1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, October 21, 2020

পোর্টাল

 

ছবি : ইন্টারনেট 
                                                                                                              সায়ন নাথ

     এই ব্রহ্মাণ্ডে কদাচিৎ এমন সব ঘটনা ঘটে হরেশীয় বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না। সেই সমস্ত ঘটনার রেশ প্রত্যক্ষদর্শী দের মনে এক দীর্ঘ সময় ব্যাপী ছাপ ফেলে যায়। এই গল্পের শিরোনাম যাই হোক না কেন গল্পে আমার ব্যাক্তিগত নামের সেরূপ কোনো প্রয়োজন নেই তাই সেটা পাঠকদের সামনে পরিফুষ্টিত না করার প্রয়োজন বোধ করি। গল্পের পাঠকগণ সেক্ষেত্রে আমাকে বক্তা বলে চিহ্নিত করলে তাতে আমি বিন্দুমাত্র শঙ্কা বোধ করবো না। 

  এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে আমি একজন নামজাদা খবরের কাগজের অফিসের চিত্র সাংবাদিক । দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবর সংগ্রহের জন্য অনেক সময় আমাকে অনেক জায়গায় যেতে হয়। সেবার একর্মসুত্রেই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছিল আমার । সেই অভিজ্ঞতার কথা-ই আজ পাঠকদের কাছে পেশ করতে চলেছি।  

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে "THE TIMES" পত্রিকায় ছাপা একটি খবর সমকালীন বাংলা, সমগ্র ভারতের এবং বিশ্বের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তে পরিণত হয়। খবরটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ ছিল , ভারত ও তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের  আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর পশ্চিম হিমালয়ের অন্তর্গত ভারতীয় ভূখণ্ডের উচ্চতম, পর্বৎসংকুল ,লাদাখ মালভূমির  কংগা পাসকে কেন্দ্র করে। সেখানে নাকি প্রায়শই রাতের আকাশে অদ্ভুত কিছু রংবেরঙের আলো দেখা যায় । ভিনগ্রহীদের স্পেসশিপ বা ফ্লাইং সসার থেকে যে ঐ কিম্ভুত মার্কা ,অদ্ভুত  আলো দেখা গেছে সে কথা এই অঞ্চলে বসবাকারী স্থানীয় লোকজন রা মনে করেন। তাই এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই অনেক বিজ্ঞানী এখানে এসে নিরলস গবেষণা করেছিলেন। আর সেই সূত্রেই এক গবেষণা রত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দের সাথে কর্মযোগ - এ আমার তিবত্মীয় পর্বৎসঙ্কুল , লাদাখ মালভূমির কং গা পাশে আসা। 

এককথায় ছবির মতো সুন্দর সেই ছোটো ভিনদেশী গ্রমখানী। সুবিশাল লাদাখ মালভূমির বিশালাকার পর্বত শৃঙ্গ গুলির কানভাসে র পটে কোনো এক শিল্পীর তুলিতে আঁকা সুন্দর একটি অকপট মঙ্গলীয়দের গ্রাম এটি। গ্রাম বললে হয় তো কিছু ভুল হবে কারণ ছোটো ছোটো গৃহস্থ গুলি একটির থেকে অনেক দূরে দূরে অবস্থান করছে সেখানে। সভ্যতার মূলস্রোতের থেকে বিচ্ছিন্ন এক একটি হ্যামলেট কদাচিৎ খোলা আকাশের নীচে পর্বত পাদদেশে আপন গরিমায় দন্দায়মান। হাতে গোনা কয়েকটি ছোটো ছোটো ঘর ছাড়া বিশেষ কোনো জনমানব নেই সেখানে আছে শুধু এক দারুন নিস্তব্ধতা আর প্রকৃতির নয়নাভিরাম, নৈসর্গিক দৃশ্য।  তাই আমার মনে হয়েছিলো এই পাণ্ডব বর্জিত দেশে এমন সব কিংবদন্তি গড়ে উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না।১৯৬২ সালে ভারত - চিন যুদ্ধের পর থেকেই এই অঞ্চলটির জনসংখ্যা ভীষণ ভাবে কমে যায়। আসলে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অঞ্চলটির আর্থ- সামাজিক কাঠামো দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হোয়েছিল। তাই পরিব্রাজন এর পরিমাণটাও সমকালীন সময়ে অঞ্চলটিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

যাই হোক, মূল গল্পে আসা যাক!  

এই সময়েরই আমার ব্যাক্তিগত জীবনের এক সন্ধ্যাকালীন অভিজ্ঞতার কথা বলবো তোমাদের। কর্মসূত্রে এখানে এসে আমার সাথে এক বিশিষ্ট মেক্সিকান বৈজ্ঞানিক রুডলফ পমার এর সাথে সাক্ষাৎ ঘটে ক্রমে আমরা একে অপরের পরিপূরক আর বন্ধুত্ব পরায়ণ হয়ে পরি। রুডলফ দারুন অমায়িক গোছের । দিনের শেষে পাহাড়িয়া গ্রামের মাথায় ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলে নিজের দলের এবং আমাদের দলের সকলকে পরদিনের গবেষণার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সব কাজ সে অত্যন্ত সন্তর্পনে দারুন কর্তব্যের সাথে পালন করতো। এক কথায় দু তিনটে ক্যাম্পের গুরু দায়িত্ব সে অত্যন্ত সন্তর্পনে সম্পূর্ণভাবে নিজের ইচ্ছেই পালন করতো। কারণ সব ক্যাম্পার দের থেকে ওর অভিজ্ঞতা ছিল অনেক বেশি আর বয়সে আমাদের সকলের থেকে বড়ো। জীবনে ও একাধিক দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংকান্ত্র কাজে যোগ দিয়েছিল। তাই ওর অভিজ্ঞতার কাছে আমরা সকলে ছিলাম নিতান্তই অপ্রতুল বা শিশু সুলভ। তবে ওর দুর্বলতা ছিল একটিই। বছর পঞ্চানন বয়স হওয়ার পর ও যে লোকটা কোনো কাজ কে করতে দ্বিধা বোধ করতো না সেই অমায়িক পার্সোনালিটি র অধিকারী  নিদারুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন লোকটি ছিল প্যারালাইজড। 

ওর শরীরের বামদিকের অঙ্গগুলোর সঞ্চালন হতে  কখনো আমি দেখিনি। ওর শরীরের এমন দুরাবস্থার কথা আমাদের ক্যাম্পের সদস্যরা বার কয়েক ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলো রুডলফ সেই প্রশ্নের প্রতি  কখনো আমল দেননি। বা দিলেও উত্তর দেওয়ার জন্য কখনো কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি। তাই এরপর কেউ আর সেভাবে ওকে প্রশ্ন করেনি।

ক্যাম্পের চতুর্থ দিনের শেষে সন্ধাবেলায় কোয়েক পশলা তুষার, অভিক্ষেপের আকারে ঝরতে শুরু করেছিল। তাই ঠান্ডার প্রকপটা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেশী অনুভব করেছিলাম।  সেই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ কোনো কাজ না থাকায় , আমি কাপতে কাপতে রুডলফ এর তাঁবুতে গিয়ে উঠলাম। উদ্দেশ্য ছিল ওর  ব্যাক্তিগত জীবনের আর গবেষণার সংকন্ত্র  অভিজ্ঞতার গল্পঃ শোনা। আমার মত নিদেন পক্ষে এক চিত্র সাংবাদিকের পক্ষে এমন সব ঘটনা র বিবরণ শোনার লোভ সংবরণ করাটা ছিল খুব কঠিন। 

তাঁবুতে যেতেই রুডলফ আমায় এক পেয়ালা কফি আর টোস্ট দিয়ে অভ্যর্থনা জানাল। ও কয়েক্ প্রস্থ আলাপচারিতার পর আমি আমার সংকোচ বোধ দুর করে ওকে জিজ্ঞসা করলাম "আচ্ছা রুডলফ আমায় একটা কথা বলবে"? রুডলফ সেই অমায়িক হাসি হেসে বললো "বলো কি জানতে চাও"?  আমি বললাম " তোমার বাম শরীরের এমন দুরাবস্থার কারণ টা সম্পর্কে জানতে পারি, আসলে আমি জানি তুমি এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে চাও না তাও জিজ্ঞেস করলাম। আমায় তুমি বন্ধু ভেবে নিঃসংকোচে বলতে পারো আমি কাউকে কিছু বলব না।" রুডলফ বললো" আসলে আমি ওসব কথা কাউকে কিছু বলি না বলতে চাই না কারণ গল্পঃ শেষে শ্রোতা রা হোয়ত আমায় পাগল বলে চিহ্নিত করবে সেটা আমার ভালো লাগবে না "। 

আমি আবার বললাম " তুমি সংকোচ না করে বলে ফেলো আমি অন্তত তোমায় পাগল বলে মনে করবো না আর তা ছাড়া তোমার প্রতি আমার ভালবাসা, বন্ধু প্রীতি, বিশ্বাস, আর শ্রদ্ধা অনেক বেশি তাই নিতান্তই এই এই উত্তরে আমার শঙ্কা বোধ করার মত কিছু নেই"।  আর অযথা সময় নষ্ট না করে  রুড়লফ বলতে শুরু করলো --

" সেটা ১৯৮৬ সালের গোড়ার দিকে,  আমি সবে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাফলি য়েটেড পদার্থবিদ্যায় ph.d শেষ করেছি। আমার গবেষণার বিষয় ছিল তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। তুমি জানো হয়তো কোয়ান্টাম মেকানিক্স এমন কিছু কথা বলে যা শুনলে আমাদের আশর্য হতে হয়। যেমন dual পসিবিলিটি অর্থাৎ এক বস্তু একই সময় একাধিক জায়গায় থাকতে পারে সেটা হচ্ছে পদার্থের ক্ষুদ্রতম পার্টিকেল বা কোনো তরঙ্গের রূপে। কোনো একক সময়ের নিরিখে আমরা সেই বস্তুটিকে যে ভাবে প্রত্যক্ষ করি আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় সেটিকে সে ভাবে প্রত্যক্ষ করে। তবে কি বস্তুটির বাদ বাকি রূপ গুলি শেষ  হয়ে যায়? উত্তরটা আপেক্ষিক। কারণ আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যেখানে মাত্র তিনটি মাত্রাই বিদ্যমান। আর আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় সেই তিনটি মাত্রার অধিক কোনো কিছুকেই আর ডিটেক্ট করতে পারে না ।তাই হাইপার ডাইমেনশাল অবজেক্ট বা সুপার ডাইমেনশন কে আমরা কখনোই সেন্স করতে পারি না। যেমন সময়। এটি আইনস্টাইন এর সিদ্ধাতে ৪ থ মাত্রা হিসেবে স্থান পেয়েছে। আমরা সময়কে পরিমাপ করতে পারি কিন্তু কখনোই দেখতে বা সময়ের উপর দিয়ে উপর নিচে বা বাম দিক ডান দিকে যাত্রা করতে পারি না। কিন্তু আমরা জানি সময় এই মহাবিশ্বে বিরাজমান। কোয়ান্টাম মেকানিক্স তাই একাধিক হাইপার ডাইমেনশন এর পাশাপাশি একাধিক মহাবিশ্বের অবস্থানের কথায় যুক্তি উপস্থাপন করে। 

যাই হোক , ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করার পর আমি এই হাইপার ডাইমেনশন, সুপার পসিসনিক স্টেট আর সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডে র অবস্থান বিষয়ক তত্ত্ব গুলিকে আত্মস্থ করতে শুরু করি । সেই মতো কর্মসূত্রে আমি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবজ্ঞান এর অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত হই। 

এখানে অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন এক ছাত্রের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। ছেলেটির নাম মার্ক জেমারসন। দারুন প্রতিভার অধিকারী ছেলেটি তার পড়াশুনার পাশাপাশি একাধিক মহাবিশ্বের অবস্থানের কথায় আমার সমকক্ষ ছিল। আমাদের মধ্যে ছাত্র ও শিক্ষক এর সম্পর্কের তুলনায় সম্পর্ক টা ছিল দারুন মিত্রতার। 

মার্ক আমায় একদিন বললো আসলে সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডে প্রবেশের পথ নাকি সত্যিই রয়েছে  দক্ষিণ আমেরিকার  পেরু তে। পেরুর রাজধানী লিমা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে" মারকাওয়াসি স্টোন ফরেস্ট" নামে এক গহীন অরণ্য। সেই অরণ্যে লোক চক্ষুর অন্তরালে এমন কিছু রহস্য ময় স্থান মাঝে মধ্যে পৃথিবীর বুকে আপনা থেকেই উম্মোচিত হয়। সেগুলিকে অন্য কোনো মহাবিশ্বে প্রবেশের portal বলা যেতে পারে। 

যেই বলা অমনি কাজ , রাতারাতি পেরুর রাজধানী লিমা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টিকিট কেটে ফেললাম দুজনের জন্য। সেইমত রহনা দিলাম তারপর দিন সকালে। ২০ জুন তারিখে সকালে লিমা পৌঁছলাম আমরা। তারপর তার দুদিনের মধ্যে অর্থাৎ ২২জুন তারিখে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিট ব্যাগে গুছিয়ে নিয়ে লিমা ছাড়লাম আমরা দুজন। পথ সেখানে বড়ো দুর্গম। কিছুটা নৌযানে কিছুটা পায়ে হেঁটে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত মারকাওয়াসী স্টোন ফরেস্ট এ পৌঁছানো গেলো দিনের শেষে দারুন অক্লান্ত পরিশ্রম করে। দুই দিন তিন রাত্রি সেখানে ক্যাম্প করে অস্থানা গারলাম আমরা। কিন্তু কোনো portal  প্রথমটায় চোখে পরলনা। ২৫সে জুন তারিখে মাঝ রাতে আমার ঘুম ভাঙলো মার্কের হাতের মৃদু স্পর্শে। তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠে দেখি মার্ক আমার সামনে বসে আছে। দৃষ্টি তার বিস্ফারিত। দেখলাম ও ডানহাতের তর্জনীটা সামনের দিকে এগিয়ে দিয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। সেইমত আমি সেইদিকে দৃষ্টি পাত করতেই ব্যাপারটা চোখে পরলো। দেখলাম একটি অকপট শুভ্র ও পিতকায় বর্ণের এক অদ্ভুত ,গোলাকার আলোর আভা দুটো জির্ন কায় সিডার গাছের ফাঁকা দিয়ে চকমক করছে। দেখতে দেখতে আলোর চমকটা কিছুটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লো। আমি আর দেরি না করে উঠে বসলাম তারপর হাতে টর্চ নিয়ে সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা ছোট খাটো আলোর portal যার ভিতর থেকে দারুন ইলেকট্রনিক ম্যাগনেটিক তরঙ্গের আভা ছড়িয়ে পড়ছে। তারপর দেখলাম পর্টাল এর ভিতরে সপ্তদশ শতাব্দীর পোশাক পড়া এক বিশিষ্ট মেক্সিকান বৈজ্ঞানিক এর চেহারা। হ্যা এই চেহারাটা আমি চিনি আমি আয়নায় বহুবার এই এই virtual চেহারাটার সম্মুখীন হইছি। এ যে সপ্তদশ শতাব্দীর পোশাক পরিহিত এক শতাব্দী প্রাচীন রুডলফ পম্যার। আর কিছু বোঝার আগে কোন এক মহ আমায় পাগল করে তুলল প্রাণের মায়া ছেড়ে পাগলের মতো এক লহমায় ঝাঁপ দিতে গেলাম সেই portal এর ভিতরে।  তারপর আমার আর কিছু মনে ছিল না। জ্ঞান যখন হলো তখন দেখলাম আমি লিমার এক হসপিটাল এ শুয়ে। পাশে বসে মার্ক। আমায় দেখে ও বললো " আপনি ঠিক আছেন স্যার"? উত্তরে আমি হ্যা বললাম। তারপর বাম হাতটা উপরে তুলতে গিয়ে দেখি আমি আমার বাম হাতের উপর আমার নিজের নিয়ন্ত্রণ খুঁয়েছি। " 

এই বলে থামলো রুডলফ । আমি ততক্ষণে তার কাহিনীর বহর শুনে হা করে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। রুডলফ আবার বললো "বলো কি বুঝলে তুমি?" ছার আমিই বলছি বলে আবার বলতে শুরু করল  "আসলে portal এ প্রবেশের সময় মার্ক পিছন থেকে আমায় এক ঝটকায় সরিয়ে দেয় আর সেই সময়ই পর্টালের virtual দেওয়ালে র  ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গের আঘাতে আমার এই দুরবস্থা হয়। তারপর আমি জ্ঞান হারাই।" 

রুডলফ এর ঠোঁট এ গল্পঃ শেষে এক মৃদু হাসি দেখতে পেলাম আমি আর শুনতে পেলাম  রাত্রিকালীন পার্বত্য এলাকার প্রাকৃতিক প্রলয়ের ঘণ্টা । বাইরে বোধয় এতক্ষণে আবার মৃদুমন্দ গতিতে বাতাস বইতে শুরু করেছে সঙ্গে তুষার পাত ও। 

sayann169@gmail.com
কলকাতা




No comments:

Post a Comment