1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, October 6, 2021

দেয়াল

 
ছবি : ইন্টারনেট 

দেয়াল

সৌমেন দেবনাথ 

গণেশ বাবু ভীষণ ধর্মপ্রাণ মানুষ। সারাক্ষণ ব্যবসায়-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তেমন সময় দেন না। চাঁদার টাকা দেয়া নিয়েও তাঁর দরকষাকষির শেষ নেই। প্রান্তোষ বললো, কাকা, দুর্গা পূজার চাঁদাটা সম্পূর্ণ দেননি। কালী পূজার আগে আগে সব দিয়ে দেবেন।

গণেশ বাবু প্রান্তোষকে সূক্ষ্ম চোখে পর্যবেক্ষণ করে বললেন, পূজা করতে এত টাকা লাগে? কোন খাতে কত খরচ করিস এবার মিটিংয়ে হিসাব নেবো। পূজা-পার্বণ এলে খরচের নামে হরিলুট চলে।

গণেশ বাবু রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাড়ি এলেন। এসেই ছোট ভাই দিনেশকে ধরলেন, রফিকের সাথে এত ঘুরিস কেন? ওরা মুসলমান।

দিনেশ কথাটি শুনতেই রেগে বললো, গ্রামে আমরা মাত্র কয়েক ঘর হিন্দু। সমাজ তো আর এই দুই চার ঘর হিন্দু নিয়ে নয়। অনেক ক্ষেত্রে আমার মনেই থাকে না আমি হিন্দু। 

গণেশ তেলে-বেগুনে জ্বলে বললেন, বুঝেছি, তুই অশুদ্ধ হয়ে গেছিস, তোর চিন্তাও দূষিত হয়ে গেছে। ধর্মটাকে ডুবিয়ে তবেই ছাড়বি।

দিনেশ বিজ্ঞজনের মত করে বললো, অসাম্প্রদায়িক চেতনাতে ধর্ম ডোবে না, বরং ধর্মের মাহাত্ম্য বাড়ে।

দিনেশ রাগ দেখিয়ে দাদার সামনে থেকে চলে গেলো। 

স্বামী বাড়ি থাকলে সুমিত্রা তটস্ত থাকেন। কখন কী বলেন এই ভয়ে। বড় মেয়ে শীলা বাবার ধারে কাছেও যায় না। ছোট মেয়ে বৃষ্টি। তেমন বোঝে না বলেই বাবার কাছে কাছে থাকে। তবুও গরম দিয়ে বললেন, গা জড়াস না। স্নান করি, আগে শুচি হই।

সুচিত্রা শুনে বললেন, সনজিতের বাবাও তোমার মত শুচিগীরী দেখাতেন। মরার আগে ছয় মাস ঘরে পায়খানা করেছিলেন। অত শুচিগীরী ভালো না।

বৌয়ের কথা শুনে গণেশ বাবু ক্রুদ্ধ হলেন। কিছু বলেও বললেন না। স্নানে গেলেন। 

গণেশ বাবুর বাড়িটি খুব সুন্দর। চতুর্দিকে সুউচ্চ দেয়াল। বাইরে থেকে ভেতরে, ভেতর থেকে বাইরে কিছুই দেখা যাবে না। খেতে বসে সুমিত্রা দেবী বললেন, দখিনা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে না। এত উঁচু করে কেউ দেয়াল উঠায়!

গণেশ বাবু খাওয়া বন্ধ করে বললেন, খেতে বসে গো-খোরদের দেখলে অন্নে দশা লাগে। মা লক্ষ্মীর কৃপা কমে যায়।

সুচিত্রা বললেন, মানুষকে ঘৃণা করলে তোমার মা লক্ষ্মী সুদৃষ্টি তোমার উপর কোনো দিনও ফেলবে না।

গণেশ অহঙ্কারের সাথে বললেন, মা লক্ষ্মীর কৃপা আছে বলেই আমার এত ধন। গণেশ ঠাকুরের কৃপা আছে বলেই তো আমার ব্যবসায়ে এত উন্নতি।

সুচিত্রা তীর্যক চোখে চেয়ে বললেন, যার মনে অহম থাকবে তার ধন-উন্নতি কিছুই থাকবে না। ভালো হও।

আসাদ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তবে অন্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের মত না। কিছু বোঝে সে, বুঝিয়ে বললে মোটামুটি কাজ করতে পারে। গণেশ বাবুর বাজারে কাঁচামালের আড়ৎ আছে। আসাদকে ডেকে সুচিত্রা ভাতের পাত্র দিলেন। দুপুরের খাবার। দিয়ে বললেন, তোর কাকাকে দিবি, বাজার। ঐ বাজার। পারবি না? চিনিস তো?

আসাদ ভাতের পাত্র নিয়ে দ্রুত বাজারে চলে গেলো। আসাদের হাতে ভাতের পাত্র দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে গেলেন গণেশ বাবু। ইচ্ছামত আসাদকে গরম দিলেন। সাইকেল চড়ে বাড়ি এসে বৌকে গরম দিচ্ছেন, তুমি গো-খোরের হাতে ভাত দিয়েছো? তোমার জ্ঞান হবে না?

সুচিত্রা স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বললেন, অলোক ছেলেটা আজ আসেনি। আবার দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছিলো। 

গণেশ ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, ধর্মটাকে টেনে আর নিচে নামিও না। 

সুমিত্রা বললেন, ধর্মটাকে তুমিই কলুষিত করছো। 

গণেশ বাবু রেগে চলে গেলেন। তাঁর বাড়ির দখিনে একটি ছোট কুঁড়েঘর আছে। ওটাই আসাদদের। মা আছে। অন্যের বাড়ি কাজ করে ছেলেটার মুখে দু মুঠো অন্ন এনে দেন। সুচিত্রা আসাদকে বিশেষ যত্ন নেন। বিশেষ কিছু রান্না করলে আসাদকে না দিয়ে খান না। আসাদের মা বলেন, আপনার মতো মানুষ হয় না। অন্যের বাচ্চার জন্য আপনার এত দরদ আর মায়া আপনাকে না দেখলে জানতামই না। 

সুচিত্রা বললেন, আসাদকে তো নিজের ছেলেই মনে করি। ওর বিয়েতে আমি মেয়ে দেখে দেবো।

গণেশ বাবু বারান্দায় বসে আছেন। তখন মোহায়মেন এলো। সুদের উপর টাকা নিলো। ফসল উঠলে শোধ দিয়ে দেবে। মোহায়মেন যেতেই গণেশ বাবু বললেন, শীলার মা, গোবর গোলার ছিটা দাও। এই এখানে মোহায়মেন দাঁড়িয়েছিলো। এপাশ দিয়ে গেছে। গোবর গোলা ছিটিয়ে দাও। বাড়িটা অশুদ্ধ করে ছাড়লো।

সুচিত্রা দেবী ক্ষেপে গেলেন, বললেন, গোবর বর্জ্য পদার্থ। বর্জ্য পদার্থ, নোংরা পদার্থ, অপবিত্র জিনিস দিয়ে পবিত্রতা কী করে আসে বলো তো?

গণেশ বললেন, যুগ যুগ ধরে হিন্দুয়ানিতে পবিত্রতা রক্ষার জন্য গোবরগোলা জল ব্যবহার করা হয়। বুঝেছি, সব জলাঞ্জলি দেবে।

সুচিত্রা বললেন, মোহায়মেন এখানে দাঁড়ানোর জন্য জায়গা অপবিত্র হয় কী করে? উঠোন দিয়ে মানুষ হাটতো বলে দেয়াল দিয়েছো! কোনটা পবিত্র কোনটা অপবিত্র তাও জানো না। অন্যের প্রতি অবজ্ঞা করাই অপবিত্র মনের কাজ। গঙ্গাস্নানে পবিত্র হওয়া যায় না, মন যদি হয় এমন অপরিষ্কার। সুদের টাকা খেয়ে পবিত্রতার গল্প করো, ছি!

গণেশ বাবু বেশি কিছু আর বললেন না। চুপ করে বসে থাকলেন। শীলা কাকাকে ডেকে বললো, কাকু, জোহরার কাছে আমার কিছু বই আছে। বাবার ভয়ে আনতে যেতে পারছি না। তুমি এনে দেবে?

বাইর থেকে একথা শুনে ফেলেছেন গণেশ বাবু। বললেন, বিদ্যাটাও কলুষিত করলো। সরস্বতীও এ বাড়ি থেকে বিদায় নিলো। 

দিনেশ ক্ষেপে বললো, ওর স্যারেরা তো মুসলিম। শিক্ষা সে কার কাছ থেকে নিচ্ছে?

গণেশ বাবু কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। দিনেশ আরো বললো, তুমি যে মালামাল বিক্রি করো, কেনে কারা?

গণেশ বাবু এবারও চুপ। দিনেশ বললো, ভেদাভেদ সৃষ্টি করো না। সৃষ্টিকর্তা ভেদাভেদ পছন্দ করেন না। কেউ কারো ছাড়া চলতে পারেন না। সহনশীল হও। ঘরের লোক তোমাকে ক্ষমা করছে, পর ক্ষেপলে বাঁচানো দায় হবে।

গরমের মাত্রাটা এবার একটু বাড়াবাড়ি রকমের। কাঁঠাল পেকেছে। সুচিত্রা একটি প্লেটে কিছু কাঁঠালের কোয়া তুলে আসাদকে দিয়ে এলেন। আসাদের মা বললেন, দিদি, আপনি বড় ভালো। সুখ আপনাকে ছেড়ে যাবে না। আল্লাহ মানুষের পাশে থাকেন।

সুচিত্রা বললেন, কী যে বলো আসাদের মা, আসাদকে না দিয়ে কিছু আমি খেতেই পারি না।

আসাদের মা বললেন, আমার ছেলেটাকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। কাজ করতে পারে না। একা ঠিকমত চলতে পারে না। কথা সাজিয়ে বলতে পারে না৷ যে যা বলে উৎসুক হয়ে শোনে। ওকে নিয়ে যে আমি কী করি!

সুচিত্রা বললেন, আসাদের মা, মন খারাপ করো না। ওকে হাতের কাজ শেখাবে। হাতের কাজ জানে যারা তাদের ভাতের অভাব হয় না।

প্লেটটা হাতে করে সুচিত্রা বাড়ি ফিরে এলেন। গণেশ বাবু তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, তুমি স্নান করে ঘরে উঠবে। আর প্লেট বাইরে রেখে দাও। ওটা স্নানকালে আমি ভাঙবো।

সুচিত্রা তর্জনী নাচিয়ে বললেন, স্নান করলেই কী শুদ্ধি হবে? তবে তো জেলেরাই শুদ্ধ! মরলেই স্বর্গ!

গণেশ বললেন, তুমি কিন্তু মুখে মুখে তর্ক করো!

সুচিত্রা ছেড়ে দেবার লোক নন, বললেন, সম্মানের কাজ তো করো না যে সম্মান করবো। তোমার এত শুচিগীরী ভালো লাগে না। মানুষের ঘৃণা করা মানুষের ধর্ম না। পূজা পালনে ঠনঠন ও আনাড়ি, আচারে বাড়াবাড়ি!

ঘর থেকে শীলা এসে বললো, তোমরা সব সময় ঝগড়া করো কেনো? তোমরা কী শান্ত থাকতে পারো না?

গণেশ বাবু ব্যর্থ ভঙ্গিতে বললেন, মেয়ের বিদ্যে গেছে! বলেছি না এ বাড়িতে সরস্বতী নেই! মেয়ে বাবা-মাকে দোষে!

শীলা বললো, শুধু অন্যের দোষ দেখলে হয় না। নিজের দোষও বুঝতে হয়। আত্ম-অহংকারের চেয়ে আত্ম-জিজ্ঞাসা শ্রেয়।

গণেশ বাবু চুপ হলেন। কিন্তু নিজের জেদ কমালেন না। স্নানের সময় প্লেটটা ভেঙে ফেললেন। ফেলে রাখলেন দেয়ালের পাশে। তখন আইসক্রিমওয়ালা এসেছে। কেঁকিয়ে কেঁকিয়ে বলছে, এই জাবেদ মিয়ার আইসক্রিম চলে গেলো।

বৃষ্টি ভাঙা প্লেট নিয়ে দ্রুত বাইরে গেলো। বদলি দিয়ে আইসক্রিম হাতে নিতেই গণেশ বাবু বললেন, মা, তোমার আমি নিমাই বাবুর দোকান থেকে মিষ্টি কিনে এনে খাওয়াই না? যার তার হাতের যা তা হাতে নাও কেনো? ফেলে দাও। ভেতরে যাও। টিউবওয়েলে গিয়ে বসো। আমি তোমাকে স্নান করিয়ে ঘরে নেব।

এবার আইসক্রিমওয়ালাকে ধরেছেন, তোকে না বলেছিলাম আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাবি না? ফের যদি আসবি তো তোর মালামাল কিন্তু অগ্নিতে দেবো।

জাবেদ মিয়া ভয় পেয়ে গেলো। ওয়াদা করলো এপথ দিয়ে আর আসবে না।

এভাবে দিন যাচ্ছে। এলাকার মুসলমান সম্প্রদায় গণেশ বাবুকে রীতিমত ভয় পান। পরের দিনের ঘটনা। বৃষ্টি আর রুমকি দু বান্ধবী মিলে আম খাচ্ছে আর আনন্দ করছে। তখন গণেশ বাবু বাজার থেকে এলেন। এ দৃশ্য দেখে রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন। মেয়েটাকে মারলেন। রুমকিকেও মারলেন। অবুঝ নিষ্পাপ শিশু। কী বোঝে তারা এসবের। রুমকির মা চলে এসেছেন, আপনি আমার মেয়েকে মেরেছেন কেনো?

গণেশ বাবু ফোঁসফোঁস করে বললেন, কৈফিয়ৎ চাস? দশ হাত দূরে থেকে কথা বল্। সবাই মিলে আমার ধর্মটাকে ডোবানোর ষড়যন্ত্র করছিস?

রুমকির মা বললেন, সুদের ব্যবসায় করেন, আবার ধর্মের কথা মুখে নেন? আপনার বাড়াবাড়ি সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

রুমকির মা গ্রামের আরো দশজনের কাছে গণেশ বাবু সম্বন্ধে বললেন। শেষে বিচার ডাকলেন।

এদিকে সুচিত্রা বাড়ি নেই। গণেশ বাবু রেগে আছেন। বাড়ি এলে গণেশ বাবু কটাক্ষ করে বললেন, পাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছো?

সুচিত্রা বললেন, আসাদ ছেলেটার প্রচণ্ড জ্বর। ওর মায়ের কোনো টাকাও নেই।

গণেশ বাবু উঠে দাঁড়ালেন, তুমি গোখোরকে আদর দিয়ে এলে?

সুচিত্রা বললেন, ছেলেটা দুটো হাতের কাজ করে দেয়।

গণেশ বাবু রাম রাম বলে কেঁকিয়ে উঠে বললেন, ওকে দিয়ে কাজ করাও?

গণেশ বাবু মাথার চুল ছিঁড়তে বাকি। আবার শুনলেন তাঁর নামে বিচার ডাকা হয়েছে। ঘর-বাইর ঘর-বাইর করে বিকাল কাটালেন। পরদিন বিচার। চেয়ারম্যান, মেম্বার হাজির। গোটা চল্লিশ প্রতিবেশী।

রায়হান চেয়ারম্যান বললেন, গণেশ বাবু, আপনার কাণ্ড সম্বন্ধে আমি অনেক আগে থেকে জ্ঞাত। আপনি ধর্মপ্রাণ। ভালো। আমরা এমন কিছু করতে আসিনি যাতে আপনার ধর্মপ্রাণ মনে আঘাত লাগে। তাই এ বিচারের ভার আমি মিঠুন বাবুকে দিচ্ছি।

মিঠুন বাবু অল্প কথার মানুষ। বললেন, গণেশ বাবু, রামকে বনে যেতে হয়েছিলো কোন মেয়ের চক্রান্তে বলেন তো?

গণেশ বাবু চুপ থাকলেন। মিঠুন বাবু এবার বললেন, কোন ঘটনার পর রাম রাবণের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় জানেন?

গণেশ বাবু এবারও চুপ। মিঠুন বাবু এবার ক্রুদ্ধ হলেন, বললেন, ধর্ম সম্বন্ধে তো ক-অক্ষর গো-মাংস। তবে এত অনধিকার চর্চা কেনো? অন্য ধর্মাবলম্বীদের ঘৃণা কেনো? আপনাকে বলতে হবে আমাদের কোন ধর্মগ্রন্থে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অবজ্ঞা লেখা আছে!

গণেশ বাবু মাথা নিচু করে থাকেন। যে সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান নেই সে সম্বন্ধে তিনি বলবেন কী করে? মিঠুন বাবু বললেন, এই গণেশ বাবুদের মত লোকেদের জন্য হিন্দুধর্ম সম্বন্ধে অন্যদের অশ্রদ্ধা জন্মাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। 

উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মিঠুন বাবুর পক্ষ নিলেন। এ লজ্জাতে যদি গণেশ বাবুর শিক্ষা হয়। সবাই চলে গেলেন। গণেশ বাবু রাগে একা একা ফুঁসতে থাকলেন।

পরের দিন আসাদের মা জোরে জোরে কান্না করছেন। আসাদ মারা গেছে। সবাই ছুটে দেখতে যাচ্ছেন। সুচিত্রাও ছুটলেন। গণেশ বাবু গেটে তালা মেরে দিলেন। সুচিত্রা বললেন, ও আমার ছেলে। ওকে আমি কোলে পিঠে মানুষ করেছি।

সুচিত্রার কোনো আহাজারি গণেশ বাবু শুনলেন না। চাবি নিয়ে বাজারে চলে গেলেন। সুচিত্রা বুঝতে পারছেন এবার উনারা ওর আসাদকে কবর স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘরের মধ্যে ছোটাছুটি করতে লাগলেন। আসাদকে একটু দেখার জন্য শীলার পড়ার টেবিল বাইরে এনে তাতে দাঁড়িয়ে ছেলের শেষ যাত্রা জল চোখে দেখছেন আর দেয়াল থাবড়াতে থাকেন আর চিৎকার করে বলেন, আমার আসাদকে নিয়ে যেও না তোমরা...

sskumar7447@gmail.com

No comments:

Post a Comment