![]() |
ছবি : ইন্টারনেট |
লড়াই
রাজশ্রী দে
এক্কেবারে ছোটবেলা থেকে বেঁচে থাকার লড়াই অম্বালিকার আর তার মা অয়ন্তিকার। মামার বাড়ির তিন তলার একটা ঘরে আশ্রয় পেয়েছে মা মেয়ে, বাবা চলে গেছেন সেই কোনকালে , বাড়ি ঘর করে যেতে পারেন নি, গ্ৰামের একটা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তার সঙ্গে রাজনীতি , দেশের কাজ। বাবা চলে যাওয়ার পর মামারা দয়া করে আশ্রয় দিয়েছেন এই বাড়িতে, তাই এই শহরে খানিকটা নিরাপদে আছে তারা।
নর্থ বেঙ্গল থেকে ক্লাস সিক্সে এসে স্কুলে ভর্তি হয়েছে সে , প্রথমে তাদের থাকা নিয়ে প্রচণ্ড অশান্তি হতো মামাবাড়িতে, কেউই চাইতো না তারা এবাড়িতে থাকে।কিন্তু কোন উপায় ছিল না কোথাও যাওয়ার, শেষ পর্যন্ত আশ্রয় পেল ছাদের ছোট্ট ঘরে, সেখানেই মা মেয়ের থাকার ব্যবস্থা হলো ।কি সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছে মা ঘরটা, ছাদে বসে পড়াশোনা করে অম্বালিকা। রাত্রিবেলায় লন্ঠনের আলোয় ছাদে মাদুর পেতে বসে সে আর মা সকাল বেলায় বেড়িয়ে যে খবরের কাগজ কিনে আনে , তাতে একের পর এক দরখাস্ত করে যায় চাকরির। এদিকে তাদের টাকা পয়সাও কমে আসছে । মামাতো ভাই বোনেরা ছাদে এলে দেখা করে যায়, সবাই অপেক্ষায় আছে সেই সুদিনের যখন তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে ।কিন্তু মায়ের চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সেই পথ বন্ধ।
অবশেষে ডালহৌসির এক অফিসে অম্বালিকার মায়ের চাকরি হয়ে গেল।মা মেয়ে আনন্দে ভাসছে। আজ রাতে মাথার ওপর অজস্র তারা আর চাঁদ , মনে হয় পূর্ণিমা, ছাদময় আলো, আর টবে লাগানো বেল যুঁইয়ের সুবাস যেন তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।মা আজ রাতে রান্না করলো খিচুড়ি আর ডিম ভাজা।পরের দিন অয়ন্তিকা দুই দাদাকে জানালেন তার চাকরি পাওয়ার কথা আর তার সঙ্গে সঙ্গে একমাস পর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু দাদারা সুর পাল্টালেন, বললেন এই শহরে তোরা আর কোথায় যাবি, এই বাড়িতেই থাক, কলকাতা তো নিরাপদ নয়। অনেক চিন্তা করে ছোট মেয়েকে নিয়ে থেকে গেল অয়ন্তিকা বাবার বাড়ির তিনতলায় ছাদের ঘরটাতে।
সকাল সাড়ে আটটায় মা বেড়িয়ে যায় , তারপর অম্বালিকা সাড়ে দশটা নাগাদ বেড়িয়ে পরে স্কুলের পথে, কাছেই স্কুল, ফিরে আসে পাঁচটায়, মা আসতে আসতে সন্ধ্যে সাতটা সাড়ে সাতটা বেজে যায়। স্কুল থেকে ফেরার পর মুড়ি চানাচুর, কোনদিন পাউরুটি , বিস্কুট খেয়ে নেয় সে ।মামাবাড়ির লোকেদের আন্তরিকতার বড় অভাব,তারা তাই বড্ড একা,তবে স্কুলে কিছু বন্ধু হয়েছে।
অয়ন্তিকা একমনে অফিস করে, খুব গম্ভীর থাকতে হয় বাইরে, অফিস ছুটি হতেই দৌড়াতে দৌড়াতে ভীড় বাসে ওঠে কোনরকমে, তারপর বাস স্টপেজে নেমে কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরে । মেয়ের জন্য চিন্তায় অস্থির থাকে সারাদিন , বিশেষত সন্ধ্যে হয়ে গেলে। অন্ধকারে ছাদের ঘরটাতে একা লণ্ঠন জ্বালিয়ে পড়তে বসে মেয়েটা, কোনোরকমে সিঁড়ি হাতড়ে হাতড়ে ওপরে ওঠে অয়ন্তিকা। সিঁড়িতে ও ছাদের ঘরে কোন ইলেকট্রিক আলোর ব্যবস্থা নেই।আর কয়েক মাসের মধ্যে অন্য বাড়ি ভাড়া নেবে মনস্থ করেছে সে।
কয়েকমাস পরে পাড়ার মধ্যে একটা সুন্দর ছিমছাম বাড়ি দেখে চলে গেল মা মেয়ে , দাদা বৌদিরা আর আপত্তি করেননি। পাড়ারই এক কাকিমা সেই ছোটবেলা থেকে চেনে , তারই বাড়িতে ভাড়া গেল, তিনি একা মানুষ থাকেন দোতলায়, একজন দেখাশোনা করার লোক আছে তার কাছে। তাদের পেয়ে খুব খুশি হলেন কাকিমা আর অম্বালিকা তো বারান্দায় গিয়ে বসে থাকছে সর্বক্ষণ , তবে ছাদ , খোলা আকাশ মিস করছে খুব।
এভাবে দিন কাটতে লাগলো, অফিস আর মেয়ের পাশে থাকা , অম্বালিকার মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলো , রেজাল্ট হলো দূর্দান্ত। তারপর ইকনোমিক্সে অর্নাস নিয়ে ভর্তি হলো নামকরা কলেজে। খুব ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তাকে খুব তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী হয়ে মায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে , বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। মায়ের সরকারি চাকরি নয়। মা যেমন নিজের কথা চিন্তা না করে তাকে মানুষ করেছে নিস্বার্থভাবে , তা ভুলে গেলে চলবে না।
কলেজের বন্ধুরা মাঝে মাঝে সিনেমা দেখতে যায় , কফি হাউসে আড্ডা দেয়। তারও ইচ্ছে করে যেতে কিন্তু মায়ের কাছে টাকা চাইতে বড্ড সংকোচ হয়, বাড়ি ভাড়া আর খেতেই মায়ের বেতন শেষ হয়ে যায়। এরমধ্যে বন্ধু বাসবদত্তা দুটো টিউশন যোগাড় করে দিয়েছে , ওর কাকাতো ভাই বোনকে পড়ানোর জন্য। সন্ধ্যের দিকে সপ্তাহে তিন দিন পড়ানো সবে শুরু করেছে। অনেক বন্ধুই টিউশন্ করছে।মা আপত্তি করে শুধু বলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে।
এখন মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে বেড়াতে যায় সে মায়ের সঙ্গে, একদিন বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর , আদ্যাপীঠ যাওয়া হয়েছিল, অবশ্য বাড়ির সবাই মিলে গাড়ি ভাড়া করে। এভাবে দিন এগিয়ে চলে, অর্নাস কমপ্লিট হয়, একদিকে ব্যাঙ্কিং পরীক্ষার জন্য তৈরি অন্যদিকে স্টুডেন্ট পড়ানো। এখন বাড়িতে এসেই পড়ে সবাই।
একটার পর একটা পরীক্ষা আর আশায় দিন গোনা , হঠাৎ করেই সুখবর এলো, অম্বলিকা আর তার ক্লাসমেট সুশোভন একই ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়ে গেছে । মা এতো খুশি হলো বলার কথা নয়, বাড়ির সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো হলো, প্রাণভরে আর্শীবাদ করলো বাড়ির বড়োরা। সুশোভন আর সে ভাগ্যক্রমে একই ব্রাঞ্চে পেল।
সুশোভনের বাড়ি মেদিনীপুরে,ও ছুটির দিনে বাড়ি চলে যেত। সুশোভন যে অম্বলিকাকে পছন্দ করে সবাই জানতো কিন্তু কোনদিনই সে এবিষয়ে আমল দিই নি।একসঙ্গে কাজ করার জন্য বন্ধুত্ব আগের থেকে অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে এখন। অফিস থেকে বেড়োনোর পর একসঙ্গে অনেকটা রাস্তা হেঁটে বাসে ওঠে , তখন নানা ধরণের কথা হয়।এখন একমাত্র লক্ষ্য মাথার ওপরে একটা ছাদ। মা আর সে অনেক কষ্ট করেছে এখন একটা বাসস্থানের খুব দরকার তাদের।মা হয়তো আর কয়েক বছর চাকরি করতে পারবে।
সুশোভনদের অবস্থা সচ্ছল, মেদিনীপুরে , বাড়ি ,জমি জমা, তার ওপরে একটাই ছেলে, দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। তাই অভাব কাকে বলে সে জানে না।অবশ্য সে যে অম্বালিকাকে ভালোবাসে তা এখনও পর্যন্ত বলে উঠতে পারে নি। অম্বালিকার ব্যক্তিত্বের কাছে ঠিক গুছিয়ে কথা বলতে পারে না সুশোভন। তিন বছর চাকরি করার পর দুকামরার ফ্ল্যাট কিনলো অম্বালিকা, মাও সাহায্য করলো, একদিন ছোট করে পূজো দিয়ে প্রবেশ করলো ঘরে। আর কেউ তাদের অবহেলা করতে পারবে না,মাথা উঁচু করে বাঁচবে তারা ।
কিছুদিন পর এক রোববার সুশোভন তাকে ইনভাইট করলো লাঞ্চে, সেদিন ও আর বাড়ি যায়নি, যারপরনাই অবাক হল সে যাইহোক মাকে বলেই রওনা দিল নিউমার্কেটের উদ্দেশ্য, সুশোভন থাকবে মেট্রো সিনেমা হলের সামনে। বাস থেকে নেমে কিছুটা হেঁটে গিয়ে দেখে সুশোভন দাঁড়িয়ে আছে, বেশ সাজগোজ করে, অম্বলিকাও এসেছে তার প্রিয় মেরুন রঙের একটা তাঁতের শাড়ি পরে ,কানে দুল , গলায় মায়ের একটা সোনার সরু হার , কপালে একটা ছোট্ট টিপ। দুজনের সাজ দেখে মনে মনে হাসি পাচ্ছে, কি জানি কি জন্যে এই লাঞ্চ পার্টি। সুশোভন খানিকটা অপ্রস্তুত, তার পরে একটু ঘোরাঘুরি করল তারা নিউ মার্কেট চত্বরে।ডিসেম্বরের সকাল, তাই চারিদিকে উৎসবের মেজাজ, তারা রিজেন্টে গিয়ে বসল, অর্ডার দেওয়া হলো চিকেন বিরিয়ানি। ইতস্তত করছে সুশোভন, তার পর জানতে চাইলো ওকে ভালবাসি কিনা। ও দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসে ,এখন বিয়ে করতে চায় তাও জানাল। সময় চাইলাম, কারণ সত্যিই অম্বলিকা জানে না সুশোভনকে ভালোবাসে কিনা , সারা জীবন যেভাবে কেটেছে, শৈশব ,যৌবন, সেখানে ভালোবাসাকে অনুভব করার মতো পরিস্থিতি ছিল না, ভালোবাসার রঙ কি তাও জনে না সে। বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে এতটা রাস্তা লড়াই করতে করতে অনেক কষ্টে একটু সুখের মুখ দেখেছে।
বাড়িতে এসে রাত্রিবেলা মাকে জানাল , মা আন্দাজ করেই ছিলেন , আনন্দে তাকে জড়িয়ে ধরলেন মা।মা বলল দেখিস বিয়ের পর আস্তে আস্তে ভালোবাসা হয়ে যাবে, তুই ওকে ফিরিয়ে দিস না।কয়েক বার সুশোভনকে ব্যাঙ্কে দেখেছে মা, অপছন্দ হওয়ার কোন কারণই নেই।ভদ্র সভ্য শান্ত স্বভাবের সুশোভন অফিসে , বন্ধু মহলে সকলের প্রিয়। সারা রাত মনের সঙ্গে যুদ্ধ করল সে, কিছুতেই বুঝতে পারছে না ভালোবাসে কিনা। বিয়ে হয়ে গেলেও মাকে একা বাড়িতে রেখে দূরে সরে থাকা তার পক্ষে অসম্ভব। তাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে হলে , মাও থাকবে তাদের সঙ্গে।অনেক ভেবে চিন্তে তাই ঠিক করল
সে।
পরের দিন একটু দেরিতেই অফিসে পৌঁছলো, আড়চোখে দেখল একমনে কাজ করে যাচ্ছে সুশোভন। অম্বলিকাও মনোযোগ দিল কাজে, এতো কাজ জমে ছিল যে টিফিন পিরিয়ডেও বাইরে যেতে পারল না।অফিস ছুটি হওয়ার পর সব মিটিয়ে বেড়োতে বেড়োতে দেরী হয়ে গেছে, ততক্ষণে সুশোভন বেড়িয়ে গেছে । কি হলো বুঝল না সে, রোজ একসঙ্গে বাড়ি ফেরে । কি জানি কেমন মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরল অম্বলিকা।সেই রাতটা অস্বস্তিতে কাটাল।পরের দিন অফিসে গিয়ে দেখল আসেনি সুশোভন। সাধারণত ও এ্যাবসেন্ট করে না, তাহলে কি বাড়ি চলে গেলো।পরের দিন ও যথারীতি এলো না দেখে এক অফিস কলিগ সুপ্রতীককে জিঞ্জেস করে জানল জ্বর হয়েছিল বলে বাড়ি চলে গেছে, ওরা একই মেসবাড়িতে থাকে।
প্রায় দশ বারো দিন পর অফিসে দেখা হলো, তার পর টিফিনের সময় একসঙ্গে বেড়িয়ে তারা বসল একটা ছোট্ট রেস্টুরেন্টে। সুশোভন বারবার বলছে আমি দুঃখিত, বাড়ি যাওয়ার সময় বলে যেতে পারিনি, তবে তোমার কথা বাবা মাকে বলেছি। এবার তোমার মতামত বলো। কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতা, অম্বলিকা জানালো বিয়েতে মত আছে, কিন্তু তার মা তাদের সঙ্গে থাকবে।বাড়ি তো আছেই, তাই ভাড়া নেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই কলকাতা শহরে। সুশোভন খুব খুশি হলো, ওদের ঠিকানা দিল মাকে যোগাযোগ করার জন্য।
কয়েক দিনের মধ্যে মা চিঠি দিলেন ওদের বাড়িতে, কলকাতায় আসার জন্য। আর তারা দুজনে তখন শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়, কখনও প্রিয় বইয়ের সন্ধানে কলেজ স্টিটের বই পাড়ায়, কখনও ভিক্টোরিয়া, কখনও ময়দানের সবুজ মাঠে নীল আকাশের নীচে, কখনও প্রিন্সেপ ঘাটে প্রকৃতির মাঝে।কলেজের বন্ধুরা সবাই আনন্দিত, একবার সবাই মিলে যাওয়া হলো অনীতার বাড়িতে।গল্পগুজব আনন্দের মধ্যে কেটে গেল দিনটা।
এক শুভ দিন দেখে সুশোভন , ওর মা বাবা আত্মীয় স্বজন মিলে দেখে গেল অম্বালিকাকে। সবাই প্রশংসা করলো সুশোভনের পছন্দের। বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেল ঐ দিনে, মাত্র দুমাস বাকি।ওরা চলে যাওয়ার পর মা চিন্তায় অস্থির , কিভাবে যোগার করবে একা হাতে। বুঝিয়ে শান্ত করল মাকে, বন্ধুরা সবাই সাহায্য করবে তাদের।
অনেক গুলো বছর কেটে গেছে মাঝে, তারা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এসেছে । ম্যালের কাছাকাছি এক হোটেলে উঠেছে মা আর মেয়ে। সুশোভনের সঙ্গে ভালোবাসা হয়েছিল কিন্তু বিয়েটা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ওদের বাড়ি থেকে শর্ত দিয়েছিল বিয়ের পর মায়ের সঙ্গে থাকা চলবে না, আর মাকে কোন অর্থনৈতিক সাহায্য করা যাবে না। আসলে মায়ের কোন দায়িত্বই নেওয়া যাবে না।প্রথমে বাধা দিলেও শেষ পর্যন্ত বাবার কথায় সমর্থন করেছিল সুশোভন, তখন বিয়ের মাত্র কটা দিন বাকি। মা বলেছিল আমার কথা চিন্তা করিস না, বাড়ি আছে ,কিছু টাকা আছে , আমার ঠিক চলে যাবে, তুই বিয়েটা করে নে। অনেক কান্না কাটি করেও রাজি করাতে পারেনি তাকে।বন্ধুরা এসেছিল, তারা বলেছিল মনের কথা শোন অম্বা, বিয়ের পর আফশোষ করিস না। বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছিল অম্বলিকা নিজে হাতে।
এখন দার্জিলিংয়ে ম্যালে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখছে মায়ের সঙ্গে । সূর্যোদয়ের আলোয় যেন গলে গলে পরছে বরফ। অপরূপ সাজে সেজেছে প্রকৃতি, , এখন শীতের শুরু ,সবে পূজো শেষ হয়েছে,একবর্ণ মেঘ নেই আকাশে, তাই ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা।ঠাণ্ডা বাতাস , অম্বলিকা শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে মায়ের শীর্ণ হাতটাকে..............
সুন্দর গল্প
ReplyDelete