1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Wednesday, March 31, 2021

সাইকেল

 

ছবি  : ইন্টারনেট 
সাইকেল
জয়দীপ মুখোপাধ্যায়


          অসীমবাবু একটা মায়াজড়ানো দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো  সাইকেলটার দিকে।উনি যেন ওনার কোনো এক বৃদ্ধ আত্মীয়র পানে চেয়ে পুরোনো সুখস্মৃতিগুলো ধুলো ঝেড়ে নেড়েচেড়ে দেখছেন।কি একটা বলশালী নাম সাইকেলটার - হারকিউলিস।

        একটু বাঁকাচোরা হয়ে গিয়ে মরচে পড়লেও সাইকেলের স্টান্ডটা কিন্তু এখনো আস্ত আছে।অথচ স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও ওটা পাশের শ্যাওলা পড়া দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো আছে।সামনের টায়ার টা মাস ছয়েক আগে বদলানো হয়েছে।শিরদাঁড়ার শেষের হাড়টাতে একবার পড়ে গিয়ে ব্যাথা হওয়াতে সাইকেলের সিটের ওপর একটা দামি গদিওয়ালা সিট কভার বসিয়েছিলেন অসীমবাবু।সেটা অক্ষত।সাইকেলের হ্যান্ডেল আর সিটের মাঝখানে রডটার ওপরে ছোটদের বসার কাঠের সিটটা আজ আধভাঙ্গা অবস্থায় উল্টো হয়ে ঝুলছে।বহুদিন যে ওটাতে কেউ বসেনি।

         অসীমবাবু যদিও আজকাল কালেভদ্রে সাইকেলে চড়েন।কারণ ওনার বউ উমার আবার সাইকেল চড়া নাপসন্দ।কোথায় একটা বাইক কিনবে; না সকাল-সন্ধ্যা পুরোনো মরচে পড়া সাইকেল নিয়ে পাড়ায় যাতায়াত করছে।আশেপাশের বাড়ির কর্তারা সাইকেল ছেড়ে কবে থেকে বাইক-স্কুটার চড়ছে, না কিনতে পারলে সাইকেলে না চড়ে নিদেনপক্ষে রিক্সা চড়ছে।কিন্তু অসীম বাবুর মতো ঘাড় কুঁজো করে সাইকেলে চেপে কেউ অফিসে-বাজারে যাতায়াত করে না।যে বয়সে যেটা মানায়।কমবয়েসে যা করেছ বাপু তা এক সন্তানের বাপ হয়ে করা কি শোভা পায়?উমা এটাই কিছুতে বোঝাতে পারেনা ওর বরকে।একটু মডার্ন হতে ওর যে কিসের এত আপত্তি সেটা উমার মাথায় ঢোকেনা।আজকাল সাইকেল-ফাইকেলে কেউ আর চড়ে না।কচি মেয়েরা সরকার থেকে সাইকেল পেলেও সেটা ঘরে পড়ে মরচে পড়ছে।আর উনি পয়তাল্লিশ বছরের আধবুড়ো একটা; শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা হ্যা হ্যা করে সাইকেল চালিয়ে এদিক ওদিক চরখী খাচ্ছেন।কিছু বললেই বলে "বুঝলে স্বাস্থ্য ভালো রাখে।"

        হেলান দিয়ে রাখা সাইকেলটার সাথে অসীম বাবুর একটা হৃদয়ের সম্পর্ক।এটা ওনার   উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া।উনি শুনেছিলেন ঠাকুরদা নাকি বেশ বয়েসকালে কাছারি যাবার জন্য কলকাতার কোনো বড় দোকান থেকে কিনে ওটা নিজে চালিয়ে বান্ডেলের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন।এর বছর পাঁচেক পর অসীম বাবুর ঠাকুরদা মারা যেতে বাড়ির বড়ছেলে হিসেবে অসীমবাবুর বাবা গণপতিবাবু সাইকেলের অধিকার লাভ করলেন।গণপতিবাবু ডেরা বাঁধলেন বর্ধমানে।ওখানে ওনার  রংয়ের ব্যবসা।বাড়ি থেকে দোকান আবার ফেরা এসব ওই সাইকেলটা চেপেই গণপতিবাবু করে বেড়িয়েছেন।বর্ধমান দাপিয়ে বেড়াতো এই হারকিউলিস সাইকেল।

      অসীমবাবু ওই সাইকেল চালানো শিখেছিলেন দশ বছর বয়সে।প্রথমে হাফ পেডল পরে একটু লম্বা হতেই সিটে বসে চালাতে লাগলেন।কলেজ শেষে  চাকরি করাও শুরু করলেন ওই হারকিউলিসে চড়ে।

      বিয়েটা দিনটার কথাও অসীমবাবুর স্পষ্ট মনে আছে।সন্ধ্যার মুখে বরের জন্য সাজানো এমবাসাডার গাড়ীতে টোপর মাথায় চড়তে যাবেন তখনই সিঁড়ির পাশে রাখা সাইকেলটার দিকে নজর পড়লো। ছোটবেলার সুখ দুঃখের সাথী,যৌবনের ছায়াসঙ্গী সাইকেলটা সেদিন যেন কেমন মন খারাপ করে একলা দাঁড়িয়ে আছে।সন্ধ্যের মুখে তখনও সিঁড়ির নীচের লাইট কেউ জ্বালায়নি।প্রয়োন্ধকারে সাইকেলটা দাঁড়িয়ে টোপর মাথায় অসীম বাবুকে দেখে কেমন যেন মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে বলছে-যাঃ, তোর সঙ্গে আড়ি।

     সেই আনন্দের দিনেও অসীম বাবুর মনটা কেমন হুহু করে উঠেছিল।তড়িঘড়ি সিঁড়ির নিচের আলোটা জ্বালিয়ে সাইকেলটার সামনে দাঁড়ালেন।সিটটার ওপর আনমনে হাত বুলিয়ে অসীম বাবু মনে মনে বলেছিলেন "দুঃখু করিস না।আমার বৌকে তোর সিটের সামনের এই রডটাতে বসাবো।কাল বিকেলেই আমাদের আবার দেখা হবে।তোকে দেখিয়েই  নতুন বউকে ঘরে ঢোকাব।"

পরদিন বিকেলে বাড়ির সামনে গাড়ি এসে দাঁড়াতেই অসীম বাবু জোড় বাঁধা নতুন বউ উমার কানে কানে বলেছিলেন" আমার এক বন্ধুর সাথে আগে তোমার দেখা করাব, তারপর তোমার বরণ হবে।"

গাড়ি থেকে নেমে সিঁড়ির নীচে তাকিয়েই বুকটা ধড়াস করে উঠেছিল অসীমবাবুর।সাইকেলটা তো নেই ওখানে।তবে কি বাড়িতে লোকজন গতকাল কম থাকায় ওটা চুরি হয়ে গেল?কেউ কি ওটা নিয়ে কোথাও গেছে?বোকার মতো হাস্যকর চিন্তাও মাথায় এলো।সাইকেলটা অভিমান করে কোথাও চলে গেল নাতো?

" মা, সাইকেলটা কোথায় গেল?"চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন অসীম বাবু।

নতুন বউ উমা, আশেপাশে উপস্থিত আত্মীয়স্বজনরা অনেকে সেই চিৎকার শুনে চমকে উঠেছিল।উমা সেদিনই উপলপদ্ধি করেছিলেন যে এই সাইকেল নামক সতীন কে নিয়েই এখানে ঘর করতে হবে। শীঘ্রই জানা গেল পাশের বাড়ির বাবলু সাইকেলটা নিয়ে রেশনের চাল,ডাল, আটা আনতে গেছে।চট করে মাথায় খুন চেপে গিয়েছিল অসীম বাবুর।ওনার অনুমতি না নিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া উনি একদম বরদাস্ত করতে পারেন না।যাহোক মা,মামারা বুঝিয়ে সুঝিয়ে সে যাত্রায় অসীম বাবুর মাথা ঠান্ডা করলেও উনি বউকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন।বধুবরণ আটকে রইলো।সাইকেল ফিরতে, উনি হ্যান্ডেলটার ওপর পরম যত্নে হাত বুলিয়ে নতুন বউকে বললেন " দেখো উমা এই আমার প্রাণের বন্ধু।"

উমা সেদিন অসীমবাবুর মস্তিষ্ক বিকৃতি আছে কিনা সেটা ভেবে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে ভীষণ কান্নাকাটি করেছিলেন। পরে অবশ্য বুঝেছিলেন অসীমবাবু লোকটি নিপাট ভালোমানুষ।কিন্তু সেই যে সাইকেলটার প্রতি ওনার ঘৃণা বা রাগ জন্মালো তা আজও বিদ্যমান।

        বিয়ের দুবছর পর বাবু এলো।একবছরের বাবুকে সাইকেলের রডের ওপর সুন্দর গদি আঁটা সিটে বসিয়ে অসীমবাবু এপাড়া ওপাড়া করে চষে বেড়াতে লাগলেন।মাঝে মাঝে বাবুকে সাইকেলে চাপিয়ে রেললাইনের পাশে চলে যেতেন।লোকাল ট্রেনের আনাগোনা দেখে বাবু সাইকেলের হ্যান্ডেলটা বাঁ হাত দিয়ে খুব জোরে চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে চলে যাওয়া ট্রেনকে টা-টা করতো।বাবুর যখন আট বছর বয়স তখন সাইকেলটা নিয়ে পাড়ার মাঠে নিয়ে গিয়ে ওকে হাফ পেডেল করা শেখানো শুরু করলেন।ব্যস, আর যায় কোথায়।সেদিন উমা চিল্লিয়ে পাড়া মাত করেছিলেন বরের বেআক্কেলেপানায়।

       ইতিমধ্যে গণপতিবাবু অসুস্থতার কারণে রংয়ের ব্যবসা বেচে দিয়েছেন।একমাত্র সন্তান অসীম সরকারি অফিসের বড়বাবু।গণপতিবাবু তীব্র হাঁপানির কষ্টে ভোগেন।আগে তাও রবিবার উনিও সাইকেলটায় চড়ে বাজারে বেরোতেন।কিন্তু স্ত্রী বিয়োগ হওয়ার পর শয্যা নিয়েছেন।শরীর ও মন দুইই খারাপ।মাঝে মাঝে  ছুটির দিনে সাইকেলটা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে অসীমবাবু ওনার বাবার ঘরে নিয়ে গিয়ে ওটাকে দেখিয়ে আনতেন।বৃদ্ধর চোখগুলো সাইকেলটার দিকে তাকিয়ে চকচক করে উঠতো।দুজনে ওই সাইকেলটার সাথে ঘটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে গল্পে মেতে উঠতেন।ওটা ঠিক প্রাণহীন সাইকেল যেন নয়।গণপতি ও অসীমবাবুর কাছে ওটা একটা পবিত্র বন্ধন।সাইকেলটাও ওদের দুজনকে দেখলে কেমন যেন খুশি হয়ে উঠতো।

     একবার অসীমবাবু কে অফিস থেকে কম্পিউটারে ট্রেনিং নিতে দশ দিনের জন্য দিল্লি পাঠালো।ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হলো।কম্পিউটার আর এই বয়সে শিখতে কার  ইচ্ছে করে।কিন্তু না শিখলেও নয়।বদলি করে দেবে কোনো ছোটখাটো অফিসে।তাতে আবার ঝক্কি অনেক।তার থেকে একটু আধটু শিখে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

   দিল্লি থেকে ফিরে যা দৃশ্য দেখেছিলেন তা চিন্তা করলেই অসীমবাবুর মনটা আজও আনন্দে নেচে ওঠে।সেদিন ছিল রবিবার।সকালে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেই যথারীতি চোখটা সিঁড়ির পাশের জায়গাতে পড়লো।সাইকেলটা নেই তো।আগের মতো আজকাল আর অসীমবাবু সাইকেল নিয়ে  আদিখ্যেতা করেন না।সময়ের সাথে উনি চালু হয়ে গেছেন।তাছাড়া উমাকে ভয়ও পান।জানেন সাইকেল কোথায় গেল বললেই উমা চিৎকার করে তেড়ে আসবে।সেজন্য হাতের ব্যাগটা নামিয়ে রেখে উমাকে কিছু না বলেই উনি পাড়ার মাঠে আগে দেখতে গেলেন।সেখানেই সেই অপূর্ব দৃশ্যটা চোখে পড়লো।বাবু সাইকেলটা চালিয়ে মাঠটা চক্কর কাটছে।কি যে খুশি হয়েছিলেন সেদিন।জড়িয়ে ধরেছিলেন বাবুকে।

" চা খাবে নাকি?" উমার প্রশ্নে অসীমবাবুর চিন্তাটায় ছেদ পড়লো।চায়ের কাপে প্রথম চুমুক দিতেই উমা বললো "ছেলে এবার কলেজে পড়তে যাবে।এবার অন্ততঃ সাইকেলটা বেচে একটা বাইক নাও।"

ছেলের কলেজ যাবার সাথে সাইকেল বেচা বা বাইক কেনার কি সম্পর্ক সেটা কিছুতেই মাথায় ঢুকলো না অসীমবাবুর।উমা যেন তেন প্রকারেন সাইকেলটা বাড়ি থেকে বিদায় করতে চায়।সিঁড়ির নীচে একটা কোনায় বেচারি পড়ে আছে, তাতে লোকের কিসের এত আপত্তি সেটা অসীমবাবু বোঝেন না।বুড়ো হলে কি কেউ কি বাপের বয়েসী আত্মীয়কে  বাড়ির বাইরে বার করে দিতে পারে? মনটা দুঃখে ভরে যায়।মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে সাইকেলটাকে নিয়ে যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে চলে যাবেন।রইলো তোর চাকরী আর সংসার।সংসারের মায়ার বন্ধন কাটিয়ে প্রানের সঙ্গীর সাথে বহির্বিশ্বে বেরিয়ে পড়তে ওনার বহুবার ইচ্ছা হয়েছে, কিন্তু মরণাপন্ন বাবা আর বাবুর কথাটা ভেবে উনি শেষমেষ পেরে ওঠেন নি।এই তো সেদিন উমার মামাতো ভাইয়ের ছেলে এসে সাইকেলটা ওদের চুঁচুড়ার বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য আবদার জুড়েছিলো।উমা তো এক কথায়  হ্যা করে দিলো।ভাগ্গিস বাবু বেঁকে বসলো।একটা জিনিস আজকাল অসীমবাবু লক্ষ্য করেছেন যে 

বাবুরও যেন সাইকেলটার প্রতি একটা কেমন টান আছে।এই একটা ব্যাপারে বাবু আজকাল মায়ের সাথে লড়ে যেতে পারে।হাজার হোক অসীমবাবুর জিনটা তো ওর মধ্যে রয়েছে।এত সমস্যার মধ্যেও ওই জিনটা অসীমবাবুর অহংকারের কারণ।

শনিবার দুপুরবেলা সেদিন গণপতিবাবুর প্রায় যায় যায় অবস্থা।ডাক্তার সেন এসে গম্ভীরমুখে বলে গেলেন এক্ষুনি হাসপাতালে বা নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হবে।অসীমবাবু সাইকেলটা নিয়ে ছুটলেন এম্বুলেন্স ডাকতে।পাড়ার 'ভাইভাই' ক্লাবে একটা এম্বুলেন্স আছে।গিয়ে দেখেন সেটা অন্য কোথাও গেছে।তবে কিছুক্ষন পরেই ফিরে আসবে।অসীমবাবুর সীমিত সামর্থ।মাস গেলে ওই তো কটা টাকা আর পান।পারিবারিক সম্পদও কিছু তেমন নেই।নার্সিংহোমের ব্যায়বহুল চিকিৎসা উনি কতটা করতে পারবেন সেটা নিয়ে দ্বিধায় আছেন।তার থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত।সেখানে গিজগিজ ভিড় ও নোংরা হলেও বিনাপয়সায় চিকিৎসা তো হয়।এম্বুলেন্সকে বাড়িতে আসতে বলে বাড়ির কাছাকাছি এসে দেখলেন গেটের কাছে সুটপরা টাকমাথা এক ভদ্রলোক ঘোরাঘুরি করছেন।

কাকে খুঁজছেন জিজ্ঞাসা করাতে সেই ভদ্রলোক অসীমবাবুর নামটাই উচ্চারণ করলেন।

" কি ব্যাপার বলুন তো?আমিই অসীমবাবু।"

"ওহ।আপনি আমায় বাঁচালেন।আমি কলকাতার হারকিউলিস কোম্পানির অফিস থেকে আসছি।খবর পেয়েছি আপনাদের যে সাইকেলটা আছে সেটা নাকি আপনারা চারপুরুষ ধরে ব্যবহার করছেন?"

" হাঁ।তো?"

" কোম্পানি একটা বিজ্ঞাপনে এটাকে ব্যবহার করবে।আপনাদের সাথে সাইকেলটার একটা ছবি নেব।আর এর জন্য আপনাকে কোম্পানি তিন লক্ষ টাকাও দেবে।"

এম্বুলেন্স এসে হাজির হয়েছে।অসীমবাবুর হাতে কন্ট্রাক্ট ফর্ম।বাঁ হাতে সই করা ফর্মটা নিয়ে ডান হাত দিয়ে পরম যত্নে অসীমবাবু সাইকেলটাকে আদর করছেন।ওনার চোখ দিয়ে অজান্তেই টপ টপ করে আনন্দাশ্রু গাল বেয়ে নেমে আসছে। গণপতিবাবুকে এম্বুলেন্স এ তোলা হলো।বাবুও পিছনে ঠাকুরদার সাথে উঠেছে।ইতিমধ্যে ছবি তোলার কাজটাও সম্পূর্ণ হয়েছে।অসীমবাবু এম্বুলেন্সের সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে আদেশ দিলেন " নার্সিং হোম চলো।"

mukhopadhyayjaydip@ymail.com
কলকাতা


No comments:

Post a Comment