1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

Showing posts with label কিশলয়. Show all posts
Showing posts with label কিশলয়. Show all posts

Saturday, October 21, 2023

টুকটুকি

ছবি : ইন্টারনেট

 টুকটুকি

 দর্পনা গঙ্গোপাধ্যায়


 টুকটুকে টুকটুকি রোজ কাটে আঁকি-বুকি

 ফুটে উঠে নানা ছবি, জল রঙে লাল রবি

 খেলা আছে ঝুড়ি ঝুড়ি সাথী তার গুড়গুড়ি

 করে শুধু হুড়োহুড়ি খায় শুধু গড়াগড়ি ।


 করে শুধু বায়না ভাত রুটি খায় না 

খায় সে বার্গার ফোনে দিয়ে অর্ডার।।

...(সমাপ্ত)...

দুর্গা ঠাকুর

ছবি : ইন্টারনেট


দুর্গা ঠাকুর

অনীক সরকার 


মা যাচ্ছেন বাপের বাড়ি,

পড়ে যাচ্চেন নতুন শাড়ি।

সঙ্গে তাহার ছেলে মেয়ে,

কী সুন্দর বাহন নিয়ে।


অনীক সরকার

শ্রেণি - পঞ্চম

বয়স - ১১ বছর

রঘুনাথগঞ্জ বয়েজ হাইস্কুল

শরৎ

ছবি : ইন্টারনেট

শরৎ

সারনী জানা


বর্ষা শেষে শরৎ আসে

শিশির বিন্দু দূর্বা ঘাসে।

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা

পথের দুধারে কাশের মেলা।

শিউলি ফুল গন্ধ মাতায়

পদ্ম ফোটে বিলের শোভায়।

আগমনীর বার্তা আসে

সবার মন আনন্দে ভাসে।

...(সমাপ্ত)...

সারনী জানা

বয়স-৮বছর

ক্লাস- দ্বিতীয় শ্রেণী

স্কুল- পূর্ববাড় আত্যয়িক প্রাথমিক বিদ্যালয়

সত্যি কথা

ছবি : ইন্টারনেট

সত্যি কথা 

শৌর্য্য পাল

ঘুমের থেকে যেই উঠেছি

সোমের সকালবেলায়

হঠাৎ দেখি মা-মাসিরা

ব্যস্ত পুতুল খেলায়

ব্যাটিং ক্রিজে ছোট্ট জেঠু

বোলিং মার্কে বাবা

এসব আবার সত্যি নাকি 

বাপ্‌রে!! উরিব্বাবা!!

ঠাম্মা হাঁটে ছোট্ট খুকি  

দুধের বোতল হাতে

ওমা! দিদান ছোট্ট আরও 

টিথার চেবোয় দাঁতে

খোকা দাদান দিচ্ছে হামা

নরম সবুজ ঘাসে

মামা তো বেশ স্কুলের স্টুডেন্ট

পড়ছে ওয়ান ক্লাসে

যেইনা বাবা ছোট্ট হলো

হলাম আমি বড়ো

মাকে বলি আর খেলা নয়

পড়তে বসে পরো

এখন আমি ব্যস্ত খুবই

যাচ্ছি অফিস রোজ

ওদের জন্য আনবো মিঠাই

জমবে মহা ভোজ।।

...(সমাপ্ত)...

শৌর্য্য পাল, 

১২ বছর, সপ্তম শ্রেণি। 

নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ একাডেমি, মালদা।

বাড়ির ঠিকানাঃ সিন্ধু নিলয়, রিজেন্ট পার্ক, 

পোঃ+জেলা=মালদা, পিন- ৭৩২১০১ 

রাত্রি

ছবি : ইন্টারনেট

 রাত্রি

জোয়া হাসিন চৌধুরী


চারিদিক শান্ত, নিঝুম - চুপচাপ

নেই কোনো পাখির কল্লোল

 ব্যস্ত রাস্তা নির্জন।

পাশে ফিসফিস শব্দ

ওঁরা পাহারাদার।

গাছেরা যেন ঘুমিয়েছে

চাঁদ মামা হাসছে।

হালকা হাওয়া বইছে

সবাই ঘুমিয়েছে।

রাতের রূপে আমি একা জেগে।

...(সমাপ্ত)...

জোয়া হাসিন চৌধুরী 

বয়স: 10 বছর 

ক্লাস: ফোর 

স্কুলের নাম: বদরতলা ফুরকান মডেল স্কুল

আমার পুজো

ছবি : ইন্টারনেট

আমার পুজো

অনির্বাণ খাঁ


পুজো মানে ভোরের বেলা বাজলো আলোর বেনু,

পুজো মানে ষষ্ঠী থেকে নানান খাবার মেনু।

পুজো মানে এলো শরৎ অনেক খুশির আলো,

পুজো মানে মনটা খুশি দিন কাটবে ভালো।

পুজো মানে কাশের মেলা পরলো ঢাকে কাঠি,

পুজো মানে গাড়িতে যাব না, চল না একটু হাটি!

পুজো মানে প্যান্ডেলে যাব নতুন জামা পড়ে,

পুজো মানে দেখব ঠাকুর ফিরব সেই ভোরে।

পুজো মানে সন্ধ্যে হলেই এবার ঘুরতে যাব,

পুজো মানে এত লাইন! কখন ফুচকা খাবো?

পুজো মানে আসবে মাগো আর কটা দিন বাকি,

পুজো মানে আসছে বছর এই অপেক্ষায় থাকি।

...(সমাপ্ত)...

স্বাধীনতা

ছবি : ইন্টারনেট

স্বাধীনতা

জয়দীপ পাল

ওই দেখ ওই নীল আকাশে

উড়ছে কত পাখি,

নানা রকম আওয়াজ করে

করছে ডাকাডাকি।

কী সুন্দর! উড়ছে তারা

মেলে দুটি ডানা,

কেউ তো তাদের দেয় না বাধা

দেয় না কোনো মানা‌‌‍।‍‍‌

ঐ যে ওই মাছগুলো

সাঁতার কাটে জলে,

কই তারা তো বাঁধা নেই

নিয়মের শেকলে।

তবে কেন মানুষ‌‍ই শুধু

মানবে বাধা মানা?

তবে তারা কেন দেবে না

মেঘের ফাঁকে হানা?

এমন কী কোনোদিন 

আসবে না ,ভাঙবে পরাধীনতা

সেদিন মানুষ লাভ করবে

অনন্ত স্বাধীনতা। । 

...(সমাপ্ত)...

 জয়দীপ পাল

বয়স:- ১১+

ক্লাস:- VI

স্কুল:- শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়, হাওড়া

সমাজ সেবা

ছবি : ইন্টারনেট

 সমাজ সেবা 

শুভ্রজা চ্যাটার্জী

     এক গ্রামে একটা বড় বাগান ছিল। সেই বাগানে ছিল দুটো আম গাছ। গরম কালে, একটা গাছের থেকে সবাই আম নিত, কারণ সেই গাছের আম ছিল খুব মিষ্টি। অন্য গাছটার আম ছিল ভীষন টক। তাই তার ফলে কেউ হাত দিত না। 

     কত মানুষ ক্লান্ত হয়ে এসে মিষ্টি আম গাছের তলায় বসতো, আর আম পেড়ে খেত। আর টক আম গাছের দিকে কেউ জেতই না। তাই টক আম গাছের খুব দুঃখ। সে একা একা দাঁড়িয়ে থাকত।

     একবার সেই বাগানের মালী তিন দিনের জন্য বেড়াতে গেল। ফিরে এসে সে দেখলো গ্রামের লোক সব মিষ্টি আম খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। তাদের টানাটানি তে গাছের কত ডাল ও ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে!  

     ভালো গাছের এই অবস্থা দেখে মালীর খুব রাগ হলো। সে তখনই মোটা বেড়া এনে মিষ্টি আম গাছ টাকে ঘিরে দিলো। আর কেউ গাছের কাছে আসতে পারে না।

     তখন গ্রামের মানুষ আর কি করে! তারা ক্লান্ত হয়ে এসে বাধ্য হলো টক আম গাছের তলায় বসতে। কিছু লোক সেই টক আম পেড়ে নিয়ে গেলো। তাই দিয়ে তারা আমের আচার, আমের টক মিষ্টি চাটনি, আমের সরবৎ, ও আরও কত কিছু বানালো। সেই শুনে গ্রামের আরো লোক আসতে শুরু করলো, সেই টক আম পাড়তে। 

      মালীর তো সেই দেখে খুব রাগ! ভাবলো, "ভালো গাছ টাকে বাঁচালাম, এবার এরা দেখছি টক গাছ টাকেও নষ্ট করে দেবে!"

     কিন্ত একজন এই ঘটনায় খুব আনন্দ পেল। কে বলো তো? সেই টক আমের গাছটা। এত দিন পরে সে সমাজ সেবা করবার সুযোগ পেলো।


শুভ্রজা চ্যাটার্জী

বয়স - 9বছর

ক্লাস - 4

স্কুল - এডামস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বেলঘরিয়া। 

দয়ালু হরিণ ও মাকড়সা

ছবি : ইন্টারনেট


 নিত্যাশ্রী ঘোষ

বয়স : ৭ 

ক্লাস : ২ 

ভিশন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,হুগলী 

একটি দয়ালু হরিণ ছিল ,সে একদিন বনের মধ্যে ঘুরছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর সে একটি মাকড়সার জাল দেখতে পেল ,সেই জালটি এমনভাবে বোনা হয়েছিল যে হরিণটিকে তার  রাস্তা পার করতে হলে সেই জালিটি ছিঁড়তে হবে। বনের সেই রাস্তাটিতে খুব বেশি কেউ আসে না, তাই তার অন্য কোন রাস্তা জানা ছিল না, সেই জন্য সে মাকড়সারটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকলো, কখন সে আসবে, আর তাকে অন্য কোনো রাস্তা আছে কিনা জিজ্ঞেস করবে। মাকড়সাটি আড়াল থেকে এতক্ষণ সবকিছু লক্ষ্য করছিল সে হরিণটির কাছে এসে বলল তুমি খুব দয়ালু তাই তার পুরস্কার হিসেবে আমি তোমাকে দুটো জিনিস দিতে চাই। এই বলে ,মাকড়সাটি একটি বাটি এবং একটি বাঁশি হরিণটিকে দিল এবং বলল এই বাটিটি একটি জাদুর বাটি, এটিতে তুমি যত খুশি ঘাস খেতে পারো এই ঘাস কখনো শেষ হবে না এবং এই বাঁশিটি বাজালে তুমি জালের ওপারে চলে যেতে পারবে। হরিণটি মাকড়সাটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।

...(সমাপ্ত)...

 নিত্যাশ্রী ঘোষ

বয়স : ৭ 

ক্লাস : ২ 

ভিশন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,হুগলী 


নাগাছের গল্প

 

নাগাছের গল্প

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

সমীরবাবু হলেন ভুটান রোড কনস্ট্রাকশন এর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।হাসিখুশি,ফর্সা,গোলগাল,বেঁটে মানুষ,মাথায় টাক।একটু ধীরে ধীরে প্রফেসরদের মতো গুছিয়ে কথা বলেন।এই সমীরবাবু বা মিস্টার সমীর পতিতুন্ডর সাথে আমার পরিচয় বছর পনেরো আগে।এটা ওটা কথার মাঝে ওনার জ্ঞান আমাকে মুগ্ধ করেছিল।ফুল গাছপালা থেকে শুরু করে আকাশের বিভিন্ন তারাদের ব্যাপারে ওনার কথাবার্তা শুনে আমি রীতিমত ওনার ভক্ত হয়ে গেলাম।সেদিন ওনার ফোন নম্বরটা লিখে রাখতে ভুল করিনি।

প্রথম সাক্ষাতের প্রায় মাস তিনেক পর এক রবিবারের সকালে সমীরবাবুর ফোন।

" কি করছেন মশাই?"

" এই ছেলেকে পড়াতে বসেছি।"

" আজ একটা দুষ্প্রাপ্য গাছের চারা পেয়েছি।'মা তারা' নার্সারীর একটা অন্ধকার সেডে নাকি দশ বছর ধরে অযত্নে পড়ে ছিল।চারাটা যে কিভাবে এতদিন বেঁচে ছিল সেটাই আশ্চর্যের ঘটনা মশাই।দুটো ছোট্ট ছোট্ট প্রায় শুকনো পাতা অবশিষ্ট আছে।দুদিনের জন্য ভুটান থেকে কলকাতা এসেছিলাম।কাল ফিরে যাচ্ছি।তার আগে চারাগাছটাকে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।ওখানে লাগবো।" এক নিঃশ্বাসে সমীরবাবু ফোনে জানালেন।

" তা কিরকম দুষ্প্রাপ্য এই চারাটি?" আমি উৎসাহী হয়ে জিজ্ঞাসা করি।সমীরবাবু সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।বোটানির ব্যাপারেও ওনার দারুন উৎসাহ। গাছেদের বৈজ্ঞানিক নামগুলো উনি মুখস্ত রাখতে পারেন না।তবে সেই গাছ বা ফুলের যাবতীয় তথ্য উনি গড়গড় করে বলে যেতে পারেন।

" কি বলবো ভায়া।আমি একশো ভাগ এখনো নিশ্চিত নই।তবে মনে হয় এটাই সেই সাউথ আমেরিকার একটা প্রাচীন গাছ যেটা মায়া সভ্যতার সময় থেকে ইনকারা পুজো করে আসছে।নীল, সবুজ আর হালকা হলুদের এর পাতাগুলো একবার দেখলেই নজর কাড়বে।এ বড় রহস্যময় গাছ।দিনের আলোর সাথে নয়, রাতের আকাশের সাথে এর যোগাযোগ।এরিক ভন দানিকেন এর মতো পন্ডিত ব্যক্তি এই জাতের গাছকে মহাজাগতিক অন্য গ্রহের সংকেত ধরার গাছ অনুমান করেছেন।গাছটার ব্যাপারে পড়েছিলাম, তবে আজ যে এভাবে পেয়ে যাবো সেটা ভাবতে পারিনি।কালই এটা নিয়ে ভুটান ফিরছি।তারপর একটু যত্নআত্তি করে গাছটাকে আগে বাঁচিয়ে তুলি, তারপর আপনাকে জানাবো।" বলেই সমীরবাবু খট করে ফোনটা কেটে দিলেন।

আজ ভদ্রলোককে বদ্ধপাগল বলেই মনে হলো।একা মানুষ।বিয়ে থা করেননি।বাবা মা বহুদিন গত হয়েছেন।মাথা খারাপ থাকতেই পারে।। থিম্পুর বাইরে অফিসের দেওয়া একটা বাংলোয় থাকেন।

কাজের চাপে সমীরবাবুর কথাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।একদিন রাত সাড়ে এগারোটায় সমীরবাবু ফোন করলেন।

" কি ডিস্টার্ব করলাম নাতো?"

" না,না,বলুন।আপনার গাছটা কেমন আছে?" আমি জিজ্ঞাসা করি।

" আরে সেটা বলতেই তো এতো রাত্রে ফোন করছি।সে এক অবাক কান্ড মশাই।কোথায় যে শুরু করবো আর কোথায় শেষ করবো ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারছি না।" সমীরবাবুকে বেশ উত্তেজিত লাগলো।

" কেন? গাছটা বেঁচে আছে তো?"

" দিব্যি বেঁচে আছে।একটু আগেই আমি আর ও বাংলো র সামনের লনে বসে আকাশ দেখছিলাম।ও টবে, আর আমি আমার ইজি চেয়ারে।পরিষ্কার মেঘমুক্ত অমাবস্যার আকাশ।মিল্কিওয়ে দেখা যাচ্ছিল।বহু দূরে খালি চোখে এন্ডোমেডা গালাক্সিও দেখা গেল।আমি আমার শখের টেলিস্কোপ দিয়ে মাঝে মাঝে আকাশ দেখছিলাম।হটাৎ নজরে পড়লো গাছটার পাতাগুলো থেকে যেন একটা হালকা আলোর আভা বেরোচ্ছে।আমি দু হাত দিয়ে গাছটাকে ঢেকে দিতেই আলোর আভা বেরোনো বন্ধ হয়ে গেল।আবার হাত সরাতেই আলোর আভা বেরোচ্ছে।বুঝলেন, কোনো মহাজাগতিক গ্রহ থেকে ও রেডিও সিগনাল ধরতে পারছে।হয়তো বহুকাল আগে কোনো এলিয়েন পরীক্ষা করার জন্য এই গাছগুলোকে পৃথিবীতে ছেড়ে গিয়েছিল।আর রেডিও সিগনাল দিয়ে ওদের ট্র্যাক করছে।"

এতো আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়া গেল।কি বলবো তাই মনে মনে ভাবছি এমন সময় আবার ফোন দিয়ে সমীরবাবুর কথাগুলো ভেসে এলো,

" চলে আসুন আমার এখানে।আমার প্রজেক্ট এখন দেড়মাস বন্ধ।আমি আর আপনি এদিকে ওদিকে ঘুরবো, আপনাকে বিভিন্ন তারা চেনাব।গাছটার সাথে আপনার মোলাকাতও হয়ে যাবে।আরও অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে মশাই।আসুন,সাক্ষাতে সব আলোচনা করা যাবে।"

সমীরবাবুর গাছটা যেন আমাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করছে।

ভুটানে সেমিনার আছে বলে সমীরবাবুর ফোনের ছাব্বিশ দিনের মাথায় পাঁচদিনের জন্য বেরিয়ে পড়লাম।যথা সময়ে থিম্পু পৌঁছতেই সমীরবাবু গাড়ি করে আমাকে নিয়ে ওনার বাংলোতে নিয়ে তুললেন। বিশাল বাংলো।চারটে বড় বড় ঘর।বড় রান্নাঘর।সামনে গাড়ি বারান্দা।বাংলোর হাতা বেরিয়ে প্রায় একশো ফিট দূরে লোহার গেটে শেষ হয়েছে। পাহাড়ি ঢালে ধাপ চাষের মতো করে কেটে বাহারি ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।একটা বড় লেজকাটা ডোবারমান কুকুর আমাকে একবার শুঁকে  দৌড়ে বাগানে চলে গেল।দুটি পাহাড়ি চাকর সারাদিনই ঘরদোর ঝাড়পোঁচ করে চলেছে।

" সমীরবাবু ,আমাকে গাছটা দেখালেন না।এতদূর থেকে ওটাকেই দেখতেই তো এলাম।" আমি অস্থির হয়ে বলি।

" হবে, হবে।এবেলা একটু বিশ্রাম করে নিন।খুব ভালো সময়ে এসেছেন।কালকে আবার অমাবস্যা।আকাশে আলোর দূষণ থাকবে না।কালকেই আসল মজা দেখবেন।আর একজন সায়েন্টিস্ট মিস্টার দেশমুখকেও কাল ডেকেছি।

বিকেলে সমীরবাবু আমাকে ওনার চারটে ঘরের একটা তালা দেওয়া ঘরে নিয়ে গেলেন।ওনার কুকুরটাও পিছনে পিছনে ঘরটায় ঢুকলো।অন্ধকার ঘরে লাইট জ্বালাতেই ঘরের একদম মাঝখানে একটা বড় মার্বেলের টবে গাছটাকে প্রথম দেখলাম।দুটি পেয়ারা পাতার মতো পাতা।তবে তাতে তিনটে রং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।নীল,সবুজ আর হালকা হলুদ রঙের দুটো পাতা যেন ঘরে আমাদের উপস্থিতিতে একটু নড়ে চড়ে উঠলো।সমীরবাবুর কুকুরটা গাছটাকে দেখে বেশ কয়েকবার জোরে ডেকে উঠেই কোনো এক অজানা কারণে বেশ ভয় পেয়ে কুঁইকুঁই করে ঘরটা ছেড়ে পালিয়ে গেল।

" কি বুঝলেন?" সমীরবাবু আমার দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।

" কুকুরটা গাছটাকে ভয় পেল কেন?"

" রেডিও ওয়েব মনে হয়।কুকুরটার জিভটা লক্ষ্য করে দেখবেন।ডগাটা কালো হয়ে আছে।একদিন ও জিভ দিয়ে পাতাটা চাটতে গিয়েছিল।ইলেক্ট্রিক শকের মত লেগে জিভ পুড়ে গেছে।সেই থেকে ও গাছটাকে ভীষণ ভয় পায়।"

" বিষাক্ত গাছও তো হতে পারে।পাতাদুটোয় এসিডিক কেমিক্যাল হয়তো আছে।" আমি বললাম।

" তাও হতে পারে।সবই পরীক্ষা সাপেক্ষ।"

চারাগাছটার সতেজ পাতাদুটো কেমন যেন রহস্য নিয়ে আমাদের দিকে চেয়ে আছে।ধুলোবিহীন পাতাগুলো চকচক করছে।

" চারা গাছটাকে রোদ্দুরে রাখেন না কেন?ওর কি সালোকসংশ্লেষণ লাগে না?একটু সবুজ রং আছে মানে পাতায় ক্লোরোফিল আছে বলে মনে হয়।এই অন্ধকারে রাখার জন্যই তো গাছটার আর পাতা গজায়নি।" আমি যুক্তি দিতে থাকি।

" ওর সূর্যের আলো লাগে না।আমার ধারণা মহাকাশের বহু আলোকবর্ষ দূরে কোনো তারার চারিদিকে পৃথিবীর মতো ঘোরা কোনো গ্রহের বুদ্ধিমান বাসিন্দারা ওকে সুদূর অতীতে  পৃথিবীর বুকে ছেড়ে গিয়েছে কিছু পরীক্ষা করতে।হয়তো গোয়েন্দাগিরি করতেও ছাড়তে পারে।আমাদের সভ্যতার হাল হকিকত জানতে এটা বা এটার মতো আরো কিছু পৃথিবীতে ছেড়ে গেছে।আর এখন রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেয়।"

" আপনি যদি ভিনগ্রহের এলিয়েনকে সত্যিই সাহায্য করতে চান তো ওকে চব্বিশ ঘন্টাই বাইরে রাখুন।দিনের বেলায় আমরা তারাগুলো না দেখতে পেলেও ওগুলো তো নিজের জায়গাতেই আছে।ওরা চব্বিশ ঘন্টাই রেডিও সিগন্যাল আদান প্রদান করতে পারবে।" আমি বলে উঠি।

পরের দিন বিকেলে দুর্বল শরীরের মিস্টার দেশমুখ এলেন।উনি কিছুদিন নাসা ও পরে ইসরোতে কাজ করে গত বছর অবসর গ্রহণ করেছেন।ওনাকেও সমীরবাবু ব্যাঙ্গালুরু থেকে ডেকে আনিয়েছেন।বাইরের বাগানে তিনটে চেয়ার আর একটা স্টুল রাখা হয়েছে।আরেকটা বড় টেবিলে কিছু পানীয়, ফল, কাবাব ইত্যাদি রাখা।সমীরবাবু ওনার শৌখিন টেলিস্কোপটাকে একটা ট্রাইপড এ লাগিয়ে রেখেছেন।

চারাগাছটাকে এনে স্টুলটাতে রাখা হলো।ওটা একটা স্টিলের অর্ধগোলাকার পাত্র দিয়ে ঢাকা।কুকুরটা বারান্দায় বসে আছে।গাছটাকে ও ভয় পায়।বাড়ির চাকর বাকর দের আজ তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।খাওয়া দাওয়ার পর আমরা খোলা আকাশের নিচে বসলাম।বারান্দার ও গেটের সব লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।দূরের পাহাড়ে একটা দুটো টিমটিমে আলো জ্বলছে।আজ অমাবস্যা।পরিষ্কার আকাশে অজস্র তারারা ঝিকিমিকি করছে।এতো পরিষ্কার আকাশ আমি কোনদিন দেখিনি।দিকচক্রবালের তিরিশ ডিগ্রি কোনাকুনি আকাশগঙ্গা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।সমীরবাবু আর মিস্টার দেশমুখ খালি চোখে অন্ড্রোমেডা আমাকে দেখানোর চেষ্টা করলেও আমি দেখতে পেলাম না।একটা হালকা মেঘপুঞ্জ মনে হলো।সমীরবাবু গাছটার ওপরের ঢাকাটা সরিয়ে নিলেন।আমাদের থেকে চারাগাছটা পাঁচ ফিট দূরে আছে কিন্তু ঘন অন্ধকারে আমি ওর পাতাদুটোকে দেখতে পারছি না।

সমীরবাবু ওনার টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে কোনো নেবুলা খুঁজতে ব্যস্ত।আমি অন্ধকারে গাছটার দিকে তাকিয়ে আছি।মিস্টার দেশমুখকে কেমন অস্থির অস্থির লাগছে।উনি একবার সমীরবাবুকে ,একবার আমাকে আবার বাংলোর দিকে তাকাচ্ছেন।বাথরুম যাবেন হয়তো ভেবে আমি বললাম," রেস্ট রুম ভিতরে আছে।চলুন আপনাকে নিয়ে যাই।"

" না, না,থ্যাংক কিউ।"

হটাৎ দেখি দুটো পাতা থেকে কেমন একটা মায়াবী আলোর বিচ্ছুরণ হচ্ছে।আলো একবার কমছে, বাড়ছে। আর তার সাথে একটা হালকা সোঁসোঁ আওয়াজ।আমি চমকে উঠলাম।সমীরবাবু টেলিস্কোপ ছেড়ে চেয়ারে এসে বসেছেন।কুকুরটা উত্তেজিত হয়ে ডাকতে শুরু করেছে।নিস্তব্ধ জায়গায় কুকুরের ডাকটা পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসছে।

মিস্টার দেশমুখ নিজের সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন।লং কোটের পকেট থেকে একটা ছোট্ট রিভলভার বার করে কুকুরটার দিকে তাক করে ট্রিগার টিপলেন।সাইলেন্সর লাগানো রিভলভার থেকে একটা খুট করে শব্দ বেরোলো আর সমীরবাবুর কুকুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।মিস্টার দেশমুখ ওনার রিভলভারটা সমীরবাবুর খুলির দিকে তাক করে আছেন।ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে গেছি।

মিস্টার দেশমুখ বললেন," এই গাছটা আমার চাই।নাসা বহুদিন থেকে এরকম একটা জিনিস বানানোর চেষ্টা করছে।গোয়েন্দা গাছ।এটা নাসার কাছে পৌঁছে দিতে পারলে আমার মিলিয়ন ডলার আসবে।"

উনি ছুটে গিয়ে টবশুদ্ধু গাছটাকে তুলতে চেষ্টা করলেন।কিন্তু ওটা বড্ড ভারী।ওনার রোগা শরীরে উনি না ওটা তুলতে পারবেন না বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।হাতের রিভলভারটা দিয়েই উনি মাটিটা একটু খুঁড়ে গাছটা তুলতে গেলেন।আর তখনই সেই অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটলো।বিদ্যুতের একটা লেলিহান শিখা গাছটা থেকে বেরিয়ে মিস্টার দেশমুখের সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়লো।উনি ধপাস করে মাটিতে পড়ে গেলেন।ওনার শরীরটা একটু থরথর করে কেঁপে স্থির হয়ে গেল।

আমরা স্নায়ুবৎ বসে আছি।গাছের পাতাগুলো থেকে বেরোনো আলো তার তীব্রতা বাড়িয়েছে।কেমন একটা লেজার এর মত আলোর শিখা আকাশের পানে উঠে যাচ্ছে।গাছের পাতাগুলো ভীষণ ভাবে কাঁপছে।সমীরবাবু আকাশের দিকে চেয়ে আছেন।কিছু যেন খুঁজছেন উনি।

" ওরা আসছে।" সমীরবাবুর কম্পিত গলা শুনে আমি চমকে উঠলাম।

" কারা আসছে?"

" যারা গাছ পৃথিবীতে ছেড়ে গিয়েছিল, তারাই ওটার বিপদ বুঝে ওটাকে নিতে আসছে।আমার থিওরি মিলে যাচ্ছে।"

" কি আবোল তাবোল বলছেন?" আমি চিৎকার করে বলে উঠি।

" টাইটান।নাম শুনেছেন।শনির একটা গ্রহ।ওখানে যে জীবন থাকতে পারে, সভ্যতা থাকতে পারে সেটা নাসা অনেকদিন আগেই বলেছে।সেই সভ্যতা পৃথিবীর থেকে অনেক অনেক উন্নত।ওদের রকেটের গতি প্রায় আলোর কাছাকাছি।আলোর সমান বা তার থেকে তো বেশি হতে পারে না,তাহলে তো রকেটের ভর অনন্ত বা ইনফিনিটি হয়ে যাবে, সময় বলে কিছু থাকবে না। টাইটানের দূরত্ব পৃথিবী থেকে এক বিলিয়ন মাইল।এক বিলিয়ন জানেন।একের পিছনে নটা শূন্য।যদি পৃথিবী থেকে রেডিও সিগনাল পাবার পর, যেটা প্রায় এক ঘন্টা উনপঞ্চাশ মিনিটে টাইটানে পৌঁছবে।ওখান থেকে রকেট চালু হলে পৃথিবীর কাছে পৌঁছতে প্রায় দুঘন্টা লাগবে।সন্ধ্যা সাতটায় যদি মিস্টার দেশমুখ গাছটাকে উপড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন তো রাত এগারোটার মধ্যে আমরা টাইটানের থেকে আসা রকেট বা উদ্ধারযান আসতে দেখবো।"

আমি হাঁ করে সমীরবাবুর দিকে চেয়ে আছি।এসব কি কথা শুনছি।কব্জিতে বাঁধা ঘড়ির দিকে তাকালাম।এগারোটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি। গাছের পাতাদুটো এতো জোরে কাঁপছে যে ছিড়ে যেতে পারে।লেজার এর  মতো সুতীব্র আলোটা আকাশ ভেদ করে চলে গেছে।আকাশের তারারাও যেন দম বন্ধ করে গাছের কান্ডকারখানা দেখছে।ওই লেজারের আলোর মাথায় একটা ফুটকি নীল আলো দেখা যেতে লাগলো।আলোর তীব্রতাটা বাড়ছে আর ফুটকিটা সাইজে বাড়তে থাকলো।

ঠিক এই সময়তেই ক্যাঁচ করে গেটের কাছে একটা জিপ থামলো।দেখলাম অন্ধকার ভেদ করে গোটা তিনেক লোক জোরে জোরে " মিস্টার পতিতুন্ড", "মিস্টার পতিতুন্ড" বলে লোহার গেট খুলে বাগানের দিকে এগিয়ে আসছেন।সমীরবাবু আর আমি উঠে দাঁড়ালাম।

" আমরা ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট থেকে আসছি।আমাদের কাছে খবর আছে কোনো বিদেশি এজেন্ট আপনাকে বিপদে ফেলতে আপনার কাছে আসছে।"

আমরা সবাই একসাথে মাটিতে পড়ে থাকা মিস্টার দেশমুখের পানে চাইলাম।

" মাই গড।ইট ইস এ মার্ডার কেস।" অফিসার বলে উঠলেন।

" কি করে উনি মারা গেলেন?" অন্য অফিসার প্রশ্ন করলেন।

মাথার ঠিক ওপরে একটা ঘর্ঘর আওয়াজ শুনে আমরা ওপরে তাকালাম।একটা গোলাকার ড্রোনের মতন জিনিস থেকে নীলাভ আলো বেরোচ্ছে।ওটা এবার ধীরে ধীরে আরো নীচে নামতে লাগলো।আমরা সবাই ভয়ে দূরে সরে গেলাম।ওপরে মাঝ আকাশে প্রায় পাঁচশো মিটার ওপরে একটা বড়ো গোলাকার বস্তু শূন্যে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ওর তলা থেকে একটা ছোট গোলাকার ড্রোনের মতো জিনিস নীচে আমাদের দিকে নেমে আসছে।ছোট ড্রোনটা গাছটার একদম ওপরে আসতেই ওর নিচের অংশ থেকে দুটো সাঁড়াশির মতো রড বেরিয়ে এলো।তারপর সেই দুটো রডের নিচের অংশটা প্রসারিত হয়ে আঙুলের মতো গাছটার গোড়ায় মাটির ওপর চেপে ধরে গাছটাকে টব থেকে উপড়ে নিলো।সোঁ সোঁ আওয়াজ করে সেই রড দুটো গাছটাকে ড্রোনের পেটের ভিতর পুরে ফেলে  চোখের পলকে ওটা উড়ে সেই বড় গোলকটার ভিতরে ঢুকে পড়লো।ছোট ড্রোনটা গোলাকার বস্তুটার ভিতরে সেঁধিয়ে যেতেই বড় গোলাকার বস্তুটা নিঃশব্দে তীব্রবেগে আরো ওপরে উঠে অন্ধকার আকাশে মিলিয়ে গেল।

আমি কলকাতা ফিরে এসেছি।মিস্টার দেশমুখের বডি পোস্টমর্টেম হয়েছিলো।শরীরে ইলেক্ট্রিক শক লাগায় নাকি ওনার হার্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।সমীরবাবুকে ইসরো থেকে ডেকে পাঠিয়েছে।শুনেছি উনি ভুটানের চাকরি ছেড়ে ইসরোতে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

...(সমাপ্ত)...

চিত্রাঙ্কন : সংস্থিতা মল্লিক

 

চিত্রাঙ্কন 

সংস্থিতা মল্লিক

বয়স : ১১

ক্লাস : ৬ 

স্কুল : ক্যালকাটা পাবলিক স্কুল

চিত্রাঙ্কন : আদিত্যপ্রভ সরকার

 

১ 

২ 

চিত্রাঙ্কন 

আদিত্যপ্রভ সরকার

১ ড্রয়িং - 4বছর বয়সে,Nursury তে পড়ার সময়।

২  বিন্দি আর্ট - স্কুলে ভর্তি হবার আগে,3বছর বয়সে।

ক্লাস : LKG

বয়স : 5বছর 6মাস

শৈলবালা মেমোরিয়াল স্কুল ,দাঁতন ওয়েস্ট মেদিনীপুর



চিত্রাঙ্কন : তরঙ্গী দাস

 



চিত্রাঙ্কন 
তরঙ্গী দাস
ক্লাস : নার্সারি 
বয়স : ৫ 
স্কুল : টেকনো ইন্ডিয়া পবিলিক স্কুল,আড়িয়াদহ

চিত্রাঙ্কন : আর্সিয়া পাল

 


চিত্রাঙ্কন 
আর্সিয়া পাল 
ক্লাস : ১ 
বয়স : ৬ 
স্কুল : ভারতীয় বিদ্যাভবন , সল্টলেক 

চিত্রাঙ্কন : আরুশী দত্ত

 

চিত্রাঙ্কন 

আরুশী দত্ত 

বয়স ৭ 

স্কুল সেন্ট অগাস্টিন স্কুল,ব্যারাকপুর

চিত্রাঙ্কন : দিশা সামন্ত

 

চিত্রাঙ্কন 

দিশা সামন্ত

বেহালা শ্যামাসুন্দরী বিদ্যাপীঠ 

 সপ্তম শ্রেণী

চিত্রাঙ্কন : অঙ্কুশ দাস

 


চিত্রাঙ্কন 
অঙ্কুশ দাস
 ক্লাস অষ্টম
সোদপুর হাই স্কুল

চিত্রাঙ্কন : স্পৃহা ভট্টাচার্য

 

চিত্রাঙ্কন

স্পৃহা ভট্টাচার্য

শ্রেণীঃ তৃতীয়,

এইচ. পি. আই. স্কুল 

চিত্রাঙ্কন : সুপ্রিয়া নাথ

 


চিত্রাঙ্কন

সুপ্রিয়া নাথ

শ্রেণীঃ তৃতীয়

ভোলাননদ ন্যাশনাল একাডেমি 

চিত্রাঙ্কন : অঙ্কিতা ভট্টাচার্য

চিত্রাঙ্কন

অঙ্কিতা ভট্টাচার্য

শ্রেণীঃ ষষ্ঠ,

স্টেট সোলজার কনভেন্ট স্কুল