতে বাধ্য করে ছিল  । নাৎসি শাসনের অধীনে প্রায় সর্বত্রই ইহুদিরা যখনই জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছিল তখন হলুদ রঙের ছয়-পয়েন্টযুক্ত তারা পরতে  হয়েছিল।  যারা ব্যাজটি  প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা মৃত্যু সহ কঠোর শাস্তির ঝুঁকি নিয়েছিল।


জার্মান রক্ত ​​এবং জার্মান অনার সুরক্ষা আইন 

 ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সালে হিটলার পোলেন্ড  আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটালে ইউরোপে ইহুদি নির্যাতন ও নিধন চরমরূপ নেয়। নাৎসি ইহুদিদের নিজস্ব নিবাস অধিগ্রহণ করে বন্দী-নিবাসে প্রেরণ করে এবং পর্যায়ক্রমে হত্যা করে। প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয়; এ ঘটনা 'হলোকস্ট' নামে পরিচিত হলোকস্ট এর অংশ হিসেবে তখনকার হিটলারের শুভাকাঙ্ক্ষী ডাক্তার মানুষের উপর কিছু ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছিলো। ইতিহাসে  যা নাৎসি হিউম্যান এক্সপেরিমেন্ট বলে পরিচিত  ।

 Our Starting Point Is Not The Individual, And We Do Not Subscribe To The View That One Should Feed The Hungry, Give Drink To The Thirsty, Or Clothe The Naked . . . . Our Objectives Are Entirely Different: We Must Have A Healthy People In Order To Prevail In The World.
Joseph Goebbels, Minister Of Propaganda, 1938
We are a master race, which must remember that the lowliest German worker is racially and biologically a thousand times more valuable than the population here.
Erich Koch, 5 March 1943
খুব সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ 
সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেট
chiranjit.dr@gmail.com
কলকাতা 

No comments:

Post a Comment