1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Saturday, October 21, 2023

অত্যাশ্চর্য হত্যাকাণ্ড

ছবি : ইন্টারনেট 

অত্যাশ্চর্য হত্যাকাণ্ড

প্রতাপ হাজরা

এই যে রণজিৎ বলে আহ্বান করলেন ইন্সপেক্টর প্রদ্যুত দাস। তারপর কি নিয়ে আলোচনা চলছে? (বললেন রণজিৎ)

প্রদ্যুতঃ আজ সকালে বাঁকুড়ার এক ধনী পরিবারে এক হত্যা হয়। বিখ্যাত ব্যাবসায়ী মনোহর মালব্যকে হত্যা করা হয়। পুলিশের সন্দেহ তার তৃতীয় পুত্র তাকে হত্যা করে।

রণজিৎঃ পুলিশ কি করে বুঝলেন যে তার পুত্র হত্যাকারী?

প্রদ্যুতঃ তার তৃতীয় পুত্র মানে সমর মালব্যের সাথে তার বাবার সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না।

রণজিৎঃ কেন?

প্রদ্যুতঃ সমর মালব্য হলেন এক দাগি আসামি যদিও তার বাবা ছিলেন খুব নামি ব্যাবসায়ি এবং খুব বিচক্ষণ লোক। তাই তাদের মধ্যে মাঝে মাঝেই ঝগড়া-ঝামেলা চলতো।

রণজিৎঃ আর তার বাকি সন্তানদের বিস্তারিত কিছু জানেন?

প্রদ্যুতঃ তার তিন পুত্র তৃতীয় পুত্রের কথা তো শুনলেন, বাকি তার প্রথম পুত্র ও দ্বিতীয় পুত্র বাবার মতোই বিচক্ষন। কিন্ত অস্বাভাবিক ব্যাপার এই যে তৃতীয় পুত্র সমরের পক্ষে কোন প্রমান এখনো পর্যন্ত মেলেনি এবং তার বাবা কে কোন ছুরি বা বিশ দিয়ে বা শ্বাস রোধ করেও মারা হয়েনি, এদিকে পোস্টমর্টেম অনুযায়ী তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর কারন খুঁজতেই তোমাকে এখানে ডাকা।

রণজিৎঃ সে তো আগেই বুঝেছি, যে সেই সুদুর কলকাতার থেকে এতদুর ডাকার কারন। কিন্ত আমাকে আগে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে।

প্রদ্যুতঃ কনস্টেবল আপনাকে সব কাগজ দিয়ে আসবে।

(শুনে রণজিৎ বেরিয়ে গেলো, বাইরে দাঁড়িয়েছিলো তার বন্ধু প্রহ্লাদ)

প্রহ্লাদঃ আবার নতুন কেস নাকি?

রণজিৎঃ হ্যাঁ, মনে হচ্ছে এবার সেই নর্মাল একটা কেস এসেছে।

প্রহ্লাদঃ এমন কোন কেস, যেটা তোমার জানা নেই বলতে পারো রণজিৎ?

রণজিৎঃ তুমি মনে হয়ে ভুলে যাচ্ছ যে কেস স্টাডি না করে আমি কোথাও যাই না।

প্রহ্লাদঃ আচ্ছা, এইটা করে তোমার লাভ কি হয়ে রণজিৎ। একেবারে গিয়েও তো শুনতে পারো।

রণজিৎঃ এটা যদি তুমি বুঝতে পারতে তাহলে আমি সবথেকে বেশি খুশি হতাম প্রহ্লাদ। কোনো কেস আমি সবার আগে পড়ি সেটা থিওরি আর পুলিশের থেকে যেটা শুনি সেটা আংশিক প্র্যাক্টিক্যাল বাকিটা আমার কল্পনা আর তথ্যের উপর নির্ভর করে কোনো কেস সম্পূর্ণ হয়।

প্রহ্লাদঃ এবারো খুব অল্পই বুঝতে পারলাম।

রণজিৎঃ যেটুকু বুঝেছ সেটাই অনেক বুঝলে। চলো এবার ব্রেকফাস্টটা সেরেনি।

(প্রহ্লাদ একটু অপ্রতিভ মুখে হাসল, তারপর ব্রেকফাস্ট শেষ করে প্রহ্লাদ চলে গেলো তার কোন বন্ধুর অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে তাকে দেখতে চলে গেলো। আর রণজিৎ চলে এলো নিজের বাসায়ে। রণজিৎ একটু বিশ্রাম করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলো এমন সময়ে দরজার কোড়া নোরে উঠলো দরজা খুলতেই দেখে প্রহ্লাদ)

প্রহ্লাদঃ এই অসময়ে ঘুমাচ্ছিলে তুমি!

(এই বলে প্রহ্লাদ একটা চেয়ারে গিয়ে বসলো)

রণজিৎঃ আর বোলোনা কেসটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটু ঘুম চলে এসেছিলো।

প্রহ্লাদঃ তাও ভালো আমি ভাবলাম শরীর খারাপ হল নাকি।

রণজিৎঃ না না, কেসটার কোনো প্রমান নেই খুব বাজে ধরনের কেস একটা।

প্রহ্লাদঃ এইযে তুমি সকালে বললে খুব সাধারন কেস।

রণজিৎঃ হ্যাঁ, বলেছিলাম। কিন্ত একটা জিনিস পরিস্কার যে মনোহরবাবুকে হত্যা করেছেন সে কোনো সাধারন মানুষ নয় আর টার পরিকল্পনাও খুব অদ্ভুত ধরনের।

প্রহ্লাদঃ তোমার কি মনে হয় রণজিৎ, কে করেছে এই হত্যা?

রণজিৎঃ হত্যা কে করেছে এটা বুঝতে গেলে কি ভাবে হয়েছে সেটা জানা বেশি জরুরি।

(এই বলে রণজিৎ ফোন করলো প্রদ্যুতকে)

রণজিৎঃ হ্যালো, ইন্সপেক্টর প্রদ্যুত দাস। আমি রণজিৎ বলছি, বলছি যে কালকে একবার মনোহরবাবুর বাড়িতে তদন্ত করতে যেতে হবে, আপনি যাবেন?

প্রদ্যুতঃ হ্যাঁ, অবশ্যয়ই যাবো। আমি কাল সকালে আপনার বাড়ি চলে যাবো, তারপর সেখান থেকে রওনা হবো।

রণজিৎঃ বেশ, তাহলে তাই হোক।

(পরেরদিন সকালে যথাসময়ে প্রদ্যুতবাবু এসে হাজির হলেন)

রণজিৎঃ আসুন প্রদ্যুতবাবু, ব্রেকফাস্ট হয়েছে?

প্রদ্যুতঃ না, সকালে একটা কেসের জন্য বেরিয়েছিলাম তাই সময়ে পাইনি।

রণজিৎঃ তাহলে ভালই হল নিন একটু ব্রেকফাস্ট করে নিন, তারপর বেরোনো যাবে।

(রণজিৎ প্রহ্লাদ, ইন্সপেক্টর প্রদ্যুত আর দুটো কনস্টেবলকে নিয়ে ২০মিনিট পর রওনা হলো মনোহর মালব্যের বাড়ির উদ্দ্যেশে। মনোহর মালব্য ধনী ব্যাবসায়ী হলেও তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ঠিক শহরে নয়ে মফস্বল এলাকায়, বাঁকুড়া জেলাশহর থেকে প্রায় ১৩ মাইল দূরে। তারা যখন পৌঁছালো তখন প্রায় দুপুর ১২টা বেজে গেছে। বাড়িতে লোকজন বলতে দুই পুত্র এবং তাদের স্ত্রী আর চাকর তিনজন আর তৃতীয় পুত্র সমর মালব্য সব মিলিয়ে ৬জন মতো ছিল মনোহর মালব্যের স্ত্রী অনেকদিন আগেই মারা গেছে। বাড়িতে ঢুকতেই ইন্সপেক্টর প্রদ্যুত পরিচয় করিয়ে দিলেন মনোহরবাবুর প্রথম পুত্রের সাথে তার নাম মনিময় মালব্য এবং তার দ্বিতীয় পুত্র মৃন্ময় মালব্য)

প্রদ্যুতঃ এনি হলেন রণজিৎ আর এনি হলেন প্রহ্লাদ এনারা তোমার বাবার খুনের তদন্ত করতে এসেছেন।

মনিময়ঃ এতো খুব ভালো কথা। আসুন, আসুন আপনারা। এমনিতেও ফোনে প্রদ্যুতবাবু বলেছিলেন আপনাদের কথা।

রণজিৎঃ আচ্ছা মনিময়বাবু আপনার বাবার হত্যাটা ঠিক কোথায়ে হয়েছিলো, আমাদের সেদিকে নিয়ে চলুন।

মনিময়ঃ আসুন এদিকে।

(সামনে গিয়ে দেখলাম ঘরটির দরজা বন্ধ। পিছন থেকে প্রদ্যুত দাস বললেন)

প্রদ্যুতঃ আমি বন্ধ করে রেখে গিয়েছিলাম দরজাটা

রণজিৎঃ তা খুব ভালই করেছিলেন, প্রদ্যুতবাবু।

(ঘরে ঢুকতেই রণজিৎ বলে উঠলো)

রণজিৎঃ কি বুঝতে পারছো প্রহ্লাদ?

প্রহ্লাদঃ ঠিক একই ভাবে জিজ্ঞ্যাসু চোখে রণজিৎের দিকে সেও তাকিয়ে আছে।

রণজিৎঃ আরে বাবা খুঁজে দেখো কোথাও কিছু পাও নাকি।

(প্রহ্লাদ নিজেকে একটু ইতস্তত বোধ করলো। তারপর অনেকক্ষণ এদিক ওদিক তল্লাশি করার পরও কিছুই মিলল না)

হত্যাকারী কিছুই প্রমান রাখেনি দেখছি ’ভেরি শার্প অ্যান্ড ক্লিয়ার মাইন্ডেড কিলার’। 

(এই বলে যখন রণজিৎ মেঝের কার্পেটের উপর দিয়ে উঠতে যাবে এমন সময়ে তার কার্পেটের দিকে চোখ গেলো ঠিক যেখানে মনোহরবাবুর মৃত্যু হয়েছে তার তিন কদম আগে। সেখানে একটি ছোট ছুচাক্রিতি জিনিস পাওয়া যায়, ব্যাস আর কি! রণজিৎ সেটি সবার নজর এড়িয়ে তুলে নিয়ে রুমালে জড়িয়ে পকেটে ভরে নিয়ে আসতে আসতে বলল)

শিকার নাগালের মধ্যে এসে গেছে প্রহ্লাদ। চলুন তাহলে যাওয়া যাক প্রদ্যুতবাবু।

প্রদ্যুতঃ কিছু পেলেন নাকি রণজিৎবাবু?

রণজিৎঃ নাহ, তেমন কিছুই তো পাওয়া গেলো না।

প্রদ্যুতঃ তাহলে আর কি! চলুন তাহলে।

(এই বলে তারা বেরিয়ে গেলো)

(বিকেলে রণজিৎের ঘরে এসে দেখি সে সেটা নিয়েই পরীক্ষা করছে প্রহ্লাদকে দেখে সে বলল)

রণজিৎঃ কি প্রহ্লাদ! কি বুঝঝো?

(তারপর জিনিসটা নিয়ে কিছুক্ষন দেখার পর)

প্রহ্লাদঃ এটা একটা ছুঁচের মতন লাগছে তো!

রণজিৎঃ আর কিছু মনে হচ্ছেনা তোমার?

প্রহ্লাদঃ আর কি মনে হতে পারে ছুঁচ দেখে হাতি, ঘোড়া মনে হওয়ার তো কোনো কারন নেই।

রণজিৎঃ এটাই তো ভুল করে ফেললে প্রহ্লাদ। এটা ছুঁচের মতন দেখতে তাই কেও এটার গ্রাজ্য করেনি, পুলিশও না তাই কেসটা পুলিশ শলভ করতে পারেনি। এবার বুঝতে পেরেছো।

প্রহ্লাদঃ না বুঝিনি।(খুব ধূর্ততার সাথে বলল)

রণজিৎঃ দেখো প্রহ্লাদ এটা খুব ভালো করে লক্ষ্য করো এটা ছুঁচের মতন হলেও এটার গায়ে ছোট্ট মিলি. দাগ দেওয়া আছে আর নীচে অল্প ধরো ০.৫মিলি. টানার একটা ছোট্ট প্লাঞ্জার আছে, মানে এটি মাইক্রো ইনজেকশন বুঝলে প্রহ্লাদ।

প্রহ্লাদঃ তাহলে তুমি কি বলতে চাও মনোহরবাবুর শরীরে বিষ দেওয়া হয়েছে? 

রণজিৎঃ বিষ দেওয়া হয়েনি বিষের মতন জিনিস দেওয়া হয়েছে।

প্রহ্লাদঃ মানে?

রণজিৎঃ দেখো প্রহ্লাদ আমি মনোহরবাবুর রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার শরীরে সবথেকে বেশি তিনটে জিনিস ছিল একটি ডাইবেটিকস, দ্বিতীয় কোলেস্টেরল, তৃতীয় আর্সেনিক। প্রথম ডাইবেটিকস বাড়ানো যায়না খাওয়ার ছাড়া আর তিনি খাওয়ার খাওয়ায়ে খুব সচেতন ছিলেন, দ্বিতীয় কোলেস্টেরল সেটাও একি জিনিস, তিন নাম্বার এক মাত্র আর্সেনিক শরীরে পুশ করা সম্ভব। প্রহ্লাদ আর্সেনিক এমন এক জিনিস যা শরীরে বেড়ে গেলে বিষ সমতুল্য হয়ে পরে।

প্রহ্লাদঃ হ্যাঁ, বুঝলাম।

রণজিৎঃ এর থেকে কোন সন্দেহ নেই যে তার বাড়িরলোক ছাড়া আর কেও এই খুন করেনি।

আমি আজকে মনিময়বাবুকে ডেকে পাঠিয়েছি সে হয়েতো এখনি চলে আসবে।

(এমন সময়ে দরজার করা নোরে উঠলো ঐ যে এসে গেছে মনে হয়ে এইবলে দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকলেন মনিময় মালব্য)

রণজিৎঃ বসুন মনিময়বাবু।

মনিময়ঃ রণজিৎবাবু, বাবার খুনি কি ধরা পড়লো?

রণজিৎঃ না কিন্ত মনে হচ্ছে ধরা পড়তে বেশিদিন নেই। আচ্ছা মনিময়বাবু আপনার বাবা যেদিন মারা যান আপনি কোথায় ছিলেন?

মনিময়ঃ আমি একটা কাজে বাইরে গেছিলাম বাবা মারা যাওয়ার আগেরদিন চলে আসি

রণজিৎঃ আপনি আসার পরেরদিনেই আপনার বাবা মারা যায়।

মনিময়ঃ আসলে যেদিন আমি ফিরি সেদিন আমার বাবার সাথে আমার ভাইের ঝগড়া হয় প্রায় মারকাট অবস্থা।

রণজিৎঃ আচ্ছা কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো জানতে পারি?

মনিময়ঃ টাকা নিয়ে, ও বেশ কিছু টাকা রেস কোর্সে লাগিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফেরে তার জেরেই ঝগড়া।

রণজিৎঃ আচ্ছা মনিময়বাবু আপনার বাবাকে কি দিয়ে হত্যা করা হয়ে আপনি বলতে পারবেন?

মনিময়ঃ আমি কি করে বলবো রণজিৎবাবু।(একটু ইতস্তত ভাবে বলে উঠলেন)

রণজিৎঃ আপনি তো ভালো জানবেন, কার্পেটের নীচে মাইক্রো ইনজেকশনটা তে কি দিয়েছিলেন আর্সেনিক নাকি? সত্যিটা যতো তাড়াতাড়ি বলে দেবেন ততই আপনার মঙ্গল।

(এতক্ষনে মনিময় মুখ খুললেন)

মনিময়ঃ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন রণজিৎবাবু, আমি লোভে পরেই এই অপরাধ করে বসি।

রণজিৎঃ আমি প্রথম থেকেই জানতাম যে বাড়ির কেও খুন করেছে কিন্ত আজকে আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হই যে খুনটা আপনি করেছেন। কিন্ত হত্যাকারী এতো তাড়াতাড়ি নিজেই অপরাধ শিকার করে নেবে আমি বুঝতে পারিনি। এবার আপনার সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটা ঠিক ভাবে বলুন তো মনিময়বাবু।

মনিময়ঃ ছোটোর থেকেই আমি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলাম যার জন্য বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতো, কয়েক বছর ধরে আমি প্রচুর পরিশ্রম করে বাবার ব্যাবসাটাকে আরও ভালো করে তুলি আমার দ্বিতীয় ভাই বাংলাদেশের এক কোম্পানিতে কাজ করে ভালো বেতন পায় সে সেখানেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকে। আমি আর আমার স্ত্রী আর আমার ছোট ভাই আর আমার বাবা এখানেই থাকি। কিছুদিন ধরে আমি শুনছিলাম যে বাবা নাকি উইল করছে কিন্ত ভাগে ছোট ভাইও আছে, আচ্ছা ওই অপদার্থটাকে দেওয়ার কি আছে, ওর যোগ্যতাই বা কি! আমার মনে শুধু এটা চলতে থাকে যে কিভাবে এই সম্পত্তি হাতানো যায় তখন আমার মাথায় বাবাকে হত্যার চিন্তা আসে। এরপর আমি এক কাজের বাহানায় কোলকাতাতে আসি সেখানে আমি এক নামী ইনজেকশন কোম্পানির হদিশ পাই তাদের আমি এক মাইক্রো ইনজেকশন বানিয়ে দেওয়ার কথা বলি তার বদলে মোটা টাঁকাও দি তাদের তারা সেটাকে জার্মানি থেকে ইমপোর্ট করিয়ে এনে আমাকে তার কার্যকারিতা বুঝিয়ে দ্যায়।

(এবার রণজিৎ মনিময়বাবুকে থামিয়ে বলল)

রণজিৎঃ আর আপনি তাতে আর্সেনিক ভরে আপনার বাবার শরীরে প্রবেশ করালেন এদিকে যাতে কেও বুঝতেই না পারে কারন আপনাদের এলাকায় আর্সেনিকের প্রভাব অনেক বেশি এর ফলে পুলিশ কোনো প্রমান না পেয়ে আপনার ভাই সমরবাবুকে ধরে নিয়ে যাবে আর যেহেতু আপনি বড় ছেলে তার জন্য আপনি হবেন সম্পত্তির প্রথম উত্তরাধিকারী, কি তাই তো?

মনিময়ঃ হ্যাঁ, রণজিৎবাবু।

রণজিৎঃ আর তাই আপনি হত্যাটি করে বসলেন?

প্রহ্লাদঃ কিন্ত রণজিৎ তুমি কি করে জানলে যে মনিময়বাবুই খুন করেছে?

রণজিৎঃ তুমি চলে আসার পর আমি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় যাই যেখান থেকে মনোহরবাবুর তিন পুত্র পাসআউট হয়েছিলো তোমাকে আমি আগেই বলেছি এইকাজ কোনো সাধারন ব্যাক্তির নয়। সেখানে গিয়ে আমি শুনলাম তার ছোট ছেলে পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিল না, আর তার দ্বিতীয় পুত্র পড়াশোনায় ভালই ছিল কিন্ত সে ম্যাথ অনার্স নিয়ে পাসআউট করেছিলো, কিন্ত তার প্রথম পুত্র ছিল খুব মেধাবী আর সে বায়োলজিতে অনার্স নিয়ে পাসআউট করেছিলো। আর তখনি আমি দুয়ে দুয়ে চার হিসাব মিলিয়ে দিলাম।

আর সকালে মাইক্রো ইনজেকশন পেয়ে আমি নিশ্চিত হয়ে গেছিলাম যে এটা বাড়ির কেও করেছিলো আর তাদের কলেজে গিয়ে বাকিটা নিশ্চিত হয়ে গেছিলাম যে এটা কে করেছিলো। এখন শুধু একটা আন্দাজে টোপ দিয়ে দেখলাম হত্যাকারী ধরা দিয়ে দিলো।

(এতক্ষণে ইন্সপেক্টর প্রদ্যুত দাস চলে এসেছিলেন সেও ঘটনাটা শুনে অবাক হয়ে গেলেন)

রণজিৎঃ সব সময় সবার বায়োগ্রাফি ঘেঁটে তার বাস্তবিক রূপ বোঝা যায়না প্রদ্যুতবাবু।

(প্রদ্যুতবাবু হেসে ফেললেন। প্রহ্লাদও সাথে রণজিৎও হেসে উঠলেন)

“বিষ যেমন সমগ্র জিনিসকে বিষায়

লোভও মানুষের মনকে লালসায়”

...(সমাপ্ত)...




No comments:

Post a Comment